ভারতে মুসলিমদের প্রকৃত সংখ্যা কত !
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৯:২৪ রাত
------------------------------------------
ভারতের রাষ্ট্র নায়কগণ বিভিন্ন সময় মুসলিমদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছে। ২০০১ সালের আদমশুমারীতে ভারত দাবী করে সেখানে মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৩ কোটি। কিন্তু সি.এন.এন, আই.বি.এন এর প্রতিবাদ করে এবং নিজেরা জরিপ শুরু করে এবং সরকারের এ দাবীক মিথ্যাচার হিসেবে ঘোষনা করে। তারা ২০১০ সালের জরিপে দেখান আসামের মোট জনসংখ্যার ৪০ভাগই মুসলিম। অর্থাৎ ৫ কোটির ভেতর ২কোটি ৩৫ লাখ মুসলিম। উত্তর প্রদেশে ২২.৫% মুসলিম অর্থাৎ ২৩ কোটির ভেতর ৫ কোটির মত। পশ্চিম বঙ্গে ৩০% মুসলিম,অর্থাৎ ১০ কোটির ভেতর ৩ কোটি, বিহারে ২০% মুসলিম.....বাকী ২৫ টি প্রদেশ তো বাদ থাকলো।
১৯৮৪ সালে ভারতের মধ্য প্রদেশের এম.পি উবায়দুল্লাহ খান আজমী ভারতের মুসলিমদের সংখ্যা ২৫ কোটি বলে এক পরিসংখ্যান থেকে উল্লেখ করেছিলেন। তখন পুরো ভারতের জনসংখ্যা ছিলো ৭৫ থেকে ৮০ কোটি। ভারতের গুজরাটে দাঙ্গার সময় উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিমদের সংখ্যা ৩৫ কোটি উল্লেখ করে লিফলেট ছাপায়।
জনসংখ্যার হিসাব বের করা হয় কত গতিতে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার উপর। মুসলিমদের জনসংখ্যা হার সব সময়ই বেশী। ভারত সরকার কখনই মুসলিমদের প্রকৃত বৃদ্ধী হার,মোট সংখ্যা প্রকাশ করেনি। মুসলিমদের জনসংখ্যার বৃদ্ধী সম্পর্কে অনুমান করতে আমাদেরকে ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর পাকিস্থানের মুসলিমদের চিত্র দেখতে হবে, তাহলে ভারতে থাকা মুসলিমদের সম্পর্কে অনুমান সহজ হবে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্থানের মুসলিমদের সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ কোটি, আর এখন ১৬ কোটি। এখান থেকে অনুমান করা যায় ভারতের মুসলিমদের বৃদ্ধী কোন পর্যায়ে। ২০০২ সালে উগ্র হিন্দুদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারেত মুসলিম ছিলো ৩৫ কোটি, তাহলে আজ ২০১৯ সালে সেটার পরিমান কত হতে পারে তা সহযে অনুমেয়। মুসলিমদেরকে সুবিধা বঞ্চিত করে রাখার জন্যে তাদের সংখ্যা কম দেখানো হয় পরিকল্পিত ভাবে। আর কম সংখ্যা প্রকাশ করে সংখ্যা লঘু হিসেবে পরিচয় দিলে মুসলিমরাও নিজেদেরকে দূর্বল ভেবে সবকিছু মেনে নিবে এমন একটি অবস্থা তৈরী করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
৮৬৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুসলিম সংখ্যা কম দেখিয়ে মুসলিমদের দূর্বল রাখতে চায় ভারত সরকার,
মন্তব্য করতে লগইন করুন