সীরাত-৩ (পরের পর্ব থেকে নতুন নতুন নামকরন করার ইচ্ছা আছে)

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৩:১৫ সকাল

মুহাম্মদ(সাঃ)এর সময়ে ইহুদীদের তাওরাত এবং খ্রিষ্টানদের ইঞ্জিল বিকৃত অবস্থায় বিরাজমান ছিল(কিছুটা অবিকৃতও ছিল)। তাওরাত এবং ইঞ্জিল দুটোই আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নাযিলকৃত কিতাব ছিল। ইহুদী,খ্রিষ্টানদের অনেকে আল-কুরআনকে গ্রহণ করেছিল আবার অনেকে তাদের নিজেদের কিতাবের ওপর অটল ছিল। আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ রসূল মুহাম্মদ (সাHappyএর ওপর নাযিলকৃত আল-কুরআন সম্পর্কে অর্থাৎ আল্লাহর মনোনিত একমাত্র জীবন বিধান সম্পর্কে বলেন-

“ এটা হচ্ছে আমার পক্ষ থেকে দেখানো সরল সোজা পথ। অতএব একমাত্র এই পথেরই অনুসরণ কর। কখনও ভিন্ন পথ অনুসরণ করোনা। কেননা তা তোমাদেরকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দিবে।...... এটিই কল্যাণময় কিতাব, যা আমি নাযিল করেছি, অতএব তোমরা এর অনুসরণ কর এবং তোমরা আল্লাাহকে ভয় কর। হয়ত তোমাদের ওপর অনুগ্রহ প্রদর্শন করা হবে। তোমরা আর একথা বলতে পারবে না যে, কিতাব তো আমাদের পূর্বের দুটি সম্প্রদায়কে(ইহুদী-খ্রিষ্টান)দেয়া হয়েছিল,তাই আমরা সেই কিতাবের পাঠ সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম। অথবা একথা বলারও কোনো অজুহাত পাবে না যে, যদি (ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মত)আমাদেরকে কোনো কিতাব দেওয়া হত, তাহলে আমরা তো তাদের চাইতে বেশী সৎ পথের অনুসারী হতে পারতাম। আজ তোমাদের কাছে তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমান, হেদায়াত ও রহমতসম্বলিত কিতাব এসেছে। তার চাইতে বড় যালিম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করবে এবং তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। যারাই এভাবে আমার আয়াতসমূহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,অচিরেই আমি তাদেরকে এই জঘন্য আচরনের জন্যে নিকৃষ্ট শাস্তি প্রদান করব।”

(আল-কুরআন,৬: ১৫৩,১৫৫,১৫৬,১৫৭)

এখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন যে, যদি কোনো সম্প্রদায় এটা বলে যে, আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে যেভাবে কিতাব দেওয়া হয়েছিল,সেভাবে আমাদেরকে প্রদান করা হলে আমরা আল্লাহকে মানব,অথবা যদি বলে আমাদের পূর্ববর্তী কিতাব সম্পর্কে তো আমাদের কাছে তথ্য নেই, আমরা কিভাবে তা মানব ? আমাদের কাছে তো এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই। ইহুদী-খ্রিষ্টানসহ সারা দুনিয়ার সকল সম্প্রদায়কে আল্লাহ তায়ালা এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, বাক চাতুরতা,যুক্তি-তর্কের আর কোনো মূল্য নেই ; যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে মুহাম্মদ(সাঃ) রসূল হিসেবে এসেছেন এবং আল্লাহর অবতীর্ণ করা আয়াত নিয়ে এসেছেন। যদি এটা প্রত্যাখ্যান কর তাহলে তোমরাই যালিম এবং তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হবে, আর গ্রহণ করলে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করা হবে এবং এই কুরআনে বিশ্বাসীদেরকে যেসকল নিয়ামত প্রদানের কথা বলা হয়েছে তা প্রদান করা হবে। রসূল(সাHappyবলেন- “..... আহলে কিতাবদের মধ্যে থেকে-যে ব্যক্তী ঈমান এনেছিল তার নবীর প্রতি, অত:পর মুহাম্মদ(সাঃ)এর প্রতি, তার জন্যে দ্বিগুন সওয়াব।.....”-(বুখারী)

এবারে আমরা সংক্ষেপে কুরআন এবং সুন্নাহ’র সংরক্ষনের বিষয়ে কিছুটা আলোচনা করব। চলুন আমরা সামনে এগিয়ে যায়:-

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

341196
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
মূল নাম একই রেখে ব্র্যাকেটে পর্ব নাম দিতে পারেন। আপনি অন্য বিষয়ে পোষ্ট দিলে পার্থক্য করা সুবিধা হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪১
282791
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি সেটাই করছি। জাজাকাল্লাহ খায়রান। তবে লক্ষ্য করছি এসব লেখার পাঠক কম
341203
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : চালিয়ে যান, (সাঃ) এভাবে লিখুন। :এর পর )হলে হাসির ইমো হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪১
282792
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হ্যা, ক্লোন ব্যবার করার কারনে এটা হয়েছে। আজ ঠিক করে দিলাম। জাজাকাল্লাহ
341211
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৫
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪১
282793
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ
341368
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫১
শেখের পোলা লিখেছেন : বেশতো চলুন সামনে এগিয়ে যাই৷ধন্যবাদ৷
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪২
282794
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান চাচা ভাই Happy
341420
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সত্যিই ভালো উদ্যোগ।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩২
282914
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File