হবীব নাজ্জার এক অসাধারণ সৌভাগ্যশালী !
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:১৬:০৭ সকাল
--------------------------------------------------
আপনাদেরকে এক অসাধারণ বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে যাচ্ছি, যা ইতোমধ্যে অনেকেই অবগত আছেন বলে বিশ্বাস করি।
আলকুরআনের সূরা ইয়াসীনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মুহাম্মদ(সাঃ)কে বলেন-
"আপনি তাদের নিকট উপস্থিত করুন এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত, যাদের নিকট এসেছিলো রসূলগণ। আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দুজন রসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী ঘোষনা করলো, তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং তারা বলেছিলো- আমরা তো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি(সত্য প্রচারের উদ্দেশ্যে)। তারা বললো- তোমরা তো আমাদের মত মানুষ, দয়াময় আল্লাহ তো কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা তো সম্পূর্ণ মিথ্যবাদী। তারা(রসূলগন) বললো: আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই অবগত আছেন যে, আমরা তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি। স্পষ্টভাবে (আল্লাহর বিধান) প্রচার করাই হল আমাদের দায়িত্ব।
(আল কুরআন, সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৩-১৭)
বহু পূর্বকার ফিলিস্থিন এলাকার একটি শহর নাম 'ইনতাকিয়া', যার শাসকের নাম ছিলো 'ইনতায়খাস'। বাদশাহ ও তার জনগন সকলেই মূর্তীপূজক ছিলো---(ইবনে কাসীর,১৬ খন্ড)। আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত ছিলো তারা। আল্লাহ তাদের হেদায়াতের জন্যে একইসাথে দুই জন নবীকে পাঠালেন। নবীগণ সেই জনতাকে সত্যের পথে আহবান করত এবং তাদের কৃত আচরনের অসারতা বর্ণনা করত। আল্লাহর আদেশ,নিষেধসমূহ তুলে ধরত। আল্লাহর আদেশ মানলে জান্নাত প্রাপ্ত হওয়া যাবে, না মানলে জাহান্নাম এটা বোঝাতো। তাদের সকল কাজের পরিনতি কি হতে পারে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান দান করত। কিন্তু শাসক ও শাসিত জনগণ কেউ তাদেরকে গ্রহন করলো না। বরং তাদেরকে উন্নতি,প্রগতির অন্তরায় ভাবতে শুরু করলো। তাদের কথা মানলো না বরং তাদের উপর নানামুখী অত্যাচার চালালো, অবাঞ্চিত ঘোষনা করলো। তারা নিজেরা নিজেদের তৈরীকৃত জীবন ব্যবস্থার উপর সন্তুষ্ট থাকলো ও চর্চা অব্যাহত রাখলো। এমতাবস্থায় আল্লাহ তায়ালা আরেকজন নবীকে উক্ত এলাকায় প্রেরন করলেন। এবার ৩ জন নবী ওই কওমকে আল্লাহর পথের দিকে আহবান করতে থাকলো। কিন্তু ওরা আল্লাহকে মেনে নেয়নি বরং তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
ওই জনগনের লোকেরা তাদের খারাপ কোনো ঘটনার জন্যে এই নবীদেরকে দায়ী করত, এদেরকে অপয়া মনে করত, আর ভালো কিছু প্রাপ্ত হলে তা নিজেদের কৃতিত্ব হিসেবে দাবী করত। এই বিষয়টি খুবই লক্ষ্যনীয় যে প্রত্যেক যুগেই এই একই ঘটনা ঘটেছে। হযরত মূসার(আঃ) এর সময়ে ফিরাউন ও তার লোকেরা ঠিক একই কথা বলতো যা আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। খারাপ বিষয়ে দোষ চাপাতো মূসার উপর, আর ভালো বিষয়ের কৃতিত্ব নিত ফেরাউন। আল্লাহ এর জবাবে বলেন-তাদের বিপদাপদের কারন তাদের খারাপ কর্মসমূহ, যার শাস্তি তাদের উপর আপতিত হচ্ছে। একই ঘটনা সালেহ(আঃ)এর সময় ঘটেছে। সর্বশেষ রসূল মুহাম্মদ(সাঃ)এর সময়ও এমন ঘটনা ঘটেছে। এমনকি বর্তমান কালেও একই ঘটনা ঘটে। সকল অমঙ্গল,পশ্চাৎপদতা,উন্নয়নবিমুখীতা,অকল্যানের দায় ইসলাম্স্টিদের ঘাড়ে চাপানো হয় এবং নানান স্থানের নানান রকমরে শাসক,আজ্ঞাবহরা নানান সব অপবাদ দিয়ে তাদের উপর নির্যাতন করে। এটা সকল সময়ের সকল সমাজের বাস্তব চিত্র।
যখন রসূলগণ উক্ত এলাকায় আল্লাহর দ্বীন প্রচার করছেন, তখন শাসক ও তার জনগণ বললো:
"তারা বললো: আমরা তোমাদেরকে আমাদের জন্যে অমঙ্গলের কারন মনে করি, আর যদি তোমরা তোমাদের কাজ থেকে বিরত না হও, তবে তোমাদেরকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করবো এবং অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি আপতিত হবে। তারা(রসূলগণ) বললো: তোমাদের অমঙ্গল তোমাদের সাথেই থাকবে, আর এটা কি এ জন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি ? বস্তুতঃ তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।"
(সূরা ইয়াসীন, আয়াত:১৮-১৯)
কিন্তু তাদের ক্রমগত হুমকীর পরোয়া নবীগণ করেননি। তারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে গেছেন। প্রথমে তাদেরকে সতর্ক করা হয়। দোষারোপ করে অপদস্ত করা হয়,হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, অপদস্ত করা হয় এবং এটা বাড়তেই থাকে। এবং একসময় কঠোরভাবে নিষেধ করে হত্যার হুমকী দেওয়া হয়। এর সাথে নানামুখী নির্যাতন থেমে ছিলোনা। মানুষেরা তাদেরকে বলতো তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, তোমরা নবী হবে কিভাবে ? তোমরা মিথ্যাবাদী। হুবহু একই কথা মুহাম্মদ (সাঃ)কে কাফিররা বলতো। আসলে এটা সত্য গ্রহন করতে না চাওয়ার একটা যুক্তিপূর্ণ বাহানা। সর্বকালেই সত্য বিমুখ মানুষ এরকম নানান যুক্তি বাহানা নানান রঙে উপস্থাপন করে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বিষয়ে আল কুরআনে অনেকগুলো আয়াত রয়েছে। আল্লাহ বলেন " তাদের কাছে হিদায়াত আসার পর মানুষদেরকে ইমান আনতে এই বিষয়টা বাধা দিয়েছে যে, তারা বলে-আল্লাহ কি আমাদের মত মানুষদেরকে রসূল করে পাঠিয়েছেন ?" (আল কুরআন ১৭:৯৪)
সত্য গ্রহন করতে না চাওয়ার বাহানা হিসেবে কাফিররা বলত, ফেরেশতারা উপর থেকে নেমে আসুক, তারা আমাদেরকে বিধান শিক্ষা দিক। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটলেও তারা তা মেনে নিত না। আল্লাহ অধিক অবগত।
=============================
এখন যেটা শুনতে যাচ্ছেন সেটা আমার-আপনার বিষয়ঃ
আল্লাহর প্রেরিত রসূলগণ ইনতাকিয়ার মানুষদেরকে সর্বোচ্চ হিকমাহর সাথে দ্বীন বুঝানোর চেষ্টা করলো, আল্লাহর বিষয়ে সতর্কও করলো। দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে তারা মানুষদেরকে হেদায়াতের পথে আহবান করলো কিন্তু তারা তা গ্রহন করলো না, বরং অত্যাচারের একটা পর্যায়ে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিল। কিন্তু রসূলগণ দমে যাননি। তারা তাদের কর্তব্যে পিছপা হননি।
এই ইনতাকিয়া শহরের শেষ প্রান্তে এক মুসলিম নির্জনবাস করত। তার নাম ছিলো হাবীব অথবা হাবীব নাজ্জার। ইবনে কাসিরের(রহঃ) গবেষণা মতে তিনি রেশমের কাজ করতেন এবং তিনি কুষ্ঠরোগী ছিলেন। হযরত উমার ইবনে হাকামের(রাঃ) মতে তিনি ছিলেন জুতা সেলাইকারী। কেউ কেউ বলেছেন তিনি ছিলেন ছুতার বা কাঠমিস্ত্রী। দু একজন গেবষক বলেছেন তিনি ছিলেন ধোপা। কিন্তু তার পেশা এখানে মোটেও উল্লেখযোগ্য নয়। তিনি নির্জনে ইবাদত বন্দেগী করতেন এবং আমার মনে হয়েছে সম্ভবত তার ইসলাম চর্চার বিষয়টি গোপন ছিলো। তিনি ছিলেন খুবই দানশীল। তার উপার্জনের অর্ধেক তিনি দান করতেন। তার স্বভাব ছিলো খুবই কোমল এবং উত্তম।
হাবীব নাজ্জার কোনোভাবে জানতে পারলেন সমাজের লোকেরা আল্লাহর প্রেরীত নবীদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। লোকটি আর স্থীর থাকতে পারলেন না। তিনি নির্জনতা ভেঙ্গে জেগে উঠলেন। প্রচন্ড সাহসীকতার পরিচয় দিলেন। বিষয়টি সারা জাহানের রব সুমহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার এতই পছন্দ হলো যে, তিনি আল-কুরআনে তার ভূমিকা তুলে ধরে আমাদের রসূল মুহাম্মদ(সাঃ)কে বিষয়টি অবগত করেছেন। শুধু তাই নয় আরও বেশীদূর জানিয়েছেন। এখানে আমাদের জন্যে চরম এক দৃষ্টান্ত রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে হাবীবের মত কবুল করুন এবং তার মত মর্যাদাবান করুন ! আল্লাহ হাবীব নাজ্জারের মর্যাদা আরও বাড়িয়ে দিন, তার নিয়ামত অনেক বেশী বর্ধিত করুন ! চলুন সামনে এগিয়ে যাই......
" অত:পর নগরীর প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি ছুটে আসলো, সে (উঁচু গলায়,তেজোদ্বীপ্ত কন্ঠে)বললোঃ হে আমার সম্প্রদায় ! রসূলদেরকে অনুসরণ কর !! তাদেরকে অনুসরণ করো, তারা তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চায় না, বরং তারা সৎপথ প্রাপ্ত।
আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তার ইবাদত করবো না ? আমি কি তার পরিবর্তে অন্য মাবুদকে গ্রহন করবো ? দয়াময় আল্লাহ আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোনো কাজে আসবে না, এবং তারা আমাকে উদ্ধার করতেও পারবে না। আমি যদি এরূপ করি,তবে আমি অবশ্যই বিভ্রান্তিতে পড়বো। আমি তো তোমাদের প্রতিপালকরে প্রতি ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।" (সূরা ইয়াসিন: আয়াত ২০-২৫)
হাবীব নাজ্জার প্রচন্ড সাহসীকতার সাথে নিরবতা ভেঙ্গে জেগে উঠলেন এবং লোকদের সামনে এসে নবীগনকে মেনে নিতে আহবান করলেন। বললেন, ওরা তো পারিশ্রমিক চাচ্ছেনা। সত্যের পথে আহবান করছে আমাদের মঙ্গলের জন্যে। ওরা যা বলছে তা কি অযৌক্তিক ? তারা তো এক আল্লাহর ইবাদতের জন্যে আহবান করছে তোমাদের কল্যানের জন্যেই। আল্লাহকে ভয় করো, তিনি যেমন মহা দয়ালু তেমনি মহা শাস্তিদাতা। অথচ তোমরা সত্যকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করোনি, সত্যের প্রচারকদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছো। কি ভয়াবহ পরিনাম তোমাদের জন্যে অপেক্ষা করছে তা কি তোমরা অনুধাবন করছো ? তোমরা এখনও ফিরে এসো। আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, তোমরা আল্লাহর দ্বীন গ্রহন করো। সম্ভবত: এ সময় লোকেরা তাকে হুমকী প্রদান করে এবং সে তখন বলে, আমি সেই আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং আমি তার ইবাদত করি। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিনা, কাউকে পরোয়া করিনা, তোমরা আমার সাথে কি আচরণ করবে তার পরোয়া আমি করিনা। হাবীব নাজ্জারের কথা ছিলো অত্যন্ত বলিষ্ঠ এবং স্পষ্ট। আর সেটা কাফিরদের কাছে এতটাই অপছন্দনীয় হল যে, হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ),হযরত কাব(রাঃ), হযরত আহাব(রাঃ) বলেন- তখন কাফিররা সম্মিলিতভাবে তার উপর তাৎক্ষনিকভাবে হামলা করে এবং তাকে নির্দয়ভাবে গত্যা করে। হযরত কাতাদা(রাঃ) বলেন- তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পাথর পাথর মারতে থাকে, আর লোকটি মুখে তখন উচ্চরণ করতে থাকে: " হে আল্লাহ ! আমার কাওমকে আপনি হেদায়াত দান করুন , যেহেতু তারা জানে না। "
হযরত ইবনে মাসউদ(রাঃ) বলেন-কাফিররা ওই পূর্ণ মুমিন লোকটিকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করতে থাকে। তাকে ফেলে তার পেটের উপর চড়ে বসে, পা দিয়ে পিষ্ট করতে থাকে এমনকি অত্যাচার এমন পর্যায়ে যায় যে তার পেটের নাড়িভুড়ী পেছনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে আসে। সে শহীদ হয়ে যায়।
....(তাফসীর ইবনে কাসীর, ১৬ খন্ড)
হাবীব নাজ্জারের মৃত্যুর সাথে সাথে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দান করেন। বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকারভাবে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন।
" তাকে বলা হল: জান্নাতে প্রবেশ করো। সে বলে উঠলো, হায় ! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারতো, কি কারনে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত করেছেন ! " (সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ২৬-২৭)
হাবীব নাজ্জার সফল হলেন। মাত্র অল্প কিছুসময়ের কঠিন পরিক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপ্ত হলেন। আর আমাদের জন্যে রেখে গেলেন উদাহরণ। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের বাস্ত চিত্র। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাও জানিয়ে দিলেন আমাদের আচরণ হাবীবের মত হলে পরিনতি হবে হাবীবের মতই মহা সম্মানিত। আর সম্মান কেবল আল্লাহই প্রদান করেন, অন্য কেউ নয়।
এরপর সেই হতভাগা জাতির কি হল ??
এই ঘটনায় আল্লাহ প্রচন্ড রাগান্বিত হন। আল্লাহ বলেন:
"আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনো বাহিনী প্রেরণ করিনি এবং তা প্রেরনের প্রয়োজনও ছিলোনা। ওটা ছিল এক মহানাদ(ভয়ঙ্কর শব্দ)। ফলে তারা নিথর হয়ে পড়ে রইলো।"
(সূরা ইয়াসীন,আয়াত: ২৮-২৯)
হাবীব নাজ্জার সফল হলেন সত্যের পথে থেকে। তার মৃত্যুর পর আল্লাহ তাকে জান্নাতের উঁচু স্থান দেখিয়ে বলেন এখানে প্রবেশ করো, এ জান্নাত তোমার। তাকে এতটাই নিয়ামত প্রদান করা হয় যে, তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে আল্লাহকে বলেন, হায় ! আমার সম্প্রদায় যদি আমার এই অবস্থাটা জানতে পারত ! মহান আল্লাহ আল-কুরআনে এই ঘটনাটি উল্লেখ করে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে তার বিষয়টি জানিয়ে দিলেন।
আল্লাহ হাবীব নাজ্জার নামক পবিত্র,মহান,মুত্তাকী ওই লোকটাকে আরও বেশী সম্মানীত করুন ! আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন ! সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের জন্যে আমাদের আত্মাকে বিশুদ্ধ করুন ! আমাদের সাহসকে বৃদ্ধী করুন ! মজলুমের পক্ষে ও যালিমের বিরুদ্ধে আমাদেরকে হক কথা বলার তাওফিক দান করুন !
বিষয়: বিবিধ
১০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন