মিলাদুন্নবী সম্পর্কে : প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ,কুষ্টিয়া ইসলামী বি:বিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর যা বলেন।

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৬:১৫ সকাল



বি:দ্র: উক্ত শাইখ মদীনা ইউনিভার্সিটিতে ১৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন হাদীস বিষয়ে। বাংলাদেশে যে অল্প কিছু ব্যক্তি হাদীসের পন্ডিৎ ,উনি তাদের একজন। চলুন উনার বক্তব্য শুনি।

শতাধিক সনদভিত্তিক হাদীসের গ্রন্থ, যাতে রাসূলুল্লাহ -এর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কর্ম, আচরণ, কথা, অনুমোদন, আকৃতি, প্রকৃতি ইত্যাদি সংকলিত রয়েছে, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীদের মতামত ও কর্ম সংকলিত হয়েছে সেসকল গ্রন্থে একটি সহীহ বা যয়ীফ হাদীসও দেখা যায় না যে, রাসূলুল্লাহ -এর জীবদ্দশায় বা তাঁর ইন্তেকালের পরে কোনো সাহাবী সামাজিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর জন্ম উদযাপন, জন্ম আলোচনা বা জন্ম উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনে বা অনির্দিষ্টভাবে বৎসরের কোনো সময়ে কোনো অনুষ্ঠান করেছেন।

বর্তমান যুগে কিছু জাল হাদীস এ বিষয়ে প্রচার করা হয়, যেগুলি গত শতাব্দী পর্যন্ত মীলাদের পক্ষের আলিমরাও জানতেন না। এজন্যই তাঁরা এরূপ ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (স.) -ই ছিলেন তাঁদের সকল আলোচনা, সকল চিন্তা চেতনার প্রাণ, সকল কর্মকাণ্ডের মূল। তাঁরা রাসূলুল্লাহ(স.) -এর জীবনের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা আলোচনা করে তাঁরা নবী-প্রেমে চোখের পানিতে বুক ভিজিয়েছেন। তাঁর আকৃতি, প্রকৃতি, পোশাক, পরিচ্ছদ ইত্যাদির কথা আলোচনা করে প্রেমের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কখনো তাঁর জন্মদিন পালন করেননি। এমনকি তাঁর জন্মমুহূর্তের ঘটনাবলী আলোচনা করে জন্ম উপলক্ষ্যে আনন্দ প্রকাশ বা দরুদ সালাম পাঠের জন্য তাঁরা কখনো বসেননি বা কোনো দান-সাদকা, তিলাওয়াত ইত্যাদির মাধ্যমেও কখনো তাঁর জন্ম উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করেননি। তাঁদের পরে তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ীদের অবস্থাও তা-ই ছিল।

বস্তুত কারো জন্ম বা মৃত্যুদিন পালন করার বিষয়টি আরবের মানুষের কাছে একেবারেই অজ্ঞাত ছিল। জন্মদিন পালন আ’জামী বা অমুসলিম সংস্কৃতির অংশ। প্রথম যুগের মুসলিমগণ তা জানতেন না। ................................................. .....................................................................................................আলেমগনের ১২টি মতামত রাসূল (স.) এর জন্মদিন সম্পর্কে, ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তির ইতিহাস , পাপ ,হারাম ও শিরক মিশ্রিত মিলাদ অনুষ্ঠান,মিলাদ পালনের কিছু নতুন ও উন্নত পদ্ধতিসহ বিস্তারিত জানতে দেখুন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত ”এহইয়াউস সুনান “ ( সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদ’আতের বিসর্জন ) এর ৫১৬থেকে ৫৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ।

বিষয়: বিবিধ

১৯৪৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355273
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : এটার জন্ম ভারতীয় উপমহাদেশে হয়ে ছিল৷ যেমন মোহররমের বাহ্যিক অনুষ্ঠান গুলো আর শীবরাত্রীর মোকাবেলায় মুসলীমদের শবেবরাত৷ ধন্যবাদ৷
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
295178
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হুমম বড়ই উর্বরভূমীRolling on the Floor Rolling on the Floor
355293
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:১৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হুমম বড়ই উর্বরভূমী Happy
355411
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : যারা রাসূলের জন্মদিন নিয়ে মাতা মাতি করে, তাদের কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে, রাসূলের ওপাত দিবস কবে?? যেহেতু রাসূল যেই দিন দুনিয়াতে এসেছেন, ঐ দিনই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাহলে তো ঐ দিন শোকের দিন ও !!!
কিছু সুবিধাবাদী ভন্ড মাজার পূজারীরাই আজ ইসলামের মধ্যে নানান বেদাত প্রবেশ করিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
295177
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তারা দু:খিত হতে রাজি না। আনন্দে নাচানাচিই তাদের ধর্ম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File