রমজানে ব্লগ আয়োজন: প্রসঙ্গ: রোজার মাসে স্ত্রী মিলন

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২০ জুন, ২০১৬, ০৪:২৯:৫৫ বিকাল



আস সালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহু। বিষয়টি স্পর্শকাতর সাধারনত: এসব বিষয়ে আমি লিখিনা। কিন্তু এই বিষয়টি আমি সিলেক্ট করিনি। আমি এই প্রসঙ্গে সূত্রের আলোকে কিছুটা বিশ্লেষন করার চেষ্টা করব,তবে আমার সাথে আপনাদের অবশ্যই দ্বীমত থাকতে পারে। যাইহোক, মূল আলোচনায় ফিরে যাই:

অনেক দ্বীনদার ও রাতদার মানুষদেরকে রমজানের পূর্বে বলতে শোনা যাচ্ছে-আহলান সাহলান রামাদান...অথবা অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান রমজানের জন্যে....অথবা স্বাগতম হে রমজান...ইত্যাদী.....আসুন সর্বপ্রথম এই বাক্য কটির পোস্টমর্টেম করি। আমি সত্য বলতে পছন্দ করি । বুকে হাত দিয়ে বলেন তো...তীব্র গরমের দীর্ঘ দিন বিশিষ্ট এই রমজান মাস আপনার কাছে আসলেই চরম আরাধ্য কিনা ? আপনি বলবেন..অবশ্যই চরম আরাধ্য..অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান.....আচ্ছা আবারও নিজের অন্তরকে বিশ্লেষন করে বলেন...আমাকে বলতে হবেনা...নিজেকেই বলেন....আপনি দেখতে পাবেন...মন বলছে=

"রমজান মাস অনেক বরকতপূর্ণ....কিন্তু দীনগুলো যদি বৃষ্টিস্নাত হত !!" অথবা " রমজান মাস রহমতের...কিন্তু শীতকালে রোজা যে কবে শুরু হবে !!!" রমজানের জন্যে আনন্দ লাগছে....কিন্তু যে গরম পড়ছে...না জানি রমজানে কি হয় !"

উপরোক্ত কথাগুলোর বেশীরভাগই তাদের,যারা গৃহিনী,শিক্ষার্থী,বেকার....আবার আমভাবেও প্রযোজ্য....

এবার আসি যারা প্রবাসী,বিশেষ করে অমুসলিম দেশগুলোতে আছে এবং বেশ পরিশ্রম করতে হয় তাদের চিন্তায়...."ইয়া আল্লাহ রমজান মাস চলে এসেছে !!! এই না সেদিন রোজার ঈদ পালন করলাম !!!" অথবা কি যে করি !! সামনে রোজা,,,কি দিয়ে কি করব !!!" আর যারা একটু ঈমানদার তারা মনে মনে বলে - "ইয়া আল্লাহ আমার জন্যে সহজ করে দিন ! এই মাসের দিনগুলো যেন বিদ্যূৎ গতিতে পার হয় !" একইসাথে এরা রমজানের রহমত,বরকত নেওয়ার ব্যাপারেও খুব আগ্রহী হয়।

আল্লাহর কসম ! বেশ পরিশ্রম করে খেতে হয় এরকম লোক যদি বিশাল আলেমও হয়,তার মনের ভেতরও গরমকালের রমজানের ব্যাপারে এরকম ভয় ও আশা কাজ করে। আমি আলেম নই, তবে আমার অবস্থা এই যে...."ইয়া আল্লাহ আপনার উদ্দেশ্যে রাখা সাওম সহজ করে দিন ! কষ্টের সময় দ্রুত পার করুন,তবে রহমত ১৬ আনা প্রদান করুন ! "

(অবশ্যই আল্লাহর এমন কিছু বান্দা আছেন ,যারা আমার মত দূর্বল চিত্তের নন। তারা অবশ্যই শয়তানের উপর বিজয়ী। তারা সত্যিই রমজানের জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান এবং তারা তাদের কষ্টকে তুচ্ছজ্ঞান করেন। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের স্তরে উন্নীত হওয়ার তাফিক দান করুন !)

=====================

মূলত: আল্লাহ আমাদের অবস্থা জানেন। এটা যে কষ্টের তা অস্বীকারকারী নিশ্চিত মিথ্যাবাদী। এ কারনেই বোধহয় রোজার ফজিলত সম্পর্কে ব্যপক বলা হয়নি। কিন্তু যা বলা হয়েছে তাতে পুরষ্কারের বিশালতা আচ করতে কষ্ট হয়না। ...একটাই যথেষ্ট....আল্লাহ বলেন---রোজা আমার জন্যে, আর আমি এর পুরষ্কার প্রদান করব"....ব্যস.....এক ডায়ালগেই কষ্টের ফায়সালা হয়ে গেল Happy মালিকের ওয়াদা এটা।

দু:খিত , আপনার সময় খানিক নষ্ট হল। এবার মূল প্রসঙ্গে ঢুকি। মানুষের ক্ষুধা,যৌনতা,বংশ বিস্তার করা,রাগ,হিংসা এসব হল ইন্সটিংক্ট,যা আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের ভেতর তৈরী করেছেন। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এবং ভালো মন্দের জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মানুষ ভুল করে। ভুল করার প্রবনতাই মানুষের সহজাত। যৌনতা শারিরীক সুস্থতার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়। ক্ষুধায় কাতর শরীর যৌনতার উপযুক্ত নয়। এজন্যেই রসূল(সাঃ) অস্বচ্ছল অবিবাহিতদেরকে সিয়াম পালনের উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু যৌনতার আরও একটি অবস্থা হল চর্চাগত। অর্থাৎ রোজা অবস্থায় যদিও স্বাভাবিকভাবে যৌনানুভূতি নিয়ন্ত্রনে থাকে কিন্তু চর্চার মাধ্যমে এটি সবল হয়ে উঠতে পারে। আর এ কারনেই রসূল(সাঃ) রমজানে স্ত্রীকে চুম্বন করা যাবে বলে মত প্রকাশ করলেও তা করতে উপদেশ দেননি বা আদেশ করেননি। বরং বলেছেন তিনি(সাঃ) যেভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম সেভাবে অন্যরা করতে সক্ষম নয়। কারন এ বিষয়টি ব্যক্তির ধৈর্যচ্যূতী ঘটাতে পারে ও নিষিদ্ধ বিষয়ে ধাবিত করতে পারে। তবে নিয়ন্ত্রনপূর্ণ চুম্বন পর্যন্ত জায়েজ রেখে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রমজানে এটির চর্চা না করাই উত্তম,সেটাই উক্ত হাদীস থেকে প্রতিয়মান হয়।

=======================

"একদা রমজানে এক ব্যক্তি রসূল(সাঃ)এর কাছে এসে বললেন-ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) ,আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি সিয়াম পালন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। রসূল(সাঃ) তাকে বললেন-তুমি একজন দাসকে মুক্ত করে দাও। সে বলল-এমন সক্ষমতা আমার নেই। রসূল(সাঃ)বলনে,তবে এর বদলে ২ মাস বা ৬০টি রোজা রাখো। লোকটি বলল-এমন শারিরীক সক্ষমতা আমার নেই। তখন তিনি(সাঃ) বললেন ,তবে তুমি ৬০জন মিসকিনকে খাওয়াবে। লোকটি বলল-ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এরকম অর্থনৈতিক সক্ষমতা তো আমার নেই। তখন তিনি(সাঃ) তাকে অপেক্ষা করতে বললেন।

এর কিছুক্ষন পর কোনো একজন সাহাবী রসূল(সাঃ)কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদীয়া দিল। তখন রসূল(সাঃ) উক্ত লোকটিকে ডেকে বললেন-এগুলো গরিবদের মাঝে সদাকাহ করে দাও। লোকটি বলল-ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) অত্র এলাকায় আমার মত গরিব আর কে আছে ? এ কথা শুনে রসূল(সাঃ)স্বাভাবিকের থেকে বেশী পরিমানে হাসলেন যাতে তার (মাড়ির)দাত প্রকাশিত হল। তিনি(সাঃ)বললেন-আচ্ছা তবে খেজুরগুলো তুমি তোমার পরিবারকে সাথে নিয়ে খাও।"

(বুখারী ,হাদীস নং ১৩৩৭,মুসলিম,হাদীস নং ১১১১)

এ হাদীসটি থেকে মাসয়ালাহ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রখ্যাত আলেমগন কিছু বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন এবং কিছু বিষয়ে মতানৈক্য ঘটিয়েছেন। আমার কাছে উভয়টিকেই যুক্তিযুক্ত মনে হলেও একটি গ্রহন করেছি অধিক যুক্তিযুক্ত ও সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী মনে হওয়াতে।

রমজানে স্ত্রীর গভীর সান্নিধ্যে যাওয়া যাবেনা ,কারন এটি নিষিদ্ধ। এটি করলে রোজা ভঙ্গ হবে। আল্লাহর আদেশের বিরোধীতা করার কারনে তাকে কাফফারা দিতেই হবে। এটি এমন একটি বিষয় যা থেকে রমজানের দিনের বেলা বিরত থাকাটাই সহজ। একেবারে উশৃঙ্খল না হলে এমনটা ঘটা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য পূর্ববর্তী উম্মতের সময়ে রোজার শর্ত ছিলো মারাত্মক কঠিন। সে সময়ে দিনে রাতে ১ বার খাওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিলো। সিয়াম পালনের সময় কথা বলাও নিষিদ্ধ ছিলো। ইফতারির পূর্বে ঘুমিয়ে নির্দিষ্ট সময় পার করলে না খেয়েই পরবর্তী দিনের সিয়াম পালন করতে হত। সিয়ামের রাত্রিতেও স্ত্রীর গভীর সান্নিধ্যে যাওয়ার অনুমতি ছিলোনা। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সর্বশেষ রসূল(সাঃ) এর উম্মতের জন্যে শরীয়াহ সহজ করে দেন। এবং রমজানের রাত্রিতে স্ত্রীর গভীর সান্নিধ্যকে জায়েজ করেন।

রোজা ব্যক্তিকে দিনের বেলায় দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া যৌন অনুভূতি থেকে প্রায় নিষ্কৃয় করে রাখে। নানামুখী ইবাদতসমূহ তাকে এ বিষয়টি থেকে বিরত রাখে। এছাড়া রাতে সে তার প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারবে,এই সম্ভাবনাটি তাকে বিরত রাখতে সহায়তা করে। এতকিছুর পরও যদি সে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারে,তবে শাস্তি তার পাওনা হয়ে যায়। তাই আল্লাহ তায়ালা উক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রেখেছেন।

আলোচ্য অংশে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে।

১. রোজা রাখার সময়ে স্বামী স্ত্রীর মেলামেশায় কাফফারা কি শুধু স্বামী দিবে নাকি স্ত্রীও প্রদান করবে ?

উ: প্রখ্যাত মুস্তাহীদগণ এ ব্যাপারে ইস্তেহাদ করেছেন হাদীস অনুযায়ী। যদি এই মিলনে স্ত্রী বাধ্য হয় বা তাকে প্ররোচিত করা হয় বা তার একান্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়,তাহলে কাফফারা কেবল স্বামী প্রদান করবে।

আর যদি উভয়ের স্বতস্ফুর্ত সম্মতিতে হয় তাহলে উভয়কেই সমান কাফফারা প্রদান করতে হবে, অর্থাৎ ৬০টি রোজা অথবা ৬০ জন মিসিকিনকে খাওয়ানো(যেহেতু দাসপ্রথা প্রচলিত নেই,তাই দাসমুক্তীর বিষয়টি আওতামুক্ত)

এ বিষয়টি সাধারনত নারীর প্ররোচনায় অন্তত মুসলিম সমাজে ঘটেনা। তবুও যদি এক্ষেত্রে স্ত্রী অগ্রগামীর ভূমিকায় থাকে এবং স্বামী অনিচ্ছায় সাড়া দেয়,বা বাধ্য হয়,তবে কাফফারা কেবল স্ত্রী প্রদান করবে।

উপরোক্ত বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত হাদীসে কাফফারা কেবল উক্ত ব্যক্তির(স্বামীর) উপর আরোপিত হয়েছে। সম্ভবত সেই অগ্রগামী ছিলো। এবং এটাই স্বাভাবিকভাবে ঘটে থাকে।

অনেকে বলেছেন, সর্বাবস্থায়ই পুরুষের উপর এই কাফফারাটি বর্তাবে। কারন উক্ত হাদীসে রসূল(সাঃ)পুরুষটিকেই কাফফারা দিতে বলেছেন। তার স্ত্রীর ইচ্ছা,অনিচ্ছার বিষয়টি জিজ্ঞেসই করেননি রসূল(সাঃ)

২. (স্ত্রী মিলন ছাড়া অন্যভাবে) ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলেও কি ৬০ রোজা রাখতে হবে, অথবা ৬০ জন মিসকিনকে একবেলা খাওয়াতে হবে ?

উ: এ পর্যায়ে আলিমদের ইস্তেহাদ হয়েছে। উক্ত হাদীস থেকে বোঝা যায় বা কোনো কোনো আলিম বুঝেছেন যে- যেহেতু রোজার সময় উক্ত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধ কাজটি করে রোজা ভঙ্গ করেছেন,তাই কেউ অনুরূপ কাজ বা রোজা ভঙ্গের অন্য কোনো কাজ করে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে তাকেও অনুরূপ কাফফারা প্রদান করতে হবে।

প্রখ্যাত আলিমদের আরেকটি মত হল-উক্ত হাদীসটি রোজার মাসে কেবল স্ত্রী সহবাস সংক্রান্ত। এটি আম নয়,বরং খাস, বা বিশেষ অবস্থা সংক্রান্ত। তাই কেউ যদি স্ত্রী মিলন ঘটায় তবে তাকে ৬০টি রোজা রাখতে হবে অথবা ৬০জন মিসকিনকে ১ বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। যদি সক্ষম না হয় তবে উক্ত হাদীস অনুযায়ী তার সাধ্য অনুযায়ী কিছু সাদাকাহ করবে। যদি একেবারেই নি:স্ব হয় তবে আলিমদের মতে সে আল্লাহর কাছে তওবা করবে,ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অথবা অর্থ প্রদান ছাড়াই সুন্নাহ অনুযায়ী সেযব সাদাকাহর ব্যবস্থা রয়েছে তা করবে। এমনকি মানুষের সাথে মিষ্ট ভাষায় বা হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ। শরীরের পরিশ্রম বা পরোপকারের মাধ্যমেও সদাকাহ হতে পারে।

আর ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য পদ্ধতিতে রোজা ভঙ্গ করলে,অথবা অনিচ্ছায় রোজা ভঙ্গ হলে, একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজাই রাখতে হবে,পরবর্তী রমজান মাস আসার পূর্বেই।

আর যদি সে শারিরীকভাবে পরবর্তীতে ১টি রোজা রাখতেও সক্ষম না হয় ,তাহলে একেকটি রোজার বিনিময়ে একেকজন মিসকিনকে খাওয়াবে। বুখারীর অন্য হাদীস অনুযায়ী সে মারা গেলে তার না রাখা রোজাগুলো ওয়ারিসরা(সন্তানাদী) রেখে পূর্ণ করে দেবে। ....

আবার যেসব আলিম ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গের কারনে ৬০ রোজা রাখার কথা বলেছেন তারা রমজানের রোজার গুরুত্বকে বিবেচনায় এনেই এটা বলেছেন। বুখারী বর্ণিত আরেকটি হাদীসে এসেছে-কেউ ক্রমাগত সারাজীবন রোজা রাখলেও রমজানের একটি রোজার সমতুল্য হবেনা। তাই রমজানের একটি রোজা ভাঙার কারনে অন্য মাসেও একটি রোজা রেখে তার ক্ষতি পোষানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল। কেউ মারাত্মক পাপ করেও ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমা করতেই পছন্দ করেন।

আশা করছি প্রসঙ্গটি পরিষ্কার হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দান করুন ! রমজানকে আমাদের নাজাতের ওছিলা হিসেবে কবুল করুন ! আমাদের সকল ভুল ত্রুটি,পাপসমূহ ক্ষমা করুন !

বিষয়: বিবিধ

৮৯১১ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372589
২০ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শুকরিয়া, আসছি ....
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:২৯
309360
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আসেন
372593
২০ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ছোট ভাই।

অনেক আন্তরিক, হৃদয়গ্রাহী ও শ্রমসাধ্য একটি লিখা মাশাআল্লাহ। অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লাম।

মূল বিষয়ে যাওয়ার পূর্বের আলোচনাটুকু অনেক সুন্দর হয়েছে। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করলেই কে কোন স্তরে আছেন জানা সহজ হবে এবং হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আল কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে অন্নেক সুন্দর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন মাশাআল্লাহ।

আশাকরি লিখাটি পাঠককূলকে উপকৃত করবে এবং রোজা পালনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ।

চমৎকার লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দান করুন ! রমজানকে আমাদের নাজাতের ওছিলা হিসেবে কবুল করুন ! আমাদের সকল ভুল ত্রুটি,পাপসমূহ ক্ষমা করুন !


আমীন। Thumbs Up Rose Rose Rose Thumbs Up Bee Bee Bee Bee
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩২
309361
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আমি একটানেই লিখি। পরে চিন্তা করলে হয়ত আরও কিছু সংযুক্ত করা যায়। কিন্তু পরে ভুলে যাওয়াতে সেটা করা হয়নি। পরবর্তীতে ইচ্ছা আছে। Happy আপনার সুন্দর বিশ্লেষনে জাজাকাল্লাহ খায়রান Happy
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৪
309362
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
372612
২০ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সন্ধ্যাতারাপির সাথে একমত প্রকাশ করছি। আপনার দোয়ার সাথে আমিন আপনার জন্যেও অনুরুপ দোয়া।
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৫
309363
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনার জন্যেও অনেক দোয়া রইলো
372618
২০ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ছোট বেলা থেকেই রোজা রাখতে আমার বেশ কষ্ট হয়, কিন্তু আমি আল্লাহকে ভয় করি, তাই তার ফরজ বিধান পালন করি।
আপনার লেখা বিকেলেই পড়েছি, কমেন্ট করলাম এখন।
চুমুর বিষয়ে ব্যাখ্যাটা মনে ধরেছে।
জাযাকাল্লাহু খাইর
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৭
309364
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। জি রসূল(সাঃ)জানতেন যে আমরা ধৈর্য রাখতে পারব না,তাই বিষয়টি কেবল জায়েজ রেখে নিরুৎসাহিত করেছেন
372619
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০১
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ যেন আমাদের ঐ সব পর্যায়ে যাবার আগেই আটকে দেন। আর সর্বাবস্থায় সংযমী রাখেন।
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৮
309365
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমিন। আল্লাহ সাহায্য করলে আর লাগেনারে চাচাভাই....জান্নাতে দুখের নদীতে গোসল শেষে মদের নদীতে গেলা হবে
372622
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৯
309366
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
372630
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:০০
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : Excellent brother!
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৯
309367
দ্য স্লেভ লিখেছেন : jajakallah khairan my brother
372649
২০ জুন ২০১৬ রাত ১১:৫৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে শব্দ ব্যবহার এর ক্ষেত্রে রমজান মাস না বলে রোজা থাকা অবস্থায় বলা দরকার ছিল। কারন এটা সুষ্পষ্ট যে রমজানে মাসেও রাত্রিবেলা মিলন বৈধ। চুম্বন এর বিষয়ে আমার মনে হয় এর অনুমতি আেছে এইজন্য যে স্বামি-স্ত্রির স্বাভাবিক প্রেম যেন রমজান এর জন্য বাধা না পায় তাই। আলিজা ইযত বিগোভিচ এর একটি উক্তি আমার পছন্দ। "ইসলাম যেীন উচ্ছৃঙ্খল পশুকে ফিরিশতা বানাতে চায়না, মানুষ বানাতে চায়"।
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:১৩
309384
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি রমজানের রাতের বিষয়টিও উল্লেখ করেছি। শব্দ চয়নে আরো স্পষ্ট হওয়া উচিৎ ছিলো হয়ত। জাজাকাল্লাহ খায়রান Happy
372682
২১ জুন ২০১৬ রাত ০৪:০০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আলোচনায় আল কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সুন্দর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদجزاك الله خيرا وتقبل الله طاعتكم وشكرا لك يا أخي الكريم
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
309441
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই। আপনার দোয়া সামিল করার অনুরোধ রইলো।
২৩ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৩:১৭
312288
কুয়েত থেকে লিখেছেন : مرحبا بكم بارك الله فيك وجزاك الله خيرا وشكرا لك অনেক সুন্দর লেখা ভাল লেগেছে
১০
372724
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:০৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম আপনার লিখার ১ম অংশটি বাস্তবে উপলব্দি করে বলেই ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামীলিগ কখনো এই জাতীয় কাজটি করেনা। তবে জামাত-শিবির যে কোনো অবস্থাতে রোজাকে ভালোবাসে বলেই তারা রমজান কে স্বাগতম জানায়।
লিখাটি খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
২১ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৪৫
309501
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম। বিষয়টি ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব বিষয়। অন্তরের উপলব্ধীগত বিষয়। ফলে আমরা বলতে পারিনা একটি দলের সকলে অন্তরে একই রকম উপলব্ধী করে কিনা। তবে আমরা আশা করি সকলেই যেন এমনই উপলব্ধী করে ! রমজানকে স্বাগত জানায় প্রায় কল মুসলিম কিন্তু অনেকের ভেতর রোজা রাখার ভয় কাজ করে,বিশেষ করে শ্রবজীবী মানুষের। জাজাকাল্লাহ খায়রান।
১১
372742
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মা-শা আল্লাহ ফায়েদামান্দ আলোচনা করেছেন, জাযাকাল্লাহ খাইর।

তবে গরীবরা যদি আবার শুধু সাদাকাহ এর ব্যপারটি গ্রহন করেন, তাহলে কিন্তু মুশকিল।

রামাদানের একটি রোযা সারা বছরের রোযা দিয়েও সমান হজে না।

অনেক সুন্দর বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ

অনেক অনেক ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৪৭
309502
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান জনাব। গরিবেরও তাকওয়ার মান উন্নত থাকতে হবে। অনেক গরিব আছে যারা অহংকারী,মোটেও বিনয়ী নয় এবং আচরনে অঅল্লাহর নাফরমানী করে,এরা দুকূলই হারাবে
১২
373078
২৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৪৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : তথ্যবহুল ও কিছুটা রসবোধ সমৃদ্ধ লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ..জাযাকাল্লাহ!
২৫ জুন ২০১৬ রাত ১০:০৭
309763
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই Happy
১৩
373364
২৮ জুন ২০১৬ সকাল ০৯:৫৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ২ জুলাই
রমজান উপলক্ষ্যে ব্লগ আয়োজনের সর্বশেষ পর্বে পোস্ট করার জন্য আপনার লেখাটি প্রস্তুত করে নিন।
প্রবাসে রোজা পালন- দ্যি স্লেভ, রাইয়ান, প্যারিস থেকে আমি, তবুওআশাবাদী, সন্ধাতারা
রোজার অনুশীলন কিভাবে সারাবছর জাগ্রত রাখা যায়- ডক্টর সালেহ মতিন
রামাদান সম্পর্কিত হাদীস সমূহ- শাহাদাৎ হোসাইন নবী নগর
শবে কদর- এলিট
সদকায়ে ফিতর- প্রবাসী আব্দুল্লা শাহিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File