আপনি মানুষের থেকে কেমন আচরণ প্রত্যাশা করেন !!!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১০:৫৭:৫৭ রাত



আমরা অবশ্যই মানুষের থেকে উত্তম আচরন আশা করি কিন্তু আমাদের আচরন অন্যের জন্যে উত্তম হচ্ছে কি না সেটা আমরা খেয়াল করিনা। আমরা নিজের নফসকে দিয়ে অন্যকে বিচার করি। নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী অন্যকে বিচার করি। অন্যকে যেভাবে কুটিয়ে খুটিয়ে বিশ্লেষন করি, ঠিক সেভাবে আত্ম সমালোচনা করিনা। ফলে আমাদের একপেশে আচরনের ফলাফল যখন আমদের উপর নিপতিত হয়, তখন আমরা খুশী হইনা বরং এমন কিছু আচরন প্রদর্শন করি যাতে মহান আল্লাহ রাগান্বিত হয়ে আরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নিক্ষেপ করেন।

আমরা যদি সু-আচরন প্রত্যাশা করি, তবে সর্ব প্রথম নিজেকে তার যোগ্য প্রার্থী বানাতে হবে। অন্যের সাথে সুআচরন করতে হবে। এমনকি অন্যরা আমার সাথে দূর্বব্যহার করলেও তাদের সাথে সুআচরণ জারি রাখতে হবে। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী যদি প্রতিবাদী হওয়া ওয়াজিব হয়ে পড়ে তখন চুপ না থেকে প্রতিবাদী আচরন করাই শ্রেয়। কিন্তু সাধারনভাবে সকলের সাথে সুআচরন প্রদর্শন করাই সুন্নাহ।

কেউ রেগে কথা বললে বা গালি দিলে চুপ থেকে ধৈর্য্যধারন করা কষ্টকর হলেও তা করতে হবে। কারন এটা করলে সে উক্ত পরিক্ষায় পাস করল এবং আল্লাহ তার মর্যাদা দিবেন অত্যধিক এবং অন্য বান্দাদের মাধ্যমে সম্মানিত করবেন। নিজের হৃদয়কে দয়ালু বানালে আল্লাহর ফেরেশতারাও তার জন্যে দোয়া করে এবং আল্লাহ অন্যের মনে তার জন্যে দয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে দেন।

“ক্ষমা প্রদর্শন করো, সৎ কাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদের (ভুলক্রটি) থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।” (৭-সূরা আন’আমঃ আয়াত-১৯৯)

“তারা যেন (ওদেরকে) ক্ষমা করে এবং (ওদের ভুল-ক্রটিকে) উপেক্ষা করে।” (২৪-সূরা আন নূরঃ আয়াত-২২)

যারা মূর্খ তারাই তর্ক বিতর্ক করে জিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। উচিৎ হল তাদের সাথে তর্কে না জড়ানো। বরং হাসিমুখে সুন্দরভাবে কথা বলাই শ্রেয়। এতে তাদের ভেতর নতুন ভাবোদয় হতে পারে। অন্তত বন্ধুত্ব অটূট থাকবে এবং তারা কথাও শুনবে। কিন্তু রাগান্বিত হয়ে নিজের মত প্রকাশ করলে তা ভালো হয়না। বরং পুরো পরিস্থিতি খারাপভাবে বদলে যায়।

“তারাই (মুত্তাকী) যারা ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-১৩৪)

“আর যখন তারা রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।” (৪২-সূরা আশ শুরাঃ আয়াত-৩৭)

“মূর্খরা যখন তাদেরকে মন্দ ভাষায় ডাকে বা মন্দ ভাষায় তাদের সাথে কথা বলে তখন তারা তাদের সাথে শান্তিদায়কভাবে (তথা বিনয়-নম্রতা ও ভদ্রতার সাথে) কথা বলে বা তাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।” (২৫-সূরা আল ফুরকানঃ আয়াত-৬৩)

“উত্তম জিনিসের মাধ্যমে মন্দকে দূর কর; তখন দেখবে যে, তোমার মাঝে ও তোমার সাথে যার শক্রতা আছে তার মাঝে অর্থাৎ তোমার মাঝে ও তোমার শক্রর মাঝে এমন মধুর সম্পর্ক হয়ে যাবে যে, যেন সে (তোমার) অন্তরঙ্গ বন্ধু।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস সাজদাহঃ আয়াত-৩৪)

কাওকে কঠিন বন্ধু বানাতে হলে ক্ষমা করার নীতি অবলম্বন করতে হবে এবং ক্রোধের সময় চরম ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। ক্রোধের সময় শয়তান নিয়ন্ত্রন গ্রহনের চেষ্টা করে, ফলে সে সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে। ক্রোধের সময় যদি কেউ কষ্ট করে মুখটা বন্ধ রাখে,, তাহলে সে বেচে গেল, অন্যকেও বাচালো। এই লোকটি হবে মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় পাত্র। আল্লাহ এই লোকটির আশপাশটা শান্তিতে বদলে দিবেন।

বিষয়: বিবিধ

৬৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File