শান্তির উৎস্য

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:১৫:০০ রাত

নেতৃত্ব ও কতৃত্ব সংক্রান্ত বিষয়টা পরিষ্কার না হলে মানব সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়। আমি কার আদেশ মেনে চলব ? নাকি আমরা সকলে স্বাধীন তাই সকলে সকলের মত চলব ? নিজেরা নিজদের আইন তৈরী করব, নাকি কারো তৈরী বিধান মেনে চলব ? এরকম মৌলিক প্রশ্ন শুরু থেকেই ছিলো। কিন্তু সর্বদা দেখা গেছে মানুষ তাদের ভেতরকার নানান সমস্যা সমাধানের জন্যে,সঠিকভাবে নিজেদেরকে পরিচালনা করার জন্যে,শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে নিজেরা কিছু নিয়ম কানুন তৈরী করেছে অথবা তৈরী করা নিয়ম কানুন অনুসরণ করেছে। সেসব বিধি বিধান সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্যে নিজেদের ভেতর থেকে জ্ঞানীদেরকে মনোনিত করেছে। একেবারে শুরুতেই মহান স্রষ্টা তার নিজের বিধিবিধান তার বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন যাতে মানুষ সে অনুযায়ী পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে জ্ঞানী মানুষেরা নিজেদের স্বাধীনতার কথা বলে নিজেরা নিজেদের জন্যে বিধান তৈরীর প্রচেষ্টা চালায়। প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। কালে কালে নানান সব বিধিবিধান তৈরী হয়।

অধিকতর ঐক্য এবং অধিকতর সফলতা মূলত: স্রষ্টার বিধান অনুসরনে আসে। এর কারন হল তিনি সকলের স্রষ্টা হওয়ার কারনে তার বিধানটা হয় নিরপেক্ষ। আর তিনি যেহেতু স্রষ্টা এবং সবকিছু সম্পর্কে অবগত, তাই তার বিধানই সর্বাধিক সঠিক। তার বক্তব্যের উপর অন্যের বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই অগ্রহনযোগ্য। ফলে মানুষেরা তার বিধানে বিশ্বাস স্থাপন করবে চোখ বন্ধ করে এবং এতেই ঐক্য এবং এই বিধান অনুসরনেই সমৃদ্ধী। অপরপক্ষে মানুষের দ্বারা তৈরী বিধানে পক্ষপাতিত্ব থাকে। কারন মানুষ পুরোপুরি পক্ষপাতমুক্ত নয় এবং সে তার কথায়,বক্তব্যে,তৈরীকৃত বিধানে নিজের আচরণ দ্বারা,ইন্সটিংক্ট দ্বারা প্রভাবিত। ফলে মানুষের তৈরী বিধানে পক্ষপাতিত্ব অবধারিত। সেটি নিরপেক্ষ নয়, সর্বজনবিদীত নয়। আর অন্যেরাও এটা নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ প্রাপ্ত, ফলে পুরো শান্তি,প্রশান্তি নিশ্চিত করা এটাতে কষ্টকর। এটা হল দুনিয়ার হিসেব,দুনিয়াতেও আল্লাহর বিধান মেনে চলার ভেতর সফলতা সর্বোচ্চ। আর আখিরাতের প্রেক্ষাপটে তো আল্লাহর বিধানের বিকল্পই নেই।

আল্লাহর বিধান মানতে হবে এমনভাবে যে,সেখানে আমাদের মনের ভেতর কোনো সন্দেহ,দ্বন্দ কাজ করবে না। আর আল্লাহ এবং তার রসূল(সাঃ) এর মর্যাদা,প্রভাব,সম্মান থাকতে হবে সকল কিছু উপরে। এমনকি আমাদের পিতা-মাতা,স্বামী-স্ত্রী,সন্তানাদী,সম্পদ ,নিজেদের জীবন অপেক্ষা আল্লাহ ও তার রসূলকে বেশী ভালোবাসতে হবে। এর মানে হল সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশটিই সেরা থাকতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। আল্লাহর আদেশ মানলেই বিতর্ক কম হয়, কারন সকলে তার বান্দা হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়।

রসূল(সাঃ) বলেন- তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তোমাদের কাছে তোমাদের পিতা-মাতা,সন্তানাদী,সম্পদ,নিজেদের জীবন অপেক্ষা প্রিয় হচ্ছি।

" নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠ"(সূরা আহযাব: ৬)

রসূল(সাঃ) বলেন-" দুনিয়া ও আখিরাতে সকল মানুষের চেয়ে মুমিনদের জন্যে আমি অধিক ঘনিষ্ঠতর" (বুখারী ৪৭৮১,মুসলিম ১৬১৯,তিরমিযী ১০৭০,নাসায়ী ১৯৬৩,আবু দাউদ ২৯৫৫,ইবনে মাজাহ ২৪১৫,আহমাদ ৭৮০১,দারিমী ২৯৯৪)

অর কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-" তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে(বিধান বা আল কুরআন) শক্তভাবে আকড়ে ধরো এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।"

বিষয়: বিবিধ

৫৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File