এ বছরের সেরা রান্নাটা এইমাত্র করলাম :
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৪ মার্চ, ২০১৭, ১০:৩২:৫৫ সকাল
নাহ,এমনটা আর হয়নি কখনও। প্রথমবারের মত লুচি বানালাম একেবারে জবর জং হয়েছে। পাতলা করে রুটি বানিয়ে তেলে ছাড়লাম একেবারে পার্ফেক্টভাবে ভুলে উঠল,আর ডো টাও বানাইছি চমৎকার।
ছোলার ঘুগনি বানালাম এখনও স্বাদ পরিক্ষা করিনি ,তবে ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু আজ যে আলুর তরকারী বানালাম সেরকম তরকারী আমি ইহ জনমে কখনও বানাইনি। এর যে স্বাদ তার সাথে একমাত্র তুলনা চলে ছোটবেলায় আমাদের বাজারে খাওয়া সিঙ্গাড়ার তরকারীর সাথে,যা বানাতো নিশিকান্ত কাকা,তার রেস্টুরেন্টে। সিঙ্গাড়ার সেই তরকারী পরোটার সাথে খেলে মনে হত মন প্রান সব নিশি কাকার দোকানে রেখে এসেছি।
আজ এই মহতি সন্ধ্যায় তাকে শ্মরন করছি আমার লুচির তরকারীর মাঝে। পাচ ফোড়ন(৫পুরান)মশলা,তেজপাতা,পেয়াজ,আদা,সব রকমের গরম মশলা বিশেষ কায়দায় ভেজে দারুনভাবে কষিয়ে ছোট করে কাটা আলু আর মটরশুটি,বাদাম দিয়ে রান্না করলাম। ভাবতেই পারিনি এত চমৎকার হতে পারে। আহ আমার এ যেন হাত নয় হাতুড়ী !!!
তরকারী রান্নার পর লুচি বানালাম ছোট এক ঝুড়ি,মানে অন্তত ৩০টা হবে। এবার লুচির ঝুড়ি আর তরকারী নিয়ে বসলাম। বাধা দেওয়ার কেউ নেই......খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম ,আল্লাহকে শ্মরন করে টানলাম ,,,শুধু টানলাম...। মনে হয় অর্ধেকটা খেয়েছি। ওহ লুচির কি স্বাদ !! ও তরকারীর কি স্বাদ !! আল্লাহ মুখে যে স্বাদ দিয়েছে তার প্রশংসা করেই শেষ করা যাবনা। ...কি আজব রান্না করলাম রে.....খেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি.....তবে কাচা হলুদ,রসুন,আদা,করলা,টমেটো,ব্লুবেরী,চেরীর স্মুথী খেয়ে মুখ জুতিয়ে আসছে.......তবে জিনিস ভালো আলহামদুলিল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১৪২৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেষ করলাম। প্রথমে মুসরীর ডাল, বীন, এর পর গরুর মাংশ আলাদা করে রান্না ,পরে সবগুলো মিশিয়ে পেঁয়াজ তেলে দিলাম। পরে নামানোর সময়ে ভাজা জিরার গুড়ো দিলাম। এক ধরনের সুপ। আমি খেতে পারি, অন্যরা
খেতে পারবে কিনা জানি না। আপনার থেকে শিখা।যখন আপনি চায়না তে ছিলেন। তখন থেকে চেষ্টা করছি।
প্রথমে তেলে ভেজে নিন গরুর গোস্ত। এর ভেতরের পানি শুকিয়ে গায়ে একটু পোড়া দাগ হবে।
পেয়াজ আর রসুন তেলে দিন। সেটা হালকা লাল হয়ে আসলে আদাবাটা দিন। আদার ভেতরের পানি শুকিয়ে আসলে এবার হলুদ,গুড়ো মরিচ ,ধনে গুড়াসহ সকল গরম মশলা দিন। পেয়াজ লাল হবে,এবার খানিক পানি দিন।
ভাজা গোস্ত এর ভেতর দিন এবং ১মিনিট নাড়িয়ে ঢেকে দিন। খানিক পর ঢাকনা খুলে কষিয়ে নিন। এবার একটু পানি দিয়ে আবার নাড়ান ও ঢেকে দিন।এভাবে ৪/৫বার একটু একটু পানি দিয়ে কষাবেন। শেষে ঝোলের পানি দিবেন। ঝোরের পানি দেওয়ার সময় তেজপাতা দিবেন। ঝোল গাড় হলে টানবেন গলা পর্যন্ত
অন্য কে দিলে
হয় ফাটিয়ে দিবে , নয়ত চ্যাপ্টা করে ফেলবে
আচ্ছা
রুটি ফুলে জানি,
কিন্তু ভুলে উঠে কিভাবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন