কেমন ছিলো আল্লাহর সাথে কথোপকথন !!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০১:৫৪ সকাল

একটা বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তা করছিলাম বা করেছিলাম। সেটা হল, যখন আল্লাহর প্রেরিত রসূল(সাঃ) প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াহ শুরু করলেন, তখন প্রবল বাধার সম্মুখিন হলেন,চরম নির্যাতনের শিকার হলেন। পারিবারিক,সামাজিকভাবে চরম অপদস্ত,নাস্তানাবুদ হলেন। তিনি মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্তও হয়েছেন কখনও,,তখন আল্লাহ ফেরেশতা জিবরাঈল(আঃ)কে পাঠিয়ে শান্তনাও প্রদান করেছেন। কিন্তু ক্রমাগতভাবে তাকে ভেতর থেকে লাঞ্চিত করা হচ্ছিলো। তার কাছের মানুষেরা যাচ্ছেতাইভাবে সমালোচনা করছিলো এবং অনুসারীদের উপরও অমানুষিক নির্যাতন হচ্ছিলো। ঠিক এমনই এক সময়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার প্রিয় হাবীবকে মহা সম্মানে ভূষিত করলেন এবং তাকে তার মহা পুরষ্কারসমূহ,উম্মতের ভবিষ্যত অবস্থা অবলোকন করানো এবং তাকে একান্তে শান্তনা প্রদান, বহু গোপন রহস্য প্রকাশ ও মনোবল বাড়ানোর জন্যে তাকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন। এটা ছিলো মিরাজ !

আমি চিন্তা করতাম সারা জাহানের রব আল্লাহর সাথে সেই সাক্ষাতের অবস্থাটা কেমন ছিলো !! কি দারুন একটা ব্যাপার। রসূল(সাঃ) মিরাজের অনেক বিষয় প্রকাশ করেননি, তবে কখনও কখনও সাহাবীদের অনুরোধে কিছু কিছু কথা প্রকাশ করেছেন। আল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিয়েছিলেন মিরাজে। আমাদের জন্যে নিয়ম নীতি সংক্রান্ত বিষয় তিনি আমাদেরকে নির্দেশনা আকারে বলেছেন। কিন্তু সেখানে আরও অনেক কিছু ঘটেছিলো ,যা তিনি জানানো প্রয়োজন মনে করেননি,,,অর্থাৎ আল্লাহও চাননি সেটা আমাদের জানাতে,,সেটার প্রয়োজনও নেই, বললে বুঝতেও পারতাম না।

আমি চিন্তা করছিলাম,,, যখন রসূল(সাঃ) একজন অতি সম্মানিত বান্দা ও রসূল হিসেবে প্রথমে আল্লাহর সামনে একান্তে দাড়ালেন তখন কি তিনি আল্লাহকে সালাম দিলেন,যেমন আমরা কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে দেই ?? পরে ভাবলাম,,,এটা তো মূসা(আঃ) এর সেই উম্মতের মতই আচরণ হয়ে যায়, যিনি আল্লাহকে ভালোবেসে নিজের বকরীর দুধে রুটি ভিজিয়ে আল্লাহকে দাওয়াত করে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। ....কিন্তু অবাক হয়ে গেলাম সহি বুখারী বর্ণিত হাদীসের ঘটনা থেকে। আল্লাহ তার প্রিয় হাবীবকে সেইসব কথা বলতে পারার তাওফিক দিয়েছিলেন, যা আল্লাহর সামেন বলা সর্বাধিক শোভনীয়। আল্লাহু আকবার। আল্লাহর সাথে ঘটা সেই প্রথম কথোপকথনটি আমরা প্রত্যেক নামাজের ভেতর তাশাহুদ হিসেবে তিলাওয়াত করে থাকি। চলুন আমরা আবারও তাশাহুদটি জেনে নেই...যা আত্তাহেইয়াতু হিসেবে জানি....জেনে নেই : (ভাবানুবাদ)

সর্বপ্রথম রসূল(সাঃ) আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেন- সকল প্রশংসা সুমহান আল্লাহর জন্যেই,তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একচ্ছত্র হকদার ! সকল কল্যানকর বিষয় তার পক্ষ থেকেই !

এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উত্তর প্রদান করেন:

আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক , হে আমার প্রিয় নবী, এবং রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক ! রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক সকল নেক বান্দাদের উপর !

এরপর সকল ফেরেশতা সমস্বরে উচ্চারণ করে:

আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই,,আর মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসূল !

পুরো বিষয়টা উপলব্ধী করে আমি বারবার শিউরে উঠি !! বাংলা তরজমাটা সুবিধার হয়নি। কিন্তু এতটুকু বুঝেছি , সেখানে অনেক উচু স্তরের ভাষায় কথপোকথন হয়েছিলো। আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফিরদাউসে কবুল করেন, তাহলে অনেক রহস্যপূর্ণ বিষয় জানতে চাইব,,,,,,,দারুন মজার ব্যাপার !!

বিষয়: বিবিধ

৮৬৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384759
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৫:১৮
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম ভাই! অনেক ভালো লাগলো আপনার লিখা পড়ে। আরো বেশি বেশি লিখবেন এবং ব্লগে আসবেন। এই উম্মাহ্‌র আপনার মতন লেখকের দরকার!!
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৯:৫৬
317377
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম। আমি এখন ফেসবুকে বেশী লিখি। এখানে তেমন আসা হয়না। আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দুপুর ০২:০৩
317382
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আমিও লিখি ফেসবুকে। ফেসবুকে যখন লিখবেন এক্সট্রা দশ সেকেন্ড খরচ করে জাস্ট এখানেও কপি-পেস্ট করে দিয়েন, তাহলে আমরা যারা আপনার সাথে ফেসবুকে কানেক্টেড নেই আমরাও আপনার লিখা পড়তে পারবো ইনশা'আল্লাহ। আর যত পাঠক পড়বে লিখা তত সওয়াব!!! জাঝাকাল্লাহু খইর Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
২৭ মার্চ ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
317492
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক লিংক দিতে পারেন মেইলে। আমি সেখানে অনেক লিখি। অনেক ব্লগার আছে লিস্টে।
384761
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৯:১৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : সুন্দর উপস্থাপনা। জাযাকাল্লাহ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৯:৫৬
317378
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লঅহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File