হ্যালোইন= বিজনেস
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:৩৫:১৩ সকাল
নাহ তত্ত্ব,তথ্য এসব কোনো বিষয় না। আপনি বলেন-" ওরে আহাম্মক ! তোর পূর্ববর্তীদেরকে কেউ বান্দর বানিয়ে মজা করেছে, সেটা শ্মরণ করে লাফাচ্ছিস ক্যান ?? তুই কি বান্দর ? " তাদের মনোজগৎ থেকে উত্তর আসবে-"হ্যা আমিও বান্দর, তোর কোনো সমস্যা ???"
পাশ্চাত্যের কিছু লোক সাংঘাতিক চালাক। এরা জানে কিভাবে দীবস বানাতে হয় অার কেন বানাতে হয়। তা না হলে কোথাকার কোন হ্যালোইন আজ এত বড় কারবার করতে পারে ! শুধুমাত্র এই দীবসকে কেন্দ্র করে শুধু আমেরিকাতে কোটি কোটি মিস্টি কুমড়া বিক্রী হয়,এর বেশীরভাগই ঘর সাজাতে ব্যবহৃত হয়,আরও ব্যবহৃত হয় পামকিন পাই,কেক,পামকিন ব্রেড ইত্যাদীতে। ভূত প্রেতের নানান কস্টিউম,বাড়িকে ভৌতিক উপায়ে সাজানোর সরঞ্জাম বিক্রী হয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের। আর সাথে আছে নানান চকলেট ক্যান্ডী। মানুষেরা কেনাকাটার জন্যে এতটাই পাগল হয়ে ওঠে যে অনেক কোম্পানী পণ্য সরবরাহ করতে হিমশিম খায়। আরও মজার ব্যাপার হল আমেরিকা,ইউরোপে ব্যবসায়ের ক্রেতা শুধু মানুষই নয়,সাথে আছে সম সংখ্যক কুকুর,বিড়াল বা পোষা প্রাণী। এর কারনে গড়ে উঠেছে এক বিশাল ইন্ডাস্ট্রী। সব মিলে একেবারে বেসামাল অবস্থা। তাহলে হ্যালোইন পালন হবে না কেন !!!
আসলে এরা ফান ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। এটা বোঝা সবথেকে সহজ,কারন এটা মানুষের ইন্সটিঙ্কট সংক্রান্ত বিষয়। এর বিপরীতে গিয়ে আত্ম নিয়ন্ত্রনটাই কঠিন বিষয় ,যা এরা বুঝতে চায়না। মুসলিমরাও যদি আখিরাতে বিশ্বাস না করত,তাহলে অবশ্যই তাদের বেশীরভাগই এসব ফুর্তিতে লিপ্ত হত অন্তর থেকে।
আজ কর্মস্থলে গিয়ে দেখী অনেকে অনেক রকম পোষাক পরে এসেছে। বেশীরভাগই ভৌতিক পোষাক পরেছে। আরও অনেকে সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের অনুরূপ তৈরী হয়ে এসেছে। তবে লক্ষ্য করেছি যাদের ব্যক্তিত্ব অনেক বেশী উন্নত,তারা এসব করেনি। অনেকে ভাবে-একদিনেরই তো ব্যাপার ! একটু করিনা ! কিন্তু এই এক দিনেই তার পতন হয় এবং অন্যের সামনে সে নিজেকে প্রকাশ করে ফেলে তার ব্যক্তিত্ব কোন পর্যায়ের। আমি অনেকটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি কে কোন স্বভাবের। কারন এরা এসবের ভেতর দিয়ে নিজেদের চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটায়। কিছু বিষয় মানুষ ঢাকতে পারেনা।
আজ প্রচুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে আর সাথে আছে প্রচুর চকলেট,ক্যান্ডি। আমি আবার দীবস না মানলেও খাবার দাবার বেশ মানি। একগাদা নিয়ে এসেছি ব্যাগ ভরে। তবে এ উপলক্ষ্যে রাতে একটা পার্টি আছে,সেখানে আমি যাইনি। আমি কখনই কোনো অফিসিয়াল পার্টিতে যাইনি। কারন এসব পার্টি আমার জন্যে নয়। আমি জান্নাতের পার্টির অপেক্ষায় আছি। এসব ছোট খাটো পার্টিতে আমার পোষাবে না।
ফেরার পথে দেখলাম প্রচুর বাচ্চা,তরুনরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চকলেট সংগ্রহ করছে। আমার বাড়ির সামনের লাইট অফ করে রেখেছি। এর অর্থ হল-চকলেট,ক্যান্ডি নেই...এখন রাস্তা মাপো।
কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে,,,এর মধ্যে আবার প্রচুর খাওয়া শুরু করেছি। আর প্রচুর মিস্টিজাতীয় জিনিস খাচ্ছি সপ্তাহ খানেক ধরে। এত বেশী খেয়েছি যে কয়েকদিনেই ওজন অন্তত ৩ কেজী বেড়েছে। বৃষ্টির জন্যে দৌড়াতে পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হয় জিহবাটা টেনে বের করে কপালের সাথে পেরেট মেরে রাখি........খানিক আগে বড় এক পিৎজার প্রায় অর্ধেক খেয়ে ফেলেছি.......নাহ লোকটা মানুষ হলনা !!!
বিষয়: বিবিধ
১২১৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাশ্চাত্যে এখন নাকি কেউ মারা গেলে তার জন্য কান্না করার লোকও নাকি পাওয়া যায় ভাড়া দিয়ে !
আমার অতো বেশি ভালো লাগে না। কম খেলেই শান্তি। রিজিক তো সীমিত, বেশি খেলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।
কে বলেছে রিজক সীমিত?
"ইন্নাল্লাহা ইয়ারজুকু লিমাইঁইয়াশা-উ বি গয়রি হিসাব"
ভাইইইইইয়া হ্যালোইনে ওরা শুধু কুমড়োকেই ব্যবাহার করে কেনো??
আমাকে কেমোন লাগছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন