সত্য নয়, কাল্পনিক !
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪০:৫৯ রাত
---------------------
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের হার্ট এটাক করেছে। জরুরী ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হল। তিনি অপারেশন টেবিলে শুয়ে আছেন।
ডাক্তার: দেখে তো মনে হচ্ছে রিং পরাতে হবে।
মহিলা নার্স: স্যার এই বয়সে উনাকে আবার রিং কেন ? উনি তো বিবাহিত... !
: মূর্খ,,,বিয়ের কথা হচ্ছেনা,,,উনার হার্টের রিং পরাতে হবে...।
:ও আইচ্চা স্যার....শুরু করেন।
নাহিদ সাহেব সুন্দরী নার্সের দিকে এক পলক তাকিয়ে হাসলেন। তিনি জানেন বড় বড় ডাক্তাররা রোগীর সাথে মজা করে রোগীকে সুস্থ্য হতে সহায়তা করেন। তিনি কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন,,,যাক এদের রসবোধ আছে ।
ডাক্তার: আচ্ছা, শুরু তো করব,,, শালার ডোম এখনও আসেনা কেন ?
নূ.নাহিদ: ডোম আসবে মানে ?ডোম কি কারো নাম ?
: না স্যার, সে আসলেই ডোম, এতক্ষনে এসে পড়ার কথা। মনে হয় জ্যামে আছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে আসছে তো,,তাই দেরী হচ্ছে,,ভাববেন না স্যার, চলে আসবে।.....
:কিন্তু ডোম কেন ?
:ওই যে সমস্যা,,, আমাদের এনেসথেশিয়ার ডাক্তার প্রাইভেট চেম্বারে টাইম দিচ্ছে,,,এত করে বললাম,,,শুনলো না। আপনার কথাও বলেছি,,,, সে বলে,,,ওই টাকের অজ্ঞান করার দরকার নেই,,ও এমনেই অজ্ঞান থাকে....কত বড় কথা শুনেছেন স্যার !!
: কি এত বড় কথা ! ও জানে আমার ক্ষমতা কত ?
:জি স্যার জানে, কিন্তু জানেনই তো ওর অনেক টাকা, আর রাজনৈতিক পাওয়ার আপনার চেয়ে কম না। প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক।
: তাই বলে আমাকে টাক বলবে !
:মিথ্যা কি বলল, আপনার তো টাক আছেই ,,,,
:এই ডাক্তার দাত ফেলে দেব কিন্তু !
:স্যার আপনি অসুস্থ্য, শুয়ে থাকুন,,,আর তাছাড়া আপনি তো দাতের ডাক্তার না,,,, দাতের ডাক্তার হল হাতুড়ী রফিক,,,,কি রফিক,,পারবি না ?
রফিক: পারব না মানে ! কত পারলাম !! এসব কোনো ব্যাপার !!
: এই এসবের মানে কি ? দাতের ডাক্তার এখানে কেন ? আমার তো হার্টে সমস্যা।...
: স্যার ওটাও ও দ্যাখে মাঝে মাঝে। পেট চলেনা কি করবে ! কখনও দাতের চিকিৎস্যা করে, কখনও হার্টের,,,আরও অনেক কিছু পারে স্যার.....সার্টিফিকেট আছে।
: সার্টিফিকেট আছে !!! এতগুলো ক্ষেত্রে কারো সার্টিফিকেট থাকে ? এটা আসল সার্টিফিকেট ??
:স্যার উত্তেজিত হবেন না,,, শান্ত থাকুন,, শান্ত থাকা আপনার দরকার,,,, আর সার্টিফিকেট কারটাই বা আসল বলুন ! আপনাদের কজনের সার্টিফিকেট আসল ?? খোদ প্রধানমন্ত্রীর.....
:এই খামোশ !! আর এক কথাও নয় ,,,,
:স্যার উত্তেজিত হবেন না,,, আর পাকিস্থানী গালী দিবেন না,,লোকে মন্দ বলবে....পত্রিকায় রিপোর্ট হবে...
:রিপোর্টের ভয় এই লোক করেনা,,সাংবাদীক আমার পকেটে থাকে,,,,ওরা কেনা গোলাম....
:জানি স্যার,,, বাদ দেন স্যার ....এই তোরা কাজ শুরু কর....ফোন দিয়ে দ্যাখ ডোম কতদূর আসলো....
নার্স: স্যার সে আটকে আছে, অনেক সময় লাগবে।ওদিকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহর যাচ্ছে, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম...
: হুম...ঠিক আছে,,, আচ্ছা কিতাব খোল,,, দেখী রিং পরানোর উত্তম উপায় কোনটা ভালো করে দেখে নেই....
নার্স: স্যার হার্টের উপরে লোহার রিং পরায় দিবেন নাকি ? টাইট হয়ে থাকবে,,, এতে উনার হার্ট সুরক্ষিত থাকবে...
:আহাম্মক,,, তাইলে এই লোক বাঁচবে ? পড়াশুনা করে নার্স হতে হয় জানিসনা ??
:স্যার কজন পড়ে বলেন ? শিক্ষা ববস্থার যে হাল.....আমি তো কোটা থেকে আসছি....
:হুমম এই জন্যে এই দশা !
মন্ত্রী নাহিদ: আপনারা এসব কি বলছেন,,, আর সার্জারী শুরু করবেন কখন ??
ডাক্তার: স্যার শুরু তো আগেই হত,, ডোমের কারনে দেরী করলাম। অজ্ঞান করার ওষুধ ওর কাছে আছে। আর কাটাকাটিতেও ওর ভালো পারদর্শীতা আছে, আমিও পারি, সমস্যা নেই...তবে ১০ মিনিটরে ভেতর ও না আসলে আমরা শুরু করে দেব,,,আবার আরেকটা রোগী অপেক্ষা করছে। কই কিতাবটা দে,,,,
মন্ত্রী: এই আপনি কিসের ডাক্তার....কিতাব খুলে পড়ে সার্জারী করবেন ?
:স্যার আমার কি দোষ,,, আপনারাই তো প্রশ্নপত্র ফাঁস করলেন বছরের পর বছর, আবার সকল বাহবাও নিলেন। আমরা তো সব ফাঁস হওয়া পশ্নে পাস করেছি, ওভাবেই উপরের দিকে উঠেছি......তবে আমার হাত ভালো স্যার....রোগী খুব কমই মরে...। আর আপনাদের তো মরন নেই,,,,এত সেবা করেন জনগনের তারপরও আপনাদের মরন হয়না,,,,,আশাকরি আমার হাতে মরবেন না...
এই তাকিয়ে দেখছিস কি ? ধর,,জাপটে ধর....শালার ডোম আসবে না...। রফিক তোর হাতুড়ী দিয়ে টাকে বাড়ি দে,,,,মাঝ বরাবর মিডিয়াম বাড়ি..ফাটায় ফেলিস না....,,দে দে অজ্ঞান করে দে আমি কাটাকাটি শুরু করি।
মন্ত্রীর টাকে বাড়ি দেওয়ার আগেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লেন, ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা এটা তার চিরতরে অজ্ঞান হওয়া কি না....!!
বিষয়: বিবিধ
৬৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন