আমার আল্লাহ আমার উপর সর্বদা রহমত করেছেন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৮:৫৩ রাত
আজও ছুটি। গতকাল রাতে বেশ রান্নাবান্না করলাম। কচুর মুখি কিনেছিলাম অনেক কিন্তু ২ সপ্তাহ পর্যন্ত রান্না না করাতে দেখলাম তাতে চারা গজিয়েছে। একবার ভাবলাম চারা পুতে দেই,কিন্তু শীত আসছে,এখন আর খোলা আকাশের নীচে এসব হবেনা। এটা বাংলাদেশ না যে বছরে ৫বার শস্য পাওয়া যাবে। অবশ্য কিছু কিছু স্টেটে সারাবছর উষ্ণ আবহাওয়া থাকে সেখানে বেশ চাষ হয়। তাছাড়া অন্য স্টেটে গ্রিন হাউসে চাষ করা হয়। আমারও ইচ্ছা ছিল ছোট খাট একটা গ্রীন হাউস বানাবো কিন্তু একজনের পেটের জন্যে গ্রীন হাউসের পরিকল্পনা সুবিধার নয়। যাইহোক কচুর মুখী রান্না করলাম,ভাবছিলাম সিদ্ধ হবেনা কিন্তু এগুলো বেশ ভালো বংশের মনে হল। আলু দিয়ে মুরগী রান্না করে সাদা ভাত দিয়ে টানলাম।
খানিক আগে সাতার কেটে ফিরলাম। এরপর পরোটা বানালাম। এখন ইউটিউব আর পিস টিভিতে আলেম উলামাদের কিছু বক্তব্য শুনব। অবসরে ইসলামী জ্ঞান চর্চা করতে বেশ ভালো লাগে। যতই জানি ততই মনে হয় নতুন কিছু জানলাম। যত দূর এগিয়ে যাই ততই মনে হয় আমি বহু পেছনের সারির লোক। প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে জানছি। আমার শ্রেষ্ঠ আমল হল আল্লাহর রহমতের নিকট নিজেকে সমার্পণ করা। আল্লাহর দয়ার উপর নির্ভর করা। কারন মানুষ এমন এক সৃষ্টি যার অহংকারের কোনো সুযেগ নেই অথচ সেটাই আমাদের মাথায় ভরপুর থাকে। যা করি তা অত্যন্ত নগন্য। ভাবছিলাম-আমার আত্মাকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবীতে আসার কোনো সম্ভাবনাই ছিলনা। আল্লাহ সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি করলেন এবং সৃষ্টির সেরা হিসেবে পৃথিবীতে পাঠালেন। একটি চরম সম্ভাবনার দরজা উম্মুক্ত করে দিলেন ,আর কিভাবে অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়লাম........
রাতে খানিকক্ষন চিন্তা করছিলাম। আমার উপর আল্লাহর অনেক রহমতের কথা চিন্তা করে ভাবছিলাম এখনই উঠে ২ রাকাত নামাজ আদায় করব,কিন্তু শয়তান এত শক্ত করে ধরল,উঠতে পারলাম না কিন্তু মনে মনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। এমন অনুভূতি হচ্ছিলো যে- আল্লাহ আমার মনের কথা শুনছেন। কিছু দোয়া করলাম নিজের জন্যে এবং অন্য মানুষের জন্যে। রাতে সুন্দর স্বপ্ন দেখলাম।
ইয়া আল্লাহ ক্ষমা করুন ! দুনিয়া এবং আখিরাতের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত দান করুন ! আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা করুন !
বিষয়: বিবিধ
১৭৪২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিজ্ঞানের আবিস্কার মানুষকে যেমন খারাপ পথে নিয়ে যাচ্ছে আবার অনেক মানুষকে আলোর পথ ও দেখাচ্ছে । তেমনি আবার ঘরে ঘরে আপনার মত হুজুর ও তৈরী করছে ।
অনেক ধন্যবাদ ।
কচু আমি খাইনা!
মাশা আল্লাহ। চমৎকার লেখা। আপনার মত আমারও কচুর মুখি পছন্দ। অনেক খোজাখুজীর পর ১৫ একর
জমি পেয়েছিলাম। একেবারে কেনার শেষ পর্যায়ে
ছিলাম। রিয়েলেটরকে প্রশ্ন করেছিলাম।
জমির গ্রাউন্ড এলিভেশন সমাপর্কে। উনি উত্তর
দিলেন সমতল। পরে নিজেই গুগলের গ্রাউন্ড মডেল থেকে ক্রোস সেকশন নিয়ে দেখলাম।
এক দিকে উচু অন্য দিকে নিচু সেই সাথে রয়েছে ডোবা। তাকে আমার তথ্যাদি দিলাম। ইমেলে তার কমেন্ট চাইলাম। সে আর উত্তর দেয়নি। বুঝলাম,সে সত্য কথা বলেনি। পরে
আমিও আগাইনি। প্রজেক্ট বাতিল করলাম।
জামিটা ছিল, সাউথ জর্জিয়ায়। এখনো ইচ্ছা আছে, কচুর মুখীর ফার্ম করা।
যতই জানি ততই মনে হয় নতুন কিছু জানলাম। যত দূর এগিয়ে যাই ততই মনে হয় আমি বহু পেছনের সারির লোক। প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে জানছি। আমার শ্রেষ্ঠ আমল হল আল্লাহর রহমতের নিকট নিজেকে সমার্পণ করা।
খুবই সুন্দর বিজ্ঞতা মূলক কথা, আমার ভাল লেগেছে। আরো ভাল লেগেছে জেনে যে, আপনিও আমার মত কচুর পাগল!
আমি কচুর সবকিছুই পছন্দ করি। আরব আমীরাতে কচুর সব অঙ্গের দামই সবচেয়ে বেশী। দেশ থেকে কেউ আসার সময় কি আনব জিজ্ঞাসা করলে বলে দেই, 'কচু শাক'। একটু চিন্তিত হয়! দেশে জিনিষটি সহজলভ্য বলে বরাবরই উপহার টি বিভিন্ন জন থেকে পেয়ে থাকি।
অনেক ধন্যবাদ
আল্লাহর অবারিত রহমাতের বারি বর্ষণ হোক আপনার সারাটা জীবনে- দোআ ও শুভকামনা রইলো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন