হুজুর সমীপে
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩৩:৪১ সকাল
ইসলামী ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়ে আপনারা দেখবেন জ্ঞান-বিজ্ঞানে,শিক্ষা-দীক্ষায় মুসলিমরা শুধু এগিয়ে ছিলো তাই নয়, বরং সারা দুনিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পুরো পৃথিবীর কাছে ছিলো মুসলিমরা রোল মডেল। আরও বিশাল ব্যাপার হল একটানা ১৩০০ বছর মুসলিমরা তাদের এই শীর্ষ অবস্থা ধরে রেখেছিলো।
যখন মধ্যযুগে পুরো ইউরোপ ছিলো পাতালের অন্ধকারে, তখন মুসলিমরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অন্যদের কাছে স্বপ্নের মত ছিলো। অমুসলিম বিশ্ব থেকে মানুষ বিদ্যা শিক্ষার জন্যে স্পেন,মিশরের নানান ইউনিভার্সিটিতে গমন করত। ইউরোপের লাইব্রেরী সমূহে আপনারা মুসলিমদের বিদ্যা শিক্ষার নানান অবস্থার চিত্র এখনও দেখবেন। হালাকু খান,চেঙ্গিস খানরা শত শত লাইব্রেরী পুড়িয়ে দিলেও মুসলিমদের বিদ্যার্জন থেমে ছিলোনা। যে সময় ইউরোপে নারীদের বিদ্যার্জন নিষিদ্ধ ছিলো,ডাইনী হিসেবে হত্যা করা হত তাদের,তখন মুসলিম নারীরা এমনকি মা-মেয়ে একই সাথে ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ছিলো। ইসলামের ইতিহাসে নারীদের বিদ্যার্জন একটি বিশাল উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। জ্ঞান বিজ্ঞানের সবকটি স্তর তারা অতিক্রম করে দুনিয়াকে আলোকিত করেছিলো।
স্বয়ং রসূল(সাঃ)এর সময়ে তার নির্দেশে সাহাবীরা(রাঃ) ভিন্ন দেশের ভাষা,কালচার সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছিলেন। সাহাবীরা অমুসলিম জ্ঞানীদের থেকে বিদ্যার্জন করেছিলেন এবং মানুষের কল্যানের জন্যে সে জ্ঞান প্রচার,প্রসার করেছিলেন। তারা কেবল কুরআন-হাদীস মুখস্ত করে বসে ছিলেন না। এর ব্যবহারিক রূপটি দুনিয়াকে দেখিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় সকল জ্ঞানই তারা অর্জন করেছিলেন। কুরআন-সুন্নাহ ছিলো জীবন্ত এবং মানুষের কল্যানে নিয়োজিত।
এভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী চলার পর ইসলাম আসলো এক চরম মূর্খ,অনাথ,মিসকিন,পশ্চাৎপদ,কুসংষ্কারাচ্ছন্ন এলাকায়, আর সেটা হল ভারতীয় উপমহাদেশ। এখানে ছিলো মানুষে মানুষে চরম বৈষম্য আর নানা মূর্খতা,বেহায়াপনা। তারপরও ইসলামের আলোকে একদল লোক আলোকিত হল, কিন্তু আরেক দল লোক ইসলামের নামে সমাজে বৈষয়িকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করলো। জ্ঞাত ও অজ্ঞাতে ইসলামের নামে নানান কুসংষ্কার,বিদাত চালু করে সামাজিক সুবিধা গ্রহন করাকে কর্তব্য হিসেবে ধরে নিল। একদা যে কুরআন বিশ্বকে আলো দেখিয়েছে, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেটাকে ওরা প্যাকেটবন্দী করে উঁচু তাকে রেখে সম্মান জানাতে লাগল। আর ওটা মুখস্ত করে সুরের লহরীতে অন্যকে মুগ্ধ করা ও ঝাঁড়ফুকে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। কুরআনের ভেতরের জ্ঞানকে অন্তরে ধারন না করে হাতে কুরআন-হাদীসের কিতাব রেখে নিজের মনগড়া কথায় অন্যকে বিভ্রান্ত করে কিছু মূর্খের থেকে প্রশংসা বানী গ্রহন করে তৃপ্তীর ঢেকুর তুলে জান্নাতের স্বপ্নে বিভোর হতে থাকলো। থাক আর বলব না আজ।
এখন হুজুর সমীপে জিজ্ঞাসা, আপনাদের মাদ্রাসা পড়ুয়া স্ত্রী,কণ্যা,বোনদের সন্তান ডেলীভারীটা কি পুরুষ ডাক্তারের হাতে হওয়া পছন্দ করেন ?? উচিৎ কথা বললে,বলবে খাদকের মুখ খারাপ !!
বিষয়: বিবিধ
৫৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সবচেয়ে কস্টের বিষয় হচ্ছে আজ যদি কোনো মুসলিমকে প্রশ্ন করেন মুসলিমদের ইতিহাস কি তখন ওরা উওর দিতে পারে না। মুসলিমের যে গর্ব করার মতো ইতিহাস রয়েছে সেটুকু ওদের জানা নেই।
ধন্যবাদ প্রিয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন