পুটির মায়ের গালাগালি
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৯:১৩ রাত
ও পুটির মা ! কি করো ? তোমার মুরগীগুলো কিন্তু বেশ নাদুস নুদুস হয়েছে। ওইযে, ওই মোরগটা....আহা বড় লাল মোরগটা....বাদশাহর মত পায়চারী করছে। লম্বা সুন্দর পালকগুলো প্রায় মাটি স্পর্শ করেছে। বিশাল ঝুটি তার আভিজাত্য বাড়িয়ে দিয়েছে। আহা জিনিস একখান। আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়, তুমি ছিটা রুটি বানাবে আর আমি ততক্ষনে মোরগটাকে জবাই দেব। ফুলির মা মুরগীটা কেটেকুটে পরিষ্কার করবে। তাকে দাওয়াত করবে তার ছোট দুটো মেয়েসহ। একটা বিরাট খাওয়া হবে গো পুটির মা। আর একটা কাজ করলে হয়না ? বুরহানী বানাতে পারো তো পুটির মা ? আচ্ছা হঠাৎ বুরহানীর কথা মনে পড়ল ক্যান ! মনে যখন পড়েছেই এটাই খেতে হবে....তোমারও তো এটা পছন্দ। ধরে নাও তোমার কারনেই আমার এই পছন্দ। তাহলে আমি কি বাজার থেকে টক দই কিনে আনব !! ও পুটির মা...
আচ্ছা এতক্ষন নিজের মনে এত বকবক করলাম কিন্তু সে পুটির মা টা গেল কোথায়....ও পুটির মা কোথায় তুমি, কি করো !!
: মাথা ফাটায় ফেলব !
:কি ? কেন আমি কি করেছি ??
:দাড়া তোকে দেখাচ্ছি !!
: আমি কি করলাম রে পুটির মা, আর এ কি ভাষা !!
:তুই এখন কোথায় সেটা বল...
:অামি তো এই যে উঠোনে....
:দাড়া তুই তোর খবর আছে,সাপের মত পেটাবো আজ..
:এই, এসব কি বলছ, মাথা ঠিক আছে ? আমি তো কেবল ক্ষেত থেকে আসলাম...এই যে ৩টা বেগুন তুলে এনেছি...আজ বেগুনের ভাজি খাব,,,তুমি তো আবার এইটা বেশ ভালোই পারো...
:তোর বাপের নাম কি শয়তানের জাত ?....
:ওরে এসব কি বলো রে পুটির মা....তোমার শ্বসুরের নামটা কি তুমি ভুলে গেলে নাকি !! আর সে লোকটা তো অনেক আগেই মারা গেছে...তাকে আবার খোচাচ্ছ কেন ?
: তুই আয়,তোর বাপসহ তোকে কাঠাল গাছে বেধে পেটাবো...
:ও পুটির মা এরকম করছ কেন !! তোমার কি মাথা নষ্ট হল নাকি ?
: লাল মোরগটা কিন্তু আজ খাব...
:গালের এপাশে থাপ্পড় দেব ওপাশের দাত উড়ে যাবে ,তোর কোনো মাফ নেই....
:এই এসব কি বলো, তুমি তো জীবনেও এরকম খারাপ আচরণ করোনি...ও পুটির মা এরকম করো কেন ?
: আবার কথা বলিস শয়তান ! তোকে আমি ১৪ হাত মাটির নীচে পুতে ফেলব !
: থাক ,তোমার মোরগের খেতা পুড়ি। যে মেয়েকে এতটা আদর করে ঘরে আনলাম। এত ভালোবাসলাম, আজ সে আমার সাথে এই আচরণ করল। আমি গেলাম তোমার বাপের কাছে। আজই এর বিহিত হবে। শালার বেগুন এখনও হাতের মধ্যে কি করে...ধুর..দিলাম ছুড়ে...
===================
======================
==============================
: আরে জামাই বাবাজি, কি খবর ? সরাসরি ক্ষেত থেকে আসলে মনে হচ্ছে। আমি এ গ্রামে আছি জানলে কিভাবে ? গত রাতে এসেছি....এরা আমাদের নিকট আত্মীয়....এই তোমরা কোথায় গেলে, দ্যাখো কে এসেছে...
: কে এই লোক, আপনার বর্গাচাষী নাকি ? দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ শক্তপোক্ত লোক...জব্বর তো !!
:আরে না, এ আমার মেয়ে জামাই..
:বলেন কি !!! আপনার মেয়ে এরকম লোকের হাতে তুলে দিয়েছেন !!
:তাতে সমস্যা কি ?
:সমস্যা কি মানে ? আপনার মত একজন নাম করা লোক,তার মেয়েকে এরকম এক কৃষকের হাতে তুলে দেবে, এ কি ভাবা যায় !!
: শোনো, তোমরা তো উপরের পোষাকটাই দ্যাখো আর আমি পোষাখসমেত দেহ ভেদ করে অন্তরটা দেখী। মানুষ চিনতে আমি ভুল করিনি। আমার মেয়েও তাকে ব্যপক পছন্দ করে। বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত মাত্র কয়েকবার সে আমার বাড়িতে এসেছে। আর এসে বেশীদিন থাকতে পারেনা। বলে পুটির বাপ রান্না করে তেমন খেতে পারেনা। ক্ষেত থেকে ফিরে এটা সেটা রান্না করার বায়না ধরে বাচ্চাদের মত। যা রান্না করি, তা খুব ভক্তি নিয়ে খায়। রান্না খারাপ হলেও অভিযোগ করেনা। বরং একই রকম ভক্তি নিয়ে খায়। মেয়ে একবার জিজ্ঞেস করেছিলো,আচ্ছা তোমার জিহবা কি ভালো মন্দ বোঝেনা ? জবাবে সে বলেছিলো-জিহবা তো ঠিকই বোঝে কিন্তু তোমার রান্না তো জিহবার সাহায্যে খাইনা, আমি তো খাই অন্তর দিয়ে, তাই সবকিছুই বেশী ভালো লাগে। .....এই লোকটা চরিত্রবান,বিনয়ী তাই তো মেয়েকে তার হাতে তুলে দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত। আর সে আমার মেয়েকে জীবনের মতই ভালোবাসে...
: জি আব্বা ঠিক।
:আর আমার মেয়েও তাকে জীবনের মতই ভালোবাসে...
: না, আব্বা ,এইটা ঠিক নেই...তবে ছিল..
: কি ? ঠিক নেই মানে ??
:আপনার মেয়ে আমাকে যা তা বলেছে...জীবনে কেউ আমাকে এসব বলেনি....আর আজ সে আমাকে এসব বলেছে....তাই তো আমি এই অবস্থায় এখানে চলে এসেছি,তার মুখে শুনেছিলাম আপনি এই গ্রামে এসেছেন...
:না বাপু তোমার কথা তো ভালো ঠেকছে না, মেয়েকে আমি চিনি। সে তো এরকম করতেই পারেনা,,তারপরও মানুষ বলে কথা..যে কোনো সময় মতি বিভ্রম হতে পারে। তা সে তোমাকে গালি দিল আর তুমি কিছু বললে না ?
: আমি কি বলব, আমি কি কাওকে কখনও গালি দিয়েছি জীবনে...!!
:হ্যা, তাও ঠিক...কিন্তু কখনও কখনও শাসন করতে হয়। শাসন না করলে সঠিক মানুষও বেঠিক আচরণ করে। শয়তান মানুষকে সর্বদা ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। আর মানুষের নফস তাকে প্রতারিত করে। তার ভালো আচরনকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে তার সামনে প্রকাশ করে,এরপর অন্যায় করে ফেলে সে, আর তখন সে তার ভালো আচনের সাথে তুলনা করে। শয়তান তখন তাকে বুঝায় -তোমার খারাপ আচরন কিছু হয়েছে কিন্তু এটা খুবই সামান্য। তোমার ভালোর তুলনায় এটা একেবারেই তুচ্ছ।... তাছাড়া এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যে সে শাসনে না থাকলে ভুল করবেই। ...
: এ জন্যেই তো আপনার কাছে আসলাম। আপনি বিচার করেন।
:বাবারে, আমি তো সারাজীবন থাকব না। তোমরা দুজন দুজনকে শাসন করবে। কেউ বিপথগামী হলে থামাবে। একে অন্যের জন্যে হবে আয়নাস্বরূপ। আর এরকম ঘটনা ঘটলেই হুট করে অন্যকে জানাতে নেই, নিজে আগে বোঝার চেষ্টা করতে হয়,বুঝাতে হয়,তারপর বিচার শালিসের প্রশ্ন।...
: ঠিক আছে, আমার ভুল হয়েছে কিন্তু আপনাকে আজ যেতেই হবে।
: আচ্ছা ঠিক আছে যাব, আগে তুমি গোসল করো, খাওয়া দাওয়া করো,তারপর বিকেলে দুজন আস্তে ধীরে যাওয়া যাবে।
এই আকবর জামাইকে একটা লুঙ্গী দে।
==============
=====================
==============================
: ও পুটির বাপ ! পুটির বাপ !! লোকটা গেল কোথায় !! ফুলির মা , দেখেছো নাকি পুটির বাপ কোথায় ?
: হ্যা, দেখলাম তো মাঠের রাস্তা ধরে উর্ধ্বশ্বাসে উত্তর দিকে ছুটে যাচ্ছে।
:কি ??? বলো কি !! ফুলির মা চলো তো আমার সাথে...কোনদিকে গেছে ওই দিকে ?...
: পুটির মা তোমার যাওয়ার দরকার নেই...তুমি বাড়ি যাও..
: এই কি বললে ? তুমি আমাকে পুটির মা বলছো কেন ?? আর কখনও এটা বলবা না। এটা বলবে শুধু পুটির বাপ। মনে থাকে যেন। পুটির বাপ ওদিকে চলে যাবে,আর আমি নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে যাব তার মানে কি ?? চলো সামনে যাই...
===============
=========================
==================================
এই যে মা তোর বাপ এসে হাজির...কোথায় আমার মা টা। কতদিন দেখিনি। ...গেল কই সে....হন্তদন্ত হয়ে ফুলির মা ছুটে আসছে...ও ফুলির মা.. আমার মেয়ে কোথায় ?
:ভাইজান আপনি এখানে !! আর আপনার পুটির মা আপনাকে সারা মাঠ,ঘাট খুজে অস্থির....ছিলেন কোথায় ?
:ছিলাম কোথায় পরে দেখাচ্ছি ....কই সে ?
:ওই তো আসছে...
: আস সালামুআলাইকুম আব্বা। ....আপনি হঠাৎ !!!.....
এই মিনশে তুমি ছিলে কোথায় ? তোমাকে আমি গরু খোজা খুজে হয়রান...
:দেখেছেন আব্বা, সে কিভাবে কথা বলছে !!
:হারে মা, তোর কি হয়েছে ? তুই নাকি জামাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছিস...সে তো সেই দুপুরে নিতাইগঞ্জে গিয়ে হাজির। অবস্থা বেগতিক দেখে আগে ভাগেই চলে আসলাম,নইলে কালকে আসার পরিকল্পনা ছিল।
:ও পুটির বাপ, তোমার কি হয়েছে ? শুনলাম তুমি দুপুরে মাঠ ঘাট ভেঙ্গে উত্তর দিকের রাস্তা ধরে চলে গেছো.....আমি তো কিছু বুঝলাম না। ফুলির মাকে সাথে নিয়ে আমি কি খোজাটাই না খুজলাম। তোমার জন্যে আমি দুপুরে ভাতও খাইনি।
:দেখেছেন আব্বা , এখন জুতো মেরে গরু দান করছে !
:জামাই বাবা, ওটা হবে-গরু মেরে জুতো দান !
:আচ্ছা ওই হলো, এখন তাকে জিজ্ঞেস করেন আমাকে কেন গালাগাল করল...
:হারে মা, তুই ওকে কি বলেছিস ?
: আমি কি বলেছি মানে ?? তার সাথে তো আমার সকাল ভোরেই কথা হল। দুজন ফজরের নামাজ পড়লাম,কুরআন তিলাওয়াত করলাম। সে পান্তা খেল, মাঠে চলে গেল। আর তো কোনো কথা হয়নি।
:কি জামাই বাবাজি, কথা সত্যি ?
: না, সত্যি না। দুপুরে আমি উঠোনে এসে কেবল দাড়িয়েছি, হাতে আমার ৩টা বেগুন.....এখনও খুজলে দেখবেন -একটা বেগুন ওই গাছের নীচে, অন্য দুটো ওই ঝোপের ভেতর....,,কেবল লাল মোরগটা দেখে দুটো ভালো কথা বলেছি,অমনি সে ঘর থেকে আমাকে গালি দেওয়া শুরু করেছে। যতবার জানতে চাই কেন এমন করছ, ততবারই অকথ্য ভাষায় গালি দিল....
:ও হো হো হো.......ওরে পুটির বাপ তুমি তাহলে দুপুরে এসেছিলে....হাহাহাহাহা....
: দেখেছেন আব্বা, গালি দিয়ে হাসছে !!
:হারে মা , হাসছিস কেন ??
: আরে দাড়াও....
:দাড়িয়েই তো আছি, বল মা বল...
: আরে আগে হাসতে দাও.....মাথাটা হালকা হোক..
:হাসাহাসির দরকার নাই, তুমি আগে বলো...
: ওরে বোকা পুটির বাপ , আমি তোমাকে গালি দেইনি। তুমি সেদিন যে মোবাইলটা কিনে দিলে ওটাতে এক বদ ছেলে ফোন করেছিলো। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা রং নাম্বার, প্রথমে রং নাম্বারই ছিল,পরে মেয়ে কন্ঠ শুনে গতকাল থেকে মিস কল করছিলো। আজ বেশ কয়েকবার ফোন করল। আর আমি ধরলাম। সে ইনিয়ে বিনিয়ে শয়তানের মত কথা বলা শুরু করল। আমি কি জিনিস তা সে বুঝেনি। এমন ধোলাই দিয়েছি,লজ্জা থাকলে এ জনমে আর ফোন করবে না।...
:ওরে পুটির মা, তুমি তাহলে সে সময় ফোনে ওরকম বলছিলে ?? আহা এ কারনে কয়েকবার আমার কথার সাথে মিললো না....ভাবছিলাম এরকম কথার উত্তর তো এরকম হতে পারেনা। কিন্তু কি করব, পেটে ছিলো ক্ষুধা, মাথা ভালো কাজ করছিলো না। হটাৎ রেগে গেলাম....
: দেখেছো জামাই বাবা, তোমাকে তো বলেছিলাম আগে শান্ত হয়ে শোনো ঘটনাটা কি, কেন এমন হচ্ছে। দুজনে আলোচনা করো। যদি ব্যর্থ হও,তবেই অন্যকে ডাকো মিমাংসার জন্যে। ধৈর্যহারা হলে এমনই হয়।
:জি আব্বা আপনি ঠিক বলেছেন, আমি লজ্জিত। ও পুটির মা আমি ইংরেজীতে সরি, বাংলায় দু:খিত।
: সরি টরি পরে বলো....ওই লাল মোরগটা ধরো আগে। ফুলির মা, তোমার মেয়েরা সহ অাজ রাতে আমাদের বাড়িতে খাবে। আর ছিটা রুটি বানাতে আমাকে একটু সাহায্য করো। আব্বা আপনি হাত মুখ ধুয়ে একটু বিশ্রাম করেন,অনেক ধকল গেছে...
: হ্যা ধকল তো আমিই দিলাম......
:আরে কি কও জামাই বাবাজি, আজ না আসলে কালতো আসতেই হত। একদিন আগে আসলাম আর কি...
:আব্বা বেগুনগুলো খুজে আনবো ?
:না, থাক এখন আর বেগুন খুজে কাজ নেই......মাগরিবের সময় হয়ে আসল...
==============
: ও পুটির মা, পুটির মা....আমি যে খুব লজ্জায় পড়ে গেলাম...
: কিসের লজ্জা, এরকম কখনও কখনও হয়ে যায়।
:তুমি কিছু মনে করোনি তো ?
:হুমম একটু একটু তো মনে করেছিলামই, কিন্তু মাফ করে দিলাম....
: এটাই, পুটির মা এটাই....এই মাফ করতে পারলেই শুধু সংসার না পুরো সমাজটাই বদলে যাবে। একে অপরের কল্যানকামী হয়ে উঠবে মানুষ। প্রতিশোধস্পৃহা একেবারেই কমে যাবে। তুমি খুব ভালো গো পুটির মা....
:তুমিও ভালো গো পুটির বাপ !
:আচ্ছা একটা কথা,,,,
:কি কথা খাদক ?
:এই খাদক খাদক করবা নাতো..আমি খাদক না...
:তাইলে কি বলবো খাদক ?
:তোমার যা খুশী তাই বলো...
: তুমি আমার খাদক পুটির বাপ ..
:আবারও খাদক !!
:আচ্ছা কি জানি বলছিলে ?
: ও আচ্ছা, এই , আমি দুপুরে তোমার লাল মোরগের দিকে তাকিয়ে যা যা বলছিলাম, হুবহু সেটাই তো তুমি একটু আগে বললে....এটা কিভাবে সম্ভব !! তুমি কি আমার মন পড়তে পারো ?
:হ্যা মন পড়তে পারি,খাদক কোথাকার। আব্বা আসলে ওটা জবাই করার পরিকল্পনা ছিল অনেক আগে থেকেই। আর তুমি যে ওটার দিকে বদ নজরে তাকাও সেটাও দেখেছি। ছিটারুটি যে তোমার পছন্দ সেটা তো আমি জানি...খাদক কোথাকার...
:ওই দ্যাখো, একটা শব্দ পেলে শব্দের ১৪ গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়বে !
: আচ্ছা যাও যাও আব্বার সাথে কথা বলো, আমি রান্নার দিকে যাচ্ছি....
: যাও যাও পুটির মা,তাড়াতাড়ি করো, শুভ কাজে দেরী করতে নেই....
বিষয়: বিবিধ
২৪৬০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন