অসৎ কাজে নিষেধ গুরুত্বপূর্ণ
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৮:২৫ রাত
দুনিয়ার বিশাল সংখ্যক মানুষ সফলতা দেখে মরতে চায়। সেটা না দেখতে পেলে হতাশ হয়ে যায়। অথচ শয়তান খারাপ ও ভালো দুরকম পদ্ধতিতেই ধোকা দেয়, হাতাশা তার ভেতর শ্রেষ্ঠ ধোকা। কারন এতে বান্দা আল্লাহর উপর আস্থা হারায়। আল্লাহ তায়ালা দেখবেন মানুষের অন্তরের প্রচেষ্টা, তার কর্মকান্ডসমূহ। কে কোন রাস্তায় ছিলো সেটাই দেখা হবে আখিরাতে। সময়টা দ্রুত শেষ হচ্ছে। বছর এখন মাসের গতিতে আগাচ্ছে, মাস এখন সপ্তাহর গতিতে...। মরতে কিন্তু বেশী দেরী নেই। পেছনে ফেরার ব্যবস্থা নেই।
আল্লাহ তায়ালা অনেকগুলো আয়াতে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করতে বলেছেন। এটা যখন সমাজ থেকে উঠে যায়, তখন ভালো মানুষেরা কেবল খারাপ কাজকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে থাকে। এটা ইমানের সর্বনীম্ন স্তর। এতে তারা হয়ত সাময়িক মানসিক প্রশান্তিতে থাকে কিন্তু সমাজের খবর হয়ে যায়।
আল্লাহ বলেন" তোমরাই স্রেষ্ঠ জাতি, মানব জাতির কল্যানের জন্যে তোমাদের উত্থান ঘনানো হয়েছে, তোমরা সৎ কাজে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে, আর আল্লাহ উপর ইমান আনবে"
এ বিষয়টি সমাজে না থাকলে সমাজের কি দশা হয় তা এক লম্বা হাদীসে রসূল(সাঃ)জানিয়েছেন এভাবে.....এক দ্বিতল বিশিষ্ট জাহাজে পানির ব্যবস্থা ছিলো উপরের তলায়। নীচের লোকেরা পানির জন্যে উপরে যেত, কিন্তু বার বার যাওয়ার কারনে তাদেরও কষ্ট হত আবার উপরের লোকদের বিরক্ত করছে মনে করে তারা ভাবলো জাহাজের তলা ফুটো করে পানি নিবে। যদি তারা তলা ফুটো করে পানি নেয় তবে কেবল তারা একাই ডুবে যাবে না, উপরের তলার লোকও ডুবে মরবে।....(বুখারী)
এখানে উপরের তলার লোকজন হল সমাজের সুখী জনতা, সুবিধাবাদী জনতা,স্বচ্ছল,এলিট জনতা,আরামপ্রীয় জনতা এবং ফেসবুকের মহান ব্যক্তিরা(আমি নিজেও) যারা তাদের সকল মহান কর্মকান্ড ফেসবুকের ভেতর সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এরা সকল ভালো কাজ বোঝে কিন্তু কষ্টের ভয়ে বাস্তবে সমাজে সত্য প্রচার করেনা। আর নানামুখী ঝামেলার ভয়ে নিরব থাকে। এদের অনেক ক্যাটাগরি আছে। এমনও আছে ইচ্ছা করলে করতে পারে,তাও করেনা। অসৎ কাজের নিষেধ করতে পারে কিন্তু করেনা। প্রায় কেউ'ই তার সাধ্যটা যাচাই করে দেখেনা। মুখে মুখে হাতি ঘোড়া মারার লোকই বেশী। ফলে এই প্রতিবাদহীন, অসৎ কাজে বাধা দান না করা মানুষেরাও আল্লাহর কাছে অসৎ লোকের কাতারে পড়ে আছে। খুবই অল্প কিছু লোক সত্য উপলব্ধী করে তা প্রচার করে এবং সৎ কাজে অদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করে থাকে। আর তারা যথেষ্ট নয়।
আসুন শেষ হাদীসটা জেনে নেই :
রসূল(সাঃ) বলেন -" অবশ্যই তোমরা সৎ কাজে আদেশ দেবে, অসৎ কাজে বা মন্দ কাজে নিষেধ করবে এবং কল্যানকর কাজ করতে উৎসাহিত করবে। অন্যথায় সামগ্রিক আযাব দ্বারা আল্লাহ তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন, অথবা তোমাদের ভেতরকার নিকৃষ্ট পাপী লোকেদেরকে তোমাদের শাসক বানিয়ে দেবেন। অত:পর তোমাদের নেককার লোকেরা দোয়া করতে থাকবে , কিন্তু তাদের দোয়া কবুল হবেনা।(মুসনাদে আহমাদ,৫ম খন্ড,হাদীস নং ২৩৭০১)
বিষয়: বিবিধ
৫৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন