পিটক ম্যানশন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:২২:৫০ সকাল
আজ রবীবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারী,অনেকের কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে আমার কাছে অন্য দিনের মতই। রাতে পরিকল্পনা করলাম আজ একটু ঘুরব এবং খাব। সকালে প্লান পাকা করলাম। পাওয়েলস সিটি অব বুক, পিটক ম্যানশন,পোর্টল্যান্ড আর্ট মিউজিয়াম এবং সওগাত ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট।
সকাল সাড়ে নয়টায় পোর্টল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পথে গাড়ির অকটেন কিনলাম প্রতি গ্যালন ১.৫৯ডলারে। অর্থাৎ বাংলা ১২০ টাকায় ৩.৮ লিটার অকটেন কিনলাম,প্রতি লিটার ৩০ টাকার একটু বেশী পড়ল। দেশে সম্ভবত প্রতি লিটারের দাম ১০০টাকার বেশী। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম একেবারে সর্বনিম্ন। এখানে প্রত্যেকদিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। একেক কোম্পানীর তেলের দাম একেক রকম। আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী খুচরা মূল্য নির্ধারিত হয়। কোনো কোনো স্টেটে মাত্র ৬০/৬৫ সেন্ট প্রতি গ্যালন ,মানে প্রতি লিটার ১৫ টাকারও কম। ইরানের উপর থেকে কিছু অবরোধ উঠে যাওয়াতে তারা ব্যপক তেল উত্তোলন ও বিক্রী শুরু করেছে,আর আরব দেশগুলোও অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করছে। তেল বাজারে রাশিয়াকে বিধ্বস্ত করতে আমেরিকার অনুরোধ বা আদেশে 'ওপেক' বেশী তেল উত্তোলন করছে বলে শুনেছি,পড়েছি। এতে ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতি মজবুত হবে। মার্কিন অর্থনীতি গত এক দশকের মধ্যে এখন বেশী শক্তিশালী।
যাইহোক পোর্টল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। হালকা বৃষ্টি হচ্ছে আজ। ডাউনটাউন পোর্টল্যান্ডকে সবসময়ই ভালো লাগে। অপ্রশস্ত রাস্তা,ব্যপক যানবাহন কিন্তু একটা ভালোলাগা কাজ করে। একটু পুরোনো পুরোনো ভাব সুন্দর লাগে। এটা অবশ্য অত পুরোনো নয়। শুধু রাস্তাগুলো তুলনামূলক সরু। পোর্টল্যান্ডে খানা খন্দক,পাহার,টিলা ভর্তি তাই যত্রতত্র ওভার ব্রিজ,ছোট ব্রিজ চোখে পড়ে। এটা বেশ দারুনই লাগে। পাওয়েল সাহেবের বুক শপে এসে পৌছলাম। এখানে ১৫ লক্ষ বই রয়েছে। বিশাল বইয়ের স্টোর এটি।
ভেতরে ঢুকে এ কারনে ভালো লাগল যে হাজারে হাজারে লোক এসেছে বই দেখতে এবং কিনতে। বেশীরভাগ মানুষই ক্রেতা। হাতে বড় বড় বাস্কেট,সেখানে নানান বই,দেদারছে কিনছে। এক সময় আমাদের দেশের মানুষকেও দেখেছি বেশ বই টই পড়তে। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে মানুষের ধৈর্য নষ্ট হয়ে গেছে। আগে স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীরা অবসরে গল্পের বই পড়ত,ধর্মীয় বইও পড়ত। আমার মনে পড়ে একটা গল্পের বই পেলে কি যে আনন্দ হত ! চুরি করেও পড়তাম। বই পড়ার সময় হুশ থাকত না। পড়তাম আর পেছনের পৃষ্ঠার দিকে তাকাতাম খানিকক্ষন পর পর। যখন দেখতাম পৃষ্ঠা শেষ হতে আর বেশী বাকী নেই তখন সাংঘাতিক কষ্ট হত। একেবারে ছোটবেলায় রূপ কথার গল্প পড়তাম ব্যপক প্রফুল্ল চিত্তে, এরপর দস্যু বনহুরের চরম ভক্ত ছিলাম। সেই ছোটবেলায়ই শরৎচন্দ্র ,বঙ্কিম,সুকুমার রায়,জসিমউদ্দীন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বহু লেখকের নানান কিসিমের লেখা পড়েছিলাম। তবে বেশী পছন্দ ছিলো নবী রসূলগনের কাহিনী। আর সে সময় বিভিন্ন পীর,বুজুর্গের নামে নানান বানোয়াট কাহিনীর বই পাওয়া যেত,এসব ছিলো আমার কাছে অত্যধিক প্রিয়। ভালো মন্দ তখন বুঝতাম না,কিন্তু সেসব ব্যক্তিবর্গের নানান কারামতের কাহিনী পড়ে ভাবতাম আমিও যদি এরকম হতে পারতাম ! নিজের কারামত থাকলে তা দিয়ে কি করতাম সেসবও অবসরে ভাবতাম। গল্প পড়া ছিলো নেশা। তখন বিনোদন ছিলো খেলাধুলা আর গল্পের বই পড়া।
আর এখনকার তরুন,যুবকরা খেলাধুলা করার চাইতে খেলাধুলা দেখা ও এসব নিয়ে চাপা পেটানোতে ওস্তাদ। তরুন ,যুবকদের আলোচনার প্রায় পুরোটা জুড়ে থাকে খেলা,গান বাজনা আর মেয়ে মানুষ। কে কার সাথে পিরিত করে,কে সুন্দরী,কার কাছে চান্স পাওয়া যাবে অথবা যাবেনা,কে কার দিলকি ধাড়কান,কে কার দিলকি নিকলা হুয়া চাঁদ, কোন ছেমড়ীর মন খারাপ,কার বিড়ালের জ্বর,কার শখের কুত্তার ঘুম আসছে না,কাকে প্রেমে সহযোগীতা করতে হবে,কার মুরগীর ঘরে শিয়ালের উৎপাত,,,,অথবা কোন সিনেমা হিট করল, কোনটা করল না, কোন নায়কের ডিমান্ড কেমন,কোন নায়িকা কার সাথে কি করল,কোন গানটা ফাটাফাটি,,,,,এর ভেতর আবার আরেক শ্রেণী আছে তারা গুরু টাইপের। এরা পিওর নেশাখোর কিন্তু এরা নিজেদেরকেই হিরো মনে করে। তরুন যুবকদের গল্পের মূল বিষয়বস্তুর মধ্যে তেমন কোনো সুস্থ্য চিন্তা নেই। এরা যেসব দেশকে মডেল ভাবে সেসব দেশের তরুনরা এদের মত চিন্তা করেনা। তারা যে লাইফস্টাইলই গ্রহন করুক না কেন ,এদের থেকে চিন্তাগত দিক দিয়ে তারা অনেক বেশী সৃষ্টিশীল।
এসব তরুনদের কাছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কবি,সাহিত্যিকদের নাম জানতে চাইলে এদের বেশীরভাগই বলতে পারবে না। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নানী শাশুড়ীর নামও জানে কিন্তু 'কবি জসিমউদ্দীন কে ? ' এই প্রশ্ন করলেও বলবে-উনি সম্ভবত: বীর মুক্তিযোদ্ধা....।
যাইহোক আমি ভেতরে প্রবেশ করলাম। অবাক কান্ড, বিশাল ফ্লোর জুড়ে নানান ডিপার্টমেন্ট এবং মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বই আর বই। দুনিয়ার অধিকাংশ বিখ্যাত বই এখানে রয়েছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই রয়েছে। প্রতিদিনই নিত্য নতুন বই যুক্ত হচ্ছে। একেক ফ্লোরে একাধিক স্থানে চেকস্ট্যান্ড রয়েছে বই কেনার জন্যে। একটি অংশে দেখলাম পুরোনো বই ক্রয় করা হচ্ছে। ব্যবহৃত পুরোনো বই নায্য মূল্যে এরা ক্রয় করে আবার বিক্রী করে। মানুষের বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখে খুব ভালো লাগল। সাউথ এশিয়ার অংশে এসে দেখলাম আফগানিস্থান,পাকিস্থান,ভারত,নেপালের বেশ কিছু বই। বাংলাদেশী লেখকদের বই আছে কিনা খুজে দেখিনি। তবে এরা অবশ্যই পছন্দ করেছে আমাদের কাছে যারা মোটামুটি পরিত্যাজ্য তাদের লেখাগুলো। আফগানিস্থানের মালালার বই বেশ হাইলাইট করা হয়েছে অনেক স্থানে। বইটির নাম-'অাই এ্যাম মালালা'। শুনেছি এই মেয়ের মাথা সবথেকে বেশী শক্ত। তালেবানরা এর মাথায় গুলি করেছিলো কিন্তু মরেনি,মাথা ফুটোও হয়নি। আফগানিস্থানের রোমিও জুলিয়েট নামক একটা বই দেখলাম। না পড়েই বলতে পারি কাহিনী কেমন। আমি নিশ্চিত সেখানে মুসলিম সমাজকে উপেক্ষা করে দুজন প্রেমিক প্রেমিকা কি আচরণ করেছে এবং প্রেমের জন্যে সংগ্রাম করেছে,সেটাই মূল গল্প। তবে জ্ঞান বিজ্ঞানের নানান বই রয়েছে। পাশ্চাত্যের অনেক সত্যবাদী লেখকের বর্তমান সময়ের উপর লেখা বিখ্যাত সব বইগুলোও রয়েছে। বইয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষন আমাকে অনেক বেশী মুগ্ধ করেছে। এখানকার কফি শপের কফিও.....থাক খাওয়ার কথা বন্ধ...
বিশাল ৪টি ফ্লোর জুড়ে বই আর বই। কোনটা রেখে কোনটা দেখী করতে করতে বের হয়ে আসলাম। এবার একটা অর্গানিক ফুড স্টোরে আসলাম। তরি তরকারীসহ বিভিন্ন পণ্যের আকাশ ছোয়া দাম দেখে কেনার চিন্তায় ছন্দপতন হল।
সকালে অল্প খেয়েছি আর গতরাতে তেমন একটা খাইনি,পেটে ক্ষুধা...তাই ভারতীয় রেস্টুরেন্টের ডাকেই সাড়া দিলাম। চললাম সেদিকে। রেস্টুরেন্টের নাম সওগাত,অত্যন্ত মনোরম। দুপুরে অনেক লোক এসেছে খেতে। ঘটনার শুরুতেই গোম টয়লেটে...বুঝলাম ভেতরে কেউ আছে। অপেক্ষমান থাকলাম। খানিক পর দেখী এক ভদ্রমহিলা বের হল....আমার মাথায় যেন বাজ পড়ল। ভাবলাম ক্ষুধার তাড়নায় ভুল করে মহিলা টয়লেটে প্রবেশ করিনি তো ! কিন্তু ভদ্র মহিলা দু:খ প্রকাশ করাতে বুঝলাম ভুল আমি করিনি.....উনি বললেন মহিলা টয়লেট ব্যস্ত থাকায় তিনি এখানে প্রবেশ করেছেন। হাফ ছেড়ে বাচলাম।
এবার খাওয়ার পালা। বুফে মাত্র ৯.৯৫ ডলার+ ৫ ডলার কখশিস। হিসেব করে ফেললাম পয়সা উসুলের। এ রেস্টুরেন্টটি বেশ পছন্দ হল। অনেক খাবারের আইটেম এবং স্বাদ সুন্দর। অনেক কিছুর ভীড়ে খাশির গোস্ত টানলাম আযান দিয়ে।ওহ... সে আর কি বলব..এক অসহ্য টানা টানলাম। ....এখনও পেটের মধ্যে আনন্দ হচ্ছে।
এবার চললাম পিটক ম্যানশন। এটাই দিনের সেরা আকর্ষন। হেনরী পিটক লন্ডনে জন্ম নেন। এরপর আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় বড় হন। তারপর ওরেগনে আসেন এবং ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত 'ওরেগনিয়ান' নামক পত্রিকা অফিসে কাজ শুরু করেন। এই পত্রিকার মালিক ও প্রধান সম্পাদক একজন রাজনিতিক ছিলেন। পিটক যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন ও বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। বিভিন্ন সময়ে মালিক তার উপর পুরো পত্রিকার দায়িত্ব দিয়ে অন্য স্থানে যেতেন। সেখান থেকেই পিটক দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা চালানোর সব কলাকৌশল রপ্ত করেন। পরবর্তীতে তিনিই এটার মালিক হন।
পিটক পরবর্তীতে ব্যপক ধনী মানুষে পরিনত হন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি পিটক ম্যানশন তৈরী করেন তখনকার সময়ে সবথেকে অাধুনিক বৈশিষ্ঠ্যে। এটি ওরেগন শহরের পাশে এক উচু পাহাড়ের মাথায় প্রতিষ্ঠিত। পুরো এলাকা ৪৬ একর,বাড়িটি ১৬ হাজার বর্গ ফুটের। বাড়ির ভেতরের দুষিত বাতাশ বের করার কৌশল রয়েছে এতে। পুরো বাড়িরটির নির্শান শৈলী অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। পুরো বাড়িতি ৩ তলা এবং ভেতরে সবমিলে ৪৬টি কক্ষ।
আসবাদপত্র দেখে বোঝা যায় লোকটা কতটা রুচিশীল ও অভিজাত ছিলো। রান্নাঘরে গিয়ে মনে হল শত বছর আগের নয় বরং এখনকার। সেখানে ভেতরের বাতাশ বাইরে বের করার ব্যবস্থা রয়েছে,বিশাল অটোমেটিক ব্রেড মেকার তৈরী করা হয়েছিলো তার অর্ডারে। এটা চলত তেলের মাধ্যমে। বার্নার,বেসিনও অত্যন্ত সুন্দর। রয়েছে খাদ্য সংরক্ষনের জন্যে একশত বছরের বেশী পুরোনো রেফ্রিজারেটর,যা সে সময়ের অত্যাধুনিক। এর আকৃতি অনেক বড় এবং তা রাখা হয়েছে স্পেশাল একটি ঘরে,সে ঘরের দেওয়াল ভিন্ন মেটালে তৈরী ও প্রায় দেড় হাত পুরু। আরেকটি ঘরে শুকনো খাবার রাখা হয়েছে। লোকটা আমার মত ভোজন রসিক ছিলো মনে হয়।
শোবার ঘর,গেস্ট রুম,বাচ্চাদের রুম,স্মোকিং রুম,ডাইনিং রুমের কারুকাজ অত্যন্ত সুন্দর। টয়লেটের ডিজাইন দেখে মুগ্ধ হতে হয়। বাথরুমে সেই আমলেই অটোমেটিক শাওয়ার,ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এটার সাথে একটি থার্মোমিটারও রয়েছে পানির তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয় পরিক্ষার জন্যে। নানান ঘরে নানান রকম দামী আসবাবপত্র। গোলাকৃতির দুটি ঘর দেখলাম,যেখান থেকে কাচের জানালা দিয়ে বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়। এখানে বসে এক কাপ কফি খাওয়ার তুলনা হয়না। লোকটা বেচে থাকলে তার সাথে বসে এক কাপ খাওয়ার শখ ছিলো।
মনে হচ্ছিলো আহা, যদি আমার এরকম একটা বাড়ি থাকত !! পরক্ষনেই মনে হল...লাভ নেই। এ লোকটাও বেশীদিন ভোগ করতে পারেনি। এসব বানিয়েছে সে বুড়ো বয়সে। সারা জীবন খাটাখাটনি করে এরকম জিনিস তৈরী করে মরে যাওয়ার কোনো মানে নেই। মরতেই যদি হবে,তাহলে এপারে প্রাসাদ বানানোটা মূর্খের কাজ। অবশ্য ওপারের কাহিনী ঠিক রেখে এপারে এসব করা যায়। তবে ওপারেরটার কোনো তুলনা নেই। আল্লাহ ওপারে যেন টাসকি খাওয়ার মত প্রাসাদসমূহ ভাগ্যে রাখেন !!
নীচে নেমে আসলাম,মানে এখনও পাহাড়ের মাথায়ই। বাড়ির সামনের প্রাঙ্গন থেকে সামনে তাকালে শহরের একটি বড় অংশ দেখা যায় এবং দূরের মাউন্ট হুডও স্পষ্ট চোখে পড়ে। এখানে দাড়িয়ে থাকতেও মজা। পাশে রয়েছে পাহাড়ী উচু নীচু রাস্তা সমৃদ্ধ সুন্দর বাগান। বৃষ্টির কারনে সেদিকে হাটা হলনা। আরেকদিন আসব।
এবার ফিরতি পথ ধরলাম। এশিয়ান স্টোরে গেলাম। জ্যান্ত তেলাপিয়া,লাউ,পেপেসহ অন্যান্য জিনিস কিনাম। লাউ আর তেলাপিয়া বেশ ভালো রান্না করি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সোমবার
কি খেলেন আরেকটু ডিটেইল ভাল লাগত। রোগাক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাস কিছু খেতে পারছিনা!!!
কী রোগে ভুগছেন ভাইয়া?
আমি খেলাম খাসি, ২ রকমের চিকেন, বেশ কয়েক রকমের ডাল ও সব্জী এবং মিষ্টান্ন
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
তেলাপিয়া দিয়ে সকালে এক বার টানলাম...কাল সকালে আবার হবে...
এত খাই খাই করলে তারা এসব পারবে না খাদক ।
আল্লাহ আপনাকে আরো বেশী বেশী এবং জ্ঞান গরিমায় পরিপুর্ন করুক
মিয়া ভাই আপনার নামটি কি জানতে পারি
আপনিও তো বেশ ঘুরাঘুরির মাঝেই আছেন। চমৎকার বিবরণ, ছবি থাকলে আরো বেশি উপভোগ করা যেতো!
তেলাপিয়া কম খাওয়া উচিত এরকম কেউ পোস্ট দিয়েছিলেন!
শুকরিয়া!
সারা জীবন খাটাখাটনি করে এরকম জিনিস তৈরী করে মরে যাওয়ার কোনো মানে নেই। মরতেই যদি হবে,তাহলে এপারে প্রাসাদ বানানোটা মূর্খের কাজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন