পুটির বপের মিস্টি দিন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:০৩:৪৭ রাত
পুটির মা !! অঅরে ও পুটির মা !! সাত সকালে গেলে কোথায় !! ওদিকে বৃষ্টির আমেজ এসে পড়ল...কই হে তুমি !!
: ম..র...ন ! ঢং দেখানোর জায়গা পাওনা...চিল্লাফাল্লা....ছিলে কোন চুলায় !!
:হ্যা !! কেমন হলো ! লোকজন নেই কথা শোনা যায় !! আউযুবিল্লাহিমিনিাশ শয়তানহির রাজিম....ওগো তুমি কি ফানা হয়ে গেলে নকি প্রেতাত্মা ! কইগো আমার আদরের পুটির মা !
: এই যে এখানে !!
:ওরে ,,,এই তুমি ধানের গোলায় কেন ?? যদি পড়ে যেতে কি হত উপায়!! তোমাকে না নিষেধ করেছি ধানের গোলায় ঢুকবে না ! আমিই কষ্টে ঢুকি আর তুমি সেখানে....
:দোষ তো তোমার, কতদিন ধরে বলি ঘরের ধানের বস্তাগুলো ভেতরে রাখো,,কথাই তো শোনো না..
:আমি তো বলেছি আজ করব। তোমার তো তর সয়না,,,,আর আমিনের মাকে বলেও তো কাজটা করাতে পারতে !
:না, আমি ভাবলাম তুমি নেই,আর শুধু শুধু বেচারাকে কষ্ট দেব !! তাই নিজেই করলাম....
:তুমি খারাপ কাজ করেছো পুটির মা। আর ধানের বস্তা উঠালে কিভাবে ?
:আমি ধামায় ভরে ভরে উঠিয়েছি,কষ্ট হয়নি ..
:তুমি বললেই হল ! আমি জানিনা,এটা কেমন কাজ ! তোমাকে আমি কখনও কষ্টের কাজ করতে বলেছি ! জীবনে আর কখনও এরকম করবে না,বুঝেছো ?
:আচ্ছা হয়েছে,,তা তুমি ছিলে কোন চুলোয় ?
:জব্বারের চায়ের দোকানে ছিলাম,পত্রিকা পড়ছিলাম,,,,
:কি পড়লে ?
:পড়লাম ধর্ম যার যার উৎসব সবার.....
:তাই নাকি,দারুন তো !
:দারুন মানে ???
: না,মানে আমরা দূর্গা পূজার সময় ঢোল,কাশি বাজাতে বাজাতে যোগদান করব,,আর কুরবানীর ঈদে ওরা গো-মাতার গলায় মালা দিয়ে হুজুরের কাছে আনবে জবাই দেওয়ার জন্যে,এরপর উভয়ে মিলে বড় ভোজ হবে....ধর্মীয় সম্পৃতি...
:হ্যা তাইলে তো দারুন !! চলো সামনের রবীবারে ঢোল ডাগর নিয়ে পূজায় যাই,,,,,তুমি ঢোল বাজাতে পারো গো পুটির মা ??
:থামো ! ফাজিল কোথাকার !!! এই তুমি বললে বৃষ্টি হচ্ছে...কই,,আকাশে তো মেঘও নেই....
:বৃষ্টি হচ্ছে কখন বললাম !! বলেছি বৃষ্টির আমেজ....মানে বৃষ্টি দিনে ভালো মন্দ খাওয়া এই আর কি...
:খাদক কোথাকার,,খাওয়া ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা...
:এই পুটির মা, গতকাল বাজারে গিয়ে কি দেখলাম জানো ? ওহ কি যে দারুন ব্যাপার গো....নগেন্দ্র ঘোষ ভালো ময়রা। ছানা দিয়ে চোখের সামনে রসগোল্লা,কালোজাম বানালো। বিষয়টা খুবই শৈল্পীক গো...। আমার পকেটে টাকা থাকলে তোমার জন্যে এক কেজী কিনে আনতাম গো...
: মিস্টিতে আমার অত আগ্রহ নেই...সারাদিন কেবল খাই খাই....
: আচ্ছা গেদুর মা বলল,তুমি তার থেকে ২ কেজী দুধ কিনেছো। এত দুধ কি করবে গো ? সত্যি বলল,নাকি এমনেই বলল....?
:সত্যি বললো নাকি মিথ্যে বললো তা গেদুর মায়ের কাছে গিয়ে জেনে এসো,আমাকে বলছ কেন ? এই তুমি গোসল করেছো ??
: না করিনি ,আমার গায়ে কোনো ময়লা নেই গো,,,
:এই যাও এক্ষুনি গোসল করে এসো....ওইখানে সাবান আছে...
:আচ্ছা যাচ্ছি...কিন্তু খুব ক্ষুধা পেয়েছে গো....কিন্তু মাথা থেকে মিস্টির কথাটা নামাতে পারছি না। আহা কিভাবে চোখের সামনে মিস্টি বানালো....আচ্ছা পুটির মা, নারকেল বেচা টাকা দিয়ে এক কেজী,,,না হয় আধা কেজী কিনে আনবো ??
:তুমি বেশী খাদক....যাও..গোসলে যাও...
:যাচ্ছি যাচ্ছি...ঝাড়ি ছাড়া কিছু বোঝে না....
================
পুটির মা ভাত রান্না হয়েছে ?
:হ্যা,ঘরে পাটি পেতে বসো আমি আসছি।
:আহা ডাল,,ও আলুবর্তাও আছে...হুহহুহুু কি যে ভালো লাগছে রে....তুমি বসো...আজ টানবো রে...পেটে ক্ষুধা...। সেই ফজরের পর মাটি কেটে ড্রেনটা পরিষ্কার করলাম....কিচ্ছু খাওয়া হয়নি তারপর.....
:এই খাদক কম করে খাও....
:কেনো কম খাবো কেন ? পেটে আমার মাথা পর্যন্ত ক্ষুধা...
:কম করে খাও এটা সুন্নাহ...গলা পর্যন্ত খেয়োনা....
:আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে....ওকি,তাই বলে ভাতের গামলা দূরে সরিয়ে রাখলে কেন ?
:আছে,কারন আছে...বলা যাবেনা....গুরুর নিষেধ...হিহিহিহিহি..
:এত হিহিহিহিহি করোনা,,ঝেড়ে বলো খুলে বলো....খাওয়া কিন্তু শেষের দিকে....
:আচ্ছা বসো তাহলে....
: ওরে এটা কি???ওরে ওটা আবার কি ??/ তোমার দুহাতে দুটো বাটি...মানে কি গো ?
: মানে হল এই যে.....
:ওরে আমার সোনামনা,,,,চাদের কনা ...এটা তো রসগোল্লা আর কালোজান না মোহনভোগ না কি জানি কয়....এসব কিভাবে ??ও পুটির মা কও না গো....
:এই চুপ করে খাও তো....আমি দেখব...
:না না না তা হবে না....আগে প্রথমটা তোমার মুখে পুরে দেব তবেই খাব...এর আগে না...
:এই খাও তো...আগে খাও...
:না,এটা মানব না,,,আমি খাওয়া রেখে উঠে যাব তুমি না খেলে...
:পুলাপাইনের স্বভাব গেলনা....আচ্ছা দাও....আবার কেউ দেখে না ফেলে.....
:দেখলে আমার বয়েই গেল....এই নাও মোহনভোগটাও নাও....এবার দ্যাখো ক্যামনে আমি খাই.....তুমি খুব ভালো গো....তুমি আমার পুটির গুটু গুটু মা....এই তুমি এত ভালো কেন গো ??
:তুমি ফাজিল,তাই আমি ভালো...দুই ভালো একসাথে থাকতে নেই.....
:এই ফাজিল বলবা না....
:ফাজিলকে ফাজিল ছাড়া কি বলব..ফাজিল....!!!
:বেকুফ কোথাকার !!!
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেকদিন পর রসগোল্লাসহ পুটীর মাকে নিয়ে হাজিরা দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দোয়া করি অনাগত দিনগুলো পুটীর মাকে নিয়ে স্বপ্নঘেরা জগতখানি দ্বীনি পরিমণ্ডলে সুখ শান্তিতে ভরে উঠুক।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সপ্নই দেখে যান যথন খাইতে দিব পোড়া ভাত অার আন্ডা ফ্রাই!!!!
আজকে আমাদের ভর্তাদিন অবশ্য এগুলো ও আমি খেতে পারি না ওহ্ হ কি ঝাল !
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ইলিশের উপরে মাছ নাই।
গরুর গোসের জুড়ি নাই
ভুনা খিঁচুড়ীতে অরূচী নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন