খানিক পূর্বে জিমে ভর্তি হলাম !!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ মে, ২০১৮, ১০:১০:৩৬ সকাল
ইদানিং অলসতা বেড়ে গেছে। সাতারে বছর ভিত্তিক পয়সা দিলেও নিয়মিত যাওয়া হয়না। সপ্তাহে ৩ দিন যাই নিয়মিত,অথচ ৫দিন যাব বলে পণ করেছিলাম। ওদিকে বেশীরভাগ দিন বৃষ্টির কারনে দৌড়ানোর বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলো, তাই ভাবলাম জিমে ভর্তি হব। কিন্তু জিম সম্পর্কে পূর্বে যে ধারনা ছিলো তাতে মনে কোনো টান অনুভব করিনি।
আজ বিকেলে ভাবলাম নিকটস্থ জিমে যাব, এর সুনাম শুনেছি। আজ গিয়ে দেখী বিশাল কারবার। খুব কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও এতকাল ফিরেও তাকাইনি। ভেতরে গিয়ে দেখী অন্তত ৪ বিঘা জমির সমপরিমান এলাকা নিয়ে জিমটা তৈরী। অতন্ত দামী ও অত্যাধুনিক সাজ সরঞ্জামে ভরপুর পুরো স্পেস। ভেতরের রাস্তা ধরে হাটলাম এবং পরখ করলাম কি কি সরঞ্জাম আছে। অনেক কিছু জীবনে প্রথমবারের মত দেখলাম। মনে ধরেছে খুব। নানান ধরনের ফিটনেসের জন্যে নানান সব উপাদান রয়েছে। এবং এটা সপ্তাহে ৫ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে, বাকী দুদিন ১৮ ঘন্টা খোলা থাকে, ফলে আমার নিজস্ব সময়ে আমি যেতে পারি। ব্যাপারটা দারুন লাগল। ফিরে এসে এক প্লেট ভাত টানলাম ডাল-ছাগল দিয়ে। শালার ছাগলের গোস্ত হাড় দেখে কিনলাম,,এখন দেখী এর ৮০%ই হাড়গোড়......এত হাড় আমি কি করব !!
খানিক আগে ড:জাকির নায়েক, ইউসুফ এস্তেস এবং মুহাম্মদ সালাহ এর একটি টিভি প্রগ্রাম উপভোগ করছিলাম। অসাধারণ। এরা ৩ জনই আমার খুব প্রিয়। উনারা টেলিফোনে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। খুব উপভোগ করলাম।
ড: জাকির নায়েকের থেকে নতুন একটা ইংরেজী শব্দ শিখলাম। একজন যখন ইউসুফ এস্তেসকে জিজ্ঞেস করছিলো ড: জাকিরের সাথে আপনার একটা বিষয়ে মত পার্থক্য রয়েছে ....তখন উনি প্রতিবাদ করে বললেন,,অবশ্যই নয়। বরং এ বিষয়ে একটি ওয়েব সাইটে ভুল কথা বলা হয়েছে,,তারা বুঝতে ভুল করেছে। আমি উনার সাথে প্রত্যেকটা পয়েন্টে একমত এবং উনি আমার শিক্ষকও.....এরপর ড: জাকির নায়েক ইংরেজী শব্দটা বললেন,যা ডিকশনারীতে ছিলো কিন্তু আমি জানতাম না এমনকি ইউসুঢ এস্তেসও জানত না....সেটা হল:
contradistinction প্রভেদ-প্রদর্শন।
এর অর্থ ড: জাকির নায়েক বললেন যে, একটি বিষয় দুটি উপায়ে বৈচিত্রপূর্ণভাবে বোঝাটার নাম হল contradistinction। এটার অর্থ হল-একজন মানুষকে আমি বললাম সৎ, আরেকজন বলল সে লম্বা। দুটোই ঠিক। কিন্তু যদি বলি সে সৎ ও অসৎ, তাহলে এটি প্রয়োজ্য নয়। উনি বুঝাতে চাইলেন আমরা কোনো একটি বিষয়ের দুটি দিক নিয়ে কথা বলাতে হয়ত এইটা মনে হয়েছে যে দুরকম বলেছি, আসলে তা নয়।
মূলত বিগব্যাং থিওরী নিয়ে ইউসুফ এস্তেস বলেছিলেন যে সেটা ঘটুক আর নাই ঘটুক পুরো বিশ্ব হঠাৎ করে বা বাইচান্স সৃষ্টি হয়নি। যদি সেটা ঘটে থাকে তবে এর পেছনে আল্লাহর প্লান ছিলো। ড: জাকির নায়েক বললেন-সেটা ঘটেছিলো বলেই আলকুরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, তবে এটি হঠাৎ করে ঘটেনি,,,এর পেছনে স্রষ্টার প্লান ছিলো। একই বিষয়ে দুজন দুটো বিষের দিকে গুরুত্ব দিয়ে পূর্বে বক্তব্য দেওয়াতে কিছু দর্শক ভুল বুঝেছে, কারন সকলের জ্ঞানের স্তর সমান নয়।
আমার মনে হল, বাংলাদেশের প্রথম সারীর আলেমদের এভাবে একত্রিত করতে পারলে পারষ্পরিক ভুল বোঝাবুঝি মিটে যেত, কারন আমরা বেশীরভাগ সময় ফেসবুকে অনেকের বক্তব্যের কাট পিছ দেখী এবং তখন কাদাছোড়াছুড়ি হয়,গালি হয়। কিন্তু তারা পরষ্পরের কাছে আসলে অনুসারীদের ভেতরও ভুলবোঝাবুঝি থাকত না।
আল্লাহ মুসলিমদের ঐক্য অটূট রাখার তাওফিক দান করুন !
বিষয়: বিবিধ
৮৭৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
।
আর জাকির নায়েকের বিরোধে যারা আজ কথা বলছে ওদের কারণে নায়েক বিরোধি অনেক লোক নায়েকের কাছে চলে এসেছে,
আর জিমে ভর্তি হওয়া মানে Wastage of time । যে পরিমাণ পেটে যাচ্ছে সে পরিমান burn না হলে ভুরি তো বাড়বেই।
যদি বডি বিল্ডার হয়ে মেয়ে পটাতে চান তাহলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন