পোর্টল্যান্ড ফরেস্ট পার্ক
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৪৬:০৫ সকাল
গত রবীবার ২৭শে মার্চ ভাবলাম কেনাকাটা করব। পোর্টল্যান্ড ছুটলাম। সর্বপ্রথম এশিয়ান স্টোর থেকে জ্যান্ত মাছ তরি তরকারী কিনলাম বেশ। এরপর পোর্টল্যান্ড ফরেস্ট পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বেশী দূরে নয় কিন্তু এখানে প্রবেশ করে মনে হল আমাজন অরন্যে এসেছি। অসাধারন সুন্দর এটা। পার্কটির দেখাশুনা করে একটি প্রতিষ্ঠান। পার্কের পশু পাখি দেখাশুনার জন্যে একটি ছোট ক্লিনিক আছে এখানে। ব্যক্তিমালিকানায় পোষা পাখিও দেখলাম একজন নিয়ে এসেছে। এরা ফ্রি ট্রিটমেন্ট করে।
শুরুতেই সুন্দর একটি স্থাপনা। এখানকার শেষ ঘরটি পাহাড়ী টিলার কিনার ঘেষে তৈরী। এখান থেকে বনের উপরিভাগটা গোচরীভূত হয়। খুব দারুন লাগে। ভেতরে একটি বড় ঘর জুড়ে পাখি সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে,নানান সুভ্যেনির এবং রয়েছে এখানে ভ্রমনের ম্যাপ। বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্যে অভিজ্ঞ ভলান্টিয়ার রয়েছে। এ এলাকায় গৃষ্মে ক্যাম্পিং চলে।
একটা ম্যাপ হাতে নিয়ে পাহাড়ী সরু পথ ধরে এগিয়ে চললাম। আজ বৃষ্টি হয়েছে বেশ তাই কর্দমাক্ত রাস্তা আর পিচ্ছিল খানিকটা। যতই হাটছি ততই দারুন লাগছে। অল্প কিছু লোক এসেছে এখানে ভ্রমনে। পাহাড়ী রাস্তায় এঁকে বেঁকে নীচে নেমে আসলাম। এখানে রয়েছে প্রবাহমান সরু নদী যা দূরের কোনো ঝর্না থেকে নির্গত। পাহাড়ী প্রস্তরময় ভুমির উপর দিয়ে পানি লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছে। একস্থানে দেখলাম বিশাল গাছ উপড়ে পড়ে আছে। উঠলাম তার উপর। হঠাৎ ছোটবেলার লাফালাফির কথা মনে পড়ল,তারপর দিলাম লাফ। শরীর বেশ পোক্ত আছে এখনও।
হাটতে হাটতে স্টোন হাউসে চলে আসলাম। বহু বছর পূর্বে বনে বসবাসকারী মানুষেরা এটা তৈরী করেছিলো। বাড়িটি দ্বিতল। পাথরের ব্লক কেটে চুন সুরকী বা এরকম কিছু জিনিস দিয়ে গেথে বাড়ি বানিয়েছে। উপরের তলার ছাদ ফাকা। সম্ভবত সেটা পূর্বে কাঠ দিয়ে ছাওয়া ছিলো। ২ তলা মিলে দুটি ঘর মাত্র। তেমন একটা ভালো লাগল না। ঘরের সারা গায়ে বদ পুলাপাইনরা নানান রকম লেখালিখি করেছে। পোর্টল্যান্ডে নানান সব গ্যাং আছে। কোথাও কোথাও তারা নিজেরা মারামারি করে। পুলিশের সাথেও এদের গোলাগুলি হয়। এরা মাদক ব্যবসায় জড়িত।
বারবার সময় দেখছিলাম। কারন এই পার্কে আসাটাই আমার আসল উদ্দেশ্য নয়। আসল উদ্দেশ্য হল সওগাত নামক ভারতীয় রেস্টুরেন্টে মাথা পর্যন্ত খাওয়া। স্টোন হাউসের ওপাশটা আরও সুন্দর কিন্তু পেটে ক্ষুধা নিয়ে প্রকৃতি দর্শন করার লোক আমি না। সকালে কয়েকটা বিস্কুট খেয়েছি দুধ দিয়ে। পেট ভরে কিছু খায়নি কারন দুপুরে ওই রেস্টুরেন্টে টানব। পেটের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য।
চললাম রেস্টুরেন্টে। এসে দেখী মাছের বাজার। লোকে লোকারন্য। তাড়াতাড়ি শুরু করলাম। ৪ বার নিলাম,টানলাম পেট উপচে মাথা পর্যন্ত। পেটের আনাচে কানাচে আনন্দ খেলা করতে লাগল। তারপর বাসায় ফিরে লাউ দিয়ে তেলাপিয়া মাছ....পরেরদিন টানার পালা।
বিষয়: বিবিধ
১৩১১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খাওয়ার জন্য তাহলে সারাদেশ চষে বেড়ান! আপনার হদানা গোষ্ঠী কি নাদান, মগুনি আপনার লাহান?
এই টানাটনি একা আর কতদিন! ধন্যবাদ৷
আস্তে আস্তে বেশী বাড়াবাড়ী হচ্ছে কিন্তু
পুটির মাকে কমপ্লিন করব কিন্তুু
মন্তব্য করতে লগইন করুন