‘বড় পীর’ বলে খ্যাত আব্দুল কাদের জীলানীর(রহঃ) কিছু পরিচয়
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:১৪:০৫ সকাল
পুরো নাম আবু মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের বিন মূসা বিন আব্দুল্লাহ। তিনি ৪৭০ হিঃ মোতাবেক ১০৭৭ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ইরানের অন্তুর্ভুক্ত তাবারিস্তানের জীলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ৪৮৮ হিজরীতে বাগদাদ গমন করেন। সেখানে বিভিন্ন বিদ্বানগণের নিকট কুরআন-হাদীছ ,ফিক্বহ, আদব, নাহু সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন।
ইবনুল আছীর, ইমাম যাহাবী, সাম‘আনী প্রমুখ বিদ্বানগণ তাঁকে সৎ, পরহেযগার, ফক্বীহ, যাহেদ ও হাম্বলী মাযহাবের ইমাম হিসাবে অভিহিত করেছেন (আল-কামেল ৯/৩২৬; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৩৯/৮৯; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২০/৪৩৯-৪১)।
ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, তাঁর সুন্দর সুনাম ছিল... তাঁর মাঝে দুনিয়াবিমুখতা অধিক ছিল। তাঁর ব্যাপারে তাঁর অনুসারী ও সাথীদের অনেক বক্তব্য রয়েছে। তারা তার অনেক কথা, কর্ম ও কাশফ-কারামাতের কথা উল্লেখ করেন, যার অধিকাংশই বাড়াবাড়ি বৈ কিছুই নয়। বরং তিনি সৎ ও পরহেযগার ছিলেন। তিনি আল-গুনিয়াহ ও ফুতূহুল গায়েব গ্রন্থদ্বয় রচনা করেছেন। তাতে অনেক সুন্দর বিষয় রয়েছে। তবে তাতে বহু যঈফ ও জাল হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ১২/৭৬৮)।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে আব্দুল কাদের জীলানীর কবরে শিরকী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে শায়খ আব্দুল কাদের এ সব কর্মকান্ড করতে বলেননি এবং তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশও দেননি। তার ব্যাপারে যারা এ সব কথা বলবে তারা মিথ্যাবাদী। বরং শিরকী ও চরমপন্থী একদল লোক এসব বিদ‘আত আবিষ্কার করেছে’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়াহ ২৭/১২৭)। তিনি ৫৬১ হিজরী মোতাবেক ১১৬৬ খৃষ্টাব্দে ইরাকের বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
--হাম্বলী মাযহাবের আলেম হানাফিদের পীর হয় কিভাবে?
--অন্য মাযহাবের ইমামকে মানতে পারে না অথচ পীর স্বিকার করে কেমন করে? ভাই!
আগেকার আমলের বুগুর্গ মানুষেরা এতদ অন্চলে এসেছিলেনই ইসলাম প্রচারের জন্য , তারা মারা যাওয়ার পরই মুলত তাদের নিয়ে তাদের ভক্তদের এরকম শিরকী কাজ কারবার শুরু হয়েছে শয়তানের উস্কানী/প্ররোচনাতে ।
শয়তান মানুষকে আল্লাহর নাফরমান করে দেবার শপথ নিয়েছে এবং সে এটা ভাল করেই জানে যে শিরক হল সবচেয়ে বড় অন্যায় । তার সাথী করে সে মানুষকে নরকে নিয়ে যেতে চায় যে মানুষকে সে ঘৃনা করে।
এখনকার যে সব জীবিত পীরেরা আছে যারা তাদের মুরিদদের এসব কাজ কারবার নিয়ে বেশ মশগুল আছে এটাও যে শয়তানেরই একটা প্ররোচনা সেটা পীরও বোঝে না , বোঝেনা তার সাগরেদরাও।
শয়তান তাদের কাছে তাদের এই মন্দ কাজ কে শোভন করে দেখাচ্ছে ।
ঠিক তাই, তার ব্যাপারে যারা এ সব কথা বলবে তারা মিথ্যাবাদী। বরং শিরকী ও চরমপন্থী একদল লোক এসব বিদ‘আত আবিষ্কার করেছে..।
মন্তব্য করতে লগইন করুন