নিউপোর্ট লাইটহাউস
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০৩:৫৬ সকাল
আজ ১০ই ডিসেম্বর,২০১৬- শনিবার। আজ থেকে টানা ৪দিন আমার ছুটি,কিন্তু লাভ নেই। অফিসিয়ালী শীত শুরু ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে কিন্তু গত পরশু তাপামাত্রা কমে শূন্যের কিছুটা নীচে চলে গেল এবং কিছুটা তুষারপাতও হল। সাথে হাড় কাপানো ঠান্ডা বাতাশ শীতের তীব্রতা বৃদ্ধী করেছে। আজ তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও ঠান্ডা বাতাসের কারনে শূণ্য ডিগ্রীর মত অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু তারপরও যেহেতু পরিকল্পনা করেছি; বাইরে যেতেই হবে। নিয়তের দিক দিয়ে আমি লোক সহি।
পোর্টল্যান্ডের এক শপিংমলের সাথে আইস স্কেটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে,ভাবলাম সেখানে যাব। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম আইস স্কেটিং তো জনমেও করিনি,হঠাৎ আজ করলে তো আছাড় খাওয়া নিশ্চিত,অন্যের হাসির খোরাক হওয়া ঠিক না। আর গিয়ে দাড়িয়ে অন্যের স্কেটিং দেখা আর ইউটিউবে দেখা মোটামুটি একই..। সিদ্ধান্ত নিলাম কোস্ট সাইডে যাব। নিউপোর্ট বরাবর চললাম,সাথে নানান খাদ্যদ্রব্য।
রাস্তায় কখনও রোদ,কখনও বৃষ্টি। নিউপোর্ট বের ৭মাইল পূর্বে টলিডো শহর। এটি একটি ছোট্ট সুন্দর ছিমছাম শহর। এক ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে থামতেই নীম্নচাপ অনুভূত হল। ভেতরে গিয়ে দেখলাম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে টয়লেট মাত্র ১ পিছ। দরজায় থাক্কা দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে বুঝলাম ভেতরে কেউ ধ্যানমগ্ন। উদ্বীগ্ন হয়ে স্টোরের নানান জিনিসপত্র দেখতে থাকলাম ,মনের চোখ টয়লেটের দরজায়। নাহ, অন্য দিনের মত জিনিসপত্র দেখতে ভালো লাগছে না। শুধু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছি। খানিকদূর গিয়ে আবার ফিরে এসে দেখছি ভেতরের লোকটির ধ্যান ভঙ্গ হল কি না। এই লোক সম্ভবত আমার আগমনী বার্তা বুঝতে পেরেছিলো জিন মারফত,নইলে এই তাল করবে কেন ! আবার চিন্তা হল,সেই লোক বের হবার সাথে সাথে অন্য লোক না আবার ঢুকে পড়ে....সঙ্গে সঙ্গে টয়লেটের কাছাকাছি দাড়ালাম।....অবশেষে উনার মনে দয়া-মায়ার উদ্রেক হল এবং আমি মুক্তি পেলাম। আহ এ যেন শান্তির বার্তা !
পেটের আকাশ থেকে মেঘ সরে গেলেও যমিনের আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। এর ভেতরই শহরটা ঘুরে দেখতে লাগলাম। ফুটপাথ ধরে হাটলাম অনেক। দু একটি দোকানেও ঢু মারলাম। বেশ ভালো লাগছিলো। শরীর ও মনে একটা ফুরফুরে ভাব লক্ষ্য করলাম।
খানিক পর আসলাম টলিডোর ইয়াকিনা ট্রেন মিউজিয়াম। প্রথমে কিছু বুঝিনি। দেখী বড় একটা কাঠের লগ রাখা,পাশেই ১৯২৩ সালের একটি ট্রেন ইঞ্জিন। পাশেই দেখলাম ট্রেনের বগির ভেতর মিউজিয়াম। প্রবল বৃষ্টী শুরু হল। এটা ১৯৮৮ সালের একটি ছোট রেল স্টেশন কিন্তু অনেক বছর হল বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর পুরো স্টেশনটিকে দর্শনার্থীদের জন্যে সুন্দর করে রাখা হয়েছে। প্লাটফর্মে দেখলাম বেশ কিছু প্রাচীন যন্ত্রপাতি। পুরোনো প্রাচীন জিনিসপত্র দেখতে বেশ ভালো লাগে। দেখলাম শত বছর পূর্বের একটি খাবার বহন করা ঠেলাগাড়ি যা লোহার তৈরী। ট্রেনের কর্মচারীদের জন্যে এতে খাবার পরিবহন ও সরবরাহ করা হত। হঠাৎ ট্রেনের পুরোনো এক বগী থেকে এক বৃদ্ধ বের হয়ে বলল,মিউজিয়াম খোলা আছে ভেতরে আসতে পারেন।
লোহার ভারী দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম পুরোনো একটা বগিতে অফিস রুম বানানো হয়েছে। নীচে কাঠের ফ্লোর। ভাবলাম হয়ত বছর পাচেক পূর্বে এটা তৈরী করা হয়েছে। কারন অত্যন্ত সুন্দর আর মসৃন কাঠের নিখুত মেঝে। কিন্তু ভদ্রলোক জানালেন এটা এক'শ বছরেরও পুরোনো ফ্লোর এবং এতকাল নানানভাবে ব্যবহারের পরও এটা নতুনই আছে। দুই বুড়ো ভলান্টিয়ার এক কালে রেলওয়ের কাজে নিযুক্ত ছিলো,অবসরের পর এখন সময় কাটায় এখানে। এদিকে মানুষ খুব একটা আসেনা। দুই বুড়ো কথার খৈ ফোটাচ্ছে মুখে। একজন বেশী কথা বলে,ভদ্রলোকের বয়স আশির কম হওয়ার কথা না। নানান সব ইতিহাস বলছিলো, সেসবের খুব একটা মাথায় ঢুকলো না। এ লাইনে বড় বড় কাঠের লগ পরিবহন করা হত কারখানার জন্যে। পুরোনো সব ছবিতে প্রাচীন গাছের ছবি দেখলাম। একটা পতিত গাছের ছবি দেখলাম , গুড়ির উচ্চতা মনে হল ১৫ফুট হবে। লম্বা মৈ লাগিয়ে রাখা হয়েছে এর উপর। পাশেই ইয়াকিনা নদী,এ নদী পথে বড় বড় লগ জাহাজে পরিবহন করা হত,এখনও হয়। নদীর পাশেই বিশাল পেপার মিল,যেখানে হার্ডবোর্ডসহ বাক্স বানানোর নানান কাগজ তৈরী হয়। নদীটি অনতিদূরের প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে।
গোফে মুখ ঢাকা বুড়ো ভদ্রলোক আমাকে নিয়ে চললেন আরেক বগীতে। এই বগীটা মেইল পরিবহনের জন্যে বিশেষভাবে তৈরী। শত বছর পূর্বে যেভাবে তারা এটা তৈরী করেছে,মনে হচ্ছে এখনও এটা অনুসরন করা যায়। ভেতরের নানান ধরনের বাক্স এবং ঠিকানা চিহ্নিত করার দারুন প্রযুক্তি। আছে মোমবাতির তৈরী টর্চ লাইট। একটা ফ্রিজ দেখলাম ১৯৩০ সালের। এটা ভারী লোহার তৈরী। এর নীচের অংশে খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষন করা যায়,আর উপরের অংশে একটি স্টিম বার্নার। বহু পুরোনো নানান সিলমোহরের যন্ত্রপাতি,টাইপরাইটার রয়েছে। ছোট টয়লেট ও হাতমুখ ধোয়ার বেসিনও রয়েছে,যা আজও ইচ্ছা করলে চালানো যায়। নানান ধরনের ও সাইজের কুড়াল দেখলাম। রেলওয়েতে যারা যারা কাজ করে শ্মরনীয় হয়ে আছেন তাদের নাম শ্রদ্ধার সাথে শ্মরন করা হয়েছে। এরা কারো অবদানকে খাটো করে দ্যাখেনা। ন্যাশ নামক এক লোক এখানে ইংল্যান্ড থেকে এসে চাকুরী শুরু করে এবং পরে এলাকাটাকে ভালোবেসে ফেলে। সে দেশ থেকে তার পরিবারকে এখানে নিয়ে আছে। লোকটি প্যাসিফিক রেলওয়ের সর্বোচ্চ পদে চাকুরী করেছে এবং অনেক নেতৃস্থানীয় পদ প্রাপ্তও হয়। ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তার নামে একটা হলও আছে। এমনকি ১৮৮৮ সালে ওয়াইনী নামক একটা হারিয়ে যাওয়া কুকুরকে ইউ.এস পোস্টাল মেইল এর ট্রেনে পাওয়া যায়,তখন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করার পর পত্রিকায় তার ছবিও দেওয়া হয়। তবে শতাধীক ব্যক্তি তাকে নিজেদের হারিয়ে যাওয়া কুকুর বলে দাবী করায় কুকুরটি রেলওয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে থাকে এবং ইউ.এস পোস্টাল মেইল ট্রেনে সে ১৮৯৭ সাল বা তার মৃত্যু পর্যন্ত ভ্রমন করে। সে এতটাই জনপ্রিয় হয় যে তার নামে একটি ডাক টিকেটও ছাপানো হয় এবং বইও লেখা হয়েছে আবার তার রূপের অনুকরনে খেলনাও তৈরী হয়েছে।
আরও একটি কেবিনে ঢুকে প্রাচীন নিদর্শন দেখতে লাগলাম এবং বুড়োর লেকচার শুনতে থাকলাম। বেশ কিছুক্ষন কাটিয়ে ভদ্রলোককে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে চলে আসলাম একটি বড় রুমে,যেখানে বড় বড় টেবিলের উপর খেলনা রেল ট্রাক তৈরী করে তাতে বিশেষ ইলেট্রিক লাইন জুড়ে খেলনা ট্রেন চালানো হচ্ছে। বেশ কিছু মানুষকে দেখলাম ,বাচ্চারা বেশ মজা পাচ্ছে ,আমিও উপভোগ করলাম। খেলনা ট্রেনগুলো বাস্তবের ট্রেনের মত চলছে।
হাইওয়ে ধরে নিউপোর্ট বে-তে আসলাম। প্রচন্ড বাতাশ প্রবাহিত হচ্ছে। এর ভেতর সাগর তীরে গেলাম। বাতাসে উড়ে যাবার মত অবস্থা। হঠাৎ তীরে একটা সী-গালের বাচ্চাকে জুবুথুবু হয়ে বসে থাকতে দেখলাম। কোনোভাবে বাসা থেকে এখানে এসে পড়েছে। উড়তে শেখেনি এখনও। গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম,এরপর হাতে নিয়ে দেখলাম বেশ নাদুশ নুদুশ। ছোটবেলা হলে একে বাড়ি নিয়ে পুষতাম,কিন্তু এখানে এটা নিয়ে আসলে বিরাট অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে।
এবার ডিপো-বে তে গেলাম। এটা এখান থেকে দশ মাইল দূরে। এখানে সাগর তীরে আগ্নেয় শীলার রাজত্ব। হাইওয়ে এখানে উচুতে। এই ছোট্ট শহরটি পর্যটকদের দারুন আকর্ষন করে। আমি প্রসিদ্ধ একটা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। এখানে তাজা স্যামন আর কড মাছের ফ্রাই দিয়ে দুপুরের আহার পর্ব শেষ করলাম। এবার সাগর তীরে দাড়ালাম প্রবল বাতাসে বিশাল ঢেউ তৈরী হয়ে পাথরের উপর আছড়ে পড়ছে। বেশ ভয়ঙ্কর দৃশ্য। খানিকক্ষন দাড়িয়ে দেখলাম। হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল,দৌড় দিলাম।
এবার সাগরের তীরে এমন একটি স্থানে আসলাম যেখানে আগ্নের শীলার পাহাড়ের খাজে তৈরী গর্তের ভেতর প্রশান্ত মহাসাগরের বড় বড় ঢেউ প্রবল গতি নিয়ে স্বশব্দে আছড়ে পড়ছে। দেখার মত দৃশ্য এটা,একটা ব্লোহোলও আছে এখানে। নীচে ফাকা স্থান দিয়ে পানি ঢুকে উপরের ফুটোদিয়ে বের হয়ে আসে। সুন্দর প্রকৃতি যে কারো মন কাড়বে। এটা এমন কিছু যার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে। কিছু কিছু পাহাড় সাগরের ভেতরে ঢুকে গেছে। এর উপর মানুষ চমৎকার সব বাড়ি তৈরী করেছে। ধনীরা এসব বাড়িতে বেশ উপভোগ করে। এরকম আরও দু একটি লুক-আউট পার হয়ে নিউপোর্ট এর ইয়াকিনা হেড লাইটহাউজে আসলাম।
এ এক দারুন ব্যাপার। আজ কেন জানি প্রবেশ ফ্রি,অন্যদিন প্রবেশে পয়সা লাগে। ভেতরে আসলাম। সাগরের ভেতরে আগ্নের শীলায় তৈরী পর্বতশ্রেনী চলে গেছে আর সেটার শেষ মাথায় একটি লাইটহাউস বা বাতিঘর বানানো হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৩ সালে। প্রথমদিকে দুই ব্যক্তি এটার পরিচালনা করত এবং তাদের পরিবারও এখানে ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করতে থাকে। লাইটহাউসটি তেলের সাহায্যে চলত। ১৯৩২ সালে ইলেকট্রিক লাইট সিস্টেম স্থাপিত হয় আর ১৯৬৬ সালে বিশেষ ব্যাটারি চালিত এমন লাইট স্থাপিত হয় যাতে মানুষ ছাড়াই এর রক্ষনাবেক্ষন করা যায়। ১৯৮৮ সালের দিকে লাইট হাউসের পাশ থেকে সব ধরনের ঘরবাড়িও স্থাপনা অপসারন করা হয়। বর্তমানে এখানে কেবল বাতিঘরটিই দাড়িয়ে আছে।
আমি কখনও কোনো বাতিঘরে প্রবেশ করিনি,কেবল দূর থেকে দেখেছি। আজ প্রবেশ করলাম। দারুন অনুভূতী। এর বহির্দেওয়াল প্রায় ৩ ফুট চওড়া,এটা গোলাকারে ৯৩ফুট উচুতে উঠে গেছে। নীচ থেকে চক্রাকারে ভারী স্টিলের তৈরী সিড়ি উঠেছে উপরের দিকে। প্রতি ১০/১২ ফুট পর পর সিড়ি শেষ হয়েছে এবং সমান প্লাটফরম তৈরী করা হয়েছে যা স্টিলের তৈরী,সেখান থেকে আবার চক্রাকারে উপরের দিকে সিড়ি উঠে গেছে। এভাবে একেবারে উচুতে গিয়ে ঠেকেছে। আমি উপরে উঠে গেলাম। দেখলাম আরও কিছু মানুষ এসেছে দেখতে। আমি আরও উচুতে উঠলাম,এটাই শেষ সীমা। এখানে বড় একটি বাতি স্থাপন করা হয়েছে,যা সন্ধ্যা হলেই নিজস্ব নিয়মে জ্বলে ওঠে। বাতিঘরের বিভিন্ন উচ্চতায় জানালা তৈরী করা হয়েছে,সেখান থেকে সাগরের অবস্থা পর্যবেক্ষন করা যায়। একেবারে উপর থেকে সাগরের অবস্থা দেখলাম,খুব ভালো লাগল। উপরে একটি দরজা আছে যা দিয়ে বাইরের অংশে প্রবেশ করা যায়। সেখানে রেলিংও রয়েছে,কিন্তু দরজাটি বন্ধ করা বিধায় সে অংশে যাওয়া সম্ভব হলনা। ভেতর থেকে সিড়ি এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যে সেটা বাতিঘরের কাঠামোটা মজবুতভাবে ধরে রেখেছে মেরুদন্ডের মত।
এবার এর পাশের একটা মনোরম স্থানে আসলাম,যেখানে রাস্তা পাহাড়ের উপর থেকে চক্রাকারে পানির প্রায় কাছাকাছি পৌছেছে। আমি হাটিাহাটি করলাম সেদিকে খুব দারুন লাগল। সাগরের ঢেউ অসাধারন লাগে দেখতে। কিন্তু হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি শুরু হল আমি দৌড় দিলাম।
এবার আরেকটি স্থানে এসে পাহাড়ের উপর থেকে সাগর তীর ও পাশের ছোট শহর দেখছিলাম। অসাধারন দৃশ্য এটা। সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখলাম। আকাশের একপাশে কালো মেঘ,অন্যপাশ নীল। খানিক দেখার পর মেঘেরা আবার আমার উপর চড়াও হল,প্রবল বৃষ্টিতে দিলাম দৌড়। ফিরে আসার সময়ও মুষলধারার বৃষ্টিতে পড়লাম। ওরেগন মানেই বৃষ্টি।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুটির মাকে পেয়েছে অনেক আগেই কিন্তু প্রক্রিয়া শুরু হতে সময় লাগছে। ইনশাআল্লাহ আগামী বছরের মাঝামাঝি জানতে পারবেন কে আমার আকাশের তারকা
কড মাছ খাইনি। জানি না স্বাদ কেমন।
এই ভ্রমনে মনে হয় খাওয়া দাওয় কম হয়েছে!!
মহান আল্লাহ আরো ভাল লিখার তাওফিক দান করুন ! আমিন
মহান আল্লাহ আরো ভাল লিখার তাওফিক দান করুন ! আমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন