সম্ভবত পৃথিবী তার শেষ পরিনতির দিকে যাচ্ছে !!!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৯:৪১ সকাল



১৯১৭ সালে তুরস্কের সেনাদের থেকে দখল করার পর ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পুরো ফিলিস্থিন ব্রিটিশদের হাতে ছিলো। ইউরোপের ইহুদীরা ১৮৯৭ সাল থেকেই নিজেদের জন্যে একটি আলাদা রাষ্ট্রের ব্যপক প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধী করতে থাকে। এর পূর্বেই তাদের এ ইচ্ছা ছিলো কিন্তু সেটা বিগত ২ হাজার বছরে তাদের সে স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে গিয়েছিলো। নিজেদের মহা পান্ডিত্বে বিশ্বাসী ইহুদীরা বারবার নানান কৌশলে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করার কারনে অভিশপ্ত হয় এবং ২ হাজার বছর পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে এদিক সেদিক ঘুরতে থাকে। বিশ্বের শক্তিশালী জাতি গোষ্ঠী তাদেরকে চরম শোষন করেছে, মুসলিমরা ছাড়া। যখন এরা চরমভাবে নির্যাতিত হয়েছে, মুসলিম শাসকরাই এদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি হিটলার কর্তৃক চরমভাবে নির্যাতনের শিকার হলে আরবের শাসকগণ এদেরকে নিজেদের ভূমিতে আশ্রয় দান করেন।

যাইহোক ১৯১৭ সালে যখন ফিলিস্থিন বৃটিশদের দখলে, তখন ইহুদীরা একটি মোক্ষম সময়ে নিজেদের থাকার জন্যে ফিলিস্তিনে ভূখন্ড দাবী করে এবং বৃটিশরা আরবকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ইহুদীদেরকে সেখানে বসানোর পরিক্ল্পনা চূড়ান্ত করে। সে মোতাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর ইহুদীদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড তৈরীর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রটসচাইল্ডকে। ১৯৬৫ সালে এই চিঠিটাই বেলফোর ঘোষনা/চুক্তি হিসেবে পরিচিত।

১৯১৭ এর পর থেকে ইউরোপ থেকে ইহুদীরা ধীরে ধীরে আসতে শুরু করে এবং তারা স্থানীয়দের জমি ক্রয় করতে থাকে। ১৯৩৩ সালের পর থেকে হিটলার ইহুদীদের উপর ব্যপক অত্যাচার করলে জাহাজে ভরে হাজারে হাজারে ফিলিস্থিতে আসতে থাকে। আরব শাসকদের তখন তাদের প্রতি ব্যপক সহানুভূতি ছিলো মজলুম হিসেবে। কিন্তু আসলে তারা মজলুমের অভিনয় করছিলো। আর এসব হচ্ছিলো বৃটিশের চক্রান্তে ও সহযোগীতায়। কিছুকালের মধ্যেই বসবাসকারী ইহুদীরা আরবদের উপর বল প্রয়োগ করতে থাকে এবং নিজেদের থাকার স্থান বর্ধিত করতে থাকে বলপূর্বক। কিছু আরব বিদ্রোহ করে কিন্তু বৃটিশ আর্মী তাদেরকে দমন করে। এভাবে ঘটনা প্রবাহমান থাকে। এরপর ১৯৪৮ সালে বৃটিশের সহযোগীতায় বলপূর্বক ফিলিস্তিনে ইহুদীরা ইস্রাইল নামক তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

(তাদেরকে বানী ইস্রাইল বলার কারন হল এই যে, তারা ছিলো হযরত ইয়াকুব(আঃ)এর বংশধর। হযরত ইয়াকুব(আঃ)এর আরেক নাম ছিলো ইস্রাইল, ফলে তাদেরকে এ নামে ডাকা হত। ইয়াকুব(আঃ)এর বড় পুত্রের নাম ছিলো ইয়াহুদা। তার ছিলো অনেক সংখ্যক সন্তানাদী। পরবর্তী পর্যায়ের বংশধরদের ভেতর ইয়াহুদার ওরষজাত সন্তানের সংখ্যা বেশী হওয়াতে এবং বড় পুত্র হিসেবে তার প্রভাবপ্রতিপত্তি বেশী থাকাতে বনী ইস্রাইলকে ইয়াহুদী বা ইহুদী নামেও ডাকা হত। )

"একটি সহি হাদীসে এসেছে- ইহুদীরা শেষ বার ধ্বংস হবার পূর্বে একটি স্থানে মিলিত হবে। ...."

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কারনে ইউরোপীয় ও আমেরিকান শাসকগণ আরবকে নিয়ন্ত্রনের বিশাল একটি মওকা পেয়ে যায়। ইতিপূর্বে তারা যা কল্পনাও করতে পারত না, ইস্রাইলের মাধ্যমে তা তারা পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে সক্ষম হয়। ইস্রাইলের সাথে ইউরোপীয়-আমেরিকান শক্তি বন্ধুত্ব স্থাপন করে আরবের শাসকদেরকে বন্ধুত্ব অথবা শত্রুতা বেছে নেওয়ার মত চূড়ান্ত পরিনতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে আরব ইস্রাইল যুদ্ধ হয় ভয়াবহ আকারের। এসব যুদ্ধে কূটনৈতিক চালে ইস্রাইল পক্ষ এগিয়ে থাকে এবং ইস্রাইলের সীমানা বর্ধিত হতে থাকে। পরবর্তীতে আমেরিকা-বৃটেনের সহায়তায় ইস্রাইল ব্যপক সামরিক শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয় এবং মুসলিমদের উপর চরম দমন-পীড়ন শুরু করে। আর এভাবে তারা সীমানা বর্ধিত করতে থাকে। ছোট্ট একটি ভূখন্ডে মজলুম হিসেবে সহানুভূতি নিয়ে বসবাস করার পর নিজেরা চরম জালিম হিসেবে আবির্ভূত হয়। ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে ফিলিস্থিনের মুসলিমদের উপর। যা চলমান রয়েছে।

কিন্তু আজকের আলোচনা ভিন্ন কারনে। শুরু থেকে ইস্রায়েলের রাজধানী তেলআবিব ছিলো। এবং এটা থাকাতে তাদের কোনো সমস্যা ছিলোনা। তাহলে জেরুজালেমকে রাজধানী করতে তাদের এত আগ্রহ কেন !!?? এটাই বিরাট প্রশ্ন।

তারা জেরুজালেমকে ইস্রাইলের রাজধানী করতে এতটাই মরিয়া ছিলো যে, ইহুদী লবীর ব্যপক প্রভাবে ১৯৯৫ সালে মার্কিন আইনসভায় এটার পক্ষে বিল পাস হয়। কিন্তু বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যে ব্যপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে মনে করে কোনো মার্কিন সরকারই জেরুজালেমকে ইস্রাইলের রাজধানী ঘোষনা দেয়নি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেহেতু রাজনীতিবীদ নন ,,,এবং কেবল ব্যবসায়িক সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে উচ্চাভিলাষী হয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন ইহুদী বলয়ের সমর্থনে, তাই তার নির্বাচণী একটি ওয়াদা ছিলো জেরুজালেমকে ইস্রায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করা। আর সেটারই বাস্তবায়ন করা হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে।

জেরুজালেম/ফিলিস্থিনে হযরত ইব্রাহিম(আঃ)এর বসতি ছিলো। এরপর বহু ঘটনার সাক্ষী এই এলাকা। বহু নবী রাসূল এসেছেন এ ভূখন্ডে। মুসলিম,ইহুদী ও খ্রিষ্ঠানদের কাছে পবিত্র এ নগরী। ইহুদীরা বিশ্বাস করে এখানে তাদের প্রতিষ্ঠা হলে তাদের প্রতিক্ষিত এন্টি ক্রাইস্ট বা দাজ্জাল আবির্ভূত হবে। আর যেসব ইহুদী দাজ্জাল বিশ্বাস করেনা তারা রাজনৈতিক কারনেই একটি পরিনতির বিষয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত করছে এবং বিশ্বাসীদেরকেও সাথে রাখছে। তারা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ের সংমিশ্রনে নিজেদের জাতিকে একত্রিত করে মিত্রদেরকে সাথে নিয়ে বিশ্বকে একটি চরম পরিনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আরব বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ আমাদেরকে একটি ভয়াবহ পরিনতির বিষয় শ্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আর তা হল কিয়ামত। এই কিয়ামতের বড় বড় আলামতের কিছু কিছু প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সি অব গ্যালিলির পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে,যা ছিলো হাদীসের একটি ভবিষ্যদ্বানী।

.....সিরিয়ার ভয়াবহ ঘটনাসমূহ, নানান জাতি নিয়ে যুদ্ধ,ইরাকের অবস্থা,,,,তাদের মুদ্রা ব্যবস্থার পরিবর্তন,,,,,সিরিয়াকে নিয়ে বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর ভাগাভাগি এবং নতুন হিসাব নিকাশ,,,,আমাদেরকে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে হয়ত নিয়ে যাচ্ছে।

তবে সেই যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় হবে এটাই রসূল(সাঃ)এর ভবিষ্যদ্বানী। কালো পতাকাবাহী বের হবে খোরাসান থেকে। এদের সাথে আল্লাহর সাহায্য থাকবে প্রত্যক্ষভাবে। যারাই এদের বাধা দিতে আসবে, তারাই শেষ হয়ে যাবে। বাধাদানকারী একটি শক্তিশালী বাহিনী ভূমিধ্বসে শেষ হয়ে যাবে।..... কিন্তু বহু ক্ষয় ক্ষতি হবে। হাদীসের বর্ননায় দেখা যায় প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। দুনিয়ার শহরসমূহ লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। ....এরপর ইহুদীদের প্রতিক্ষিত নেতা দাজ্জাল আসবে। এর পূর্বেই ইমাম মাহদী আসবেন খ্রিষ্টানদের একটি বড় দল ইসলাম গ্রহন করবে ও তার অধীনে থাকবে। দক্ষতার সাথে তিনি শাসন করবেন। তার শাসনের একটি পর্যায়ে দাজ্জাল আসবে এবং এরপর হযরত ঈশা(আঃ)আসবেন ,,,,দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ হবে......দাজ্জালকে তিনি হত্যা করবেন......হাদীসে আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে এই সময় সম্পর্কে। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ সেই সব ঘটনার দিকেই আহবান করছে।

সামনে এমন একটি সময় আসছে ,যখন আমরা আমাদের বহু সাজানো স্বপ্ন,চিন্তা ,ভাবনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হব পরিস্থিতি বিবেচনায়। ভাবতে থাকব,,, এমন তো কথা ছিলো না ! এটা তো ঘটার কথা ছিলোনা,,,,হায় আল্লাহ এ কি হল !!! যারা সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করে, এবং আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক ও অবস্থার উপর সন্তুষ্ট থাকে,, কেবল তাদের জন্যেই সু-সংবাদ।

বিষয়: বিবিধ

৩২৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384543
০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:০০
আকবার১ লিখেছেন : কালো কালো পতাকাবাহী বের হবে খোরাসান থেকে ,এই খোরাসান বাহিনী এখনো আছে।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১০:২০
317179
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করবে তারা,,,,বিষয়টি প্রকাশ্যতা পাবে এবং আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত হওয়া দেখে মুমিনরা বুঝতে পারবে
384544
০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত ১০:০৯
হতভাগা লিখেছেন : ইহুদি আর খৃষ্টানদের দাপট দেখছি মুসলমানদের উপর । নিজেরাই প্ল্যান করে ঘটনা ঘটাচ্ছে আর অন্যায়ভাবে তারা মুসলমানদের দায়ী করছে সেটার জন্য । গোলের হিসেবে ১০০০-০ গোলে এগিয়ে আছে তারা মুসলমানদের বিপক্ষে । সেখানে মুসলমানরা এগিয়ে যাবে কিভাবে যেখানে তারা ৭০+ গ্রুপে বিভক্ত।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১০:২১
317180
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পরিস্থিতি সেদিকে যাবে। আল্লাহ সাহায্য করবেন,,,আরও মাইর খেয়ে মুসলিম ঘুরে দাড়াবে....
384545
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১০:১১
সাদাচোখে লিখেছেন : আস্‌সালামুআলাইকুম!

জানাশোনা মুসলিমদের উপকার হতঃ
১। যদি তারা জানতো সব ইয়াহুদী বনী ইসরাইলী নয় আর কিন্তু সব বনী ইসরাইলী ক্লেইমেন্টরা ইয়াহুদী।

২। আজকের পৃথিবীতে যেখানে কমবেশী ১০% বনী ইসরাইলী ইয়াহুদী - সেখানে অবশিষ্ট ৯০% অ বনী ইসরাইলী ইয়াহুদী কারা, কেন তারা ইয়াহুদী ক্লেইমেন্ট, কি তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং তাদের সম্পর্কে কোরআন ও হাদীসে কি বলা হয়েছে?

৩। ১৮৯৭ সালে যখন ফেরাউনের লাশ সাইন হিসাবে আবিষ্কৃত হল - ঠিক কেন হঠাৎ করেই ঐ বছর অ বনী ইসরাইলী ইয়াহুদীরা তাদের জন্য আবাস ভূমির অভাব অনুভব করলো আর কেন ই বা ইংল্যান্ড এর ফরেন সেক্রেটারী চিঠি দিল একজন প্রাইভেট সিটিজেন কে যা বেলফোর ডিক্লারেশান বলে চালানো হল? কি ই ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল ঐ রূথচাইল্ড এর? কিভাবে সে ব্যাবলিনের হারূত ও মারূত নামক ফেরেস্তাদ্বয়ের যাদুর সাথে সম্পৃক্ত আর কেন ই বা তার আবাসভূমি হিসাবে জেরুজালেম এর প্রয়োজন পড়বে?

৪। কেন ইংল্যান্ড এবং ইউএসএ র তথাকথিত ভূয়া খৃষ্টান রা তাদের ঈশ্বর হন্তারক - অ বনী ইসরাইলী ইয়াহুদীদের সাথে অমন এ্যালাই ও পরস্পর পরস্পরের নিরাপত্তা বিধায়ক এ পরিনত হল। এর সাথে সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতের রিলেশান কি?

৫। যেখানে ২০০০ বছর আগে সূরা বনী ইসরাইলের ৪ - ৮ অনুযায়ী বনী ইসরাইলীদের জেরুজালেম হতে বের করে দেওয়া হল এবং পরে বলা হল - তাদেরকে আল্লাহ আবার সে ল্যান্ডে মিলিত করবেন (একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর - ইন বিটুয়িন সময়টা হারাম করে রেখেছেন তাদের জন্য) আর - যেখানে আল্লাহ সূরা আম্বিয়ার ৯৫ ও ৯৬ নং আয়াতে বলে দিলেন কখন ফিরিয়ে আনবেন - সো মুসলিম স্কলার রা কিভাবে এটা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছেন এবং হচ্ছেন।

৬। যেখানে আল্লাহর নবী কনফার্ম করেছেন মদীনা ডিক্লাইন, জেরুজালেমের উত্থান এর পর মালহামা আর তারপর মুসলিম ও খৃষ্টান সৈন্যদের (স্পেসিফিক টাইপ ও কারেক্টার সম্পন্ন - যার কথা সূরা মায়েদায় বলা হয়েছে) কনস্টিনটিনোপল দখল ও তারপর মসীহ উদ দজ্জাল এর প্রকাশ (তথা আমাদের দিনের মত দিন এ রূপান্তর) - ইত্যাদি আলেম ওলামাদের অগোচরে থাকলো কি করে?

৭। মূলতঃ মানুষ যতদিন বুঝবে না সাইনস অব এন্ড টাইম এবং সাইনস অব কেয়ামাহ এর পার্থক্য কি - ততদিন তারা অন্ধকারে থাকবে

৮। আর মানুষ যে পয্যন্ত না বুঝবে রাসুলুল্লাহ সঃ কোন দিন ও বলেন নি মেজর সাইন ও মাইনর সাইনস তথা মেজর ও মাইনর সাইন বলে কিছু কোরান ও হাদীস এ নেই। বরং সব মেজর ও মাইনর সাইন ই আখেরী জামানার বিভিন্ন এক্টর এর এক একটা এ্যাচিভমেন্ট, এক একটা একশান এর পরিনতি বা রেজাল্ট।

বিশ্বাসী কোন মানুষ - সে শাসক হোক কিংবা না হোক - সুদ, ঘুষ, ব্যাভিচার, জুয়া, সমকামিতা, চুরি, খুন খারাবি, জোচ্চুরী ইত্যাদিকে পাবলিকলী হালাল কিংবা জায়জ করার কোন কারন নেই আবার বিয়ে কে হারাম করার কোন কারন নেই। কিন্তু এ সব ই হয়েছে প্রায় ৯৯% দেশে বিভিন্ন ফর্মে। কে এসব করলো, কিভাবে করলো, কাকে দিয়ে করালো, কেন করালো - এসব প্রশ্নের উত্তর খুজলে - বরং আপনি আমি আমরা সবাই আল্লাহর রাসুল সঃ এর বলা আখেরী জামানার এ্যাক্টরদের ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট হাতকে দিনের আলোর মত জ্বল জ্বল করতে দেখতে পাব। তবে সে জন্য কোরান ও হাদীসের রিলেভেন্ট আয়াত ও হাদীস গুলো জানতে হবে - এই যা।

এসব বিষয়াদি না জানলে, না বললে - মুসলিম উম্মাহ এমন করে অন্ধকারে থাকবে আর দজ্জালের এর দুনিয়ায় ইয়াজুজ ও মাজুজের এই ফ্যাসাদ এর আবর্তে দুলতেই থাকতে হবে।

জাজাক আল্লাহ খায়ের।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১০:২৮
317181
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ আপনার মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম,যা আমার এভাবে উপলব্ধীতে ছিলোনা। অত্যন্ত দারুন বিষয় ,চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File