ছেলেটি তার মাকে ছেড়ে গেল !!!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:০১:৪৭ সকাল



আমি একজন আমেরিকান ভদ্র মহিলাকে চিনি ,যিনি সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তারও আগে সেনাবাহিনীর অফিসার ছিলেন। তার সন্তান যখন ছোট তখন ডিভোর্স হয়ে যায়। আদালত সন্তানকে তার সাথেই থাকার অনুমোদন দেয়।

তার সন্তান বেশ শান্ত শিষ্ট। আমি যেখানে সাতার কাটি সেখানেই সে সাতার কাটত। বেশ উচু লম্বা এবং দক্ষ সাতারু ছিলো সে। তার মা তাকে অত্যন্ত আদর করত এবং তার সৎ পিতাও ভালোবাসত। এভাবে ১৮টি বছর তাকে লালন-পালন করল তার মা। আর আবারও আদালতের শ্মরনাপন্ন হতে হল তাদেরকে নিয়মানুযায়ী। কিন্তু ১৮ বছরের ছেলেটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল সে তার পিতার সাথেই বসবাস করবে।

ছেলেটি চলে গেছে ফ্লোরিডায় তার বাপের কাছে। তার মাকে বললাম আপনার অনুভূতি কি তা প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই,কারন মায়ের অনুভূতি বিশ্বের সর্বত্রই সমান। কিন্তু এইটা কোনো কথা হল যে আপনি ১৮ বছর চরম ভালোবাসার লালন করলেন আর সে চলে গেল !!!

একই ঘটনা ঘটেছিলো আমার পরিচিত এক কানাডিয়ান বয়ষ্ক নও মুসলিম নারীর ক্ষেত্রে। একই ঘটনা। তিনিও ১৮ বছর লালন পালন করার পর পুত্র পিতার সাথে চলে যায়। মা দু:খে আরবীয় দেশ কাতারে চলে যায়,পরে আবারও কানাডায় চলে আসে এবং বিয়ে করে। কিন্তু তার পুত্রের শোক কাটেনি। অথচ পুত্রের কাছে এটার কোনো দামই নেই।

কখনও আদালত একাধিক সন্তানকে পিতা মাতার ভেতর ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। অথচ ভালোবাসাকে কখনও ভাগ করা যায় না,যা আদালত করে চলেছে। অবশ্য আদালতের দোষ নয়, এটা হল পাশ্চাত্যের জীবন ব্যবস্থার একটি করুন রূপ। এভাবে অনেক বঞ্চিত মা তার সঞ্চিত ভালোবাসা কুকুরের সাথে ভাগাভাগি করে বেচে আছে। বহু খবর তো আমাদের কাছেই কখনও পৌছতেই পারেনা।

বিষয়: বিবিধ

১৫১৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377023
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম !
আসলেই ভালবাসা ভাগ হয় না, অনি:শেষ! মায়ের ভালবাসার তো তুলনাই হয় না.
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:২৪
312564
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম, সঠিক বলেছেন Happy
377029
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে লালিত পালিত হয়ে বাংলাদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে যোগ্যতা অর্জন করা মাত্রই বাইরের কোন দেশে সেটেল্ড হয়।

বাবা মা , আপনজন বা দেশের মায়া এখানে কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:২৭
312565
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এতে প্রমানিত হয়না যে বাপ মায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই। কিন্তু জীবীকার তাড়নায় মানুষ বাইরে যায়। পকেটে পয়না না থাকলে ভালোবাসাও হালকা হয়ে যায়। কিন্তু যার কথা বললাম তার সাথে এটা মিলেনা। তার মা ধনী মানুষ। আমেরিকার টপ শ্রেনীর ভেতর পড়ে
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৭:৩৬
312576
হতভাগা লিখেছেন : এরকম দেখা যায় বাংলাদেশের এলিট শ্রেনীতেই । প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ এক কলামে এরকম একটা বিষয়ে লিখেছিলেন ।

গুলশান ১ থেকে এখনকার হাতির ঝিলের দিকে এমন অনেক বাড়ি আছে যেখানে বুড়োবুড়ি একা থাকেন । তাদের সন্তানেরা বাইরে সেটেল্ড ।

আর কিছু বলা লাগবে ?
377032
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জিবনের বাস্তবতা ভালবাসার চেয়ে অধিক।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:২৮
312566
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কিন্তু তার বাস্তবতা বোঝার বয়স হয়নি। তার মা তাকে সবই দিয়েছিলো। সম্ভবত সে কিউরিয়াস ছিলো যে মায়ের ভালোবাসা তো পেলাম এবার বাপেরটা দেখে অঅসি...
377033
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ইসলামেও সন্তানের মালিকানা পিতাকে দেয়া হয়েছে, তবে মায়ের সাথে সদাচরণের নির্দেশটাও অলংঘণীয়!

মহিলাদের দায়মুক্ত রাখতেই এমন ব্যবস্থা!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৩২
312567
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হ্যা কিন্তু ইসলামে এ বিষয়ে আপোষের ব্যবস্থা আছে। পিতার ,মাতার বিচ্ছিন্নতা সন্তানের জন্যে খুব খারাপ। আমেরিকার বেশীরভাগ সন্তানই এমন ভাবে বেড়ে ওঠে
377037
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:২২
আফরা লিখেছেন : ভালবাসা ভাগ না হলে ও এদেশের ছেলে মেয়েরা ১৮ বছর হলে এমনিতেই চলে যায় আর বাবা, মা রাও এটা চায় ।

তবে আমাদের এখানে নিয়মটা একটু ভিন্ন ১৮ বছর পর্যন্ত দুইজনের কাছেই থাকবে ১ মাস - ১ মাস বা ১ সপ্তাহ -১ সপ্তাহ অথবা দুইজনে কথা বলে তাদের সুবিধা মত সময় ভাগ করে নিতে পার সন্তানের বয়স ১৮ পর্যন্ত । ১৮ বছর হলে সন্তান তার ডিসিশন নিবে ।

ধন্যবাদ ।

০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
312541
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : একটা ক্যাপিটালিস্ট সিস্টেমে এটাই হয় সাধারণত|এখানে ফ্যামিলিগুলো ভেঙে যায় দ্রুত খুব সহজ কারণেই|বাবা মার্ মধ্যে ডিভোর্স হলে ছেলে মেয়ে কার কাছে থাকবে এটা ঠিক হয় কে তাদের ভালো ভাবে টেক কেয়ার করতে পারবে তার উপর ভিত্তি করে | বাবা মা যদি একই রকম চাকুরী করে তাহলে ছেলে মেয়ে দুজনেরই সাথে একই রকম সময় থাকে সাধারণত যদি খুব ছোট না হয় | আমার ছেলে মেয়ে দুজনেরই অনেক বন্ধুর বাবা মাই ডিভোর্সড তাদের ক্ষেত্রে আমি এমনি দেখি | অনেক ক্ষেত্রেই দশ বারো বছরেরবা তার চেয়ে বড় ছেলে মেয়েরা ডিভোর্সের পর বাবা বা মা যার কাছে থাকতে চায় তার কাছেই থাকার অনুমতি পেয়েছে কোর্ট থেকে এরকম উধাহরনও আছে | আফরা,আপনার প্রথম কমেন্টটা খুবই সত্যি|এরা এতো ব্যক্তি স্বাধীনতার সমর্থক যে এরা চায় ছেলে মেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গড়ে উঠুক | একজন আরেকজনের জীবনের কোনো ব্যাপারেই নাক গলাতে চায় না | তাই আঠারো বছরের পর ছেলে মেয়েরা আলাদা হয়ে যায় | একই শহরে থাকলেও ছেলে মেয়েরা আলাদা থাকে | দেখি শহরের ইউনিভার্সিটিতে পড়লেও এরা আলাদা বাসায় থেকেই পড়াশোনা করে|ইউনিভার্সিটিতে পড়া শুরু করেই এরা বাবা মার্ থেকে আলাদা হয়ে যায় |
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১২:০৯
312557
আফরা লিখেছেন : জী ভাইয়া আপনার কথা ঠিক ।আবার এটা ও দেখা যায় ব্যস্ততার কারনে কেউ ই সন্তানের দায়িত্ব নিতে চায় না । এর জন্য আবার ঝগড়া ঝাটি আইন আদালত শেষে আদরের সন্তানের জায়গা হয় সরকারী আশ্রমে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৩৩
312568
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার পুটিদেরকে যেতেই দেব না। এমনভাবে শিক্ষা দেব তারা সিস্টেম উল্টে দেবে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
377042
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:০১
আনিসুর রহমান লিখেছেন : As a believer our first love must be Allah not our children nor even the country you born or live. Second love must be Prophet(). This are the demand of EEMAN. When somebody else full fill the condition of eeman. He/she should not be sorrow for anything else. That is why we had been seen lots of example from the life of the companion of prophet.
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৩৮
312569
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি আপনি যে কনসেপ্ট থেকে কথা বলেছেন তার সাথে একমত এবং মকল মুসলিমেরই কনসেপ্ট এটা। কিন্তু আমি ভিন্ন অঅঙ্গিকে উপস্থাপন করেছি। ছেলেটির অঅচরনে তাকে স্বার্থপর মনে হয়েছে। হয়ত নতুন পরিবেশ সে পছন্দ করার কারনে এমনটা হয়েছে।

এটা ঠিক যে যদি কেউ মনে করে তার সকল ভালোবাসা আল্লাহই পাবে,তাকে কিছু দিলে আল্লাহই দেয়,কেড়ে নিলে আল্লাহই নেয় তাহলে দু:খ বোধ প্রবল হতে পারেনা। কিন্তু তারপরও মানুষের আবেগ রয়েছে। সে অনুভূতিশীল। জাজাকাল্লাহ
377048
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫১
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : নানা কারণেই এখানে এমন হয়| আমেরিকা দেশটা খুবই বড়|কারো বাবা মা যদি নিউ ইয়র্কে থাকে আর ছেলে বা মেয়ে যদি ইউনিভার্সিটি শেষ করে চাকুরী পায় ক্যালিফোর্নিয়ায় তাহলে বাবা মা-র সাথে নিয়মিত দেখা করা খুবই কঠিন | এরা যে ভাবে জীবনটা দেখে সেদিক থেকে এটা সময় আর টাকা দুদিক থেকেই কঠিন|এছাড়া এরা বেশির ভাগই ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে একটা বড় অংকের টাকা ঋণ নিয়ে যেটাকে এরা এডুকেশন লোন বলে|এরা চাকুরীর শুরু থেকেই এই লোনটা শোধ করা শুরু করে |যার জন্য অনেক সময়ই এরা জমানো টাকার বেশির ভাগই চলে যায় লোন শোধ করার জন্যই|এই ঋণ শোধ করার জন্য তাই খরচ করে দূরে থাকা বাবা মার্ কাছেও অনেক সময় ভ্যাকেশন-গুলোতে যেতে চায় না|এভাবেই একটা দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়|
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৪১
312570
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি এটার ভালো মন্দ দুদিকই আছে । কিন্তু আমরা পিতা মাতার সাথে সম্পর্ককে আখিরাতের সাথে বিবেচনা করি,ফলে আওয়াজ ছাড়াই পিতা-মাতা জিন্দাবাদ। Happy
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:১৭
312572
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : বাবা-মার সাথে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আপনার মন্তব্য সম্পর্কে পুরোপুরি একমত হলাম |
377053
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু ছোট ভাই। জীবনের করুণ বাস্তবতা বেশ মর্মস্পর্শীভাবে উপস্থাপন করেছেন। মাশাআল্লাহ। ভালোবাসার আইনি লড়াইয়ে অনেকাংশে হারিয়ে যায় ভালোবাসার সংজ্ঞা।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৪২
312571
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম। জি সিস্টার,কথা ঠিক,ভালোবাসা আর আইন তো এক জিনিস না। কিন্তু ভালোবাসার ভেতর আইন ষাড়ের মত গুতো দেয়

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File