খাদকের শুধু খাই খাই
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১০ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৮:৫৯ সকাল
সাত সকালে আলুভর্তা করে ভাত পান্তা বানিয়ে খেলাম। দুপুরে অনেকদিন পর কর্ভালিশের ভারতীয় রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। রাস্তায় দেখলাম বিরাট রোড এক্সিডেন্ট। আজ বৃষ্টির দিন। উচ্চ গতিতে এক লোক গাড়ি চালাচ্ছিলো,সামনে একটা ৪৫ফুট কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার ইন্টারসেকশন দিয়ে পার হচ্ছিলো। এই পয়েন্টে অতিরিক্ত ফ্লাশ লাইট রয়েছে সতর্ক করার জন্যে কিন্তু লোকটা উচ্চ গতির কারনে গাড়ি থামাতে পারেনি আর বৃষ্টিও একটা কারন। গাড়ি ঢুকে গেছে ট্রেইলারের নীচে। পুরো গাড়ি দুমড়ে ছোট হয়ে গেছে আর লোকটা উড়ে ড়েছে। রাস্তায় অনেকেই গতিসীমার ২০ মাইল উপর দিয়ে চলে,জরিমানাও এদের ঠেকাতে পারেনা। গতিসীমার ১০ মাইল উপর দিয়ে গেলে অবশ্য পুলিম কিছু বলেনা।
যাইহোক আজ খুশী হইনি কারন মেন্যু থেকে ভেড়ার গোস্ত বাদ দেওয়া হয়েছে এবং বুফেতে লাঞ্চ ১ ডলার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে মুসলিম কমিউনিটি রয়েছে,আর হালাল রেস্টুরেন্ট এই একটিই,ফলে সকল মুসলিমের পছন্দের আইটেম এই নিরিহ ভেড়ার উপর চাপ পড়ছিলো ব্যপক। বেচারা চাপ সহ্য করতে না পেরে মেন্যু থেকে পালিয়েছে। যাইহোক উদরপুর্তি করলাম।
এবার ভারতীয় স্টোর থেকে চিড়া,বয়েম ভরা আদা বাটা,বিট লবন কিনলাম। তারপর উইনকো স্টোর থেকে ব্যপক কেনাকাটা করলাম। এরপর হুইলার ডিলার নামক এক স্টোর থেকে বিরাট কেনাকাটা করলাম।
রান্না করে খেলাম। এখন এক বাটি তেতুল মেখে খাচ্ছি। এক পরিচিত লোককে ডাক্তার তেতুল খেতে বলেছে। কিন্তু এদেশের লোক এই স্বাদের সাথে পরিচিত নয়। ফলটাও বেশীরভাগ লোক চেনেনা। তাই ডাক্তার তেতুলের পিল দিয়েছে। ভাবছি ছোটবেলা থেকেই আমি তেতুলখোর।প্রায় প্রতিদিনই তেতুল খাই। এখনও বিচিছাড়া তেতুলের ৪০০ গ্রামের ৫টি প্যাকেট রয়েছে স্টকে।ছোটবেলা তেতুলের জন্যে কত যে অঘটন ঘটিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। পৃথিবীর যে কোনো ফলের চাইতে ১০গুন আইরন আছে তেতুলে। অন্যান্য অনেক দামী ভিটামিন আছে এতে। আর দেশী হার্টের ডাক্তার শুনেছি তেতুল খেতে বলে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদেরকেও তেতুল,রসুন এসব খেতে বলে। আমি অবশ্য নেশার কারনে খাই।
একটা কারনে আজ গা জ্বলছে। দেশের সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনেক সিনিয়রকে টপকে তারা উপরের পদে চলে গেছে। আর এরা শেকড় কেটে দিচ্ছে। এজন্যেই অবশ্য রাখা। কদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডজন খানিক কর্মকর্তা ব্যাংকের বৈদেশিক একাউন্ট থেকে প্রায় ৬হাজার কোটি টাকা চুরি করে বলছে কে বা কাহারা উহা হ্যাক করিয়াছে। হ্যাক শব্দটা চুরির বদলে ব্যবহৃত হয়েছে সম্ভবত এ কারনে যাতে সাধারন মানুষ ভাবে এটা বোধহয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী টাইপের কিছু একটা ব্যাপার যা দূর্বোধ্য।এবং এটা এদেশের কর্মকর্তাদের কাজ নয়।.....সব চোরের দল !!! জনগনের টাকা সব ফাও....
বিষয়: বিবিধ
১৮৪২ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্বাধীন বাংলার প্রথম ব্যাংক ডাকাত ছিল শেখ কামাল... আর এখন রাম রাজত্ত্বে শেখ কামালের প্রেতাত্বারা সেই চেতনা নিয়মিত বাস্তবায়ন করতেছে এটা নতুন কিছু না......। মাঝখানে যত কষ্ট আবাল জনতার।
আমাদের দেশে মহিলারা পোয়াতি হলে তেতুল বেশী করে খায় , যেটা নিয়ে নানি দাদিরা মশকরা করে।
ব্যাংক ডাকাতেরাও এখন স্বশরীরে ব্যাংকে আসেন না । দূর হতে কাজ সেরে নেন ।
৬০০০ কোটি টাকা কোন ব্যাপারস্ না
মহিলাদের টপকে গেছেন তেতুল খাওয়া নিয়ে! তেতুল আপনি খাবেন ই ভিটামিন আদৌ না থাকলেও
রোড এক্সিডেন্ট এবং দেশের ব্যংকলুটের সংবাদটা জেনে আসলেই খারাপ লাগছে!
ভাইগ্য ভাল ঠেং ওলা তেঁতুল পছন্দ না।
এই যে নেশাখোর হুজুর আপনার জন্য আমাদের বাগান থেকে ঝুড়ি ভরে তেতুল নিয়ে এসেছি ইচ্ছে মত খান
আরে দাড়ান হুজুর আমাদের বাগান থেকে আনি নাই আমাদের দোকান থেকে এনেছি । অনেক টাকা দাম কারন এটা টক তেতুল না চিনির চেয়ে মিষ্টি । এর জন্ম হয়েছে থাইল্যান্ড ।
এত খাবার! আবার তেতুল? মশাই, পান্তা ভাতেই তো পেট সারা হয়ে যায়।
সত্যিই আফসোস এসব চোরদের নিয়ে। ধন্যবাদ
সবাইকে ব্যাংক লুট উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই
হলমার্কের সময় ছিল ৪' হাজার কোটি টাকা....
তখনই কোন ব্যাপার ছিলনা আমাদের দেশের মন্ত্রীদের কাছে।
আর এখন তো মাত্র ৮০০কোটি টাকা।
এ ব্যাপার নিয়ে কথা বলার কোন প্রশ্নই আসেনা ওনাদের।
এর থেকে আমরা কি বুঝলাম?
উত্তর: চোরের ও অধিকার আছে এই দেশে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন