জীবনে প্রথমবারের মত আযান দিলাম।
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ০৯:৪৩:৩৫ সকাল
অভিভাবকত্ব আল্লাহর উপর সমর্পন করার মজা আছে ব্যপক। আল্লাহ যদি কারো অভিভাবক হয়ে যান, তার চিন্তার কোনো কারন নেই। আমি চাই আল্লাহ আমার অভিভাবক হয়ে যান। আজ এক দারুন ঘটনা ঘটল। আমার গাড়ির চাবির সুইচ কাজ করছিলো না,ভাবলাম ব্যাটারী নষ্ট হয়েছে। ১৩ ডলারে ব্যাটারী পরিবর্তন করলাম। কিন্তু তাতেও কাজ হলনা। উক্ত ব্যাটারীর দোকানে গেলে সে বলল-আপনাকে ভলভোর ডিলারের সাথে কথা বলতে হবে, আমরা এটা ঠিক করতে পারিনা। কিন্তু এটা গাড়ি কোম্পানী থেকে ঠিক করলে অন্তত ২শ ডলার লাগবে।
কি আর করা এভাবেই চালাচ্ছিলাম সুইচ ছাড়া। আজ মসজিদে যাবার পূর্বে চাবিটা পকেট থেকে বের করতে গেলে টান লেগে রিং টা আলাদা হয়ে যায়। চাবির রিংটা খুব সুন্দর ছিলো বলে লাগিয়ে ছিলাম। তবে চাবি থেকে রিং বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ছিলোনা। আপনারা জানেন চাবির রিং প্যাচানো থাকে,পেচিয়ে পেচিয়ে চাবির সাথে যুক্ত করতে হয়, সেটা হ্যচকা টানে বিচ্ছিন্ন হবার কথা নয়। কিন্তু সেটাই ঘটে গেল। অস্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এরপর খেয়াল করলাম চাবিটার সুইচ কাজ করছে। তখন আসল বিষয়টা বুঝলাম। আসলে এই চাবির রিংটা অনেক মোটা ছিলো,তাই অনেক কষ্টে কসরত করে চাবির ভেতর লাগাতে হয়েছিলো। রিং মোটা হওয়ার কারনে চাবির সুইচগুলো ডিসকান্ক্টে হয়েছিলো ভেতরের যন্ত্রাংশের সাথে। রিং খুলে যাওয়াতে আবার কানেক্টেড হল, কাজ শুরু করল। আমার বিশ্বাস গাড়ি কোম্পানীও এই সাধারন বিষয় ধরতে পারত না। আমার টাকা লস হত। আল্লাহ বাচিয়েছে।
মসজিদে গেলাম। তখন ইমাম আমাকে হঠাৎ করেই বলল--আপনি আযান দেন। আমি আযান দিলাম। জীবনে এটাই প্রথম। নামাজের পর ইমামের সাথে কুশল বিনিময় করে বিদায় নিলাম।
মসজিদে মাগরিবের নামাজের আগে একটা বিষয়ে ভাবছিলাম। রসূল(সাঃ)বলেন- আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কোনো নামাজ নেই। এ সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ। আবার রসূল(সাঃ) বলেছেন মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না। এমনকি তিনি (সাঃ)খুতবা প্রদানের সময় একজন এসে বসে পড়াতে, উনি খুতবা বন্ধ করে সেই সাহাবীকে উঠে ২ রাকাত নামাজ পড়ে তারপর বসতে বললেন।
তাহলে মাগরিবের সময় যদি কেউ মসজিদে প্রবেশ করে এবং ২ রাকাত নামাজের সময়ও তার আছে,, এই লোকটি কি করবে ?? কোন হাদীসের উপর আমল করবে ??
মূলত: এই কারনেই ইস্তেহাদের প্রয়োজন হয়,যা করেন প্রথ্যাত মুজতাহিদগণ, যাদের কুরআন,সুন্নাহ,অবস্থা,অবস্থান,বিষয়ের গুরুত্ব ইত্যাদী সকল বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা রয়েছে। এখানে যে কোনো হাদীসের উপরই আমল হতে পারে, তবে আমি মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত নামাজ আদায় করেই বসার পক্ষে। কারন এ বিষয়টির গুরুত্ব অনেক বেশী। সেটা মাগরিবের নামাজের পূর্বে হলেও পড়তে হবে। আর এ কাজটি করলে অন্য হাদীসটিরও লঙ্ঘন হবেনা। কারন আমি অন্য কোনো নফল নামাজ বা পূর্বে মিস হয়ে যাওয়া নামাজ পড়ছি না। আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।
বিষয়: বিবিধ
৯০৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রসূল(সাঃ) বলেছেন মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না। এমনকি তিনি (সাঃ)খুতবা প্রদানের সময় একজন এসে বসে পড়াতে, উনি খুতবা বন্ধ করে সেই সাহাবীকে উঠে ২ রাকাত নামাজ পড়ে তারপর বসতে বললেন।
আমি মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত নামাজ আদায় করেই বসার পক্ষে।
ভাল ইস্তেহাদ।
সাদাচোখে ,উনি এবং ঘুম ভাঙ্গাতে চাই আপু, মোটামুটি বীজ্ঞ লোক। ওনাদের মতামত নিন । আপনি দেশে যাচ্ছেন।
আপনার অফ কোন দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন