আখিরাতের ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক ধারনা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৩৪:১৬ রাত

আধুনিক বিজ্ঞান দাবী করছে বস্তুজগতের পাশাপাশি সমান্তরালে বিপরীত জগৎ সৃষ্টি হয়ে আছে। আর সেই জগতে এ পৃথিবীতে যতো প্রকার সত্তা আছে,তার প্রতিটিরই বিপরীত সত্তা সৃষ্টি হয়ে বিদ্যমান আছে।অর্থাৎ আমাদের মানব সমাজের প্রত্যেকেরই একটি করে বিপরীত সত্তা তৈরী হয়ে আছে যাকে বলে identical twin.আগামীতে যতো মানুষ আসবে পৃথিবীতে,ঠিক ততোজনেরই বিপরীত সত্তা ঐ বিপরীত জগতে তৈরী হবে।

পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন যে কাজকর্ম করে,তার একটা প্রতিক্রিয়া বিপরীত জগতে সৃষ্টি হওয়া বিপরীত সত্তার উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। পদার্থ বিজ্ঞানের রীতি অনুযায়ী এটি একটি চিরসত্য বিধান। কণিকা জগৎ বিষয়টি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বস্তুজগৎ ও প্রতিজগৎ অবশ্যই বিদ্যমান আছে।

কোরানে বলা হয়েছেঃ

“তিনি যথাযথভাবে (প্রতিটি বিষয়ে পরিমাপ ও পরিমাণের অনুপাত ঠিক করে) সমগ্র মহাবিশ্ব (বস্তুজগৎ ও প্রতিবস্তুজগৎ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে) সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আয্‌ যুমার : ৫)

কোরানে আরো বলা হয়েছেঃ

“আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়(পৃথিবীর মানুষ এবং একই চেহারার পরকালের জন্য প্রতিবস্তু দিয়ে সৃষ্ট বিপরীত মানুষ )।”(সূরা আন্‌ নাবা : ৮ )

ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে বিজড়িত আলোর কণার জোড় থেকে ১ টি ফোটন কণিকা আলাদা করে যদি দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে বিভিন্ন অবস্থায় নাড়া-চাড়া করা হয়,তাহলে অপর ফোটন কণিকাটিও একইভাবে নড়ে-চটে ওঠে। যদিও তাদের মধ্যে অনেক দূরত্ব বজায় থাকে।এতে প্রমাণিত হলো পৃথিবীর মানুষ যে ধরনেরই আমল করুক না কেন,সাথে সাথে তা বিপরীত জগতে সৃষ্ট তাঁরই বিপরীত সত্ত্বার উপর হুবহু প্রতিফলিত হবে।এতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ঘটবেনা।কারণ মানুষসহ প্রত্যেকটি জিনিসই এ মহাবিশ্বে আলোর কণা ফোটন দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে মৌলিকভাবে।এ তথ্যও প্রমাণিত সত্য।

তাই এ কারণে এবং আরো অন্যান্য কারণেও বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন নিশ্চয় আবিষ্কৃত অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি আমাদের বস্তুজগতে (দৃশ্যমান বস্তুর জগতে) এতো প্রভাবশালী হতে পারলে অবশ্যই তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা আমদের জগতের সমান্তরালে দৃশ্যমান বস্তুর বিপরীতে অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি দিয়ে প্রতিবস্তুর জগৎ সৃষ্টি করে থাকবে।অদৃশ্য বস্তু ও শক্তির প্রভাব বিদ্যমান থাকায় আমরা সেই প্রতিজগতকে কখনো দেখতে পাবো না।

এ বিষয়ে আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরানে সূরা ‘নামল’-র ৬৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন এভাবে-

“বল আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কেউ মহাবিশ্বে অদৃশ্য বিষয়সমূহের পূর্ণ জ্ঞান রাখে না।”

প্রতিজগৎ বা পরজগৎ সম্পর্কে কুরান সূরা মুমিনের ৩৯ নং আয়াতে মানব জাতিকে অবহিত করেছে এভাবে-

“(মুমিন ব্যক্তিটি বললো) হে আমার সম্প্রদায়! বস্তুজগৎ (ইহজগৎ) তো হচ্ছে অস্থায়ী উপভোগের বস্তু আর পরকালই (প্রতিজগৎ) হচ্ছে স্থায়ী উপভোগের আবাস।”

সুতরাং এই বস্তুজগতে যারা আল্লাহ্‌র কথামতো জীবন চালাবে,তারা সফলতা লাভ করবে,আর তার বিনিময়ে চিরশান্তির জান্নাত পাবে।

সংগৃহীত

বিষয়: বিবিধ

১৮২২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

360375
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৪৩
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : “আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়(পৃথিবীর মানুষ এবং একই চেহারার পরকালের জন্য প্রতিবস্তু দিয়ে সৃষ্ট বিপরীত মানুষ )।”(সূরা আন্‌ নাবা : ৮)

এখানে আপনার দেয়া ব্যাখ্যা বুঝলাম না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১২
298666
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ব্রাকেডের ভেতরের বিষয়টি চিন্তাশীলদের নিজস্ব চিন্তা। বিজ্ঞানীরা যখন গবেষনা করেন তখন তাদের সকল মত মেনে নেওয়ার মত এমন নয়। আমি নিজের বিষয়টি বিজ্ঞানীদের চোখে বুঝিনি। বরং কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী বুঝেছি।
360382
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১২
298667
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
360383
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:২৬
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : হু ভাই সবই বুঝি কিন্তু দুষ্ট শয়তান বার বার বলে এটা করিস না ওটা করিস না। Sad শয়তান খেদানোর পথ বাতলে দিন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১৪
298668
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আউযুবিল্লাহ হিমিনাশ শয়তান হির রজিম....এরপর আল্লাহর রাস্তায় অটল থাকা। অর্থাৎ দাতে কামুড় দিয়ে সত্যটির উপর অটল থাকা। শয়তানের আব্বাও পালাবে। কারন ওই পর্যায়ে আল্লাহর সাহাজ্য চলে আসে
360389
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৫৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ছোট ভাইয়া।

আল্লাহ্‌ তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদের তিনি প্রবেশ করাবেন এমন এক (সুরম্য) জান্নাতে যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, তিনি তোমাদের আরও প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী উত্তম বাসগৃহে। আর এটাই হচ্ছে মহা সাফল্য (সূরা আস সাফঃ ১২)।

সুসংবাদ তাদের জন্য যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে নিশ্চয়ই তাদের জন্য সেই জান্নাত যার পাদদেশ দিয়ে নদী সমূহ প্রবাহিত (সূরা বাকারাঃ ২৫)।

সুতরাং যারা আসমানি কিতাবকে বিশ্বাস করে তাঁরা আখেরাতের ব্যাপারেও স্বচ্ছ ধারণা পোষণ করে। এতে সন্দেহ বা দ্বিমত পোষণ করার কোন প্রশ্নই উঠে না।


আর যারা বিজ্ঞানময় জগতে বিচরণ করছে তাদের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এই মহাসত্যকে স্বীকার করতেই হবে।


সুন্দর একটি সংগৃহীত পোষ্ট শেয়ার করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১৬
298669
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমরা বিজ্ঞানীদের উপর নির্ভর করিনা। কারন বিজ্ঞান খুব ক্ষুদ্র একটি বিষয় যদিও মহাবিশ্ব বিজ্ঞানময়। আমরা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী চলি। আর বিশ্বাস করি। এর ভেতরেই বিজ্ঞান রয়েছে।এক আল্লাহর উপর নির্ভর করাটাই বৈজ্ঞানিক সত্য
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:২৭
298746
সন্ধাতারা লিখেছেন : অপেক্ষায়......!!
360391
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১১:৩১
সন্ধাতারা লিখেছেন : পুটীর মায়ের মিষ্টি বানানো শেষ হলে জানাবেন কিন্তু ছোট ভাই!!
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১৮
298670
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আগামী বছর শেষ হবে। তখন আপনাকে দাওয়াত করব। আপনার ব্যাটেলিয়ানসহ কয়েকদিনের জন্যে আসবেন। সে যদিও রান্নাবান্নায় অলস,তবে অতিথী আপ্যায়নে চ্যাম্পিয়ন Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:২৮
298747
সন্ধাতারা লিখেছেন : অপেক্ষায়......!!
360392
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১১:৩৯
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ |
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:১৮
298671
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই বন্ধু...Happy Happy
360395
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:১৭
আফরা লিখেছেন : ইউরোপ আমেরিকায় আসার জন্য মানুষ কত পয়সা খরচ করে ও আসার পরে কত সংগ্রাম করে এসব দেশে থাকার অনুমুতি নেয় । এত কষ্ট করে এই আশায় বাংলাদেশের চেয়ে একটু ভাল থাকবে । কিন্তু এই ভাল থাকাটা কতদিন মানুষ তো যে কোন সময় মারা যেতে পারে ।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখের যে বর্ননা দিয়েছেন সেটা পাবার জন্য আমাদের কতটা ত্যাগ করা দরকার সেটা কেন ভাবি না ।

ধন্যবাদ হুজুর ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৩:২৩
298672
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মানুষ নগদে বিশ্বাস করে,তাই জান্নাতের আগেই জান্নাত পেতে চায়। ইউরোপ আমেরিকা যে জান্নাত নয়,সেটা পরে এসে টের পায়। তখন দেশে যেতে চায়। আবার সেখানেও জ্বালা। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ স্বপ্নের পেছনে দৌড়াতে ভালোবাসে। পৃথিবী অবশ্যই ক্ষনস্থায়ী এবং সুখের উপকরন নিতান্তই কম। তবে সুখের খোজ করা দোষের নয়,এটা করতে হবে। তবে এটা বলতে পারি আল্লাহ আমাকে যে পরিমান মানুষিক শান্তি দিয়েছেন তা অন্তত ১ লক্ষ লোকের সম্মিলিত শান্তির সমান। আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হল পুটির মা Happy
360405
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৭:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:০৪
298717
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
360406
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৮:১৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:০৫
298718
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু....জাজাকাল্লাহ খায়রান
১০
360899
০১ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
হতভাগা লিখেছেন :

এতে প্রমাণিত হলো পৃথিবীর মানুষ যে ধরনেরই আমল করুক না কেন,সাথে সাথে তা বিপরীত জগতে সৃষ্ট তাঁরই বিপরীত সত্ত্বার উপর হুবহু প্রতিফলিত হবে।


০ এই বিপরীত জগত কি বেহেশত ও দোজখ ?

বেহেশত ও দোজখ থাকলেও সেটা একটিভেটেড হবে আল্লাহ মানুষ ও জ্বিনদের যে বিচার করবেন তার পর
০২ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৪৮
299224
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তারা এই তত্ত্বটাকে মুসলিমদের আখিরাতে বিশ্বাসের সাথে মিলিয়ে দেখেছে। যেমন আমরা বলছি আখিরাতে আবারও আমাদের দেহ তৈরী হবে এবং বিচারের পর ভালো মন্দ নির্ণিত হবে। তারা বলছে এই সত্ত্বাটি পূর্বেই তৈরী। কিছু বিষয় আমরা বুঝিনা। যেমন আল্লাহ অতিত,বর্তমান ও ভাবিষ্যত একসাথে দেখেন। ফলে আমার কাছে যা ভবিষতে ঘটবে,আল্লাহর কাছে তা স্পষ্ট ঘটমান। ...সম্ভবত এ কারনেই বেশ কিছু হাদীসে রসূল সাঃ বলেছেন যেমন....বনী ঈসরাইলের উক্ত নারীকে আল্লাহ জান্নাত দান করলেন...অথচ জান্নাতের ফয়সালা হবে হাশরের পর,যেটা এখনও আসেনি....একটু জটিল সন্দেহ নেই Happy

সোজা হিসাব হল ভালো আমল করা ও অপেক্ষা করা আশার সাথে Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File