পরিস্থিতি জঘন্ন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৪:০০ রাত
সাতক্ষীরায় আমার বন্ধুর সাথে কথা বললাম নির্বাচনের ব্যাপারে। সে বলল, কার নির্বাচন কিসের নির্বাচন ! জানতে চাইলাম বিরোধী দলের কি খবর ? সে বলল ওরা নেই। ওদের কোনো পোস্টরও নেই। প্রার্থীরাও পলাতক। গোপনে এক এমপি মাত্র ১৬ জন বিশেষ কর্মী নিয়ে মিটিং করছিলো। পুলিশ এসে সকলকে আটক করে নিয়ে গেছে এবং এদের ভেতর ২ জনকে গুলি করে মেরে ফেলেছে।
আমলীগ নেতারা প্রকাশ্যে মাইকিং করছে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে বলছে ভোট কেবল নৌকায়ই পড়বে অন্যকিছুতে নয়। সেখানে বিরোধী দলের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। কারন যারা ওদের পোলিং এজেন্ট হবে তাদেরকে মেরে ফেলবে বলেছে। আজ রাতেই ওরা ব্যলটে সিল মারবে বলছে। বহু লোক ভয়ে আছে। অধিকাংশ এলাকার অবস্থা এরকম। সরকারী দল ভয়ঙ্কর দস্যুর মত আচরণ করছে। হয় মারবে নয়ত মারবে এমন অবস্থা। এই যদি হবে, তবে নির্বাচন দেওয়ার কি দরকার ছিলো, এমনেই থেকে গেলেই তো হত ! নির্বাচনের নামে আরও কিছু সম্পদ অপচয়,মানুষ হত্যা।
তবে এসবের পরিনাম অনেক বেশী ভয়াবহ। যেসব দেশে গৃহযুদ্ধ বেধেছে,সেসব দেশেও এরকম অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিলো। মূলত এসব হয় একটা বিশাল ও সুদূরপ্রসারী বিদেশী পরিকল্পনার কারনে। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি ভারত এদেশকে স্বস্তিতে এক মুহুর্তও থাকতে দেবেনা। আমরা নিজে নিজে দূর্বল হব এবং তাদের কাছে ধর্না দেব,তখন তারা আমাদের কান ধরে উঠবস করাবে,,,,,। সরকার হয়ত দীর্ঘমেয়াদীভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকবে এবং বিরোধী চিন্তার মানুষের লাশ পড়তে থাকবে,,,কিন্তু যুলুমের পরিনতি ভালো হয়না। ধারনাতীত কোনো উৎস্য থেকে মজলুমের জন্যে সাহায্য চলে আসে, আর যালিম করুন পরিনতি বহন করে। আপাতত ধৈর্য্য ধারন করতে হবে এবং নিজেদের ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। খারাপের বিনিময়ে খারাপ নয়। আপাতত জনগনের জন্যে ভালো সংবাদ দেখা যাচ্ছেনা,কিন্তু গভীরভাবে তা কামনা করছি। আল্লাহ একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরীতে সহায়তা করুন !
আমার কেন যেন মনে হয় হিন্দুস্থানের জিহাদ খুব নিকটে, আর তার ক্ষেত্র প্রস্তুত চলছে। এখানে এমন এক পরিস্তিতি সৃষ্টি হবে যে, সকলে আসল ষড়যন্ত্রকারীদের আরও ভালোভাবে চিনতে পারবে। তারা আরও নির্যাতন করবে এবং তা প্রকাশ্যতা পাবে। শেষে সকল মুসলিম গর্জে উঠবে, তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা থাকবে না। সুস্পষ্টভাবে মানুষেরা মাত্র দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। মুসলিম ও কাফির+দোসর। শুরু হবে গাজওয়াতুল হিন্দ ! রসূল(সাঃ)বলেছেন, "হিন্দুস্থানের রাজাকে তারা শেকল দিয়ে বেধে নিয়ে আসবে,,,,তিনি আরও বলেন,,,সেসব যোদ্ধাদের পূর্ব ও পরের সকল পাপ ক্ষমা করা হয়েছে,,আমি যদি জিবীত থাকতাম,তবে অবশ্যই তাদের সাথে মিলিত হতাম....।" তবে এ সংক্রান্ত হাদীসে বলা হয়েছে-প্রথমদিকে মুসলিমরা মাইর খাবে এবং তারা ছিন্ন বিচ্ছন্ন হবে, পরে তারা ভুলগুলো সংশোধন করে ঐক্যবদ্ধ হবে।.
....সকল ঘটনা ওই একদিকেই প্রবাহিত হচ্ছে....আমি যেন সেটা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি.....
বিষয়: বিবিধ
৫৯৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন