দিনটি কাটলো দারুন !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:০১:৩৭ সকাল
সকালে চিড়া-দৈ,তারপর ঘুম,তারপর স্যামন মাছের বার্গার,নানান রকম ফল ও সব্জীর জুস খেলাম এরপর দৌড়,তারপর নানান ফল ও সব্জী ব্লেন্ড করে শরীরের খনিজের ঘাটতি মেটালাম। এরপর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় ঘুরলাম। এক পার্কের পাশ দিয়ে যাবার সময় এক মহিলা কলিগকে(উচ্চতা মাত্র ৬.৬') তার স্বামীর সাথে বসে থাকতে দেখলাম। দুজনই আমার সাথে কাজ করেন। খানিক কথা হল। উনি হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন উনার স্বামী থাকেন ওই দিকে,আর উনি থাকেন এই দিকে। ধাধায় পড়ে গেলাম....তাহলে এতদিন স্বামী বলে যাকে চিনতাম সে কে ? বুঝলাম এরা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। যে সন্তানটি খেলা করছে সেটা মায়ের মত দেখতে,সম্ভবত পেটেরটা এই ভদ্রলোকের। যাইহোক এসব গবেষনা না করে নদীর ধারে চললাম। আজ বেশ কয়েকজন এসেছে এদিকটাতে। নদীর ধারের অনেকদূরব্যপী সুন্দর রাস্তা তৈরী করা হয়েছে যেটা হাটার ও বাইক চালানোর জন্যে। সেদিকে গেলাম। রাস্তার কিছুদূর পরপর বিশাল কাঠের ব্রিজ বানানো হয়েছে তা ধরে নদীর খানিকটা ভেতরে গিয়ে দাড়াবার জন্যে ও সুন্দর দৃশ্য অবলোকনে। সেদিকে বাইক নিয়ে নদী ও সুন্দর প্রকৃতি দর্শন করতে থাকলাম। এবার একেবারে নদীর কিনারে গেলাম। এদিকে রয়েছে বালু আর নূড়ী পাথর। অনেকে এখান থেকে সুদৃশ্য পাথর সংগ্রহ করে। পাশে আছে সুন্দর ঝোপঝাড়। আমি হাটতে থাকলাম নদীর পাশ ধরে। বালুহাস,রাজহাস,সাধারণ হাস এদিকে বিচরণ করে। পাশ দিয়ে হেটে গেলেও এদের ভাবান্তর হয়না,কারন কেউ এদিকে হাড়ি,পাতিল মশলাপাতি নিয়ে আসেনা......বিশাল অংকের জরিমানা না হলে হয়ত অনেকেই প্রলুব্ধ হত।
নদীতে পানি কমছে,আগামী মাসে হয়ত আরও কমবে। সে সময় প্রচুর লোক সমাগম হয় এদিকে। অনেকে দল বেধে আসে। নদীতে নানান রকমের স্পিডবোট চালায়,নৌকা চালায়। সেসব বোট ও নৌকা বিভিন্ন স্টোরে ইতিমধ্যেই বেচা কেনা শুরু হয়েছে। ফেরার পথে নদীর ধারে আরেক পুরুষ কলিগকে দেখলাম নদীতে ঢিল ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। সাথে তার ছেলে বন্ধু !! কিছু বুঝলেন ? এরা হল হযরত লূত(আএর বিপথগামী উম্মতের অবশিষ্টাংশ। কিছুক্ষন কথা হল,তারপর দ্রুত চলে আসলাম।
ফেরার পথে লাইব্রেরীতে গেলাম। এটাই প্রথমবার গমন। এত সুন্দর একটা লাইব্রেরী আমার বাসা থেকে মাত্র দেড় মাইল দূরে আর আমি কখনই সেখানে প্রবেশ করিনি...হায় পরিতাপ ! এখানে ছোট,বড় সকলের জন্যে হাজার হাজার বই,ভিডিও রয়েছে। অসাধারন ডিজাইনের ২ তলা বিল্ডিং এবং অন্তত ২০হাজার ব:ফুট হবে প্রতি ফ্লোর। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে চমৎকার ও আরামের সোফা,সেখানে বসে অনেকে বই পড়ছে দেখলাম। ফ্রি কম্পিউটার রয়েছে অন্তত ৫০টি। লোকজন তেমন একটা এদিকে আসেনা। এখানে বই পড়তে,কম্পিউটার ব্যবহার করতে বা বই,ভিডিও নিতে কোনো পয়সা লাগে না। যে কেউ এসে পড়তে পারে। এখানে ঢুকলে বই পড়তে ইচ্ছে জাগবেই......কিন্তু আমি চলে আসলাম...ডাল রান্না করে চারটে খেতে হবে......রান্না চলছে...আমি লিখছি....দেখী কতদূর হল...
হুমম আজকের ডাল হয়েছে সুপার। খাওয়ার সময় দুই পিচ্চি দরজা নক করল,বয়স ৭ হবে। বলল-তাদের তৈরী বিশেষ ড্রিংক খাব কিনা ? দাম মাত্র ২৫সেন্ট প্রতি গ্লাস। গলাটা শুকনো ছিল,বললাম ২ গ্লাস নিয়ে এসো,পয়সা দিলাম। খানিক পর দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে ছোট্ট কাপে করে নিয়ে আসল। এমনিতেই ছিল অর্ধ গ্লাস,আর আনতে আনতে আরও অর্ধেক ফেলে দিল। দেখলাম নীল রঙের এক পানীয়,বুঝলাম বাজারী কোনো ড্রিংক গুলে এনেছে। একটু খেয়েই বুঝলাম এ স্রেফ কেমিকেল....আমি কেমিকেল খাওয়া লোক না....
ডালের মধ্যে টমেটোর পাশাপাশি আমও দিয়েছিলাম। আমের দাম অনেক। ভারতীয় স্টোরে বরফজাত অবস্থায় পাওয়া যায় ৩৫০গ্রামের দাম প্রায় ৫ ডলার পড়ে,তাও আবার খোসা সুদ্ধ। কিছু করার নেই, নেশা বলে কথা। নেশার জন্যে এক চিমটি হেরোইন কিনতে মানুষ অবলীলায় হাজার টাকা ছেড়ে দেয়....আর এ তো আম... !!
বিষয়: বিবিধ
১১০১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সকালে পাউরুটি কলা দিয়ে নাস্তা খেয়ে ভোট পরিদর্শনে বের হলাম। সকাল দশটার মধ্যে দেখলাম এলাকার সব ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে!!!
এতো কষ্ট করে লাইব্রেরী গেলেন আর একটু বই নিয়ে পড়লেন না?
পিচ্চিদের শরবত কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো! পিচ্চিরা বেশ ক্রিয়েটিভ মনে হচ্ছে! এই বয়সেই নিজে উপার্জনের বুদ্ধি টা মাথায় চলে এসেছে!
আপনার ভালো কেটেছে জেনে আমরাও আনন্দিত হলাম! আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। বোনের জন্য দোয়া রাখবেন বেশী বেশী করে আবেদন রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন