টায়ার সম্পর্কে আমাদের ধারনা কেমন ?? --------------------------------------------
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:৪৪:৫৯ রাত
আজ জ্ঞান দেব, কারন আজ আমি পন্ডিত কালিদাস। এযুগের পোলাপান অবশ্য কালিদাস পন্ডিতকে চেনেনা, এরা চেনে বলিউড আর হলিউডের পন্ডিত/পন্ডিতাসমূহকে। একটা ব্যাপার কিন্তু মাথায় আমার ঘুরত,কিন্তু ঘুরে ঘুরেও মস্তিষ্কের এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করতে পারত না,কারনটা অাজও বুঝিনি। এই যে হলি-উড,বলি-উড.....টালি-উড,,, শব্দের শেষে উড বা কাঠ কেন ? আপনারা জানতে পারলে জানাইয়েন দয়া করে....।
আজ লেকচার টু দ্য পয়েন্টের দিকে নিয়ে যাব,,,কোনো আগাছা পরগাছা বক্তব্যে রাখব না। তা যা বলছিলাম,,,ওই যে কালিদাস। ছোটবেলায় স্কুলের শিক্ষকের কাছে কালিদাস নিয়ে মজার কাহিনী শুনেছিলাম,,,সে মোটেও স্কুলগামী ছাত্র ছিলোনা। তার জ্ঞানের সীমা ছিলো ছোট। গরু,ছাগলের পাতা কাটতে গাছের উপর উঠে নিজে বসে থাকা ডালটা কেটে ফেলতে যেত...। নানান সব কাহিনী.....ওই দ্যাখো টায়ার রেখে কালিদাসে চলে এসেছি...
যাইহোক কালিদাসেরও বোধহয় এক প্রেম কাহিনী আছে বাংলায়,,,,একটা গানও বোধহয় আছে....। এদেশে মহান মহান সব চরিত্রের ভেতর প্রেম না জুড়ে দিলে বিনোদন পরিপূর্ণ হয়না। এমনকি আল্লাহর সম্মানীত নবী ইউসূফ(আঃ)কে নিয়েও গান অাছে....."প্রেম করেছে ইউসুফ নবী, তার প্রেমেতে জুলেখার ছবি...." নাউযুবিল্লাহ....। স্বয়ং আল্লাহ যার উত্তম চরিত্রের সার্টিফিকেট দিলেন, তার ইজ্জত শেষ করতে চেয়েছে বাঙ্গালী চাড়ালরা। চরিত্র হরনে আমরা সিদ্ধহস্ত....এসব হাত আল্লাহ আগুনে সিদ্ধ করে ফেলবে তওবা না করলে।
যাইহোক প্রসঙ্গে ফিরে আসবো.....টায়ার, মানে গাড়িঘোড়ার টায়ার। গাড়ির সাথে ঘোড়া উল্লেখ করা আমাদের স্বভাব। কারন এক সময় গাড়ির মত ঘোড়া ব্যবহৃত হত, ঘোড়ার গাড়িও...তাই মানুষ ঘোড়াকে এখনও ভুলতে পারেনি গাড়ি হিসেবে...।
আচ্ছা আপনারা কি জানেন যে, এখনকার গাড়ির টায়ারের ভেতর টিউব ব্যবহৃত হয়না ? অনেক আগের প্রযুক্তি ছিলো ওটা। টায়ারের ভেতর টিউব থাকত। এমনকি ট্রাকের টায়ার নিয়ে আমরা নদীতে মজা করতাম। এটার সমস্যা হল এই যে, এটা দ্রুত লিক হয়ে যায়। পরে টায়ার শিল্পে ব্যপক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন অাসে। এখন টায়ার মানে শুধুই টায়ার। এর ভেতর টিউব নেই,কিন্তু এর মজবুতী পূর্বের চাইতে অনেক বেশী। আর এই চাকার হাওয়া সহজে বের হয়না। আবার অনেক টায়ার আছে যা লিক হলে এর ভেতরে থাকা এক ধরনের জেল উক্ত ফুটো স্থানে এসে তা জমিয়ে পূর্ণ করে দেয় এবং চাকা ঠিক থাকে।
চাকা বা টায়ার কিভাবে তৈরী হয় ?
এ এক জটিল প্রক্রিয়া। আমরা হয়ত ভাবী যে, আর.এফ.এল কোম্পানী প্লাস্টিক মোল্ডিং মেশিনে যেভাবে বদনা,বালতি,চেয়ার তৈরী করে,,ওরকমভাবে রাবার মেশিনে ঢুকিয়ে টায়ার তৈরী করে। মোটেও সেরকম না, ওরকম হলে টায়ার রাস্তায় ১ ঘন্টাও চলত না,,,বরং এ এক মহা জটিল প্রক্রিয়া। নানান রকমের রাবার,প্লাস্টিক,ফেব্রিক,নাইলন,বিভিন্ন রকমের স্টিল নানান স্তরে,নানান সময়,নানানভাবে স্থাপন করে নানান প্রক্রিয়ায় তা উত্তপ্ত করা হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। আবার সকল যানবাহনের টায়ার একই প্রক্রিয়ায় তৈরী হয়না। টায়ারে অনেক স্তর রয়েছে। সকল স্তর আবার একমুখী নয়। নানানভাবে ওটা বিবন্যস্ত করা হয়। এর উপরে,পাশে অত্যন্ত মজবুত স্টিলের তার দেওয়া হয় এবং উচ্চ তাপমাত্রায় টায়ারের সকল উপাদানসমূহ ও স্টিলকে একে অপরের সাথে সন্নিবেশিত করা হয়। আর শেষে মোল্ডে ফেলে নির্দিষ্ট চাপে ও তাপে নির্ধারিত আকৃতি দেওয়া হয়। এরপরই ওটা রাস্তায় চলার উপযুক্ত হয়।
টায়ারটা কোথায় বা কোন যানবাহন ব্যবহৃত হবে তার উপর নির্ভর করে তার প্রক্রিয়া। বিশাল বিশাল ক্রেনের টায়ার আর সাধারন গাড়ির টায়ার এক নয়। আবার অনেক সামরিক যানে এমনসব টায়ার আছে যাতে গুলি করলে ফুটো হবেনা। বিশাল আকৃতির টায়ারও আছে,যা দেখলে অবাক হতে হয়। প্রতিনিয়ত টায়ারের প্রযুক্তি পরিবর্তিত হচ্ছে। অামেরিকাতে একটা চল রয়েছে। এখানে মানুষ গাড়ি কিনলে কেবল কোম্পানী প্রদত্ত গাড়ির সাথে থাকা চাকাইতারা ব্যবহার করেনা, এরা অনেকে ওই চাকা ফেলে ভিন্ন ব্রান্ডের চাকা লাগায়। আর চাকার বিশাল এক বাজার রয়েছে। এসইউভি টাইপ গাড়ীগুলোতে মানুষ ভিন্ন চাকা লাগায় বেশী। সেসব চাকার সাইজ বড় এবং চওড়া। দেখতে দারুন লাগে, আর এই চাকা নিয়ে অনেক উচু নীচু রাস্তা পাড়ি দেওয়া যায়। এমনকি উচু তুষারের ভেতর দিযেও এটা নিয়ে চালানো যায়।
গাড়ির টায়ারের সৌন্দর্য্য গাড়িকে আকর্ষনীয় করে তোলে। বহু লোক আছে কেবল টায়ারের রূপ দেখে গাড়ি কেনে। তাই এখন গাড়ি কোম্পানীগুলোও টায়ারে প্রযুক্তি নিয়ে ব্যপক কাজ করছে। টায়ার নিয়ে লিখে টায়ারড হয়ে গেছি,,,আজ এ পর্যন্তই
বিষয়: বিবিধ
৬৬৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন