পরকীয়া নাকি স্বকিয়া !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৭ জুন, ২০১৬, ১১:৩২:৪০ রাত
একটা সংবাদে দেখলাম বাংলাদেশের এক বিশাল সাহসী আধুনিকা নারী সাদীয়া নাসরিন লিখেছেন :
.....অনেক হয়েছে। যথেষ্ট। এবার থামাও মেয়ে। ঘুরে দাঁড়াও। ওরা এমনিতে থামবে না। ওদের থামাতে হবে। চরিত্রের জুজুর ভয় আর কতো? “পরকিয়া” মানে কি? পরের সাথে যে কিয়া? আরে ! আমি যদি কারো সাথে “কিয়া” করি, সে কি আর “পর” থাকে? তাহলে পরকিয়া হয় কেমনে? সে তো “স্বকিয়া”। প্রতিটা প্রেম, প্রতিটা সম্পর্কই তো বাস্তবতা। সম্পর্কে অতীত বলে তো কিছু নেই। যদি কোন সম্পর্কে জড়িয়ে যাও জীবনের যে কোন প্রান্তে, সে সম্পর্ক স্বীকার করে নেয়ার সাহস অর্জন করো, মেয়ে।
ঘুরে দাঁড়াও। চিৎকার করে বলো, আমি “স্বকিয়া” করি। কোন সমস্যা? মনে রেখ, রাম-রহিম সবাই তোমাকে সীতা হিসেবেই চায়। অতএব, তোমাকেই ঠিক করতে হবে তুমি আর কতযুগ অগ্নিপরীক্ষা দিবে একটা চারিত্রিক সনদের জন্য। অতএব চ্যালেঞ্জ করো।
জাগো, মেয়ে, বাঁচো। যেমন খুশি তেমন বাঁচো। তুমুল বাঁচো।
=================================
আমার ধারনা বাংলাদেশের বেশীরভাগ লোক মনে করে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে পরকীয়া অহরহ ঘটে থাকে। এটা ঠিক যে এসব দেশে ফ্রি-মিক্সিং হয় কিন্তু সেটার একটা রূপ আছে। নারী পুরুষ নিজেকে স্বাধীন মনে করার কারনে সহজে একে অপরের সান্নিধ্যে আসতে পারে এবং সমাজও তা সমর্থন করে। কিন্তু এর একটা বিশ্বস্ততা রয়েছে। প্রেমিক,প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর ভেতর বিরাট বিশ্বাসগত সম্পর্ক রয়েছে এবং এরা সেই বিশ্বস্ততার মূল্য বোঝে। এরা মনে করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশ্বস্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এই বিশ্বস্ততা এতটাই প্রবল যে কারো প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে কেউ যদি গোপনে সাধারন কথা,যেমন কেমন আছো ? কেমন চলছে ? হাই হ্যালো মার্কা কথাও বলে তাহলে প্রেমিক/প্রেমিকা(স্বামী-স্ত্রী) সন্দেহ শুরু করে। কেউ কেউ উদার বটে,তবে বেশীরভাগই বিষয়টাকে ভালোভাবে নেয় না। কারন ভালোবাসার লোকটিকে কেউ ভাগাভাগি করতে চায়না। আর ভালোবাসাটি তীব্রতর হলে সন্দেহের মাত্রাও বাড়ে। সবসময় আগলে রাখার প্রবনতা তৈরী হয়। এই প্রবনতাটি সহজাত।
এর বিপরীতে কেউ অন্যের সাথে সম্পর্ক তৈরী করেনা তা নয়। কিন্তু যখন সম্পর্ক তৈরী করে তখন তারা নিশ্চিত জানে যে ,আমার স্বামী/স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ অনিবার্য। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশী বা ভারতীয় নারী,পুরুষের থেকে ইউরোপ,আমেরিকার নারী পুরুষটা মারাত্মক কট্টর। এরে পারষ্পরিক সম্পর্ক সাধারনত দীর্ঘস্থায়ী হয়না,তার অনেক কারনও আছে কিন্তু এদের এই চরিত্রটি দেখে বাহবা দিতেই হয়। এরা একজনের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্যের সাথে যোগাযোগ মোটেও পছন্দ করেনা,মেনে নেয়না।
আমি আমার সহকর্মীদের ভেতর বেশ কিছু অবস্থা লক্ষ্য করেছি। সুঠাম দেহী,সুন্দর চোহারার একজন বিবাহিত ছেলে সহকর্মীর সাথে সক্ষতা গড়তে চাচ্ছিলো আমার অন্য এক মেয়ে সহকর্মী। কিন্তু ছেলে সহকর্মী তাকে স্পষ্ট করে বলল-আমার স্ত্রী রয়েছে। এমনকি নারীসুলভ আচরনে তাকে অনেকবার আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হল। তারপর মেয়েটিও তাকে সম্মান করে অন্য জনের কাছে গেল। এরকম একটি ঘটনা নয় অনেকগুলো ঘটনা দেখেছি। মাত্র একটি ঘটনায় ব্যতিক্রম পেয়েছি কিন্তু পরে সে লোকটি নিজেই পিছু হটেছে।
পুরো ইউরোপ,আমেরিকার দেশগুলোতে জনমত জরিপ করেও খুব বেশী সংখ্যক লোক পাওয়া যাবেনা যারা উপরোক্ত আধুনিক জনাবার মতকে সমর্থন করবেন। কিছু সংখ্যক দুষ্চরিত্রবান মানুষ ছাড়া আর কারো সমর্থনের সুযোগ নেই। অবশ্য বিষয়টা যদি এমন হয় যে, এই লেখিকা তাসলিমা নাসরিনের মত উদার হয়ে সকলের ঘরে ঘরে প্রবেশ করবে, তাহলে তাকে পেতে চাওয়া সকলেই তার মত সমর্থন করবে কিন্তু নিজের প্রেমিকা,স্ত্রীকে এই তত্ত্ব মেনে উদার হয়ে অন্যের দিকে ঠেলে দিবেনা,সম্ভব নয়। কারন ভালোবাসা কেউ বিসর্জন দিতে চায়না।
এই মহিলা যেভাবে পরকীয়াকে জায়েজ বানানোর থিওরী আওড়ালো ,তা তার পক্ষ থেকে কিছু মানুষরূপী কুকুর এবং শুয়োর সম্প্রদায় গ্রহন করতে পারে। অথবা তাকে পেতে চেয়ে তার আশপাশে ঘুরঘুর করা কিছু পুরুষ এটা কপটতার সাথে সমর্থন করতে পারে। প্রানী জগতে শুওরের এই গুনটি রয়েছে। আশাকরি এই রমজানে শুয়োর থিওরীগুলো প্রত্যাখ্যাত হবে।
কেউ অশ্লীল কাজ করলে পাপটা কেবল নিজের উপরই বর্তায় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করেন,কিন্তু যারা অশ্লীলতার প্রসার ঘটায়,তারা কেবল নিজেরা এটাতে জড়ায় না,বরং তারা একটি রাস্তা তৈরী করে যার মাধ্যমে অন্যরা এদিকে ধাবিত হয়,ফলে সে ব্যক্তি বহু সংখ্যক লোকে পাপের দায়ভার গ্রহন করে। তওবা করে ফিরে না আসলে আখিরাতে তাদের খবর আছে।
বি:দ্র: উক্ত লেখিকাকে শিক্ষিত বলা গেলনা,কারন উনি দুনিয়ার ব্যাপারে কোনো বিশেষ ধারনা রাখেন বা মানুষের চরিত্রের ব্যাপারে তেমন ধারনা রাখেন বলে প্রমানিত হয়নি। নিজের অশ্লীল চিন্তা জোর করে প্রকাশ করলেন,এছাড়া আর কিছু নয়।
বিষয়: বিবিধ
২৭৭৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ধরনের চিন্তা ধারা যার কখনই মানসিক ভাবে সুস্থ হতে পারে না।
যেসব মুভি উনাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ইঙ্গিত দেয় এরকম মুভি ওরা বানাতে দেয় কেন ?
অন্যদেরকে খারাপ পথ দেখিয়ে নিজেরা সাধু সেজে থাকা কি ভাল মানসিকতার লক্ষণ ?
পতিতাদের মাঝেও সম্ভবত একটা অপরাধবোধ কাজ করে। এ মেয়ে পতিতারও অধম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন