প্রতিবেশী

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৪:৫৯ সকাল



ছি: ছি: ছি: এরকম জিনিস কেউ কাওকে দেয় ? কি ছোটলোকরে বাবা ! আর দিবিই যখন একটু বেশী করে দিতে পারলি না ! আম্মা আর এইটা দ্যাখো,,,,, এ তো পুরো ত্যানা !! এসব কেউ কাওকে দেয় ?

হেহেহে এইটা কি রান্না করেছে ,,,, বুঝছি, বাজার টুকিয়ে এসব পেয়ে রান্না করেছে....। রান্নার যে ছিরি.... তুমি এক কাজ করো উনাকে একটা রান্নার শর্ট কোর্সে ভর্তি করো তোমার রান্নাঘরে।.....।

এত বড় বাটির তলায় মাত্র কয়েক পিছ গোস্ত,,,এরকম কেউ দেয় ??? কম দিবি তাইলে বাটি এত বড় ক্যান ?? মনে হয় আজকের খাবারটা ওদের ভালো হয়ানি,,এ জন্যে প্রতিবেশীকে দিয়ে দিল !

ওই প্রতিবেশীকে পরেরবার আর কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত করবা না,, এত নীচ ! এরকম পচা উপহার কেউ কাওকে দেয় !

আচ্ছা একটা কাজ করা যায় না ?? ওরা তো বেগুনের তরকারী দিয়েছিলো,,,আমরা ওদেরকে এক গামলা ছাগলের রেজালা পাঠাবো আর আস্ত মুরগী ভূনা। একটা শিক্ষা হবে ওদের, লজ্জায় লাল হয়ে যাবে। জীবনে আর কখনও এসব ছাইপাশ পাঠাবে না।

দেখলে তো,,,আমরা ওদের দাওয়াত করে কত কি খাওয়াই আর ওরা কি রান্না করে দেখেছো ? আর রান্নার যা ছিরি,,,,, বৌটার বাপ মা কিচ্ছু শেখায়নি।

==========================

===============================

সাবধান ! বিনা কারনে নিজের সর্বনাশ যেন আমরা না করি ! রসূল(সাঃ) বলেন- সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যার হাত থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।-বুখারী

প্রতিবেশীর সমালোচনা করলে আমার জিহবা থেকে সে নিরাপত্তা পেলনা। জিহবা প্রচন্ড মারাত্মক। ...রসূল(সাঃ) বলেন,,,আমার মনে হতে থাকলো যে, প্রতিবেশীদেরকে না আবার উত্তরাধীকার হিসেবে আল্লাহ নির্বাচিত করেন,,,কারন এত জোর দেওয়া হয়েছে বিষয়টাতে....।

তিনি(সাঃ) বলেন- যে লোক নিজে পেট ভরে খেয়ে রাত্রি যাপন করে কিন্তু তার প্রতিবেশীর খবর রাখেনা, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।...বুখারী।....

---------------------------------------------------

অনেক হাদীস মাথায় আসছে প্রতিবেশি নিয়ে। কিন্তু আজকের প্রাসঙ্গিক হাদীসটি প্রকাশ করছি।

আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল(সাঃ)বলেন " হে মুসলিম নারীগণ ! প্রতিবেশিনী যেন তার প্রতিবেশিনীর কোনো উপহারকে কোনোভাবেই তুচ্ছ জ্ঞান না করে,যদিও তা ছাগলের পায়ের ক্ষুর হোক না কেন" (বুখারী: ৬০১৭)

তিনি(সাঃ) আরও বলেন-"প্রয়োজনে তরকারীতে ঝোল একটু বেশী রাখো,যাতে প্রতিবেশীকেও এক বাটি দিতে পারো"-বুখারী..

প্রতিবেশী সম্পর্কে আমাদের আচরণ অত্যন্ত চমৎকার হতে হবে। এটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবেও এটি এসেছিলো। বাইবেল পরিবর্তিত হয়েছে, বিকৃত হয়েছে কিন্তু প্রতিবেশীর সাথে সুস্পর্কের ব্যাপারটি এখনও সেখানে রয়েছে। ওটাকে জান্নাতে যাবার শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর রসূল(সাঃ) আমাদেরকে প্রতিবেশী সম্পর্কে সবচেয়ে উত্তম বিষয়গুলো শিক্ষা দিয়েছেন। সাহাবায়েকেরামগণ তাদের আদর্শের ভেতর প্রতিবেশীর হক আদায়কে অনেক উপরে রাখতেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হয়েও খলিফাগণ প্রতিবেশীর সেবা করতেন।

আজই আপনার প্রতিবেশীর দরজায় টোকা দিয়ে তার কাছে এক বাটি তরকারী অথবা যে কোনো উপহার দিয়ে তাদের ভালো মন্দের খোজ নিয়ে দেখুন তারা কেমন খুশী হয়। আর এই খুশীতে আপনার শরীরের রোগ ব্যাধীর অর্ধেক দূর হয়ে যাবে। তারা অসুস্থ্য হলে দেখতে যান এবং সেবা দিয়ে দ্যাখেন,, আপনার জীবন বদলে যাবে প্রান প্রাচুর্য্যে ইনশাআল্লাহ !

বিষয়: বিবিধ

৬৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386227
০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
হতভাগা লিখেছেন : ভাইরে এতো বললেন প্রতিবেশীর কথা !

আপনি আপনার কোন আত্মীয়কে আপনার পছন্দ করা একটা জিনিস গিফট করলেন। পরে জানতে পারলেন যে সেটা নিয়ে উনার স্ত্রী খুব ক্রিটিসাইজ করেছেন উনার মাধ্যমে আপনাকে।

আবার, কেউ আপনাকে একটা গিফট দিল । পরে সেটা আবার ফিরিয়ে নিল সপ্তাহ খানেক পর।

প্রতিবেশী তো আত্মীয়ের পরে আসে!

Welcome to the real life bro
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সকাল ১১:২৩
318173
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যা বললেন তা তো ঘটে, কিন্তু পজেটিভলি বললাম Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File