মুসলিমদের দেহের অংশ কিন্তু দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন, পরিত্যক্ত !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১১:১৩:৪১ সকাল
Click this link
হাজার বছর পূর্ব থেকে আরাকান বা রোহিঙ্গা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো। মুসলিমরা ইসলামের সোনালী যুগে এ ভূমী ইসলামের ছায়াতলে আবাদ করেছে। এখানে রয়েছে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য। তারা তাদের অধিকার নিয়েই বসবাস করছিলো কিন্তু কয়েক দশক ধরে বার্মার সামরিক সরকার, হঠাৎ এক তত্ত্ব আবিষ্কার করল যে, এরা সব বাঙ্গালী এবং এদের এখানে থাকা চলবে না। শুরু হল রাষ্ট্রীয় অত্যাচার। বার্মার (মায়ানমার) এসব লোকেদের দুনিয়ার ইতিহাসে সুকর্মের তেমন রেকর্ড খুজে পাওয়া যায়না। এদের বিশাল অংশ মগ সম্প্রদায়, যারা জলদস্যু হিসেবে পরিচিত ছিলো। বাংলার শাসকেরা এদেরকে মাইরের উপর রাখত, নইলে এরা সোজা থাকত না। এদের স্বভাব হল সুআচরন করলে মাথায় উঠে, মাইর দিলে সোজা থাকে। এরা নিয়ম কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেনা। আচার আচরনেও পুরো সভ্য নয়।
প্রায় দেড় দশক পূর্বে যখন বিডিআরের মহাপরিচালক জেনারেল ফজলুর রহমান ছিলো, তখন বার্মার নাসাকা বাহিনী প্রায়ই মহাপরিচালক বরাবর অত্যন্ত ওধ্যত্বপূর্ণ ভাষায় এবং একেবারে চাষাড়েভাবে জংলী কায়দায় চিঠি লিখত। কয়েকবার চিঠিতে হুমকি দিয়েছিলো যে বিডিআরকে শিক্ষা দিবে। প্রথম দিকে এসব চিঠিকে পাত্তা দেওয়া হত না কিন্তু তারা সীমান্তে উসকানী দিত। জেনারেল ভাবলেন চিঠির জবাব দেওয়া উচিৎ। তার অধীনে থাকা কর্ণেল বললেন-ওরা ইংরেজী জানেনা, তাই বোধহয় এই ভাষায় লিখেছে। আসলে কূটনৈতিক শিষ্টাচারই তারা জানত না। কিন্তু জেনারেল বললেন- ওরাও বৃটিশের অধীনে ছিলো ,ফলে ইংরেজী ওদের ভালো জানার কথা। সম্ভবত আমাদের মনস্তাতাত্ত্বিকভাবে পরাভূত করতে এসব করছে। সেসব চিঠির জবাবে জেনারেল নাসাকা বাহিনীর হেডকুয়ার্টারে লিখলেন- আমরা মার্জিত আচরন করে থাকি। আপনাদের পক্ষ থেকে কিছু চিঠি এসেছে যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং আপত্তিকর শব্দে ভর্তি। এরপর এরকম চিঠি আসলে, আমরা আপনাদেরকে সভ্যতা শিক্ষা দেব। বিষয়টা উপলব্ধী করবেন আশা করি।
তার এই ধমকপূর্ণ চিঠির পর, পরবর্তীতে তারা সুন্দর চিঠি লিখে। কিন্তু নাফ নদীতে বাধ দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর জেনারেল ফজলুর রহমান যুদ্ধ ঘোষনা করেন। তিনি ২৫০০ স্বশস্ত্র সৈন্য নিয়ে স্থল যুদ্ধ মুরু করেন এবং মাত্র ৩ দিনে ৬০০ বার্মিজ সৈন্য নিহত হয়। এটিএন বাংলা এটা সরাসরি সম্প্রচার করেছিলো। এরপর বার্মিজ সরকার হাতে পায়ে ধরা শুরু করে এবং আন্তর্জাতিক মহলের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। যাইহোক কথা হল, এরা মাইর ছাড়া সোজা থাকা জাতি নয়। প্রতিহত না করলে এরা অত্যাচার করতেই থাকবে, আর এদের সভ্যতা, মায়া-দয়া নেই। রক্ত খারাপ। এক অখাদ্য ছ্যাচড়া জাত।
ইতিহাস লিখে লাভ নেই। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজ ভূমী থেকে এরা তাড়িয়ে দিচ্ছে। অমানুষিক নির্যাতন করছে। বিভৎস্য সেসব নির্যাতনের ১ ভাগ চিত্রও বিশ্ব দেখেনি। কারন এরা সাংবাদিকদেরকে প্রবেশ করতে দেয়না। সেখানে মুসলিমদেরকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তাদের বেশীরভাগেরই কাজ নেই,থাকার স্থানটি সরিসৃপের থাকার স্থানের মত,পেটে ভাত নেই, পরনে কাপুড় নেই,সর্বত্র যাতায়াতের অনুমতি নেই,ব্যাংক একাউন্ট নেই। কেউ তাদেরকে বাইরে থেকে সাহায্য করলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারা মরছে কিন্তু সে মরার দৃশ্যও দেখার কেউ নেই।
সারাবিশ্বে ৫৪টা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ, অথবা মুসলিমদের সরকার রয়েছে। তাদের সম্মিলিত সৈন্য ৬৫ লাখরও বেশী, আধা সামরিক রয়েছে কোটি কোটি। তাদের রয়েছে পারমানবিক শক্তি, রয়েছে সর্বাধুনিক যুদ্ধ সরজ্ঞাম। অর্থ, অস্ত্র,সৈন্য কোনোটাতেই তারা দূর্বল নয়, তবে একটি মাত্র বিষয় অনুপস্থিত রয়েছে যার কারনে সবকিছু আজ বৃথা হয়ে গেল। আর তা হল এক উম্মাহর কনসেপ্ট।
রসূল(সাঃ)বলেন- মুসলিম উম্মাহ একটি দেহের মত, এর কোথাও আঘাত লাগলে সারা দেহে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে।......
আজ মুসলিমদের দেহের রোহিঙ্গা অংশ ছিন্নভিন্ন করছে স্রেফ এক বর্বর আধা শিক্ষিত বাহিনী। কিন্তু রসূল(সাঃ)এর বক্তব্য অনুযায়ী "জাতিয়াবাদ বাপের পুরুষাঙ্গে কামুড় দিয়ে পড়ে থাকা".....কাপুরুষের দল মুসলিমদের হত্যা উপভোগ করছে। সংকীর্ণ জাতিয়তাবাদী চিন্তা এদেরকে চিন্তা করতে শিখিয়েছে--আমরা বাংলাদেশী,আমরা পাকিস্থানী,আমরা আরবী,আমরা আফ্রিকান,অমুক তমুক....ফলে ওই দেশের বিষয়ে চিন্তা করা আমাদের কাজ নয়। তাদের চিন্তা তাদেরকে এই হত্যাযজ্ঞে নিলিপ্ত ভূমিকায় রেখেছে এবং অসহায় নারী-শিশুকে হত্যায় উৎসাহিত করছে। সামান্য সাহায্য করার অনুভূতীও তদের নষ্ট হয়ে গেছে। শয়তান তার আছর দিয়ে এদেরকে উম্মাদ বানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ওরা বিজয়ী হবেই ইনশাআল্লাহ। যারা মরছে আল্লাহর জান্নাত তাদের। আর মুসলিম শাসকদের হিসেবের সময় নিকটবর্তী হচ্ছে। যা ঘটছে তার দায়ভার বিশ্ব মুসলিম সমাজের। আর এটি মুসলিমদের সম্মিলিত পাপের কারনে ঘটিত গজব। সর্বত্র মুসলিম নির্যাতিত। কিন্তু এরপরও আল্লাহ সুখবর দিয়েছেন। বিজয় মুসলিমদের হবেই, এটাই আল্লাহর ওয়াদা।....
https://www.youtube.com/watch?v=5dqBrTyzNHg
বিষয়: বিবিধ
৯৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন