ইউ.এফ.ও

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৮ মে, ২০১৫, ০১:০২:৪৮ রাত



ব্লগে একজন ব্লগার আছেন, যিনি ইউএফ.ও বা আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট নিয়ে লেখেন। ভিন গ্রহের প্রানীরা ওটা নাকি চালায়। বাংলাদেশে রকিব হাসান নামক এক লেখক এসব লেখালিখি শুরু করেন অনেক আগে থেকে। তার বইয়ের কাটতিও ছিল বেশ। পরে অবশ্য সে প্রকাশনী আর তেমন লাভের মুখ দেখেনি। কারন তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি,মানুষের চিন্তা চেতনার প্রসারের কারনে অনেক কিছু মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। আসুন আমরা ইউ.এফ.ও সম্পর্কে নীচের রিপোর্টটি পড়ি।

গত শতকের মধ্যভাগে যে সব অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও দেখা গেছে তার অন্তত অর্ধেকই ছিল উচ্চ উচ্চতা দিয়ে উড়তে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতে সক্ষম গোপন নজরদারি বিমান। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ টুইটারে বার্তা এ কথা স্বীকার করেছে।

১৯৫০ এবং ১৯৬০’এর দশকে আকাশে ইউএফও দেখতে পেয়েছে বলে অনেক মার্কিন নাগরিক জানিয়েছে। এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিন গ্রহের আগন্তুক হয়ত পৃথিবী আসার চেষ্টা করছে এমন এক বিশ্বাস জনমনে সে সময়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

একে উপজীব্য করে, ইটি, বা স্টার ওয়ারস’এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা তৈরি করেছে হলিউড। অন্যদিকে ইউএফও’র নামে যা দেখা গেছে তাকে দৃষ্টি বিভ্রাট, উদ্ভট কল্পনা বা নেহাত গাজাখুরি গাল-গল্প বলে মনে করেছেন অনেকে।

ভিন গ্রহের আগন্তুক বা গাজাখুরি গল্প নয় বরং গোপন গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে এমন সব ইউএফও দেখা গেছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে সিআইএ’র টুইটার বার্তা থেকে ।

এ ছাড়া, নিজ ওয়েবসাইটে ২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইউএফও সংক্রান্ত অধ্যায় সবচেয়ে বেশি পাঠক টেনেছে বলেও স্বীকার করেছে সিআইএ।

‘দি সিআইএ অ্যান্ড ইউ-২ প্রোগ্রাম, ১৯৫৪-১৯৭৪’ নামের প্রতিবেদনে ৬০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে গোপন নজরদারি বা গোয়েন্দা তৎপরতার বিবরণ দেয়া হয়েছে।

এ জাতীয় গোয়েন্দা বা নজরদারি তৎপরতা কি ভাবে ভূমিতে প্রচণ্ড কৌতূহলের কারণ হয়ে উঠেছিল তারও বিবরণ এতে দেয়া হয়েছে।

১৯৯৮ সালের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউ-২ বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা উচ্চ উচ্চতায় চালানোর ফলে অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আর সেটি হলো, ইউএফও দেখার খবর প্রচণ্ড ভাবে বেড়ে যায়।

সিআইএ আরো বলেছে, ইউএফও দেখছে বলে যারা খবর দিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট। তারা তুলনামূলক ভাবে নিম্ন উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় উচ্চ উচ্চতার বিমানকে এক ঝলক দেখতে পেয়েছে এবং ইউএফও বলে ভুল করেছে।

ইউ-২ বিমানের রূপালি ডানায় রোদের প্রতিফলন ঘটেছে এবং এ বিমানের অন্তত ৪০ হাজার ফুট নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বাণিজ্যিক বিমানের পাইলটের চোখে তা অগ্নিময় বস্তু হিসেবে ধরা পড়েছে।

৬০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা দিয়ে কোনো কিছু উড়ে যেতে পারে না বলে সে সময় মনে করা হতো। কাজেই উচ্চ উচ্চতায় কোনো উড়ন্তবস্তু দেখার প্রত্যাশা স্বাভাবিক ভাবেই করা হতো না বলে সিআইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউএফও দেখতে পাওয়ার যে সব বিবরণ যে সময় প্রকাশিত হয়েছে তার অর্ধেকেই প্রকৃতপক্ষে ইউ-২কে উড়তে দেখেছে বলে জানিয়েছে সিআইএ।

সূত্র : অাই অার অাই বি

- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3727#sthash.OjSMMxZC.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১৮১০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

318776
০৮ মে ২০১৫ রাত ০১:১৫
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : কি কমু কিছু বুঝে উঠতে পারছি না Tongue
তবে এটুকু বলতে পারি পোষ্টা পড়ে কিছু জানতে পারলাম।
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩১
260008
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মূলত এরিয়া ৫১ এ এরকম নানান ধরনের গোপন প্রজেক্ট রয়েছে
318777
০৮ মে ২০১৫ রাত ০২:৩০
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : নতুন কিছু জানা হলো, ধন্যবাদ পুঁটির বাপ!!
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩১
260009
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান জনাব
318782
০৮ মে ২০১৫ রাত ০৩:০৯
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩২
260010
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ জনাব
318803
০৮ মে ২০১৫ সকাল ০৬:৫৯
শেখের পোলা লিখেছেন : তাই বুঝি, আমারও এক সময় এ সব নিয়ে কৌতুহল ছিল৷ কিন্তু কোরআন বলছে পৃথিবীতেই আল্লাহ মানুষ পাঠিয়েছেন৷ অতএব, অন্য গ্রহে কোন মানুষ থাকার কথা নয়৷ এ কথা জাার পরে ভূয়া বলেই ধরে নিয়েছি৷ ধন্যবাদ৷
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
260011
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পুরো ভুয়া। এসব ওদের গোপন গোয়েন্দা বিমান। আর মানুষ ওগুলো জিন দেখার মতই দেখেছে।
318819
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:১৯
হতভাগা লিখেছেন : বুঝি না এসব সসার গুলো শুধু আমেরিকাতেই কেন আসে ?

আর ১৯৬৯ এ একবার যখন চাঁদে মানুষ গিয়েছিল তারপর গত ৪০-৪৫ বছরে আর কারা কারাই বা গিয়েছিল এবং কেনই বা সেখানে বসতি গড়া হলো না যেখানে শত শত আলোকবর্ষ দূরের পৃথিবীর মত গ্রহ আবিষ্কার করে বেশ বগল দাবাচ্ছে ?

শীতল যুদ্ধের সময় এবং এতে জয়ী হলে আমেরিকানরা পৃথিবীর অনেক প্রকৃত ঘটনাকে নানান রং দিয়ে , মিথ্যা কাহিনী বানিয়ে পৃথিবীকে কব্জা করে রেখেছে ।

এসব ঘটনা সম্পর্কে যে প্রকৃত ভাবে জানতে বই খুঁজবেন তা তো তাদেরই বড় বড় গবেষকদের বানানো !

সামান্য কমন সেন্স এপ্লাই করলে বোঝা যায় যে এসব ঘটনার সত্যের ধারে কাছেও হতে পারে না ।
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
260012
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ১৯৬৯ সালে থেকে এখন প্রযুক্তি হাজার গুন উন্নত করেছে তারাই। সেই সময় যদি চাদে গিয়ে থাকে, তাইলে আজ তো চান্দে তাদের হোটেল থাকত। অথচ সেই ঘটনার পর আর একবারও কেউ চাদে গেল না। আর এরিয়া ৫১ এর আশপাশের লেঅক প্রচুর শশার দেখেছে। মানে বিশেষ বিমান দেখেছে যা গোয়েন্দাদের বানানো
318821
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইউএফও কিন্তু সত্যিই আছে!!
কয়েকবছর আগে আমি রাত্রে বেলা শেরপুর এর নালিতাবাড়ি থেকে উত্তর আকাশে একটি বেশ দ্রুতগামি বিভিন্ন রং এর উরন্ত বস্তু দেখেছি।


তবে সেটা স্থানিয় চোরাচালানিদের সিগন্যাল দেয়ার ফানুস ও হতে পারে!!
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
260013
দ্য স্লেভ লিখেছেন : গ্রামের লোকে ঠিক এভাবে জিন দ্যাখে। নানান রঙে দ্যাখে। সসারের গল্প এতটাই পপুলার হয়েচিল যে, আকাশে কিছু দেখলেই মানুষ সসার মনে করত। আপনার ওটা ফানুসই ছিল Happy অন্তত ভিন গ্রহের মানুষ পাওয়া যায়নি আর তারা সিনেমা ছাড়া অন্য কোথাও নেই
318945
০৯ মে ২০১৫ রাত ০২:৩০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এ ব্যাপারে আমার বেশ কৌতুহল ছিল তখন আমার মামাত ভাই বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ দিয়ে এব্যাপারগুলো জানিয়েছিলেন যে, এটা জাস্ট আমেরিকার ভাওতাবাজি মূলত তারা গোয়েন্দা কাজে এসব ব্যাবহার করে। যেহেতু এটা নিয়ে গুজব ছড়ালে তা পরোক্ষভাবে আমেরিকার সুবিধা তাই তারাও ব্যাপারটায় নিরব থাকে। তবে এলিয়েন নিয়ে শায়েখ Yasir Qadhi এর একটা লেকচার আছে ব্যাপারটা ভাল লেগেছে।
https://www.youtube.com/watch?v=Vz8AQsnFxGw
319052
০৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০৪
১০ মে ২০১৫ সকাল ১০:১৫
260295
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File