এহি হে হাকিকাত...
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৯ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৫২:৫৮ সকাল
পূর্বে কেউ আত্মীয়ের বাড়ি গেলে অন্তত এক সপ্তাহ থাকত,কেউ কেউ মাসাধিককালও থাকত। এতে কেউ কিছু মনে করত না। একেবারে গরিব মানুষের বাড়িতেও আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসত এবং দীর্ঘদিন থাকত। সম্পদের প্রাচুর্য না থাকলেও এ সাংষ্কৃতি সযত্নে রক্ষিত ছিলো।
অতিথীর সামনে কখনও অভাব প্রকাশ করা হত না। বরং অতিথী যেদিন চলে যেতে চাইত,সেদিন যেতে না দেওয়াই ছিলো রীতি। গৃহকর্তা বলত, আর কটাদিন থেকে যান,বা আগামী কাল ...পরশু যান। গৃহকর্তার কথা রেখে অতিথী থেকে যেত। অতিথী আত্মীয় বাড়িতে নিজের মত থাকত এবং বেশ খাতির যত্ন পেত। যদিও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মাত্র একজনই ছিলো কিন্তু তারপরও একাধিক সন্তানাদি নিয়ে তাদের চলে গেছে।
আজ সম্পদের প্রাচুর্য পূর্বের থেকে বেশী কিন্তু কেউ কারো বাড়ি যেতে চায়না অথবা কারো বাড়ি অতিথী আসাকে পছন্দ করা হয়না। অতিথীও তেমনই ব্যস্ত মানুষ তাই কারো বাড়িতার যাওয়াও হয়না। এমনকি মোবাইলের যুগেও দীর্ঘদিন ফোন করাও হয়না। একই পরিবারে উপার্জনক্ষম মানুষের পরিমান বেশী,উপার্জনকারীর সংখ্যা বেশী,অর্থের যোগান বেশী কিন্তু সকলেই যেন অভাবী।
পূর্বে বেকারের সংখ্যা যথেষ্ট বেশী ছিলো কিন্তু চাকুরীর জন্যে কুত্তা পাগল অবস্থা ছিলোনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জীবীকার পেছনে এত মেহনত পূর্বের লোকেরা করেনি অথচ তাদের বেশ চলে গেছে হাসি আনন্দে। এখনকার মানুষ হাসতেও ভুলে গেছে,সর্বদা টেনশন,হাহাকার। মানুষের ভেতর থেকে সরলতা উঠে গেছে,এখন কপটতা সে স্থান দখল করে ফেলেছে। অবিশ্বাস করাই এখনকার বৈশিষ্ট্য।
প্রযুক্তির উন্নয়ন,যোগাযোগের উন্নতি,অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ইত্যাদীর যে ফলাফল আশা করার কথা ছিলো তা হয়নি। বরং উল্টোটা হয়েছে। এর কারন হল মানুষের উপর থেকে রহমত ক্রমান্বয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের আচরনের পরিবর্তনের কারনে। তারা এখন নিজেরাই নিজেদের দ্বারা নিষ্পেষিত। অকৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতেও লাঞ্চিত করেন !
বিষয়: বিবিধ
১২৫২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে মনে হয় একে অন্যের কাছে যাওয়া-আসাতে যে আন্তরিকতা বাড়ত ফোনে যোগাযোগে সেটা সম্ভব না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন