তুই মূর্খ্য !! চুপ থাক !!! =============

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৬:৫৮ রাত



দুনিয়ায় বহু জ্ঞানী লোক আছে। জ্ঞানী লোকের নিদর্শন হল তারা সদালাপী কিন্তু কু-তর্ক করেনা। তারা অন্যকে অবশ্যই সম্মান করে। নিজেদের কোনো বক্তব্য থাকলেই তা হুটহাট বলে ফেলেনা, বরং তার সেই বক্তব্যে অন্য মানুষটি আহত হবে কি না, মানুষের ভেতর সে অপমানিত হবে কি না,, নিজে জিতে গেলেও অন্য লোকটি লোকেদের কাছে ছোট হবে কি না...এরকম অনেক চিন্তা করে জ্ঞানী মানুষ, এবং বিরত থাকে। সে অপরের সম্মান রক্ষা করতে জানে। নিজে জিতে যাবে তর্কে, তারপরও সত্যনিষ্ঠ জ্ঞানী মানুষ চুপ থাকাকে শ্রেয় মনে করে, আর যেখানে কথা বলা উচিৎ, সেখানে সে কথা বলে। এটাই সুন্নাহ। এরকম জ্ঞানীরা আল্লাহর উপর ঈমান রাখলে তাদের মহা পুরষ্কারের ঘোষনা করা হয়েছে।

অপরদিকে কিছু লোক রয়েছে,যারা নিজেদেরকে মহা জ্ঞানী মনে করে। সবকিছুতেই তাদের বিশাল বক্তব্য রেডী থাকে। সকল মানুষের সাথেই তর্ক করতে চায়। নিজের বুঝকেই এরা একমাত্র সঠিক বুঝ হিসেবে মেনে নেয়। অপরকে ঘায়েল করতে পারলে এরা মহা খুশী হয়ে তা প্রচারও করে গর্বে। এরা কথা বলার সময়ও অহংকার প্রকাশ করে। এদের সাঙ্গ পাঙ্গ সাথে থাকলে তো মুখ দিয়ে খাল খেচে দেয়। বিনয়ী জ্ঞানীদেরকে এরা মূর্খ,অকর্মন্য মনে করে। এরা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা তর্কে হারিয়ে দেওয়াকেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে মনে করে। এরাই প্রকৃত মূর্খ কিন্তু এরা তা জানেনা।

মূর্খের সাথে তর্ক করা নিষেধ রয়েছে। কারন সে জ্ঞানীকে টেনে তার কাতারে নিয়ে যায় এবং নিজের মূর্খতা জ্ঞানীর উপর জোর করে চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে বিজয়ী ভাবে। কারো যদি জ্ঞান কম থাকে আর সে বিনয়ী হয়, তাহলে সে সফল হল। সে তার ওই বিনয় দিয়ে দুনিয়া জয় করতে পারবে, কিন্তু কারো যদি মহা জ্ঞান বা পান্ডিত্ব থাকে আর সে দাম্ভিক হয়,উদ্ধত্ব প্রকাশ করে, তবে সেই লোকটি দুনিয়া ধ্বংস করবে। এর জ্ঞান থেকে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর চেয়ে বিনয়ী মূর্খ অনেক ভালো ও অপেক্ষাকৃত কল্যানকর। আর মূর্খ কিন্তু দাম্ভিক,অহংকারী,তার্কিক লোকেরা সমাজের জন্যে এটম বোমার মত ভয়ঙ্কর। বাস্তবতা হল এই যে, এরকম মানুষের হাতেই সমাজ পরিচালিত হচ্ছে এবং এরাই আমাদেরকে জ্ঞান শিক্ষা দেয়।

মূর্খ লোক নিজের প্রশংসা শুনতে আগ্রহী থাকে সব সময়। সে চাটুকারীতা পছন্দ করে। এবং সে প্রশংসার যোগ্য এমনটাই ভাবতে থাকে। সে অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করে গর্ব করতে থাকে। সে নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে দিগম্বর হয়ে গেলেও সেটা অব্যাহত রাখে। সে তর্ক করতে পছন্দ করে এবং অন্যর যুক্তিকে গননায় ধরেনা। এরকম মূর্খের সাথে তর্কে যাওয়া মানে হল নিজেকেই অপমান করা। বরং এদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে দূরে দাড়িয়ে সালাম দেওয়াই শ্রেয়।

"রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।"

[সূরা ফুরকানঃ৬৩]

বিষয়: বিবিধ

৯১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File