পুটির মায়ের স্বপ্ন কুটির
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ অক্টোবর, ২০১৬, ০৯:২৮:৪২ রাত
কি গো পুটির মা, চুপচাপ কেন ? রাগ হয়েছে নাকি ? গতরাতেই তো হেসে লুটোপুটি খাচ্ছিলে। এখন আবার কি হল ? তোমার অভিমান কি ভাল্লুকের জ্বরের মত ওঠা নামা করে নাগি গো ! ও পুটির মা মুখ ফেরাও আমার দিকে ! নাহ, এই মহিলার স্বভাব বদলালো না,,,,৬৫ বছর সংসার করছি....কিন্তু তার স্বভাবে কোনো পরিবর্তন নেই। আসলে সে একটা.....
:এই কি বললে ?আমি কি ?? বলো !!!
:হেহেহেহেহে এই তো কাজ হয়েছে ...
:কি কাজ হয়েছে ?
:এই যে কথা বলছ...একেবারে বাজখাই গলায়...
:কি ! আমি বাজখাই গলায় কথা বলি ?
:না তো কি !! মনে হয় গলায় মাইক....
:এই কথা হিসেব করে বলবা,,,আমি বাজখাই তাইলে ৬৫ বছর আমার সাথে ছিলে কেন? অন্য মেয়ে জুটিয়ে নিতে পারোনি ?
:হ্যা,পারলে তো বেচেই যেতাম !!
:ওরে বুড়ো,,,এই বেচে যেতাম মানে ! আমি তোমাকে মেরে ফেলেছি নাকি ?
:না, তা না..তোমার বাজখাই গলার থেকে বাচতাম আর কি ...
:তাইলে পালিয়ে যাওনি কেন ?
:মরতে চেয়েছিলাম যে....
:মরন আমার ! যাও মরোগে ....
:ওই দ্যাখো কথার মধ্যে কোনো মায়া দয়া নেই....ফুলন দেবীই রয়ে গেল...
:এই কথা হিসেব করে বলবা, নইলে কিন্তু খাওয়া বন্ধ...
:হ্যা হুমকি ছাড়া পারো কি....
:অনেক কিছু পারি,,,,
:কি পারো ?
:তা তোমাকে বলতে হবে কেন ?? তুমি কে ?
:হ্যা !!! ৬৫ বছর সংসার করার পর বলে আমি কে ??এই আমি কে তুমি জানো না ?
:না ।
:এই আমার নাম পুটির বাপ !
:তাতে আমার কি ?
:আমি তোমার আপন লোক..
:কইছে আপনারে ....
:আমার পিতার নাম....
:এই আপনার পিতার নাম দিয়ে আমার কাজ নাই,,আমি আপনারে চিনিনা আপনি যান...
:কোথায় যাব ?
:যেখানে খুশী সেখানে যান....
:আচ্ছা ঠিক আছে ,উত্তর মাঠের সুন্দর সেই জায়গায় যাব। যেখানে আছে আমাদের স্বপ্ন কুটির....মৃদুমন্দ হাওয়ায় আমার প্রান জুড়াবে....!! আমি মাটির উপর তৈরী মাটি আর চাচ,গোলপাতার তৈরী বাড়িতে ভর দুপুরে বসে থাকব ইজি চেয়ারে। উঠোনে ফুলের বাগান। ফাকা মাঠের কোনে আমার বাড়ি....
:এই দীবা স্বপ্ন বাদ দিয়ে আমার সামনে থেকে যাও....আমার কাজ আছে। আমিনের মা গুড়ো নিয়ে আসবে ...
:কিসের গুড়ো গো....দয়ার গুড়ো ??
:এই দয়ার গুড়ো আবার কি ?
:ওরে পুটির মা,এ হল এক ধরনের বিষাক্ত ফলের স্থানীয় নাম। তেতুলের মত দেখতে কিন্তু এর সারাগায়ে আল থাকে। সেটা গায়ে লাগলে ব্যপক চুলকায় আর ফোস্কা পড়ে যায়।
:তা তোমার ওই গুড়োর কথা মনে হল কেন ? কাজ পাওনা ? নাকি ওই গুড়ো দিয়ে রুটি বানায় দেব ??
:ওরে পুটির মা,,,তুমি কি চালের গুড়োর কথা বলছ ???ওরে এ আমার কি আনন্দ হচ্ছে রে....এ যে পেটের গভীরে আনন্দ ! সোনামনি আমি কি লাল মোরগটা জবাই করব ?
: না,দরকার নেই.....ওটা আগেই জবাই হয়েছে !
:হ্যা ??? আরেকবার বলো গো...এ যেন কানে আমার শরবত গেল গো....শান্ত হলো সারা দেহ....ওগো কও কি ! তবে কি ছিটে রুটি আর মুরগীর গোস্ত !! ওরে আমার যে কি ভালো লাগছে !!
:এই বুড়ো লাফাবে না,,,পড়ে হাত পা ভাংবে...কিন্তু আমিনের মা'র হলটা কি, সেই কখন থেকে বসে আছি তার জন্যে....রাগ কি আর এমনে হয় !!!
:ওরে তাহলে এই কারনে তুমি মুখ চুন করে বসে ছিলে !! আহা দ্যাখো দেখী কি না কি ভাবলাম....ওগো তুমি এত ভালো কেন গো ??
:তুমি বজ্জাত,পাজি এই জন্যে আমি ভালো...
:এই মুখ সামলে কথা বলবা...যা তা বলবা না বলে দিচ্ছি.....
:আচ্ছা যাও ঘরের পেছনে শুকনো কাঠ আছে নিয়ে এসো....
:যাচ্ছি যাচ্ছি......বাজখাই গলা....
========================
:রান্না হতে আর কত দেরী গো ?
:এই তো হয়ে গেল বলে।
:আচ্ছা তুমি গোস্ত রান্না করলে একটা সুন্দর সুঘ্রান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে কেন ?
:যাতে আশপাশের লোক এসে উপস্থিত হয় আর তোমার ভাগে কম পড়ে....
:এই তুমি এমন কেন ,,মোটেও রোমান্টিক না...
:ওরে বাবা তুমি বড্ড রোমান্টিক !! রস একেবারে বেয়ে বেয়ে পড়ে....
:পড়ে তো....
:তাইলে সেই রস দিয়ে ছিটে রুটি খাও....গোস্তের কি দরকার....
:দেখেছো...কোথাকার পানি কোথায় নিয়ে গেল !! ওই যে আমিনের মা আসছে....মনে হয় গোস্তের গন্ধ তাকে স্পর্শ করেছে....
:না, তাকে আমি দাওয়াত করেছি.....
:দাওয়াত করার কি দরকার ? এরা এমনেই মানুষের বাড়ি যায়...এর ওর কাজ করে বেড়ায়....
:মানুষকে সম্মান দিতে শেখো বুঝেছো ? মুখে তো কুরআন হাদীস বলে ফেনা তুলে ফেলো....
:এই সত্যি কথারে পুটির মা। আসলে তুমি তো দারুন একটা কাজ করেছো। সমাজে যাদের কোনো মর্যাদা নেই,কাজের লোক হিসেবে খ্যাত,তাদেরকে সম্মানে তুমি দাওয়াত করো যদিও একবার ডাকলেই তারা চলে আসে। এটাই সুন্নাহ ,আলহামদুলিল্লাহ তুমি অতি উত্তম।
:আর তুমি অধম...!!
:এই তোমার মুখে কোনো লাগাম নেই ???
:আমি কি ঘোড়া নাকি যে মুখে লাগাম থাকবে ?
:এই মহিলার সাথে কথা বলে পারা যাবে না....৬৫ বছরে পারলাম না,আর আজ পারব !!! অসম্ভব !!
: এই রান্না হয়ে গেছে,আরেকটু বসো আমার বুড়ো সোনা...
:ওরে বুড়ো সোনা বলেছে,,কি যে ভালো লাগছে...না তুমি বড়ই রোমান্টিক গো...মুখের দাত কিছু পড়লেও...এখনও তুমি আমার নায়িকাই....
: বুড়োর ঢং দেখলে গা জ্বলে....বারান্দায় মাদুর পেতে বসো,আমি আসছি। আর রান্নাঘরে আমি আমিনের মার সাথে খাব,তুমি একা খাবে বুঝেছো।
:আচ্ছা ঠিক আছে সুন্দরী তমা....
====================
ও পুটির বাপ, নাও এক খিলি পান খাও...এটা মসল্লা পান।
:আহা আমি পান খেতে পারিনা, আমার মাথা ঘোরে....
:হিহিহিহিহিহি...তা তো জানি,,সেই ছোটবেলায় কয়েকবার খেয়ে কি তাল করেছিলে...বলেছিলে তো...কিন্তু এটাতে সুপারী,চুন,খয়ের ,জর্দা কিছু নেই....। বেশীরভাগ মানুষ এখনও জানেনা যে সুপারীতে সিগারেটের নিকোটিনের চেয়ে কয়েকগুন নিকোটিন আছে,এটা প্রান সংহারকও হতে পারে। আর চুনও ক্ষতিকর। মুখের ক্যানসারের জন্যে এটাকে দায়ী করা হয়। আর জর্দা তো অনেক বেশী নিকোটিনের জনক। ...
:দেখেছো আমি এসব জিনিসযুক্ত পানে অভ্যস্ত না হয়ে ভালই করেছি। তবে তোমার মশলা পানে একটা ঘ্রান আছে,বেশ ভালো। মুখ লাল হয়না বটে কিন্তু জিনিস ভালো।
:হ্যা,আর পানের রসও শরীরের জন্যে অনেক উপকারী....এই নাও তোমার পান....মুখে পুরে চিবাও..
:এবার বেশ গরম পড়েছে পুটির মা...কি কও ?
:হ্যা খুব গরম। মানুষ প্রকৃতির সাথে যে আচরন করেছে,এটা তার পরিনাম... এখনও আমাদের এদিকে বেশ ঠান্ডা,তবে দুপুরে বাচা যায় না...
: আচ্ছা যদি এমন হয় ,,,বিশাল ফাঁকা মাঠের এক প্রান্তে একটা সুন্দর গোলপাতার ঘর। উচু বারান্দা। উঠোনে ফুলের গাছ। বারান্দায় বাতাসের উড়ো খেলা। ভর দুপুরে সে বারান্দায় বসতে তোমার কেমন লাগবে গো ?
:খুব ভালো লাগবে গো পুটির বাপ...কিন্তু এসব কি আর আমাদের এ জগতে হবে। জান্নাতের আশা রাখি,সেখানে দুজন এমন অনেক কিছু পাব ইনশাআল্লাহ....
:হুমম আল্লাহ কবুল করুক....এই পুটির মা, বিকেল তো হয়ে এল,চলো দুজনে হাটতে হাটতে উত্তর মাঠে যাই....ধান উঠে গেছে, মাঠ পুরো ফাকা। কারো কারো তরকারী ক্ষেত আছে। আমাদের তরকারীর ক্ষেতটা একটু দেখা দরকার....
:ঠিক আছে চলো যাই,,,আমাদের তো যা মনে চাই করে ফেলি...পুটিরা দূর শহরের মাদ্রাসায় কুরআন-সুন্নাহর দরস দিচ্ছে....তাদের সন্তানদেরও বড় সংসার হয়েছে। তবে স্টাইলটা কিন্তু তোমার মতই অনুসরন করছে। আসলেই বাপকা বেটা....
:হুমম এটা ঠিক,,পিতা-মাতা আদর্শ হলে সন্তানও এমনটা হয়,ব্যতিক্রমও হয়। আমাদের জন্যে নয় পুটির মা, আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেছেন। মনে আছে বিয়ের আগে থেকেই স্বপ্ন দেখলাম, সন্তানদেরকে শ্রেষ্ঠ আলিম বানানোর। তারা তা হয়েছে,আমরা খুব বেশী প্রচেষ্টা চালিয়েছি তাও নয়। বরং আল্লাহ এমন বরকত দিয়েছেন যে কিভাবে যেন স্বপ্ন পূরন হয়ে গেছে....সকল প্রশংসা আল্লাহর...
:চলো এবার যাওয়া যাক...আমার লাঠিটা দাও...
:আমার হাতটা ধরো....
:হ্যা সেটাই তো ধরে আছি ৬৫ বছর...মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধরে থাকব।
:তুমি আস্তে আস্তে হাটো, চলো ওই আইলে বসে একটু জিড়িয়ে নেই....
:আচ্ছা ঠিক আছে...
:পুটির মা কেমন লাগছে ?
:আজ অনেক ভালো লাগছে গো পুটির বাপ...আচ্ছা পুটির বাপ মাঠের ওই পাশে তো কোনো বাড়ি ছিলো না। মাস তিনেক আগে এসেছিলাম,তখন তো দেখিনি....
:হুমম...মাস তিনেক আগে এটা ছিলো না,,,,চলো তো দেখী কারা ওখানে....
:ওরে আল্লাহ ,কি সুন্দর বাড়ি...। মানুষের রুচী এত সুন্দর ! দেখেছো পুটির বাপ উঠোনে ফুলের বাগান। চকচকে উঠোন। কি সুন্দর করে বারান্দাটা সাজানো গো। আর এখানে দাড়ালে তো প্রান জুড়িয়ে যাচ্ছে। ও পুটির বাপ ওই বারান্দায় একটু বসলে ওরা রাগ করবে নাকি ? ..ওমা ঘরে তো তালা দেওয়া...তাইলে তো একটু বসা যায়...কি বলো...তারা আসলে আমরা উঠে যাব। আহা মাত্র একটা ঘর...মনে হয় কোনো কৃষক যুবকের নতুন সংসার। তবে রুচী আছে। কি বলো পুটির বাপ ?
:আমি আর কি বলব,সব তো তুমিই বলছ....
:আমরা কিন্তু মাগরিব পর্যন্ত এখানে থাকব...তুমি তাড়াহুড়ো করবা না। আর আজ তোমার সব্জী খেতে গিয়ে কাজ নেই...কাল দেখো। চলো বারান্দায় বসি...বাড়ির মালিক আসলে উঠে যাব....ওহ কি সুন্দর বাতাস গো...
:হুমম...তা বাড়ির বারান্দায় বসবা শুধু ? ভেতরে বসবা না ? ভেতরে আরও সুন্দর...চমৎকার একটা খাট...দুটো চেয়ার। মেঝেতে শিতল পাটি.....
:এই তুমি এসব জানো কিভাবে ? ওদেরকে চিনো নাকি ?তবে যে ভাব দেখালে তুমি চিনোনা....তুমি পচা...
:হাহাহাহা...আচ্ছা আমি পচা.....
:আচ্ছা ওরা কারা,,কি করে লোকটা....?
:লোকটা কৃষক,তবে মনে ভালোবাসা আছে তার বৌয়ের জন্যে। জানো, বৌকে দেবার জন্যে সে এই বাড়িটা তৈরী করেছে।
:আহা কত ভালো লোক,আল্লাহ তাকে বরকত দান করুক ! তার কি সন্তানাদী আছে ?
:আছে মানে !! সন্তানে সয়লাব অবস্থা তার,যদিও কোনো সন্তান তার কাছে থাকেনা,লোকটাই চায়না সন্তানরা তাদের মহান কাজ বাদ দিয়ে এখানে পড়ে থাকুক।
:ওহ...কি করে তার সন্তানরা ?
:তারা আল্লাহর দ্বীন প্রচার করে চারিদিকে। মদীনা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে তারা গভীর পান্ডিত্ব অর্জন করেছে। এখন সে জ্ঞান বিতরন করছে। এটাই পিতার নির্দেশ...
:ওহ,তাই নাকি...তাইলে তো আমাদের পুটিদের তারা চিনবে....
:হ্যা, তা তো চিনবেই...আচ্ছা চলো ঘরে যাই...
:ঘরে যাই মানে ? দেখছো না ঘরে তালা দেওয়া,,আর পরের ঘরে তুমি যাবা কেন ?? দিন দিন ছোট হচ্ছ নাকি ?
:হুমম তাও তো কথা ঠিক....আচ্ছা তাইলে ঘরের তালাটা খুলে প্রবেশ করো....
:এই যা তা বলবা না...
:ওরে সোনামনা...এই নাও চাবী,,খোলো দরজাটা খোল....
আহা অমন করে তাকিয়ো না...খোলো....
:আ...আ...এ কি...ও পুটির বাপ......এসব কি হচ্ছে....ভেতরে এ কি লেখা...এই যে মেঝের উপর...."পুটির মায়ের স্বপ্ন কুটির"
এই তুমি বড় হবা কবে ?? এখনও সেই আগের মতই থেকে গেলে....ও পুটির বাপ,তুমি এসব কবে করলে ??কিভাবে করলে...কিচ্ছু তো বুঝলাম না....
:হেহেহেহে....বুঝতে পারলে কি আর মজা লাগে গো....আজ আমাদের বিবাহিত জীবনের ৬৫ বছর পূর্ণ হল।
:হ্যা সে জন্যেই তো লাল মোরগটা জবাই করে তোমাকে খাওয়ালাম,,,তোমার পছন্দের ছিটে রুটি বানালাম....আমি তো ভাবছিলাম তুমি ভুলে গেছো....দেখেছো...এই বুড়ো কিছু ভোলে না গো....
:হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা....আচ্ছা চলো এবার কিছুক্ষন বিশ্রাম করি....
বিষয়: বিবিধ
১৭১৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৬.৫ মাস পরেই দেখবেন কাহারে পেরেম কয়!!!
ধন্যবাদ ।
সাথে সাথে অতীব জরুরী কথাটা হলো, দ্বীনের প্রচার নয়, বরং দ্বীনের প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহপাক তার নবী (সাঃ)কে দুনিয়ার প্রেরণ করেছিলেন। তাই উদ্দেশ্য শুধু প্রচার নয়, বরং দ্বীন-আল-হক্ব (তথা ইসলামী জীবন বিধান) প্রতিষ্ঠার প্রতষ্ঠাই হতে হবে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এটাই যদি আপনার লেখায় আরও পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠতো তহলে দাওয়াতের মর্যাদায় পূর্ণ হতো লেখাটা।
ধন্যবাদ।
“পুটীর মায়ের স্বপ্ন কুটীর
পূর্ণসুখে ভোরের শিশির”।
রসালো গল্পচ্ছোলে সুন্দর দাওয়াতি আহ্বান অনেক ভালো লাগলো।
আপনাদের জন্য প্রাণভরা অফুরান দোয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন