ছুটির দিন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২৭:৪২ দুপুর
ছুটির দিনগুলোর স্পিড সবসময়ই বেশী থাকে। কাজের সময় টাইম যেন কচ্ছপের পিঠে চড়ে বসে,, আর ছুটির দিনে খরগোসের পিঠে। কিছু করার নেই, এটাই নিয়তি। তবে হাদীস অনুযায়ী এটা শেষ জামানা, আর এ সময়টা দ্রুত চলে যাওয়ার অনুভূতি হবে। সম্ভবত সকলেরই এই অনুভূতি রয়েছে। সময় আসলেই প্রচন্ড দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। পাথেয় কিছু সঞ্চিত হচ্ছে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন।
আসুন প্রসঙ্গে যাওয়ার পূর্বে একটা হাদীস শেয়ার করি। একবার মদীনাতে রসূল(সাঃ) পথ চলতেই দেখলেন আবু হুরায়রা(রাঃ) বৃক্ষ রোপন করছে,,,তিনি(সাঃ) থামলেন এবং বিষয়টি দেখেও জিজ্ঞেস করলেন,,ও আবু হুরায়রা,,তুমি কি করো ? সে উত্তর দিল,,আমি চারা গাছ রোপন করছি। এরপর রসূল(সাঃ) বললেন,,আমি কি তোমাকে এর চাইতেও উত্তম একটি বিষয়ে বলব না ! আবু হুরায়রা(রাঃ)বললেন,,অবশ্যই ইয়া রাসুলুল্লাহ(সাঃ)....তিনি (সাঃ) বললেন--যদি তুমি একবার উচ্চারন করো--সুবহানাল্লাহি,ওয়াল হামদুলিল্লাহি,ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার......তাহলে জান্নাতে তোমার জন্যে একটি গাছ রোপন করা হবে।...(বুখারী)
জি, না জনাব বিষয়টি সাদামাটা নয়। প্রথমমত আমরা জান্নাত সম্পর্কে কোনো ধরনাই রাখিনা,,দ্বিতীয়ত মানুষ ও জিন এ সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারেনা তা কত সুন্দর ! তৃতীয়ত: এখানে গাছ মানে দুনিয়ার মত খেজুর,নারকেল,তাল গাছ নয়,,,এটা আসলে বিশাল কান্ড। তাহলে বিষয়টা কি ?? বিষয়টা হল---আরও গভীর ও বিশাল। অন্য সহি হাদীস মতে আল্লাহ তার বান্দার কোনো নিয়ামতকে সর্ব প্রথম ১০ গুন বর্ধিত করেন,এটি তার একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কেউ ১ নেকী পেলে তিনি সেটাকে ১০ নেকী হিসেবে লিখতে বলেন। আরেক হাদীস মতে আল্লাহ এই নেকী,বরকত,রহমত,আখিরাতের কারেন্সীকে ১০ থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত বর্ধিত করেন। ...তার মানে উক্ত তাসবিহ একবার বললে,,জান্নাতে বিশাল সুন্দর ও বিশাল সাইজের চিরস্থায়ী ১০টি গাছ রোপিত হবে ইনশাআল্লাহ,,,আর আল্লাহ যদি বেশী খুশী হন,তাহলে সেই গাছের সংখ্যা ৭০০ পর্যন্ত হবে কেবল একবার পাঠ করলে।...আরও অনেক পাওনা রয়েছে যেটা আল্লাহ প্রকাশই করেননি। এই তাসবিহটা নিয়ে অনেকগুলো হাদীস রয়েছে,,,যেমন রাতে শোবার সময় নির্ধারিত সংখ্যায়,,,প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর,,,সকল সময়ে....অনেক অনেক ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে কেবল এই একটি তাসবিহতে....কিন্তু প্রসঙ্গটা তো ভিন্ন...
আজ ছুটির দিন,,,সকালে কষে একটা ঘুম দিলাম,,কিন্তু আড়াই ঘন্টার বেশী ঘুম হলনা,,কারন ছুটির দিনে ঘুমের বৌ মরে যায়,,সে কাদতে থাকে,তাই ঘুমের মনোসংযোগ হয়না। দুপুরে গেলাম ডেন্টাল ক্লিনিকে। আমাকে উনারা একটা বিল পাঠিয়েছে,,,,,শেষ বার নাকি আমার বিল এস্টিমেটে কিছু ভুল হয়েছিলো,,তাতে তাদের আরও কিছু টাকা পাওনা,,,।মেটালাম,,,,গা জ্বলে গেল,,,কিন্তু মুখে মধুর হাসি ! আসার পথে এক গ্রোসারী স্টোর থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনলাম। এরপর নেট জগতে ভার্চুয়াল মৎস্য শিকারে মত্ত হলাম। এক মগ কফিতে মচমচে এমন্ড বিস্কুট ডুবিয়ে কুটকুট করে খেতে খেতে দেখী অনেকদূর খেয়ে ফেলেছি, ক্ষ্যামা দিলাম। এরপর দূরের মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। অনেকক্ষন দরজার বাইরে অপেক্ষমান থাকার পর ভ্রাতারা আসল,,,অনুপ্রবেশ করলাম নেকীর জগতে।
মোট ৬ জনের বিশাল জামাত হল। এই ইমামের গলায় গুড় নেই। এর চেয়ে পূর্বের চ্যাংড়া হুজুরের গলা ভালো। ওর গলায় মধুর দোকান,,,,ফ্রি বিক্রী করে,,, লোক ভালো। টুকটাক ভাব বিনিময় করে ফিরতি পথ ধরলাম। আজকের ভ্রাতাগুলো নামাজ পড়েই দৌড় দিল,তাই কথা বলা চান্স পেলাম না।
চলে আসলাম সুইমিং পুলে। সাতার কেটে বাসায় ফিরে সব্জী রান্না করলাম। এরপর ছোলার ঘুগনীর সাথে বাদাম মেশঅলাম। পেয়াজ,মরিচ,বিটলবন,হলুদ,সরিষার তেল দিয়ে টমেটো সালাদ এর সাথে যুক্ত করে মুড়ি ঢাললাম। মাথা পর্যন্ত খেলাম,,,অসাধারন জিনিস।
আসলে কিছু একটা লিখব বলে শুরু করেছিলাম কিন্তু ভুলে গেছি। মূল কথাটাই মনে হয় বলা হলনা। যাইহোক,,সব কথা বলার দরকার নেই,,,,,হঠাৎ হাসের গোস্ত খেতে ইচ্ছে করছে....কি যে করি....শালার হাস আশপাশের লেকে চরে বেড়ায়,,,রাজ-হাসও হেলেদুলে চলে....কিন্তু ধরা যাবেনা,ছোয়া যাবেনা,,,দূর থেকে ভালোবাসতে হবে....এত পোষায় না রে পাগলা......জরিমানার ভয়ে চুপ হয়ে থাকি আর মনে মনে খায়,,,এতে পোষায় না......মন পড়ে আছে হাসের গোস্তের উপর...
বিষয়: বিবিধ
৭৫৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গত দিন, আমট্রাকের দুর্ঘটনা টিভিতে দেখলাম।
আপনি কোন কাউন্টিতে থাকেন। আশে পাশে হাসের ফার্ম থাকার কথা। ভাবছিলাম, ছাগল হাস এবং মাছের ফার্ম করা যায় কিনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন