যোদ্ধা আমি

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৭:২২:৩৪ সন্ধ্যা

মাত্র এক সেকেন্ডের ভুলের কারনে ভারতীয় কমান্ডারটা বিশাল একটা সুযোগ পেয়ে গেল। তার অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে এক ঝাক মুসলিম মুজাহিদের উপর প্রবল আক্রমন চালালো। এম ১৬ আমেরিকান মেইড রাইফেলটা নিয়ে আমি ডিগবাজি খেয়ে এক গাছের আড়ালে শুয়ে পড়লাম। পরের মুহুর্তেই কমান্ডারকে টার্গেট করে এক ঝাক গুলি ছুড়লাম। সে তার অস্ত্র হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে মরে পড়ে রইলো। সতর্কতার সাথে সামনে আসলাম। আমার দলের এক অভিজ্ঞ সৈনিক একটা ধারালো ছুরি আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে বলল-সে মরেনি,আহত হয়েও মরার ভান করে পড়ে আছে। ছুরিটা বুকে ঢুকিয়ে দেন। আমি ছুরি না মেরে বুকে একটা গুলি করলাম। গুলি তাকে ভেদ করল। বুঝলাম আমার সৈনিক সত্য বলেছিলো। কমান্ডার গুলি খেয়ে মরে গেল। আমি তার দামী অস্ত্রটা গনিমতের মাল হিসেবে কান্ধে ঝুলালাম।

শুরু হল তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ্ । এক বিশাল সংখ্যক ভারতীয় সৈনিক ঢুকে পড়েছে দেশে, সাথে আছে লোকাল রাজাকার। প্রথম যুদ্ধে আমি অনেকগুলো সৈনিক হারালাম আমাদের অসতর্কতার কারনে। আমরা কৌশলকে বেশী প্রাধান্য দিলাম যেহেতু রসদ কম। দেশী ভালো মুসলিমদেরকে প্রাধান্য দিয়ে রিক্রুট করলাম। যারা জীবনের ক্ষেত্রে হতাশ,যারা না পাওয়ার বেদনায় আহত, তাদেরকে সাথে নিলাম। কারন এরা যুদ্ধে অপেক্ষাকৃত অনেক ভালো করে। আরামে থাকা লোকেরা সাধারণত আপোস করে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চায়।

অত্যন্ত সতর্কতায় সৈন্য রিক্রট করতে থাকলাম। খেয়াল করলাম আমার সৈনিকরা আমার অসম্ভব অনুগত। এদের দিয়েই সফল পরিকল্পনা করা যায়। কিছু মাদ্রাসা থেকেও সৈনিক গ্রহন করলাম এবং প্রশিক্ষন দিলাম। এবার এক ভয়াবহ যুদ্ধে সামিল হলাম সকলে। আমি ফ্রন্ট লাইনে থেকে নেতৃত্ব দিলাম এবং প্রতিপক্ষের যাকে টার্গেট করছি তাকেই আমার গুলি ঝাঝরা করে দিচ্ছে। কারো হাত,পা ,মাথা উড়ে গেল দেখলাম। প্রতিপক্ষের সৈনিকদের ভেতর দেশী সুশিল রাজাকারদের দেখলম, এদের বেশীরভাগই মারা পড়ল।

পরের দিন প্রথম অালো পত্রিকা দেখী বিশাল নিউজ করেছে। তারা দেশী সুশীলদের লাশের ছবি দিয়ে বলার চেষ্টা করছে যে, শত্রুরা দেশরত্নদেরকে মেরে ফেলেছে। বুঝলাম এরাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী,কারন এরা ফিতনা ছড়ায়। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করে কৌশলে। অবশ্য হালে পানি পায়নি। ওদের ধ্বংস ছিলো দেখার মত। বিশেষ করে ওদের মনোস্তাত্ত্বিক বিষয়টা খুব ভালো বুঝতে পারছিলাম, ফলে নিজেরা ধোকা না খেয়ে ওদেরকেই ধোকায় ফেলে ধ্বংস করছিলাম।

আমরা একটা অংশে জিতলাম। অনেক অস্ত্র আসলো হাতে। আমরা আরও কৌশুলী আচরন করলাম। আরও সতর্ক হয়ে উঠলাম। মাদ্রাসায় পড়ুয়া কিছু আনাড়ী সৈনিক তাদের মোবাইল দিয়ে বেফাস কিছু ছবি ও ভিডিও করেছিলো,যা করা উচিৎ হয়নি। এসব জিনিস তাদের মোবাইলে থাকলে ওরা ধরা পড়ে যাবে,তাই ওদেরকে বললাম ডিলিট করে দিতে। ওরা বলল যে, ডিলিট কিভাবে করে তারা জানেনা। আমি নিজে দু একটি ডিলিট করে ওদেরকে শিখিয়ে দিলাম।

তাস খেলতে খেলতে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিনিটং সারলাম এক গ্রুপের সাথে। তাস খেলার কারন হল ,যাতে লোকে আমাদেরকে সাধারণ জনতা বা বখাটে টাইপ কিছু ভাবে আর সুশিল রাজাকাররা এড়িয়ে যায়। এমতাবস্থায় অন্য ফ্রন্ট থেকে আমার জরুরীভাবে তলব করা হল। ওদেরকে দ্রুত সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে উঠে পড়লাম। আমি এক পরিপূর্ণ মুজাহিদ কমান্ডার। উঠার পরপরই ঘুম ভেঙ্গে গেল। অনুভব করলাম আমার পেট ভর্তি গ্যাস। বুঝলাম রাতে খাওয়া অর্ধ বয়েম জলপাইয়ের আচারই তবে আমার অটোমেটিক রাইফেলের ম্যাগজিন হিসেবে কাজ করছিলো !

বিষয়: বিবিধ

৭২৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386093
০১ নভেম্বর ২০১৮ রাত ১১:১৬
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার
০৭ নভেম্বর ২০১৮ রাত ১০:২১
318069
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ
386097
০৩ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ০২:৩৩
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আমি ভাবছি বাস্তব কাহিনি
০৭ নভেম্বর ২০১৮ রাত ১০:২১
318070
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই
386099
০৩ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ০৩:৫১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দারুন মজার স্বপ্ন আপনার রাত্রে যদি মাথা পর্যন্ত খেতেন হয়ত এমন স্বপ্ন দেখতেন না। তবে বাস্তবতা হলো এই জাতির কল্যাণে এমন যুদ্ধ করাই লাগবে্ প্রস্তুতি নিন। ধন্যবাদ আপনাকে
০৭ নভেম্বর ২০১৮ রাত ১০:২২
318071
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি মজার স্বপ্ন। আল্লাহ আমাকে আপনাকে ক্ষমা করুন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File