আত্ম সমালোচনা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৮ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:০১:৪২ সকাল

আমেরিকার স্বাভাবিক অথবা অস্বাভাবিকভাবে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকগণ ভয়াবহ মানুষিক দূরাবস্থার শিকার হয়। সকলেই এই অবস্থা পার করেনা,তবে একটা বিশাল সংখ্যক সৈনিক মানুষিক সমস্যায় জর্জরিত হয়। যেসব সৈনিকরা আমেরিকার বাইরে বিশেষ করে মুসলিম দেশসমূহে নানান দায়িত্বে নিয়োজিত, তারা দেশে ফেরার পর তাদের বিরাট সংখ্যকই মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। এদের সুস্থ্যতা দেওয়ার জন্যে ইমার্জেন্সী স্পেশাল নাম্বারও রয়েছে, যেখানে ফোন করলে দ্রুততম সময়ের ভেতর তাদেরকে চিকিস্যা দেওয়া হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভয়নক মানুষিক সমস্যার কারনে প্রতিদিন ২২ জন হারে সৈনিক আত্মহত্যা করছে। এমনকি দায়িত্ব পালন করা অবস্থায়ও আত্মহত্যা হচ্ছে।

অনেক কারনের ভেতর প্রধান কারনটি হল এই যে দায়িত্ব পালনের সময় এরা সত্য,মিথ্যা,ভালো,মন্দ,ন্যায়,অন্যায় বোধের ব্যাপারটি ভাবতে থাকে। অনেকগুলো জরিপে দেখা গেছে ,যখন তাদের ছোড়া মিসাইলে,বা কোনো অস্ত্রে নিরাপরাধ নারী,শিশু দেদারছে মারা গেছে, বা কোনো স্থানে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে, তখন তারা এটা নিয়ে পাপবোধে ভুগেছে এবং কখনও কখনও মানুষিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়েছে। অনেকে জোর করে অবসর নিয়েছে। অনেকে নানান অজুহাতে দেশে ফিরেছে। অনেকে কমান্ড অমান্য করে শাস্তির সম্মুখিন হয়েছে। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে অবসর নিয়েছে। আবার অনেকের কিছুই হয়নি, তারা দায়িত্ব পালন করেছে,করছে।

কিন্তু যারা মানুষিক বিপর্যস্ততায় ভুগছে, তাদের সংখ্যা বিশাল। এদের অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছে।

এখান থেকে আমি যে শিক্ষাটা গ্রহন করলাম তা হল আত্মসমালোচনা। এটা এমন বিষয়, যা একজন বিবেকবান ব্যক্তিকে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করে। তার ভেতর চিন্তার অভ্যুত্থান ঘটায়। তার চিন্তাকে সুগঠিত করে। নিজের কাজগুলোকে পরিমাপ করতে ও সঠিকতা নিরুপনে সহায়তা করে। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে যদি তার কাছে ভালো-মন্দের সঠিক মাপকাঠি অনুপস্থিত থাকে,তাহলে সে সমাধান খুজতে ব্যর্থ হয়। এই মুহুর্তে তার আচরন কেমন হবে, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়। তবে অনুধাবন করতে পারে, যা সে করছে,করেছে সেটি সঠিক নয়। এই ব্যাপারটি তাকে দংশন করে। আরও পরে এসে সেটি মানুষিক বিকারগ্রস্ত করে তোলে। সমাধানটি হল বুদ্ধিবৃত্তিক,তাই সঠিক জীবনাচার,জীবন বিধান দিয়েই সমাধান করতে হবে। আর এটা থেকে বঞ্চিত হলেই হতাশার মাত্রা ভয়ানকভাবে বেড়ে যায়, যা ঘটছে মার্কিন সৈন্যদের ক্ষেত্রে।

এখানে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের নানান সংগঠন রয়েছে,যারা বহি:বিশ্বে মার্কিন অনেক পলিসির বিরোধীতা করে। প্রতিবাদও করে। অনেক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইসলামও গ্রহন করেছে। অনেক ইসলামিক সংগঠন এগুলো নিয়ে কাজ করছে,যদিও সেটা ততটা বলিষ্ঠ নয়।

তবে মোটাদাগে ব্যাপার হল এই যে, জন্মগতভাবে আমিরা যে ইসলাম নামক আইডোলজী পেয়েছি তা কতটা বিরাট নিয়ামত, এটা অন্যদের আত্মহত্যা করা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়। আল্লাহ আমাদেরকে বিশ্বে ভ্রমন করতে বলেছেন এবং তার নিয়ামতসমূহ উপলব্ধী করতে বলেছেন। কিন্তু এই পাপী বান্দা এই নিয়ামতটা উপলব্ধী করে টাস্কি খেল !! কতটা বিশাল জিনিস, কতটা সহযে আল্লাহ উপহার দিয়েছেন,,,কিন্তু কদর নেই.......নিজের দিকে তাকিয়ে একটা শব্দই বলব--- শালা বান্দর !!

বিষয়: বিবিধ

৯৩৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384391
০৮ নভেম্বর ২০১৭ দুপুর ০২:০০
আবু জারীর লিখেছেন : বান্দর বা হনুমান না মানুষ সুন্দর!
১৪ নভেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:৩৯
317090
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি তাই তো কবি গেয়েছিলো...তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর.... Happy
384397
০৮ নভেম্বর ২০১৭ রাত ১১:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এদের এই পাগলামি থেকে কিন্তু একটা বিষয়ও প্রমান হয় যে এদেরবেসিক শিক্ষায় মানবতা আছে। আমাদের দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আচরনে কিন্তু এটা দেখা যায়না।
১৪ নভেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:৩৯
317091
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি এটা ঠিক
384403
০৯ নভেম্বর ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : আত্মসমালোচনার নামে আত্মহত্যা করলে কি যাদেরকে মেরেছে তারা ফিরে আসবে ?

আমেরিকা যুদ্ধে নেমেছিল / বাধ্য হয়েছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পার্ল হারবার আক্রমনের পর। এছাড়া আমেরিকা আর কোন যুদ্ধ করেনি । বরং সেভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা একক পরাশক্তি হবার সুবাদের পৃথিবীতে যুদ্ধ বাঁধিয়ে ইচ্ছে মত লুটে যাচ্ছে।

যাদের দেশে যুদ্ধ বাঁধাচ্ছে সেসব দেশের সম্পদ লুট করতেই এসব তারা করেছে। আফ্রিকার বিরাট অংশকে তারা লুটে ফট্টুহারা করে দিয়েছে । এখন বাংলাদেশের লোক পাঠাচ্ছে খুঁদ কুটো খাবার জন্য আর তাদের লুট পাটে যাতে স্থানীয় লোকেরা বাগড়া দিতে না আসে সেটার চৌকিদারী করার জন্য।

আপনার বাড়িতে ডাকাত আসলে আপনি সেটার জন্য প্রতোরোধ করবেন । এখানে আপনি যদি জিতেন তাহলে আপনি বিজয়ী + যোদ্ধা। ডাকাতেরা কিন্তু যুদ্ধ করতে আসে নি তারা এসেছে লুটে নিতে । কারণ তারা সেরকম ভাবে অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়েই এসেছে। যেমন ইউরোপিয়ানরা আমাদের এখানে এসেছিল। তারা দখল করেছে এবং লুটে নিয়ে গেছে। এটা বলা মোটেও উচিত হবে না যে তারা বিজয়ী হয়েছে - ত্যারা হয় চোর না হয় ডাকাত।

এসব আমেরিকানরা যেসব সম্পদ লুটে দেশে এনেছে সেটার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বেনিফিশিয়ারী ভোগ করেছে তাদের দেশের মানুষেরা ।

মুখে/ ভঙ্গিমায় যতই ভাল মানুষী দেখাক না কেন এদের রক্তে তো নিরীহ মানুষদের নির্যাতনের কান্না বয়ে চলেছে। তাই সরি বললেই বা আত্মহত্যা করলেই সব ঠিক হয়ে যায় না যেমনটা বুশ করেছিলেন।

এসব আত্মসমালোচনাকারী সোলজাররা কি পারবে আত্মহত্যার মত এসব সস্তা সেন্টিমেন্টকে আঁকড়ে না ধরে নিজেদের দেশের যেসব লোকদের প্ররোচনায় তারা এরকম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বাইরের দেশে গিয়ে তাদেরকে বিনাশ করতে , তাদের স্থাপনাগুলোকে গুঁড়িয়ে দিতে ?
১৪ নভেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:৪০
317092
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি ঠিক
২১ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
317113
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে সঠিক কথাই বলেছেন ভাইজান
২১ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
317114
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে সঠিক কথাই বলেছেন ভাইজান
384469
২১ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাকে ফোন করবেন জরুরি মনে করে0096599547852
১১ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ০৮:২৩
317194
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেকদিন পর মন্তব্য দেখলাম। জনাব আপনি আমাকে মেইল করুন যদি কিছু মনে না করে Happy Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File