আবারো ওয়াশিংটন

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩০ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:০১:২৬ দুপুর







ইদানিং ঘুরাঘুরির বাতিকটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আবশ্য আগেও এরকম ছিলাম। গত কয়েকদিন গুগল ম্যাপে চোখ রাখছিলাম,কোথায় কোথায় যাওয়া যায় তা দেখছিলাম। বিভিন্নস্থানে তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে তাই অনেক ধরনের হিসাব নিকাশ করতে হয়। ম্যাপ থেকে বের করলাম ওয়াশিংটনের "মারউইন হাইড্রো ইলেট্রিক পাওয়ার স্টেশন।"

আজ রবীবার ২৯শে নভেম্বর,২০১৫। রাতে তাপমাত্রা ছিল -৬। সকালেও তাই,তবে সূর্য ওঠার পর তাপামাত্রা যখন শূন্যে চলে আসল অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৮টা, তখন রওনা হলাম। এ সময়টা ভালো কারন রাস্তায় বেশ গাড়িঘোড়া বের হয়েছে। গাড়ির চাকার নিষ্পেষন এবং সূর্যের আলোয় ব্লাক আইস দূর হয়ে যায়।

হাইওয়ে ৫ ধরে পোর্টল্যান্ড হয়ে ওয়াশিংটন আসলাম। এপাশে ড্রাইভ করে মজা আছে কারন হাইওয়েতে গতিসীমা ৭০মাইল নির্ধারন করা হয়েছে,আর ড্রাইভাররা স্বাভাবিকভাবেই ৮০মাইল গতিতে বা প্রায় ১৩০ কি:মি গতিতে চলতে পারে। তবে কেউ কেউ আরো বেশী গতিতে চলে আর তাদের কপালে অনেক সময় জরিমানাও জোটে। গতি নিয়ে উডল্যান্ড শহরে পৌঁছলাম। এখান থেকে একটু আঁকাবাকা 'লুইস রিভার রোড' ধরে গন্তব্যের দিকে যেতে গিয়ে রাস্তা ভুল করলাম । রাস্তার কোথাও কোথাও বরফের অীস্তত্ব ছিল,তবে বিপজ্জনক নয়। কিন্তু যেখানে আসলাম সে স্থানটা ছিল অনেক দারুন একটা স্থান। এটি লুইস রিভার। শীতে বৃষ্টিপাত হয় তাই নদীতে পানি বেশী আর ব্যপক খরস্রোতা এ নদী। নদীর একটি পয়েন্টে দেখলাম মাছের হ্যাচারী,নাম মারউইন হ্যাচারী। এখানে রাষ্ট্রের(মূলত অঙ্গরাজ্য) পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাছের পুনা তৈরী করা হয় এবং নদীতে ছাড়া হয়। বেশ কিছু মানুষকে দেখলাম নদীর ধারে হুইল দিয়ে মাছ ধরছে।

এখান থেকে গন্তব্যের দিকে গেলাম। বেশী দূরে নয় কিন্তু এ এক অসাধারন স্থান। এখানে আছে মারউইন ভিলেজ যা পাহাড়ের পাদদেশে চমৎকার বাড়ি-ঘরের সমন্বয়ে তৈরী। এ এক অতি অসাধারন লেক,যার পানির রং নীল। পাহাড়ের ভেতর শান্ত সরোবর। একপাশ থেকে তাকালাম,তাকিয়েই থাকলাম,তাকিয়ে থাকার মতই সুন্দর। পরিষ্কার আকাশ আর নীচে টলটলে,চকচকে সুন্দর পানি। পানিতে রাজহাসের দল সাঁতার কাটছে। পাখিরা উড়ে যাচ্ছে। সবুজ শান্ত প্রকৃতি। চারিদিকে কোনো মানুষের চলাচল দেখলাম না,যদিও নিকটেই কিছু বাড়ি রয়েছে।

লেকের ধারে হাটলাম বেশ কিছুক্ষন। তাপমাত্রা +২ , হালকা বাতাসে ঠান্ডা লাগছিলো,তারপরও হাটলাম। আশপাশের পাহাড়গুলো ঘন জঙ্গলে ঢাকা। এখানকার জঙ্গলে ব্যপক এল্ক বা বড় হরিন রয়েছে। সম্ভবত: হরিনের পাল এই লেকে পানি পান করতে আসে।

পাশে যে টয়লেট দেখলাম তাও অতি সুন্দর করে তৈরী করা হয়েছে। এরা এরকম পরিবেশে টয়লেট বা এদের ভাষায় রেস্টরুমগুলো চমৎকার ডিজাইনে তৈরী করে,যাতে দেখে যেতে ইচ্ছে করে,আর ভেতরে গিয়েও খারাপ অনুভূতী না হয়। বিরাট বড় একটি বাড়ির মত করেই তৈরী করেছে এটা। হাটতে থাকলাম। কিন্তু একটা নোটিশ দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। লেখা আছে এই বাঁধ ১লা এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে। তারমানে এখন বন্ধ। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম গেট বন্ধ। তবে বাইরে তারের বেড়ার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে দেখলাম। এটা তেমন বড় বাধ নয়,তবে এর ভূমিকা অনেক। এখান থেকে বিদ্যুৎ তৈরী করে সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। এটাই লুইস নদীর উৎপত্তিস্থল।

মারউইন ভিলেজের অন্যপাশ ধরে এগিয়ে গেলাম। এখানে সরু একটি রাস্তা নীচে নেমে গেছে। সেদিক ধরে এগিয়ে যেতেই দেখলাম রাস্তা একেবারে নদীর কিনারে গিয়ে শেষ হয়েছে। রাস্তাার কিছু অংশ বরফে জমে গেছে খেয়াল করিনি। সাবধানে হেটে নদীর কিনারে আসলাম। আহ সত্যিই সুন্দর এ নদী। ওপাশে খাড়া পাহাড় আর সবুজ বনভূমী, নদীর দুপাশে নূড়ী পাথর। নদীটা এখানে বাক নিয়ে ছুটে চলেছে সাগরে মিলিত হতে। যাবার পথে কত নগর,বন্দরকে সমৃদ্ধ করে চলে যাচ্ছে তার সে খেয়ালই নেই। সৃষ্টিই তার নি:স্বার্থ অবিরাম ছুটে চলার জন্যে।

লুইস রিভার রোড ধরে আসার পথে রাস্তার ডানে একটা আদী আমেরিকান বা ইন্ডিয়ান ঘর দেখে থামলাম। একটি চোঙ্গা ঘরের ভেতর নানান রকম পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মাথা নীচু করে ভেতরে প্রবেশ করলাম। সেখানে তাদের আদীম ধারায় তৈরী অলঙ্কারাদী,কিছু তৈজসপত্র,হাতে তৈরী জুতো ও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। খানিকক্ষন পর এক আদী বুড়ির আগমন ঘটল। চেহারায় অাদী হলেও এরা এখন আর অাগের মত নয়। যথেষ্ট আধুনিক এরা,তবে পুরোনো ঐতিহ্য আকড়ে থাকতে ভালোবাসে। বুড়ি থকবক করতেই থাকল। তার এই ছোট্ট ঘরের ভেতর থাকা প্রায় সকল জিনিসের বর্ণনা দিল,এরপর আশপাশের বিষয়ে বয়ান করল। তার কথা থামলোই না। প্রায় ৪০ মিনিট খেয়ে ফেলল সে। পাশেই তার বাড়ি। সে আর তার স্বামী মিলে এখানে থাকে। বাড়ির পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি খাল বয়ে চলেছে। স্থানটা বেশ সুন্দর কিন্তু ৩/৪ মাইলের মধ্যে জনবসতী নেই। এরা যে কোনো পরিবেশে থাকতে অভ্যস্ত মনে হল। আমি নিশ্চিত এই বুড়ি সচরাচর কথা বলার মানুষ পায়না। ছেলে মেয়ে সাথে থাকেনা,তাদের ক্ষেত্রে ঘটা বিভিন্ন মজার ঘটনা সে রীতিমত অভিনয় করে দেখালো। একসময় কথা বলতে বলতেই ঘরের বাইরে আসলাম আর সুন্দরভাবে বিদায় নিলাম।

ফেরার পথে একটা কথা মনে পড়ল। গত বৃহস্পতিবার ছিল থ্যাংস গিভিং ডে। কলম্বাসের সাথীদেরকে আমেরিকান আদীবাসীরা আপ্যায়ন করেছিলো,স্বাগত জানিয়েছিলো তাই সে দিনকে মনে রাখতে দীবস পালন করা হয়। কিন্তু আদীবাসীরা এদিনকে ঘৃণার সাথে শ্মরণ করে,কারন তাদের ভাষায় আদীবাসীদের সুআচরনের বিপরীতে কলম্বাস ও তার সাথীরা এদেরকে দাস হিসেবে গ্রহন করেছিলো,লাখে লাখে হত্যা করেছিলো নির্দয় ও বিভৎস্যভাবে,ধর্ষন করেছিলো। এরা সাদা নয়, এটাই ছিলো তাদের অপরাধ। শত শত বছর ধরে সাদাদের এ অত্যাচার অব্যাহত থাকে,এখনও ভিন্ন খোলসে সে অত্যাচার বেশ খানিকটা অব্যাহত রয়েছে অনেকের দ্বারা। এরা কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার সম্পর্কে তাচ্ছিল্য করে বলে-"এই লোক কিচ্ছু আবিষ্কার করেনি,নিজে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া। আমেরিকায় এসে বলে এটা ভারত ! "

তো যে কথাটা মনে করছিলাম তা হল-সেদিন একটা খবরে দেখলাম রিপাবলিকানদের এক প্রথমসারীর নেতা বলছে-সকল অবৈধ অভিবাসীদেরকে অবশ্যই আমেরিকা থেকে চলে যেতে হবে। .....তার এই কথার নীচে আদীবাসী আমেরিকান ক্যাপশন দেখলাম-"ওহ ! সত্যি নাকি ?? তা জনাব, আপনারা করে আমেরিকা ছাড়ছেন ?? "

এবার আসলাম উডল্যান্ড শহরে। এখানে মোটরবাইক রেসিং হয়। আজ ছিলো একটি রেসিং। গেলাম সেখানে। পাহাড়ের পাদদেশে একটি এলাকাকে উচু নীচু করে তৈরী করা হয়েছে। অবাক হয়ে দেখলাম ১০/১১ বছরের শিশুরাও ছোট ছোট মোটর বাইক নিয়ে একই ট্রাকে ছুটে চলেছে,তবে তাদের সময় ছিল আলাদা। কয়েকটা বাচ্চাকে দেখলাম বেশ জাম্প করছে বাইক নিয়ে। ব্যপক গতি নিয়ে যেভাবে ছুটে চলছে,দেখে মনে হবে প্রফেশনাল লোক।

বড়দের রেসিংও দেখলাম। গগনবিদারী শব্দে মোটরবাইক নিয়ে চলেছে তারা। তুষার গলে কাদা কাদা হয়ে গেছে,তার ভেতর দিয়ে চক্রাকারে ব্যপক গতি নিয়ে তারা ছুটে চলেছে। এটাই আমার প্রথম স্বচক্ষে বাইক রেস দেখা। একজনকে বাইক নিয়ে পড়ে যেতে দেখলাম,কিন্তু পরক্ষনেই সে উঠে ঠিকঠাক হয়ে চলতে শুরু করল। লক্ষ্য করলাম বেশ কয়েকজন মেয়ে রয়েছে এদের মধ্যে। কসরতে বোঝার উপায় নেই কে মেয়ে আর কে ছেলে। অনেকে দেখতে এসেছে এটা ,কিন্তু আমার পেটে ক্ষুধা,আমাকে যেতে হবে ভ্যাঙ্কুভারের অভিরূচী নামক একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে। সকালে তেমন কিছু খাইনি,ফলে একটা হেস্ত নেস্ত করে ফেলতে হবে।

যথাসময়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। এদিকে সকল রেস্টুরেন্টে বুফে লাঞ্চের দাম একই রকম,মানে ৯.৫ ডলার, সাথে ৯% সেলস ট্যাক্স আর বখশিস দেই ৫ডলার,কিন্তু পুরোটাই উসুল করে নেই। ভেড়ার গোস্ত,সাদাভাত,ফ্রায়েড রাইস,মুরগীর কয়েক পদ,স্বজীর কয়েক পদ,ভাজিভুজি,সালাদ,কিছু মিস্টি মিঠাই এসব। প্রথম প্লেট উড়িয়ে দিলাম,তা জিহবার ১ মিলি মিটার উপর দিয়ে পেটে গিয়ে পড়ল, ফলে স্বাদ ভালো বুঝলাম না। পরের দুবারে সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ল নিরিহ ভেড়ার উপর। মিস্টিও খেলাম কিন্তু গত রবীবারে শহরের আরেক পাশের চাটনী নামক রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদটা বেশী ভালো লেগেছিলো।

এবার গন্তব্য ফোর্ট ওয়াশিংটন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় বৃটিশ কোম্পানী 'হাডসন বে কোম্পানী' দ্বারা ১৮২৪ সালে। এর মোট এরিয়া ১৪.৬ ব:কি:মিটার। হাজার হাজার আস্ত গাছের কান্ড খাড়া করে এর দেওয়াল বা বেড়া তৈরী করা হয়। পাশে দাড়িয়ে মনে হল উচ্চতা ১৭/১৮ ফুটের মত হবে। এক কোনায় পাহারা টাওয়ার তৈরী করা হয়েছে বড় বড় গাছের কান্ড সাইজ করে চৌকাঠ বানিয়ে। বিশাল পুরু করে বানানো হয়েছে এই টাওয়ারের দেওয়াল। ভেতরে বেশ কয়েকটা বাড়ি। পরবর্তীতে আমেরিকান আর্মী এটা তাদের প্রশিক্ষনের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। এটি ছিলো আর্মীদের ব্যারাক। ১৯৪৮ সালে আমেরিকান আর্মী এটাকে জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ওয়াশিংটন সরকারের নিকট হস্তান্তর করে। এটাকে দেখে তিতুমীরের বাশের কেল্লার কথা মনে পড়ল। যদিও তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা স্থাপনার দিক দিয়ে এর থেকে বহু গুন দূর্বল ছিলো কিন্তু অন্যায়,অত্যাচার,যুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখলে দুটি দু মেরুর। অবশ্যই তিতুমীর ছিলেন ন্যায়ের সংগ্রামে বহুদূর এগিয়ে,যুলুমের প্রতিবাদে অনেক বেশী বলিষ্ঠ।

ফিরতি পথ ধরলাম। রাস্তায় ব্যপক গাড়ি ঘোড়া.....কোনো এক অজানা কারনে সব ধীরে চলছে। এবার পোর্টল্যান্ডের এশিয়ান স্টোরে গেলাম। জ্যান্ত তেলাপিয়া মাছ আর লাউ কিনলাম। জ্যান্ত মাছ বলতে এই একটাই আছে। বাসায় ফিরতে অন্য সময়ের দ্বিগুন সময় লাগল। সারদিনে ৫শ কি:মি: এর বেশী ভ্রমন হয়েছে। এখন রান্না করছি,তবে আজ আর কিছু খাবনা...কেবল এক বাটি তেতুল ছাড়া।

বিষয়: বিবিধ

১৫৮২ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

352119
৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০৫
নতুন মস লিখেছেন : পানির রং নীল। পাহাড়ের ভেতর শান্ত সরোবর। একপাশ থেকে তাকালাম,তাকিয়েই থাকলাম,তাকিয়ে থাকার মতই সুন্দর। পরিষ্কার আকাশ আর নীচে টলটলে,চকচকে সুন্দর পানি। পানিতে রাজহাসের দল সাঁতার কাটছে। পাখিরা উড়ে যাচ্ছে। সবুজ শান্ত প্রকৃতি। চারিদিকে কোনো মানুষের চলাচল দেখলাম না,যদিও নিকটেই কিছু বাড়ি রয়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৪
292435
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আসলেই সুন্দর স্থান,আর লেক ..ওহ..
352124
৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৪
292436
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
352147
৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আরেভাই আপনার লেখা পড়তেছি মনে হচ্ছিল নিজেই ভ্রমন করছি খুবই ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন কাহিনি অনেক অনেক ধন্যবাদ
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৫
292437
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাইলে তো আমার সাথে খেয়েছেনও...তাই তো বলি এত ক্ষুধা লাগে ক্যান....Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
352152
৩০ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো । ধন্যবাদ
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৬
292438
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আহা বহুদিন পর আসলেন এ পাড়ায়। আপনাকে স্বাগতম। গরম ভাতের সাথে ভেড়ার গোস্তের শুভেচ্ছাRolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আপনি কেমন আছেন বোন?
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:২৮
292659
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. I am fine alhamdulillah. How r u my little brother? I am not voracious but love eating warm rice and lamb. Just busy working!!!! Plz donot mind for English comment. Dua for you.
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
292697
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনার দোয়ায় আমিন ! আর আপনার জন্যেও দোয়া আছে
352156
৩০ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:০১
এবেলা ওবেলা লিখেছেন :

বাহবা Whew! Whew! আমনে এত উপরে উঠে এই দুঃসাহসিক ছবি কেমনে তুললেন-- উচ্ছতার কথা মনে করতেই আমার কলিজা Sad Sad কাফি উঠছে --- Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৭
292439
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি,সাথে আমার চাচা গুগল ছিলো তাই তুলতে সমস্যা হয়নি Happy
352188
৩০ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১২
শেখের পোলা লিখেছেন : তেঁতুল বা টক মেয়েদের বেশী প্রীয় তাও আবার বিশেষ সময়ে৷ কি জানি বাপু৷ জামানা তো বদল গিয়া৷ তা ভালই বেড়ালেন৷ সামনের টার্গেট কি?
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৮
292440
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহাহা...আমার কিছু আত্মীয় আমাকে বলত..তোর পেটে বাচ্চা নাকি ??? কি করব ছোটবেলা থেকেই খাচ্ছি....সামনে টার্গেট পুটির মা....Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
352205
৩০ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার বিবরন!
আমেরিকার আদিবাসি ইন্ডিয়ানদের সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ছিল। আপনার ওরিগন,ডাকোটা,ওয়াশিংটন এ তো নাকি বেশ কিছু রিজার্ভ আছে নেটিভ আমেরিকানদের। সময় সুযোগ পেলে লিখবেন তাদের সম্পর্কে। এত কম দামে বুফে খাচ্ছেন দেখে কান্না পাচ্ছে!!!
তেঁতুল টা আবার হেফাজতের না তো!!!!
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০২
292441
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি আসলে ইতিহাস তেমন জানিনা,যা জানি তা একেবারেই কম। আর যা লিখি তা ভ্রমনের মধ্য দিয়ে ভাষা ভাষা লিখি,নইলে পাঠক হবে ৫/৭ জন। মানুষ লাইট খাবার পছন্দ করে। আবার আমি নিজেও ভারী নই Happy

ভারতীয় রেস্টুরেন্টে কম দামে তারা ব্যবস্থা করে। নইলে কাস্টমার পাবেনা। কারন এখানে সব ধরনের মানুষকে বিবেচনায় রাখতে হয়। প্রচুর রেস্টুরেন্ট আছে যা অনেক নামকরা,তাদের সমান দাম হলে মানুষ সেখানে বেশী যাবে। চায়নিজরা ভালো ব্যবসা করছে
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
292472
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পাতিহাঁস না হলেও তাদের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে ইচ্ছা করে!!
352223
৩০ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

ভালোই ঘুরাঘুরির মধ্যে আছেন। চমৎকার ভ্রমণ বিবরণের জন্য শুকরিয়া। Good Luck
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৩
292442
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া অালইকুম সালাম। ভাবছিলাম আপনি হারায় গেছেন্ । হ্যা ভ্রমনটাই আসল। এটা আমার ভালো লাগে। আল্লাহ যেন বিশ্ব ভ্রমন করান,হজ্জ করার তাফিক দান করেন
352250
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:০০
আকবার১ লিখেছেন : লেখাটা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মনে হলো , আমিও
আপনার সাথে আছি।
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:২৬
292453
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি উপরের একজনও আমার সাথে ছিলো বলেছেন। তাইলে আপনার দুজন আমার সাথে ঘোরার পাশাপাশি খেয়েছেন বলেও ধরে নিচ্ছি Happy Happy
১০
352360
০২ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : কানাডার লেইক লুইসের ভিউ টাও অনেক সুন্দর। আপনার ভ্রমণ কাহিনী সবসময় ভাল লাগে। ভাল লাগলো
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
292699
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাদের লেক লুইস নিয়ে নিজে না লিখে বয়ান করেন ক্যান ?? সেখানে গিয়ে একটা পিকনিক করেন,তারপর খাবারের ছবিসহ কাহিনী লিখেন। জাতি জানতে চায় Happy Happy Happy সম্ভবত এখন সেই লেক বরফে পরিনত হয়েছে
১১
354095
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:১৯
আফরা লিখেছেন : আমাদের বাসায় অনেক গাছ আছে আগে শুধু মরে যেতু আমাদের প্রতিবেশী কাইজা একদিন বল্ল আফরা গাছের সাথে কথা বলতে হয় , উনার কথা শুনে এর পর থেকে আমি গাছের সাথে কথা বলা শুরু করি অনেক কথা বলি , সকালে উঠে তাদের সালাম দেই তাদের কুশুলাদি জানতে চাই , আমার কথা ও বলি সারাদিন কি করলাম তাদের শুনাই অনেক মজার মজার গল্প বলি আমরা এক সাথে হাসি মাঝে মাঝে কান্না ও করি যদি এর জন্য বাসার সবাই আমাকে পাগল বল্লে ও আমার গাছ গুলো এখন আর মরে না তারা খুব ভাল আছে । Rose Rose Rose Rose আপনি এই ফুল গুলোর সাথে কথা বলে দেখেন ৪ টা ফুল থেকে কয়েকদিন পর ৬ টা ফুল হবে আর আপনার খাবারের প্রতি লোভ ও কমে যাবে মনে হয় ।

ধন্যবাদ খাদক।
১২
354097
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৪৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বিসয়টা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত যে গাছেরা অনুবূতি বুঝতে পারে। আপনার কথা তারা বুঝতে পারেনা কন্তু একটা কম্পন অনুবব করতে পারে। জাপানে মিউজিক শোনানো হয় অনেক গাছকে। এতে তাদের গ্রোথ ভালো হয়।

যারা গাছ,পাখি,ফুল পছন্দ করে তারা মানুষ হিসেবে নরম হয়। এবং সংবেদনশীল হয়। গাছের সাথে কথা বলাতে পাগল ভাবার কারন নেই। আর আমরা প্রত্যেকেই কম বেশী পাগল আছি। একেক নের একেক রকম চিন্তা,কাজ আছে যা প্রকাশিত হলে অন্যে হাসাহাসি করতে পারে। এগুলোকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই জীবন।

আপনার ৪টি গোলাপকে গ্রহন করলাম। আমার বিশ্বাস এটা জ্যামিতিক হারে বাড়বে...৪ থেকে ৮...তারপর ১৬...জাজাকাল্লাহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File