বিদআত থেকে সাবধান !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৪ জুন, ২০১৫, ১১:১৬:৪৩ সকাল
যে ব্যক্তি নিজে কোন বিদআত করল অথবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দিল, তার উপর আল্লাহতায়ালা, ফেরেশতা এবং সব মানুষের লানত পতিত হোক। তার ফরজ বা নফল কোন ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। -(বোখারি- ১: ১৫১; মুসলিম -১:১৪৪)
নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যেক বিদআতীর ওপর তওবার দ্ধার বন্ধ করে দিয়েছেন। -(মাজমাউয যাওয়াইদ-১০:১৮৯)
রাসুল (স) একদিন বললেনঃ ''তোমাদের অবস্থা তখন কেমন হবে যখন বিদ'আত তোমাদেরকে এমনভাবে ঘিরে নেবে যেএই বিদ'আত করতে করতে তোমাদের যুবকেরা বৃদ্ধ হবে, আর এই বিদ'আত করতে করতে ছোটরা বড় হবে এবং মানুষ এটাকে (অর্থাৎ এই সব বিদ'আত কে) সুন্নাত হিসাবে গ্রহনকরবে। আর যদি কেউএই বিদ'আত এর কিছু ত্যাগ করে, তখন তাকে বলা হবে, 'তুমি কি একটা সুন্নাত ত্যাগ করলে ?'' সাহাবীগন (রা) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ''কখন এমনটা হবে??" তিনি (স) বললেনঃ যখন (হাকপন্থি) আলিমদের মৃত্যু হয়ে যাবে, ক্বারিদের (reciters) সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, দীন এর বুঝ সম্পন্নমানুষের সংখ্যা হবে খুবই অল্প, (religious)নেতা /মাতবরদের সংখ্যা বাড়বে, বিশ্বস্ত মানুষহবে খুবই কম, দীনএর কাজের মধ্যে মানুষ দুনিয়ার লাভ খুঁজবে,এবং দীনী 'ইলম বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য জ্ঞান অন্বেষণ করা হবে'' [সুনান আদ-দারেমি (১/৬৪), দুটি ভিন্ন সনদে, প্রথমটি সাহিহ এবং দ্বিতীয়টি হাসান (আলবানি), হাকিম (৪/৫১৪)]
বি:দ্র: বিদআত মানে হল আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে নতুন রীতি নীতি সংযোজন করা। এমন কিছু আচরণ যা রসূল(সাঃ) আমাদেরকে শেখাননি বা নিজে করেননি বা অনুমতি দেননি বা মৌন সমর্থনও জানাননি। বিদআত হল এমন একটি বিষয় যা ইবাদতের মত দেখতে কিন্তু তা ইবাদত নয়। মূলত: কিছু সংখ্যক নির্বোধ কিন্তু পরহেজগার বান্দা বিআতের জন্ম দিয়েছে। তারা ভেবেছে এটা করলে হয়ত আল্লাহ খুশী হবেন। এভাবে ভালোর নিয়তে মন্দের প্রচলন হয়েছে। যা কিছু কুরআন সুন্নাহতে নেই ,ইবাদত হিসেবে তা বিবেচ্য হবেনা। কিছু বিদআতি উত্তম বিদআত ও খারাপ বিদআত বলে বিদআতের মধ্যে বিভাজন করে থাকে। কিন্তু সিরাতুল মুস্তাকিম হল সরলভাবে কুরআন এবং সুন্নাহকে নি:শর্তভাবে গ্রহন করা।
তবে প্রযুক্তি গ্রহন করা না করার সাথে বিদআতের সম্পর্ক নেই। অনেকে বলে থাকে পূর্বে উটে চড়ত মানুষ,এখন প্লেনে চড়ে। প্লেনটা নতুন সংযুক্তি বা বিদআত। এটা আসলে যুক্তি দিয়ে পরিত্যাজ্য বিষয়কে হালাল করার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। রসূল(সাঃ) বিভিন্ন যুদ্ধে কাফিরদের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এমনকি খন্দকের যুদ্ধের খন্দক খনন ছিল পারস্যের যুদ্ধ পরিকল্পনার একটি অংশ,যা হযরত সালমান ফার্সী(রাঃ)এর অভিমতে হয়েছিলো। বিদআত হল দ্বীনের মধ্যে কিছু অংশ ভালোর নিয়তে সংযুক্ত করা ও পালন করা। রসূল(সাঃ)বলেন-প্রত্যেক বিদআতই হল গোমরাহী আর গোমরাহীর পরিনাম জাহান্নাম।-বুখারী
পূর্ববর্তী কিতাবীরা বিদআত করে ধ্বংস ও অভিশপ্ত হয়েছে। অতএব আমাদেরকে ইবাদতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই নামের গ্রামটির কথা কখন যে শুনেছি মনে পড়ছে নাহ্ ওকেওকেওকে আসবো
পুটির খালাবলে কথা তার নাম কি? মোয়া না ট্যাংরা
সমস্যা হচ্ছে বিদআত সনাক্ত করাটা অনেক কঠিন বিষয় ।
আমি উমরী ক্বাজা নামাজের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন দলিল না পেয়ে ওটা আদায় করা স্তগিত করেছি ।
নফল নামাজ পড়ার বিষয়ে স্পষ্ট দলিল পাওয়া যাচ্ছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
অনেকে তো বিদয়াত এর সঙ্গা বাড়িয়ে ইসলামি ব্যাংকিং কেও বিদয়াত বানিয়ে দিয়েছেন!! উনরাই আবার মিলাদ কে জরুরি মনে করেন।
বিদয়াত হচ্ছে ইবাদত এর ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন। জিবনের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন