পীরানে পীর দস্তগীর হযরত আব্দুল কাদের জীলানী...
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৯ জুলাই, ২০১৫, ০১:৩৬:২০ দুপুর
পীরানে পীর দস্তগীর হযরত আব্দুল কাদের জীলানী...
বাংলাদেশের বহু পীর নামধারী ব্যক্তি বাগদাদের প্রখ্যাত ও সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ আলেম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী(রহঃ)কে উপরোক্ত খেতাবে ভূষিত করেছেন। পীরানে পীর মানে হল পীরের পীর বা বড় পীর। আর দস্তগীর মানে হল (দস্ত=হাত,গীর=ধরা) হাত ধরা। একদা আল্লাহ এবং বড় পীর রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন,হঠাৎ আল্লাহ পা পিছলে পড়ে যাবার উপক্রম হন(নাউযুবিল্লাহ) আর সে সময় বড় পীর আল্লাহর হাত ধরে ফেলেন এবং তাকে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন। আর সেখান থেকে তার খেতাব হয় দস্তগীর !!! (মন্তব্য নিষ্প্রোয়োজন)....
বড়পীরকে কবরে ফেরেশতারা প্রশ্ন করে,কিন্তু সে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উনি উল্টো ফেরেশতাদের প্রশ্ন করলেন আর ফেরেশতারা জবাব দিতে পারল না। বরং বড় পীরের পরিচয় পেয়ে তার সকল ভক্তদেরও কবরেও প্রশ্ন করা বাদ দিল। তাদের আজাব মাফ। আরও বহু কথা... (এখানেও মন্তব্য নিষ্প্রোয়োজন,কিন্তু একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে। আমি যু্ক্তির খাতিরে এটা মানলাম,কিন্তু কবরে বড় পীরের সাথে ফেরেশতাদের ওই কথপোকথনের রেকর্ডটি জীবিতদের কাছে নিয়ে আসল কোন ইয়াবাখোর ? )
ওদিকে দেওয়ান বাগীর একটা বক্তব্য শুনলাম তার নিজমুখে। উনার সাথে নাকি রসূল(সাঃ)এর কন্যা ফাতেমার(রাঃ) বিয়ে হয়েছিলো !!!
.....নাহ সম্ভব না,,,মানে গাজার সাথে হেরোইন,তার মধ্যে ইয়াবা গুড়ো করে ফেনসিডিলের সাথে দিনে রাতে ২৪ বার খেয়ে ৮০ বছর পার করে সিদ্ধী লাভ করলেও এসব বলা সম্ভব নয়। তাইলে সমস্যা কোথায় ???
সমস্যা হল: সমাজ,রাষ্ট্র যখন ইসলাম দ্বারা পরিচালিত না হয়ে জিন,ভুত,ছুচো,তেলাপোকা,পোকা মাকড় দ্বারা পরিচালিত হয় তখন এরকম সমস্যা তৈরী হয়। একজন বলছিলো মাইরের উপর ওষুধ নাই। আমি অনেক পাগলকে ভালো হতে দেখেছি।
বি:দ্র: একটি দরসে একজন ছাত্র শাইখ আব্দুল কাদের জিলানী(রহঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন উনার মর্যাদা সাহাবাদের তুলনায় কেমন । জবাবে উনি বলেছিলেন-বেয়াদব ! এরকম কথা কখনই জিজ্ঞেস করবে না। সাহাবীরা ঘোড়া ছুটিয়ে যখন জিহাদের ময়দানে যেতেন তখন সেসব ঘোড়ার খুরের সাথে উত্থিত ধুলাবালির সমানও অামি নই। উনার বেশ কিছু কিতাবের মধ্যে দুটি কিতাব হল: ফাতহুর রাব্বানী ও গুনিয়াতুত্তালিবিন। অবশ্য এ কিতাবগুলো অনেকের হাতে পড়ে কিছু সংশোধিতও হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৪৬২৪ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইইইইইয়া, আমার খবর কতততদুর গরুর গোস্ত ভুনা দিলাম তার পরেও কাজ না হলে কিন্তু
রাসুল(সাঃ) তার চাচা আবু তালেবকেও ইমান আনাতে পারেন নি , চেয়েছিলেন আল্লাহর কাছে উনি চাচার জন্য সুপারিশ করবেন । সেটা আর হয় নি , কারণ আল্লাহই চান নি ।
যেখানে রাসূল (সাঃ) পারেন নি সেখানে পীর কিভাবে পারবে ?
আবু জান্নাত ভাই, পড়ুন মনোযোগ দিয়ে।
থানবী রঃ কি নিজে এমন আক্বিদা রাখতেন?
এটা যদি সত্যিইও হয়, তা তার মা ও পানিপতির ঘটনা,
তাই বলে দেওবন্দী আলেম ওলামারা এর জন্য দোষী হবে কেন?
ধন্যবাদ
আশরাফ আলী থানবী তো দেওবান্দের ই একজন তাই না!?
নাকি ব্রেলভিদের একজন!?
ভুল কে ভুল হিসেবে গ্রহণ করার মানষিকতা খুবই কষ্টের। জদি আবার সেটা আকাবির হয় তা আমি বুঝতে পারছি।
স্পষ্ট দেয়া আছে বই কার কি নাম, পারলে প্রকাশনির সাথে যোগাযোগ করুন আর তাদের জিজ্ঞাসা করুন কেন তারা এগুলা লিখছে?
আল্লাহ আমাদেরকে এই ধ্বংশ থেকে রক্ষা করুন আমীন।
এই ব্রেলভীদের প্রবলেম থেকে বাচতে দেওবান্দ হলো এখন সেখানেও প্রবলে দিয়ে ভর্তি। ব্রেলভিরা বলে তাদের পীরআকিদা আর দেওবান্দিদের আকিদা উপরে দেখতে আলাদা হলেও ভিতরে একই।
কেননা আশরাফ আলী নামকরণ নিয়ে যে বর্ণনা পাওয়া যায় কিতাবে যে, আলীর বংশের নামে রাখলে মরবেনা এইরখম আকিদা রাখাদের বা কিভবে ঠিক হিসেবে মানাযায়।
যদিও দেওবান্দিদের বললে তারা অস্বিকার করে বলে, আমরা এসব আকিদা রাখি না। অথচ তাদের কিতাবে বুহু উদাহরন পাওয়া যায়। আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ তার উত্তম উদাহরণ।
জাজাকাল্লা খায়রান।
আলীর বংশের নামে রাখলে মরবেনা এইরখম আকিদা রাখাদের বা কিভবে ঠিক হিসেবে মানাযায়।
এই কথাটি আপনি কোথায় পেলেন? স্ক্রীনশট সহ দিলে কৃতজ্ঞ হব। @জ্ঞানী
আবু জান্নাত ভাই, পড়ুন মনোযোগ দিয়ে।
থানবী রঃ কি নিজে এমন আক্বিদা রাখতেন?
এটা যদি সত্যিইও হয়, তা তার মা ও পানিপতির ঘটনা,
তাই বলে দেওবন্দী আলেম ওলামারা এর জন্য দোষী হবে কেন?
যদি দেওবন্দী ওলামারা এই আক্বিদা না রাখেন, তবে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ইলজাম লাগানো হবে।
ধন্যবাদ
আশরাফ আলী থানবী তো দেওবান্দের ই একজন তাই না!?
নাকি ব্রেলভিদের একজন!?
ভুল কে ভুল হিসেবে গ্রহণ করার মানষিকতা খুবই কষ্টের। জদি আবার সেটা আকাবির হয় তা আমি বুঝতে পারছি।
স্পষ্ট দেয়া আছে বই কার কি নাম, পারলে প্রকাশনির সাথে যোগাযোগ করুন আর তাদের জিজ্ঞাসা করুন কেন তারা এগুলা লিখছে?
আমি ছোটকালে অসুস্থ ছিলাম, আমার আম্মা আমাকে দিয়ে মাজারে মানতের টাকা পাঠালেন, তখন আমার বয়স ৭/৮ হবে। আপনি কি এখন বলবেন যে মাজারে টাকা দিলে রোগ ভালো হয় আমার বিশ্বাস?
দেখেন আকাবিরকে ধরতে আপনি (যদিও সত্যি হয়) লাগালেন। অথচ বলার সৎসাহস পেলেন না যে এটি মিথ্যা!
আমি কোথায় লিখেছি যে এটা আশরাফ আলী থানবীর আকিদা!!
আমি বলেছি যারা এরকম আকিদা রাখে! যে এই বই অনুবাদ করেছে তার আকিদা বুঝিয়েছি। কেননা অনুবাদকও একজন দেওবান্দি।
আপনি কি দেওবান্দের আকিদা আরো দেখতে চান!!? তাহলে আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ পড়েন।
আমি জানি আপনি দেওবান্দি তাই ভুল টা আপনার চোখে পড়বে না। তার পরেও বলা যায়না আল্লাহ জদি আপনাকে তাওফিক দেন। সেই দুআ করি।
বিশাআল ক্ষতি হয়ে যাবে। এখন তো উনার মর্যদায় আরো একজন অভিষিক্ত হয়েছেন। সুতারাং চুপ চুপ!!!
গাউস শব্দের অর্থ ত্রাণকর্তা, রক্ষাকর্তা, পরিত্রাণদানকারী, উদ্ধার কারী ইত্যাদি। এবং আজম শব্দের অর্থ মহান,বড় বা সর্বশ্রেষ্ঠ। গাউসুল আজম শব্দের অর্থ হল সর্ব শ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা। এ কথাটি আল্লাহ ছাড়া আর কারো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা হতে পারেন না। কোন মানুষকে এ নামে ডাকার অর্থ হল তাকে আল্লাহর গুণাবলীতে গুণান্বিত করা। আব্দুলণ কাদের জিলানী কখনও নিজেকে গাউসুল আজম দাবি করেন নি। তাহলে কেন তাকে আমরা গাউসুল আজম ডাকব? কাউকে এ নামে ডাকলে তা হবে শিরকের নামান্তর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন