প্রিয় ব্যক্তিত্ব-আমার পুটির মা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৫ জুন, ২০১৫, ১১:৫২:৪৪ রাত



জানি আপনারা অবাক হচ্ছেন অথবা হাসাহাসি করছেন শিরোনাম দেখে কিন্তু এটা সত্য। আমি মিথ্যা বলি না তা নয়, কিন্তু আমি সত্য বলতে পছন্দ করি,আলহামদুলিল্লাহ আমি সত্যবাদী।

পুটির মা নামক একটি চরিত্র আমি আমার নিজের কল্পনায় তৈরী করেছি। আমি সেটাকে নিয়ে আমার অবসর কাটাই। বাস্তবে পুটির মা সেরকম কিনা সেটা আল্লাহই ভালো জানেন,কিন্তু এটা আমার এক অতি কল্পনার সৃষ্টি। আমি আমার স্ত্রীকে ওরকম পেতে চাই এবং আমিও তার জন্যে ঠিক পুটির বাপের মতই।

আমার কল্পনার পুটির মা'ই আমার প্রিয় মানুষ। একটা সময় ছিল যখন অনেক আড্ডবাজি করেছি,বন্ধুদের সাথে নানানভাবে মেতেছি। কিন্তু এখন আমি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছি। নিজের একাকিত্ব ভুলতে নিজের মনেই অনেক কিছু তৈরী করি। আমি আসলে অনেকটাই নি:সঙ্গ। আমার এবং আরো কিছু মানুষের প্রবল প্রয়োজন আমাকে এই নির্জনে এনেছে। বলা যায় আমি বন্ধুহীন। ব্লগের অদৃশ্য মানুষগুলোই আমার বন্ধু।

আমি আমার নিজের জগতে নিজের মত বেচে থাকি। সুখ,দু:খ,হাসি আনন্দ সব নিজের সাথেই হয়। এরই ভেতর দিয়ে হঠাৎ পুটির মায়ের জন্ম। এক অনাগত চমৎকার একটি মেয়ে সে।

পুটির মা আমার সকল পরিবেশের সাথী। আমি যেভাবে তাকে চাই ,সে আসলেই তেমনটা নয় বলে মনে হয়,কিন্তু পরক্ষনেই আবার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় যে,সে আমার মতই। তার কথা,চাল চলন খুবই দারুন। পুটির মা খুবই সাধারন সাদাসিদা নারী। তার চাহিদা একেবারেই কম। মোটা ভাত,কাপুড়ে সে সুখী। সে সাংঘাতিক ক্রিয়েটিভ একজন। সে জানে কিভাবে অল্পতে তুষ্ট থাকা যায়। সে সেই চেষ্টাই করে।

পুটির মা একটি ধনী পরিবারের মেয়ে। তার পিতা ধনী ব্যবসায়ী,তার মা অত্যন্ত গুনবতী। জানিনা তার মায়ের গুনের পুরোটা তার মধ্যে এসেছে কিনা কিন্তু তার গুন দেখে মনে হয়েছে অনেককেই ছাপিয়ে গেছে। ওর এক বোনের বিয়ে হয়েছে অন্যতম সেরা ধনীর সাথে। কিন্তু পুটির মা কেন যে আমাকে বিয়ে করতে গেল বুঝলাম না।

আমি এক দরিদ্র কৃষক। অন্যের ক্ষেতে কাজ করি আর নিজের ছোট্ট একটা ক্ষেতও আছে। মূলত আমি পরের ক্ষেতেই কাজ করতাম। পরে পুটির মায়ের উৎসাগেই নিজের জায়গায় চাষাবাদ শুরু করি। পুটির মায়েদের বিশাল জায়গা জমি আছে,তার একটি অংশ আমাদের গ্রামেও রয়েছে। পুটির মায়ের বাপ, একবার গ্রামে আসল তার এই অংশটির আবাদ করার জন্যে। তিনি বর্গা দিয়েছিলেন পূর্বে। কিন্তু যাকে বর্গা দেওয়া হয়েছিলো সে সুবিধার ছিলনা। ফসল তেমন দিতনা আর লোকসান হয়েছে বলত। এবার উনাকে কেউ আমার কথা বলেছিলো। উনি আমাকে ডেকে বললেন-তুমি এটার চাষ করো,তেমাকে টাকা দেব নগদ। তিনি আমাকে অগ্রীম কিছু টাকা দিলেন। আমি বললাম, আমি তো অগ্রিম টাকা নেইনা। আর আমি আপনার ক্ষেত চাষ করব সঠিকভাবে। সেটা বিত্রী করব,আর খরচ বাদে যেটা লাভ হবে তার ৪০% আমাকে দিতে হবে। আপনি এই হার আপনার মত করেও বলতে পারেন। আর লোকসান হলেও আপনাকে সেটার অংশ নিতে হবে। কিন্তু আমি মিথ্যা বলিনা। আর আমি ভালো কৃষক।

তিনি রাজি ও খুশী হয়েছিলেন আর আমি বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছিলাম। তবে উনার জমিটা নীচু স্থানে হওয়ায় এবং পানি জমে যাওয়াতে ফসল ভালো হতনা। কিন্তু উনি আমার বিশ্বস্ততায় খুশী ছিলেন। আমি উনার প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে হাটে ফসল বিক্রী করে হিসাব করে টাকা প্রদান করতাম। একবার উনার ছোট মেয়ে গ্রামে আসে। সেটা ছিল শীতকাল। আমি তরকারীর চাষ করেছিলাম। সে মেয়েটি ক্ষেত দেখে খুব খুশী হয়। তাকে আমি গ্রাম দেখাই ,নদীর ধারে নিয়ে যাই। টুকটাক কথা থেকে অনেক কথা.....। এরপর সে কয়েকবার আমার গ্রামে এসেছে। একদিন সে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাকে তার ভালো লাগার কথা বলে। আমি আকাশ থেকে পড়ি। এক দরিদ্র কৃষককে কারো ভালো লাগতে পারে তা ছিল কল্পনার অতীত। আমি তাকে আমার বাড়িতে এনে আমার ঘর দেখাই। আমার সম্পর্কে সব তথ্য দেই,কিন্তু সে বলে এসব দেখালে কোনো লাভ নেই,আমি যা দেখার তা দেখেছি। মেয়েটা ছিল জেদী প্রকৃতির। সে তার পরিবারকে কিভাবে কিভাবে জানি ম্যানেজ করে ফেলে। আমরা বিয়ে করি। কিন্তু সামাজিকতার ভয়ে তার পরিবার আমাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখে। এতে আমরা কিছু মনে করিনা। আমরা সুখে দিন পার করি আর আল্লাহর ইবাদত করি। আমরা সর্বদা আল্লাহর উপর নির্ভর করি এবং তার বিধানে সন্তোষ প্রকাশ করি।

বিয়ের পর থেকে প্রতিটা দিনই আমি তাকে নতুন করে চিনি। সে এক বিশ্বয়কর নারী। তার কোনো আচরনে কখনই তার পূর্বের জীবনের ছাপ পড়েনি। সে ধনী ও উচু পরিবারের ,সেটা প্রকাশ করেনি বরং আমার মত করে চলার চেষ্টা করেছে। আমার সাধারন ইনকামে সে সন্তুষ্ট। তার প্রয়োজনটাকে সে আমার সাধ্যের মধ্যে বেধে ফেলেছে। কিন্তু সে যে এই আত্মত্যাগ করেছে,সেটাও সে আচরনে প্রকাশ করেনা। আমার সাথে ঝগড়াও করে,কিন্তু সেটা আমার নিজের বিষয় নিয়ে। আমি ইবাদতে গাফিলতি করলে সে মোটেও সহ্য করেনা। ফজরের সময় উঠতে দেরী করায় পৌষ মাসের শীতে আমার গায়ে কতবার যে ঠান্ডা পানি ঢেলেছে তার হিসেব নেই। আমার ছেড়া লুঙ্গীতে সে সযত্নে তালি লাগিয়ে দেয়। জানে নতুন লুঙ্গী বছরে মাত্র ১/২ বার কেনার সামর্থ আছে আমার। আর আমি তাকে বছরে ২টা শাড়ী দিতে পারি,আর হাত খরচের জন্যে অল্প কিছু টাকা। তার কিছু মুরগী আছে,বাড়ির পেছনে কিছু তরকারীর মাচাও আছে। এটা সেটা বিক্রী করে অল্প কিছু টাকাও তার হাতে আসে। সেটা দিয়ে মাঝে মাঝে ভালো মন্দ খাবার কিনে আনায়। আবার কয়েকবার আমার লুঙ্গি গেঞ্জী কিনে দিয়েছে। সে আমার সংসারটা জান্নাত বানিয়ে দিয়েছে।

আমি বাইরে তেমন আড্ডা মারিনা। চা খাওয়ারও অভ্যাস নেই। পুটির মা মাঝে মাঝে চা বানায়। সে লেবু চা পছন্দ করে। তার সাথে চা খেতে হয়,নইলে সে রাগ করে। তার পছন্দের চা খেতে খেতে এখন আমার ওটাই পছন্দ হয়ে গেছে। পুটির মা এক অবাক করা নারী। বাসর রাতে আমাকে বলেছিলো-এই তুমি নাক ডাকো নাকি ঘুমালে ? বললাম , না, এই অভ্যাস আমার নেই। আমি সুস্থ্য সবল মানুষ। সে বলেছিলো-বেচে গেলে। ঢোক গিলে বললাম,নইলে কি করতে ? সে বলল-গলা টিপে ধরতাম। কি সাংঘাতিক নারী ! প্রথম দিনই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম সে অনেক দারুন একজন মহিলা।

একবার কাজের কারনে যোহরের নামাজ পড়তে মনে ছিলনা। পরে দেখী কিছুই রান্না হয়নি। বললাম রান্না করোনি ? সে বলল-নামাজ পড়েছো আজ ? তখন আমার হুশ হলো। সে বলল-ঠিক আছে নামাজ পড়ে নাও আমি রান্না বসাচ্ছি। খেতে দেরী হবে,এটাই তোমার শাস্তি। অথচ আমার কারনে সে নিজেও দেরী করে খেয়েছে,সে বিষয়টি সে কিন্তু উল্লেখই করেনি। কি সাংঘাতিক মেয়ে !

এরপর থেকে আমার সাধারনত এরকম ভুল হয়না। বিভিন্ন বিষয়ে তার বিভিন্ন রকম শাস্তি আমাকে লাইনে থাকতে বাধ্য করে। আমাদের সময়গুলো খুবই উপভোগ্য। প্রতিটা ক্ষনই আনন্দময়। কখনই বুঝতে পারিনা যে আমি গরিব। তার গুন আমাকে মুগ্ধ করে। আমি তার সরাসরি প্রশংসা করি,কিন্তু সে তা করেনা। সে গরম বাক্য বিনিময়েও ভালোবাসা প্রকাশ করে। এটাই তার স্বভাব।

পুটির মা সুন্দর করে গল্প করে। রাতে আমরা যখন শুতে যাই,তখন অনেক ক্ষন ধরে গল্প করি। সারাদিনের ঘটে যাওয়া নানান বিষয়,ভবিষ্যৎ পুটিদের নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করে সে। সে বলে আমরা আমাদের পুটিদেরকে অনেক বড় বড় আলেম বানাবো। তারা প্রচলিত অশিক্ষিত হুজুর হবেনা। তারা হবে বড় স্কলার। তারা সমাজকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে। তাদের জন্যে আমি সবকিছু করব। তার স্বপ্ন আমার ভেতর প্রবেশ করে। আমিও তার মত স্বপ্ন দেখী।

পুটির মার মত সত্যবাদী এবং সৎ সাহসী নারী আমি দেখিনি। সে অন্যায়ের বিরোধীতায় প্রবল । সে কাওকে পরোয়া করেনা। সেদিন একদল কলেজ পড়ুয়া ছেলে একটা মেয়ের ওড়না টানাটানি করে। এটা দেখতে পেয়ে পুটির মা লাঠি দিয়ে এক ছেলেকে এমনভাবে পিটিয়েছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা নিয়ে গ্রামে শালিস বসানো হল। কেউ কেউ এটাকে বাড়াবাড়ি বললেও অধিকাংশই পুটির মায়ের প্রশংসা করল আর সেই ছেলেদেরকে হুশিয়ার করে দিল। আমাদের গ্রামের মানুষগুলো বেশ ভালো।

পুটির মা ইসলাম সম্পর্কে বেশ জ্ঞান রাখে। আর সে এলাকার নারীদেরকে এটা শেখায়। তার কারনে অনেকে কুসংষ্কার বাদ দিয়ে পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করেছে। আর প্রতিবেশীদেরকে সর্বদা সাহায্য করে। আমাদের সকল প্রতিবেশীই তাকে আদর্শ মনে করে। আর আমাকে বলে -তোমার তো রাজকপাল।

একবার এক খাজাবাবা আমাদের বাড়িতে এসে কিসব কান্ড পাকানোর চেষ্টা করছিলো। পুটির মা সুন্নাহ থেকে যতগুলো প্রশ্ন করেছে তার একটারও ভালো জবাব দিতে পারেনি সেই বাবা। এরপর পুটির মা বলল-হয় ইসলামে প্রবেশ করো ধান্দাবাজি রেখে, নইলে ওই যে লম্বা লাঠি দেখতে পাচ্ছেন....বুঝেছেন ? খাজা বাবা সাগরেদ নিয়ে প্রস্থান করল।

পুটির মায়ের চরিত্র,আচরন,তার সত্যবাদীতা,তার হাসি,তার খুনসুটি,তার ব্যক্তিত্ব,তার স্বভাব,সাহস,তার অভিব্যক্তি সবকিছুই অতি উন্নত। তার ভালোবাসা,তার দায়িত্ববোধ,তার নিষ্ঠা,একাগ্রতা,কর্মতৎপরতা,রুচি অসাধারণ। আমার মত হতদরিদ্র এক কৃষককে সে যেভাবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আপন করে নিয়েছে তাতে তার অতি উন্নত মানের জীবনবোধের শুধু প্রশংসা করলেও কম করা হয়।। সেই আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। আমার পুটির মাকে আমি অনেক ভালোবাসি,মূলত: সে যা করেছে তার প্রতিদান আমি তাকে দিতে পারিনা। আল্লাহই তার উত্তম প্রতিদান প্রদান করবেন। তার জন্যে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া রইলো।

বিষয়: বিবিধ

২০৫০ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326057
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কি মন্তব্য করব ভাই!!!!!
আপনি পুঁটির মা নিয়ে এত বড় একটা সপ্ন দেখছেন যে আপনার সপ্নটা ভেঙ্গে দিতে মন চাচ্ছে না Crying Crying Crying
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৩৬
268303
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহা এমনও তো হতে পারে পুটির মাই পুরষ্কার জিতে নিয়ে গেল Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
326060
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:১৮
ছালসাবিল লিখেছেন : দখল Eat
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:৩৬
268283
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আবার দখলবাজী Surprised Surprised Surprised Surprised

গামছা বানামু Waiting Waiting Waiting Waiting
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০১:০০
268287
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : দখলের হয়ে গেছে..... পুঁটির বাপের ঢেফা জমি...... সামনে পেলে দখলবাজকে গণধোলাই.....Don't Tell Anyone Rolling on the Floor
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৩৬
268304
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পুটির মাকে তো চিনেন না,,,দখলবাজি ...একেবারে সমান করে ফেলবে...Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
326061
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:১৮
নারী লিখেছেন : এট লিস্ট পুটির মা Winking)
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৩৭
268305
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহা ঠিক তাইRolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
268439
নারী লিখেছেন : দীর্ঘ জীবি হন পুটির মাকে নিয়ে Tongue
326062
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:২১
আফরা লিখেছেন : ওরে মারে ---- বাংলাভাষায় যারা বেশি ব্উ ভক্ত হয় তাদের জানি কি বলে আমি এখন বলতে পারছি না তবে মনে হচ্ছে আপনার জন্য আপনার জন্য সেটাও যথোপযোক্ত হবে না নতুন শব্দ তৈরি করতে হবে ।

তবে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে আনকমন হয়েছে তাই পুরস্কার পাইলে ও পাইতে পারেন ।
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৩৮
268306
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহাহা আমারও তাই মনে হচ্ছে। এই কাল্পনিক চরিত্রের জন্যে পুরষ্কারও জুটতে পারে। তবে সেই পরুষ্কারটাও পুটির মাকে উৎসর্গ করব ইনশাআল্লাহ Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
326065
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:৩৭
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আমি আসলে অনেকটাই নি:সঙ্গ

ভাই নিজের জগতটা নিজের মত গুছিয়ে নিন তাহলে দেখবেন আর নি:সঙ্গতা আর লাগছে না।

যদিও একরকম ভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন Tongue Tongue Tongue
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৩৯
268307
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হ্যা পুটির মায়ের সাথে এক রকম গুছিয়ে নিয়েছি Happy Happy Happy
326067
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:৫৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আমি আসলে অনেকটাই নি:সঙ্গ। Frustrated Frustrated Frustrated নিঃসঙ্গ জীবনের মোকাবেলা করার জন্যই লেখক তৈরী হয় শুনেছি!! তবে আপনি একটা লেখক হয়ে পুঁটির মা তৈরী করে নিয়েছেন মনের রাজ্যে......

এখন থেকে পুঁটির বাপ রাজা পুঁটির মা রানী.... রাজা রানীর সিংহাসনে সুখের স্রোত বয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।

পুঁটির মা যেন আপনার কল্পনা থেকেও ভালো হয় যেই কামনা করি মহান আল্লাহর দরবারে।

ধন্যবাদ। রাজা পুঁটির বাপ।
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৪০
268308
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার অত্যন্ত চমৎকার দোয়াটা যেন আল্লাহ কবুল করে নেন। আল্লাহ যেন পুটির মাকে দান করেন আমার জীবনে। Happy
326074
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০১:৩৬
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকেই আপনার লেখাটা পড়লাম। মাশাআল্লাহ এত্তোগুলা সুন্দর করে লিখেছেন লগইন না করে পারলামই না। Rose Good Luck Rose

দোয়া রইলো অনেক অনেক অনেক... Praying আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনার শুভ্র ও শুদ্ধ স্বপ্নগুলো কবুল করে নিন। আমীন। Praying Praying Praying Praying
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৪২
268309
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার সুপার মন্তব্যে শিহরিত,পুলকিত,আনন্দিত হলাম। আল্লাহ যেন সেই পুটির মাকেই উপহার হিসেবে পাঠান। তাকে নিয়ে আপনার বাড়িতে যাব ইনশাআল্লাহ,,,সেদিন কনুই পর্যন্ত ডুবিয়ে ডাল ভাত খাব...Happy Happy Happy
326079
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০২:৩৪
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : আল্লাহ অতি দ্রুত পুটির মাকে মিলিয়ে দিক...!
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৪২
268310
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমিন, সুম্মা আমিন
326081
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৩৩
শেখের পোলা লিখেছেন : হেন গুন নেই যা পুঁটির মার মধ্যে গুঁজে দেননি, তবে তাকে পর্দার জ্ঞান দিতে একেবারেই ভুলে গেছেন বরং ডানপিটে বানিয়ে ছেড়েছেন৷ এর পরও পুঁটির মা জিন্দাবাদ৷
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৪৪
268311
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধুর চাচা ভাই...সে পর্দা করে। তবে পর্দা করে মুখ বুজে অত্যাচার দেখে চেয়ে থাকেনা। হাতের কাছে যা পায় তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। আর মুখ দিয়ে প্রতিবাদ করতে ভূল করেনা। সময় হলে দেখবেন তার আরও কি কি গুন আছে Happy
১০
326088
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৫৭
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : আমার জানা মতে আপনি এখনও ঘর বাধেন নি -- এভাবে পুটির মাকে নিয়ে কিভাবে লিখলেন ভাবছি-- যতটুকু মনে পড়ে শরৎচন্দ্র তার একটি উপন্যাসে এই পুটি চরিত্র টি রুপ দিয়েছিল একভাবে আজ ওনেক দিন পরে আপনার কাছ থেকে অন্য একরুপে ভাল লাগল ---

আপনার লেখাটি যখন পড়ছিলাম তখন এই গানটি শুনছিলাম -- কেন যেন মনে হল আপনি এভাবে খুজেন আপনার পুটির মাকে তাই শেয়ার করলাম----

১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৩২
268317
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : উনি এমন চ্‌যাদরাইয়া শুইয়া রইয়াছে কেনু??

স্লেভ ভাই ইহা দেখিলে নিশ্চয়ই হিট খাইবে... Time Out Time Out Time Out
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
268366
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি শরৎ বাবুর পুটি চরিত্র পড়িনি। আমি যা লিখেছি নিজের মনে তৈরী করে লিখেছি। পুটির একটা লেখা ব্লগের ঝামেলার কারনে মুচে গেছে। বাকী সম্ভবত ৪ টি লেখা আছে। পুটির মায়ের সাথেই ঘর বাধব ইনশাআল্লাহ
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
268391
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক আগে এই গান মুখস্ত করেছিলাম। Happy পুটির মায়ের জন্যে রেখে দিলাম Happy
১১
326091
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৬:৫৭
রাইয়ান লিখেছেন : আমি ভাবছি , আপনার পুঁটির মা সংক্রান্ত সব লেখা একত্র করে ' পুঁটির মা সমগ্র ' বের করে আপনার বিয়ের উপহার হিসেবে বাস্তব পুঁটির মায়ের হাতে দেয়া যায় কিনা ! তাহা হইলে পুঁটির মা বুঝিতে পারিতেন আপনি তাহাকে কত পূর্ব হইতে বাস্তবিকই কিরূপ ভালবাসিতেন ! Big Grin
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
268367
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জব্বর আইডিয়া। চালান তবে। আমিও আপলোড করতে থাকি Happy দোয়া করেন যাতে কোনো ঝামেলা ছাড়া পুটির মাকে পাই। এই বয়সে আর ঝামেলা ভালো লাগে না।
১২
326093
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৫৮
আবু জারীর লিখেছেন : সবার ভাগ্যে এমন এক একজন পুটির মা জুটুক সেই কামনা করি।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
268369
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি তো বহু আগেই এক পিছ পেয়েছেন...আবারও কি মতলব টতলব আছে নাকি ????Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৩
326103
১৬ জুন ২০১৫ সকাল ১০:২৬
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : মিয়াভাই, পুঁটির মা হোক আর খালা হোক যথাসময়ে বিয়ে কর । দুনিয়া ও আখিরাত দোজাহানেই মংগল ।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
268379
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি ভাই সময় বয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছু বাস্তবতার চরম চাপে পড়ে আজ আমি নাজেহাল। দোয়া করেন Happy
১৪
326121
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
পুরোটাই সিনেমাটিক , কিন্তু তারপর ও অনেক ভাল লাগল, পুটির মায়ের ব্যাপারে অনেক পজেটিভ আপনি। দোয়া করি এমন পুটির মা আপনার জীবনে আসুক যার সম্পর্কে আপনি সব সময় পজেটিভ থাকতে পারেন আর আমাদেরকে মাঝে মাঝে দাওয়াত দিয়ে পুটির মায়ের মাচার ফ্রেশ সবজি খাওয়াতে পারেন...

১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:১৮
268670
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পুটির মায়ের সব্জী খেতে আপনি আমন্ত্রিত। বড় এক লাই শিং মাছের সাথে ঝোল হবে। দুই হাত দিয়ে খাবেন। Smug Surprised Smug Surprised Smug Surprised
১৫
326126
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:০৬
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! আপনার সুন্দর স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হোক এটাই দোয়া করছি! মহান আল্লাহ যেন আপনাকে আপনার মনের মত, আপনার স্বপ্নের মত একজন পুটির মা দান করেন আর আপনি তাকে নিয়ে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুখ অনুভব করেন! আমিন!
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:১৯
268671
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন। আরও দোয়া করেন যাতে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল করেন।
১৬
326136
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:০২
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ও পুটির মা
হাটে না যাইয়ো, মাঠে না যাইয়ো
ঘাটে না যাইয়ে একেলা
কদম ডালে বইসা আছে
বন্ধু চিকন কালা
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:২০
268672
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহাহা....

ও চিকন কালা
ওরে শালা
পুটির মা দেবে
লাঠি দিয়ে ডলা....
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ১১:৩০
268696
বাকপ্রবাস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৭
326186
১৬ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

খুব সুখপাঠ্য হয়েছে! একেবারে দেশি মুরগীর সাথে ছোট লাল গোল আলুর ঝোলের মতোন Tongue

পোস্ট এবং মন্তব্য দুটোই উপভোগ্য হয়েছে! আল্লাহ আপনার মনে রমানুষ মিলিয়ে দিক! আমিন!


১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:২২
268674
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওহ দেশী মুরগীর সাথে নতুন আলু.....একটু ঝোল ঝোল হবে রান্না। রান্না শেষে জিরা ভেজে গুড়ো করে ছড়িয়ে দিতে হবে উপরে...সেই সৌরভে পাগল হয়ে কড়াইতে লাফ দেব....
১৮
326281
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০১:১২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যেভাবে বর্ণনা দিয়েছেন সর্বগুনে গুনি। যদি এমন মেয়ে নসীবে জুটে, তবে তো সোনায় সোহাগা। শেষে যে লাঠির কথা উল্লেখ করেলন, পুটির মা আবার লাঠির মা যেন না হয়ে যায় সে দিকে নজর রাখবেন। কল্পনাপ্রসূত সুন্দর লিখাটির জন্য ধন্যবাদ।
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:২৩
268676
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার আর কি, একজনকে পেয়ে জান্নাতে বাপ হয়েছেন....দোয়া যখন করবেন আরেকটু কষে করেন যাতে লেগে যায়.....দারুন হবে পুটির মায়ের সাথে
১৯
326299
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০২:৪৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : বাংলা সাহিত্যে হিমু, মিসির আলীর পর আরেকটি চরিত্র আবিষ্কৃত হল..পুটির মা!পুটির মা!!পুটির মা!!!..ধন্যবাদ আপনাকে..
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:২৫
268677
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার এই উচুমার্গীয় প্রশংসার জন্যে সর্বোচ্চ ধন্যবাদ Happy পুটির মা জিন্দাবাদ !!!Happy
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
268732
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : পুটির মায়ের সংসারের আপডেট চাই..ভাইজান..
২০
326649
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০৯:১৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পুটির মা জিন্দাবাদ! পুটির বাপ এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে...
২১ জুন ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
269208
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঠিক অাছে,তবে বরযাত্রী হিসেবে দাওয়াত রইলো। গরুর গোস্টের ঝোল আর পরোটা Happy
২১
327057
২২ জুন ২০১৫ সকাল ১০:০৭
নেহায়েৎ লিখেছেন : এই বয়সে অনেকেই এরকম দিবাস্বপ্ন দেখে। এটার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বুঝবেন একসময়!!!
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:১৬
274035
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বুঝতেই তো চাই Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২২
331721
২৬ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আপনি ভালোমানুষ। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আপনার স্বপপূরণ করেন, মনের মতো জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দেন।
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:১৬
274036
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দারুন দোয়া। আল্লাহ আপনার কল্যান করুক

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File