সূরা সাবা
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০২ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৫৫:০২ রাত
আখিরাতে আমরা ঠিকই বুঝে যাব যে দুনিয়াতে যাকে সম্পদ,স্বাস্থ্য,প্রতিপত্তি কম দেওয়া হয়েছিলো তাকেই মূলত কল্যান দেওয়া হয়েছিলো। কারন তার হিসাব সহজ। যারা নির্যাতীত,লাঞ্চিত ,অপদস্ত হয়েছে দুনিয়ায় তারা বুঝবে যে কি বড় পাওনা তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে। এরাই লাভবান হবে। আখিরাতে শয়তান,যালিম,খারাপ লোকসমূহ ও তাদের অনুসারীরা প্রচন্ড বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হবে কিন্তু উভয়ের পরিনতি হবে মহা শাস্তি জাহান্নামে। সেই বিষয়টিই সূরাটির এই অংশে এসেছে।
"যাদেরকে দূর্বল করে রাখা হয়েছিলো দাম্ভিকরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের কাছে সত্য পথের দীশা আসার পর আমরা কি তোমাদের তা থেকে বাধা দিয়েছিলাম ? বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অপরাধী। যাদেরকে দূর্বল করে রাখা হয়েছিলো তারা বলবে, তোমরাই তো বরং দিন-রাত তর্ক করতে। তোমরা আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যাতে আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি আর তার সমকক্ষ স্থির করি। অত:পর যখন তারা শাস্তি দেখবে মনের অনুতাপ মনেই লুকিয়ে রাখবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা(দুনিয়াতে)করত তার প্রতিফল তাদেরকে দেওয়া হবে।" (সূরা সাবা,আয়াত: ৩২-৩৩)
সবসময় দেখা গেছে আল্লাহর হুকুম মানার ক্ষেত্রে সমাজের প্রভাবশালী,বিত্তশালীরা পিছিয়ে। আল্লাহ তাদেরকে বিত্ত বৈভব দিয়ে পরিক্ষা করেন কিন্তু তারা দাম্ভিকতার পরিচয় দিয়ে থাকে অধিকাংশ সময়ে। তারা ভুলে যায়, যা নিয়ে তারা গর্ব করে ওটা কিছু সময়ের জন্যে একটি আমানত মাত্র।
"যখনই আমি কোনো জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি,সেখানকার বিত্তবানরা বলেছে-তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে,তা আমরা অস্বীকার করছি। তারা বলত, আমরা ধনসম্পদে,সন্তানাদীতে তোমাদের তুলনায় বেশী, ফলে আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারিনা। বলো- আমার প্রতিপালক যার জন্যে চান রিজিক প্রশস্ত করেন অথবা সিমীত করেন কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানেনা।
ওটা না তোমাদের ধনসম্পদ আর না তোমাদের সন্তা-নসন্ততি,যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যদি কেউ ইমান আনে ও সৎ কাজ করে,তাদেরই জন্যে আছে বহুগুন প্রতিদান। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালায় তাদেরকে মহা আযাবে উপস্থিত করা হবে।" (সূরা সাবা: আয়াত ৩৪-৩৮)
বিষয়: বিবিধ
৬২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন