নিউ চায়না ..১২
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২২ মার্চ, ২০১৩, ১১:৪৩:২২ সকাল
পরদিন আবার সিটিতে গেলাম ব্যাংক থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ করতে। এবার এরা পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলল। ব্যাংকে মাত্র কয়েকজন লোক এসেছে সেবা নিতে কিন্তু প্রত্যেককে দীর্ঘ্য সময় বসে থাকতে হল। এরমধ্যে কয়েকজন পাকিস্থানী ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হল। তাদের একজন আমাকে দেখে বলল-হ্যাল্লো ব্রাদার ! ইন্ডিয়ান ? বলেই হাত মেলালো। মনে মনে ভাবলাম ইন্ডিয়ান বলেই হাত মেলালো ক্যান ? এরা না,ভারতের শত্র“ ! আমি বললাম,আমি বাংলাদেশী। তিনি বললেন,আমি ঢাকাতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমার নাম ধাম পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। ভদ্রলোক গার্মেন্টস ব্যবসা করে। চায়না থেকে ফেব্রিক্স আমদানী করে। অবশ্য গার্মেন্টস রফতানীকারক দেশগুলো বেশীরভাগ ফেব্রিক্স চায়না থেকেই আমদানী করে। ভদ্রলোক খুব মিশুক। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভাব জমিয়ে ফেলল। দেখলাম ব্যাংক অব চায়নার অনেক কর্মকর্তা,কর্মচারীর সাথে তার এবং তাদের ভাব আছে। এরা মাতৃভাষার মত করে চায়নিজ বলতে পারে। দীর্ঘ্য সময় ধরে ব্যবসা করছে। এরা ঠিকই বুঝেছে যে,চায়নিজদের সাথে ভাল ব্যবসা করতে হলে ওদের ভাষা শেখা অতি জরুরী। ভদ্রলোকের আচার আচরণ দেখে মনে হল ব্যবসা বেশ ভাল চলছে। চায়নার সাথে পাকিস্থানের সুসম্পর্ক সুদীর্ঘ সময়ের। একারনে পাকিস্থানীদেরকেও চায়নিজরা পছন্দ করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের সাথে পাকিস্থান এবং ভারতের সাথে চায়নার স্বার্থগত দ্বন্দই পাকিস্থান ও চায়নাকে এক কাতারে এনেছে। সূত্র হল: শত্র“র শত্র“ আমার স্বার্থগত বন্ধু।
খানিক পর পাকিস্থানী ব্যবসায়ী লোকটি আমাকে বলল কাউন্টারে যেতে,ডাক পড়েছে। গেলাম,কিন্তু আবার তারা আমার পাসপোর্টের ভারতীয় ভীসার পাতাটি বের করে আমাকে ভারতীয় মনে করল। পূর্বের মতই একে একে কয়েকজন তা দেখল। শেষে আমাকে কথা বলতে হল এবং ফর্ম পূরন করতে হল। তারপর জানতে পারলাম যে ফর্মটি ভদ্র মহিলা পূরন করতে দিয়েছিলেন তা ভুল ফর্ম। আবার ফর্ম পূরন এবং কাজ সমাধা। ততক্ষনে প্রায় ৪০ মিনিট চলে গেছে। নিরিবিলি কাজ করতে দিলে এরকম দু একটি কাজ নিয়ে এরা একটি দিন পার করে দিতে পারে,তবে দিন শেষে হয়ত দেখা যাবে তা ভুল ভ্রান্তিতে ভরা।
চলেছে.......
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন