কেনো ইসলামের নামে সন্ত্রাস বাড়ছে !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০১:১৩ রাত
সারা বিশ্ব আজ অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে চলেছে। শান্ত সুন্দর আরবও অশান্ত। যেসব দেশের মানুষ আরামে দিনাতিপাত করছিলো,স্ত্রী সন্তান নিয়ে সূখের বসতি গড়েছিলো হঠাৎ করেই এক আলোড়নে তাদের বস্তুজগৎ ও মনোজগৎ তছনছ হয়ে উঠল। শান্ত মানুষগুলো অস্ত্র হতে ঝাপিয়ে পড়ল। আরবের পরিস্থিতি আর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কিছু মিল থাকলেও কার্যগত ক্ষেত্রে বা পদ্ধতিগতভাবে অমিল রয়েছে। আমি বাংলাদেশের বিষয়ে বলব।
আমরা যারা মনে করি ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাসবাদীরা অন্ধ হয়ে তাদের হিংসা চরিতার্থ করছে,তারা এখনও বোকার স্বর্গে রয়েছে। খুবই প্রচলিত কথা হল এদের ব্রেইন ওয়াশ করে ছেড়ে দিচ্ছে বোমা মারার জন্যে। এরূপ গ্রুপগুলোকে আবার অনেক সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার অনেক পন্ডিত এদেরকে অবমূল্যায়ন করে। সরকারী গোষ্ঠী তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবে এসব বিষয়ে হাস্যকর বক্তব্য প্রদান করে।
অনেকে বলে অভাবী মানুষদেরকে বিরাট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দিয়ে এসব হামলা করানো হয়। এই কথা যারা বলে তারা হল মানুষিকভাবে প্রায় প্রতিবন্দী। তাদের এই যুক্তির পেছনে যে যুক্তি কাজ করে তা হল এই যে, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা দাগী সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনেক সময় বিভিন্ন স্থানে ককটেল,পেট্রোল বোম ফাটায়,কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করে এসব....থেকে অনুমিত সিদ্ধান্ত।
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠিত চিন্তাশীল ব্যক্তিরাও ইসলামের নামে সন্ত্রাস করা গ্রুপগুলোকে হাস্যকরভাবে বিশ্লেষন করে। তাদের বিশ্লেষনের বেশকিছু বিষয় সত্য,কিন্তু আসল দিকটি তারা অনুধাবন করতে পারেনা,এ সংক্রান্ত শিক্ষাগত ত্রুটির কারনে। কারন এসব বিশ্লেষক ও পন্ডিতরা ইসলাম সম্পর্কে ও ইসলাম নিয়ে উগ্রবাদ সম্পর্কে ছাত্র জীবনে বা প্রফেশনাল জীবনে কখনই পড়াশুনা করেনি।লোকমুখে,মিডিয়া থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন তথ্য নেওয়া ছাড়া তাদের আর তেমন কোনো সূত্র জানা নেই। ফলে তারা এসব সন্ত্রাস মোকাবিলায় যেসব সুপারিশ করেন,তা পরিপালিত হওয়ার পর আবারও একই রকম ঘটনা ঘটতে থাকে। তখন তারা আবারও ভুলভাল সংশোধনী আনেন এবং ঘটনা একইভাবে ঘটতে থাকে।
কোনো সমস্যা সমাধানের প্রধান শর্ত হল সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা রাখা। বাংলাদেশের সুশীল পন্ডিত বা বুদ্ধিজীবী মহল ইসলামের নামে সন্ত্রাস সাবজেক্টে বলদের পর্যায়ে পড়ে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমার এটাও বিশ্বাস যে এদের অনেকে হয়ত বিষয় অনুধাবন করতে পারে কিন্তু সে মোতাবেক কথা বললে বক্তব্য সরকারীভাবে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হবেনা বরং প্রত্যাখ্যাত হবে,তাই সরকারকে খুশী রাখার জন্যেও তারা সঠিক কথা বলেন না।
এবার সংক্ষেপে মূল বক্তবে প্রবেশ করি:
আমার মতে দুভাবে চরমপন্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১. যখন মানুষের অধিকার ক্রমাগতভাবে ক্ষুন্ন হয় এবং তাদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয় বা তাদের সামনে তাদের সমমনা মানুষের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয় এবং প্রতিবাদ করলে অত্যাচার বাড়ানো হয়,প্রতিকারের বদলে হেনস্থা করা হয় এবং এখান থেকে বের হবার রাস্তা খোলা থাকেনা বা তাদের জানা থাকেনা,তখনই এই মানুষেরা ধ্বংসাত্ত্বক হয়ে ওঠে। এর ফলশ্রুতিতে এই নির্যাতিত মানুষ বা মানুষের সমষ্টি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে। এই প্রতিশোধপরায়নতার পরিনতি হয় সন্ত্রাসবাদ। মানুষ নির্মমতার শিকার হয়ে হতাশ হতে হতে একসময় ধ্বংসাত্বক হয়ে ওঠে। নিজের জীবনের পরোয়া একটা পর্যায়ে করেনা।
২. ভূলভাবে আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। এটাই মূলত: আজকের ইসলামের নামে সন্ত্রাসের মূল।
১ নংটি নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। ২ নংটিই আমাদের আলোচ্য।
ইসলামকে পূর্নাঙ্গ জীবন ববস্থা হিসেবে সমাজে,রাষ্ট্রে তা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে ইসলামী সংগঠনগুলো। এক্ষেত্রে কেউ কেউ পাশ্চাত্যের তৈরী ফরমেটের ভেতর দিয়ে এগিয়ে তারপর ইসলামী স্ট্রাকচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসি,আবার কেউ কেউ প্রথম থেকেই ইসলামী স্ট্রাকচারের ভেতর দিয়ে নিয়তান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তনে আগ্রহী। কেউ কেউ গণবিপ্লবের মাধ্যমে এ কাজটি করতে আগ্রহী,আবার কেউ কেউ স্বশস্ত্র সংগ্রামের ভেতর দিয়ে কাজকি করতে আগ্রহী।
উপরোক্ত সকল গ্রুপেরই কুরআন-সুন্নাহর দলিল রয়েছে তাদের কর্মপন্থার অনুকূলে। এক পক্ষের দলিল প্রমান অন্যপক্ষের কাছে সঠিক মনে না হলেও তাদের কাছে সঠিক। মূলত: কিছু ইস্তেহাদী বিষয় নিয়ে ঐক্য প্রকাশ করেই তাদের কর্মপন্থা।
যারা স্বশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাসী তাদের ভেতরও নানান ভাগ রয়েছে। এবং এদের প্রত্যেকেই কুরঅঅন সুন্নাহর ব্যাখ্যাগত বিষয়েই ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করে বা মতানৈক্য ঘটায়। এদের প্রত্যেকের চিন্তা পরিচ্ছন্ন হলেও কর্মপন্থা পরিচ্ছন্ন নয়। উদ্দেশগতভাবে প্রত্যেকটি ইসলামী সংগঠন এক হলেও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় কর্মপন্থা ভিন্ন।
তবে আসল বিষয় হল ইসলাম স্পষ্ট,তাই সাধারন মানুষও তা অধ্যায়নে সত্য অনুধবন করতে পারে। ফলে এটা অনুধাবন করে সন্ত্রাস করার সুযোগ নেই। তাহলে কিছু মানুষ ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে সন্ত্রাসকে(তাদের ভাষায় জিহাদ) বেছে নেয় কেন ?
এর উত্তর হল- এরা কতিপয় এমন মানুষ যারা ব্যতিক্রমী বিশ্লেষন করতে পারে। আর ব্যতিক্রমকে নিজেদের কর্মপন্থা হিসেবে গ্রহন করে। তবে এরা ইসলাম দ্বারাই প্রনোদিত বা কনভিন্সড। উদাহরন দিচ্ছি :
" হিজরতের পর মক্কার কুরাইশদের সাথে রসূল(সাঃ)এর হুদায়বিয়ার সন্ধীর একটা শর্ত ছিলো কোনো মুসলিম মদীনা থেকে মক্কায় গেলে তাকে ফেরৎ পাঠানো হবেনা,কিন্তু মক্কা থেকে মদীনা গেলে তাকে ফেরৎ পাঠাতে হবে। এই সন্ধীর পর কিছু মুসলিম মক্কায় গিয়ে আটক হয়,নিযাতিত হয়। এদের অনেকে পালিয়ে যায়। যেহেতু রসূল(সাঃ) মক্কার সাথে চুক্তি করেছেন তাদেরকে ফেরত নিবেন না,তাই তিনি তাদেরকে মক্কায় ফেরত নেননি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী। পরে সেসব মুসলিমরা মদীনার বাইরে সিরিয়ার পথে অবস্থান নিয়েছিলো। এবং যখন মক্কার বানিজ্য কাফেলা সিরিয়াতে যেত,তখন সেই মুসলিম গ্রুপ স্বশস্ত্র আক্রমন চালাতো বানিজ্য কাফেলায়। কিন্তু রসূল(সাঃ) তাদের এই কর্মকান্ডে নিন্দা করেননি।
এই অংশে দুটো অভিমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,যার একটি গ্রহন করেছে মুসলিমদের উক্ত তথাকথিত জিহাদী(সন্ত্রাসী) গ্রুপ। তারা বলে-যেহেতু রসূল(সাঃ)সেসব মুসলিমদের কর্মকান্ডকে খারাপ বলেননি,তাই আমরাও ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যে বা মুসলিমের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্যে স্বশস্ত্র হামলা চালবো বা চালাতে পারি।
মুসলিমদের বেশীরভাগ পন্ডিতই একমত যে, উক্ত ঘটনা ছিলো একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। মদীনা রাষ্ট্র ও মক্কার ভেতর যে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছিলো সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই রসূল(সাঃ) মদীনার বাইরের অবস্থা সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করেননি। তাই উক্ত গ্রুপ সম্পর্কে মক্কার কাফিররা অভিযোগ জানালে তিনি চুক্তি অনুযায়ীই তার কিছু করার নেই মন্তব্য করেন। এটি ছিলো মূলত: একটি ব্যতিক্রম। অর্থাৎ উক্ত মুসলিমদের ব্যাপারে রসূল(সাঃ)দায় দায়িত্ব গ্রহন করেননি। ফলে এখান থেকে আমরা যখন আদর্শ গ্রহন করব, তখন রসূল(সাঃ) ও তার সাথে মদীনায় থাকা সাহাবীদের সাথে থেকে সেটি গ্রহন করব। উক্ত সময়ে মদীনার বাইরে ও চুক্তির বাইরের বিষয় থেকে আদর্শ গ্রহন করব না। কিন্তু উগ্র কিছু গ্রুপ এটা বলে যে, সেই মুসলিম গ্রুপের উক্ত হামলার ব্যাপারে রসূল(সাঃ) যেহেতু কিছু বলেননি ,অতএব আমরা তা করতে পারি। মূলত: এটি মূল স্রোত থেকে বাইরে গিয়ে চিন্তা করা ছাড়া কিছু নয়।
মদীনায় রসুল(সাঃ) বড় যুদ্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু সারিয়া বা ছোট অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। সেসব অভিযানকে উক্ত গ্রুপগুলো রেফারেন্স হিসেবে গ্রহন করেছে। কিন্তু এখানে প্রধান পার্থক্য হল মদীনা ছিলো একটি রাষ্ট্র আর এর প্রধান ছিলেন রসূল(সাঃ)। তিনি(সাঃ) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এটি করেছেন তার নিয়মিত স্বশস্ত্র বহিনী দ্বারা। এটা ছিলো পররাষ্ট্র সংক্রান্ত একটি নীতি,যা কোনো গ্রুপের কাজ হতে পারেনা। এটি করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র করবে।
বেশীরভাগ স্কলার একমত যে, জিহাদ মানেই অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়া নয়। বরং এটি ইসলামী রাষ্ট্রের একটি পলিসি। রাষ্ট্র ঘোষনা করবে জিহাদ। তখন সেটি সক্ষমদের উপর ফরজে কিফায়া হয়ে যাবে,আর এটি প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ফরজে আইনও হয়ে যায়। কিন্তু উক্ত স্বশস্ত্র গ্রুপ বলে-যেহেতু আলকুরআন পুরো অবতীর্ণ হয়ে গেছে ,ফলে এখন আর রাষ্ট্র গঠনের পূর্ব,পর বলে কিছু নেই। আমভাবে সবকিছু সবসময়ই প্রযোজ্য। জিহাদের আয়াত আমাদের এমন গ্রুপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য,যাদের রাষ্ট্র নেই।
তবে এটা ঠিক যে প্রতিরোধ জিহাদের রাস্তা সবসময়ই খোলা। যেমন কোনো দেশের উপর অন্য দেশ আক্রমন করল। তখন জীবন,সম্পদ,উজ্জত বাচানোর জন্যে জনগন বা সে দেশের মুসলিম আর্মীর স্বশস্ত্র আক্রমন করা জিহাদ। এটি সবসময় উম্মুক্ত।
=============
রসূল(সাঃ) মদীনায় শাসন কার্য পরিচালনাকালে কাব ইবনে আশরাফ নামক একজন ইহুদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো ব্যপক। অন্যদেরকে অঅক্রমনে সহায়তাও করেছিলো। কিন্তু তাকে অঅক্রমন করা সহজ ছিলোনা। ব্যপক রক্তপাত এড়াতে তাকে কৌশলে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। একজন মুসলিম জীবনের ঝুকি নিয়ে বিরাট কৌশলে এটি সাফল্যের সাথে করে। অনুরূপ আরেকজন শত্রুকেও এভাবে আক্রমন করে হত্যা করা হয়। ......এই দুটি ঘটনাকে উক্ত গ্রুপ তাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছে। ফলে তাদের পক্ষ থেকে কিছু লোক বিশেষ অভিযানে যায়। জিম্মী করে,হত্যা করে এবং এটাকে সুন্নাহর সাথে মেলায়। অথচ পূর্বোক্ত ঘটনাটি ছিলো একটি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যে। কিন্তু এরা এটাকে তাদের মত গ্রুপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভেবে একাজ করেছে। আর পার্থক্য হল এরা সাধারন মানুষকে হত্যা করাও জায়েজ ভেবেছে,যদিও রসূল(সাঃ) নিরাপরাধ মানুষকে হত্যার আদেশ প্রদান করেননি। বরং রসূল(সাঃ) জিহাদের উদ্দেশ্যে পাঠানো বাহিনীকে বার বার বলতেন "খবরদার নারী,শিশু,বৃদ্ধদের উপর আঘাত করবে না,যারা ধার্মিক বা ধর্মীয় উপাসনালয়ে থাকে তাদের উপর আক্রমন করবে না। ফলবান বৃক্ষ ও পসলের ক্ষতি করবে না।"....বুখারীসহ অনেক হাদীস গ্রন্থে ও ইতিহাসের কিতাবে এগুলি স্পষ্ট দেখা যায়। আলকুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-যে একজন নিরাপরাধ লোককে হত্যা করল সে যেন গোটা দুনিয়ার মানুষকেই হত্যা করল,আর যে একজনের জীবন বাচালো,যে যেন সারা বিশ্বের মানুষকে বাঁচালো।
===============
তারা আরও বলে-আল কুরআনে সূরা আল মায়েদার ৪৪,৪৫,৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে -যারা আল কুরআন দ্বারা বিচার ফয়সালা করেনা,তারাই যালিম,কাফির,ফাসিক...
যেহেতু সরকার কুরআন দ্বারা শাসন করেনা তাই তারা কাফির,যালিম ,ফাসিক অতএব তাদেরকে হত্যা করা বৈধ। কিন্তু এসব সম্পর্কে আরও বহু হাদীস রয়েছে যেটা এরূপ ক্ষেত্রে সংশোধনের কথা বলে,নানান নিয়মতান্ত্রিকতার কথা বলে। সেসব বিষয় উক্ত গ্রুপ বিবেচনায় আনেনা অথবা তার ব্যাখ্যা করে নিজেদের মত এবং কথায় কথায় হত্যা করাকে বৈধ মনে করে। বিষয়টা এমন যে...অমুক নামাজ পড়েনা,...আর মুনির ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ...সে কাফির...অতএব হত্যা করো....
এভাবে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তারা চরম পন্থাকে বেছে নিয়েছে। আর এটাকেই তারা বৈধ মনে করে। একাজে নিহত হলে তারা নিজেদেরকে শহীদ মনে করে।
বাস্তবতা হচ্ছে যেসব গ্রুপকে মানুষ চোখেও দেখতে পায়না,যারা মানুষের কাছাকাছি আসেনা,মানুষের সুখ দু:খের সাথে মিশে নিয়মতান্ত্রিক সমাধানে এগিয়ে আসেনা,কেবল অস্ত্র নিয়ে ভাবে,এরা ইসলাম কিভাবেও কাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করবে তার উত্তর নেই। যখন মানুষ তাদের ভয়ে ভীত,সন্ত্রস্ত তখন ইসলাম তারা কাদেরকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করবে সেটি বিরাট প্রশ্ন। এভাবে অস্ত্রবাজি করে রসূল(সাঃ) ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেননি,তা জানার পরও কিভাবে এসব কর্মকান্ড চলতে পারে,তা একটা বিরাট প্রশ্ন। তবে এরূপ গ্রুপের সকলেই ইসলাম দ্বারা মোটিভেটেড নয়। এদের অনুকরনে কিছু বিদেশী চরও অনুরূপ হামলা চালিয়ে ইসলামকে কলুষিত করার চেষ্টা করে।
================
যা বললাম তা নিয়ে বিরাট লেখা দাড় করানো যায়। আমি বেশীরভাগ বিষয়ই উল্লেখ করিনি ও খুব সংক্প্তি করেছি। শেষে এসে বলব, সরকার যদি এসব নিয়ে স্ট্যাডী না করে তাহলে তারা কখনই এসব নিরাময় করতে পারবে না। প্রচলিত সরকার যতই খারাপ হোক তাদের উৎখাতে নিয়মতান্ত্রিকতার পরিপন্থী কাজ করা যাবেনা। আদর্শের জবাব আদর্শ ছাড়া কিছু হতে পারেনা। সরকারকে এই উগ্রবাদীতা দমন করতে হলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ইসলামী সংগঠনকে ছাড় দিতে হবে। তাদের উপর দমন পীড়ন বন্ধ করতে হবে। কারন দমন পীড়নের কারনে তাদের ভেতর থেকেই উগ্র একটি গ্রুপ তৈরী হয়ে যেতে পারে,যারা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠবে। কিন্তু যারা ভিন্ন আদর্শ সমাজে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়,তারা সুবিচার পেলে বা আদর্শিক ছাড় পেলে দেশে ধর্মীয় উগ্রতার পথ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মনে রাখা জরুরী, যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তা রোধ করার অন্য কোনো উপায় নেই। কারন ইসলাম যারা পূর্ণ আদর্শরূপে গ্রহন করেছে,তারাই তরুন,যুবকদেরকে প্রকৃত ইসলাম শেখাবে। ফলে উগ্র,গুপ্ত কারো পক্ষে ইসলামের কথা বলে অন্যকে উগ্রপন্থী বানানোর রাস্তা বন্ধ হবে।
আর যদি বিষয়টি তারা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়,উদ্ভট কথামালা প্রচার করতে থাকে,উদ্ভট তত্ত্ব আবিষ্কার করতে থাকে ও সাধারন মানুষের উপর দমনপীড়ন করতে থাকে,তাহলে সামনে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আর এসবের ভেতর দিয়ে অন্য শক্তিসমূহ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে এবং তারাও পানি ঘোলা করবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সমস্যা হচ্ছে ইসলাম এর নামে সন্ত্রাস যারা করছে তারা আসলে কতটুক ইসলামি জিবনযাপন করে সেটা না দেখিয়ে তথাকথিত মিডিয়া ইসলাম এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর ক্ষুদার্থ মানুষ একসময় খাবার এর জন্য হামলা করবেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন