আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:৫৩:৫৫ রাত
আমরা আল্লাহর কাছে অনেক কিছু চাই এবং তা না পেলে আশাহত হই,যদিও আল্লাহর উপর সর্বাবস্থায় আশা রাখতে বলা হয়েছে। আর এরপর যদি সে বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ে তবে আশাহত হওয়ার পরের পর্যায়ে পৌছে আল্লাহর উপর অভিযোগ করে। বলে-আল্লাহ আমাকে কেন এমন করল !! অথবা আরও উল্লেখ করে আমি তো কারো ক্ষতি করিনি,এমন কোনো খারাপ কাজ তো করিনি তাহলে আমার এমন ক্ষতি কেন হলো ?
যে কোনো বিপদে আল্লাহর উপর নির্ভর করে,তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারন করার নামই হল আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা। চিন্তা এবং আচরণ দুটোই এটিকে পরিপূর্ণ করে। আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা একজন মুসলিমকে মুমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এটির নামই হল প্রকৃত অর্থে আল্লাহকে বিশ্বাস করা,এটিই ঈমান,যার উপর তার সকল ইবাদত নির্ণিত হয়। আর এটি ঘটলে আল্লাহই তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন এবং প্রশান্তি দান করেন। তার জন্যে এত বিশাল নিয়ামত ঘোষনা করা হয় যা সকল মানুষ এবং জিন সম্মিলিতভাবেও চিন্তা করতে পারবে না। আর আল্লাহ যদি তাকে পৃথিবীতে কিছু না দেন,তবে তার অর্থ হল এই যে, আখিরাতে তাকে ভয়াবহ পরিমান নিয়ামত দেয়া হবে। পৃথিবীর এই তুচ্ছ কয়েক মুহুর্তের সময়ের জন্যে অত বিশাল নিয়ামতের ক্ষুদ্র অংশ প্রদান করাও আল্লাহ হয়ত পছন্দ করেননি। তার জন্যে পুরোটাই এক অনন্ত কালের জন্যে জমা রেখেছেন। একজন মুমিন এটা উপলব্ধী করেই আন্তরিক প্রশান্তি অনুভব করে। আর সত্যিই তাকে বিশুদ্ধ প্রশান্তি প্রদান করা হয়,যার মূল্য কেবল সেইসব মহা ধনী ব্যক্তি বুঝতে সক্ষম যারা সবথেকে বেশী সম্পদের মালিক হবার পরও শান্তি ক্রয় করতে পারেনি। সম্পদহীন মানুষ ওই স্তরের প্রশান্তি পাবার পরও সে তা মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়,কারন অগাধ সম্পদ,প্রাচুর্য সে প্রত্যক্ষ করেনি। এই কারনেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঈমান জরুরী।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না পাওয়ার অর্থ এই নয় যে,তাকে কিছু প্রদান করা হয়নি । বরং তিনি যে বিষয়টি চাইছেন আল্লাহ সেটা তার জন্যে ওই মুহুর্তে অথবা পৃথিবীতে প্রদান করা তার জন্যে কল্যানকর মনে করছেন না। তবে এর অর্থ এই যে, তার প্রার্থনা গ্রহন করা হয়েছে। কারন আল্লাহর দরবারে হাত উঠালে তিনি তা ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। তিনি দিতেই পছন্দ করেন,আর তাতে তার নিয়ামত কমে যায় না। কারন তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা। কিন্তু বান্দা তার প্রর্থনা কবুল হয়নি ভেবে আল্লাহর উপর মনে মনে নাখোশ হয়, অথবা আশাহত হয়। এই অবস্থা ঘটলে সে ঈমানের স্তর থেকে নীচে নেমে গেল। সে পরিক্ষায় উত্তির্ণ হতে পারল না অথবা সে বিষয়টি বুঝতেই পারল না। মূলত সেই কষ্টের পরিস্থিতি সম্পর্কে আল্লাহই অবহিত,কারন তিনিই তা প্রেরণ করেছেন। আর তিনি বান্দার আচরণ লক্ষ্য করছেন। যিনি আল্লাহর উপর সে সময় প্রকৃত পক্ষে নির্ভর করল,তিনিই উত্তির্ণ হলেন এবং দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই পেয়ে গেলেন। সময় শেষ হবার আগে আমাদের উপলব্ধীগুলোকে কাজে লাগানো জরুরী।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৮ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সবসময় দোআ চাইতে হবে আল্লাহর কাছে! প্রতিটি সমস্যা, সমাধানে! কোন সমস্যা না থাকলেও দোআ করা অব্যাহত থাকবে! আল্লাহ যে একটা সমস্যা কম দিলেন সেটাও নিয়মত! মুমিন কখনো দোআ করা থেকে নিরাশ হয়না! আর দুনিয়াতে না পেয়ে আখিরাতে পেলে তো আরো কল্যানকর!
প্রায় অনেককে বলতে শুনি দোআ করে নাকি উনারা টায়ার্ড হয়ে গেছেন খুব খারাপ লাগে এধরনের কথা শুনলে!
চমৎকার লিখেছেন ভাই! আল্লাহ আপনার সকল কল্যানকর দোআ কবুল করুন ! জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার চিন্তাগুলো অত্যন্ত পরিষ্কার। আল্লাহ আপনার মহা কল্যান করুক
সবসময় দোআ চাইতে হবে আল্লাহর কাছে! প্রতিটি সমস্যা, সমাধানে! কোন সমস্যা না থাকলেও দোআ করা অব্যাহত থাকবে! আল্লাহ যে একটা সমস্যা কম দিলেন সেটাও নিয়মত! মুমিন কখনো দোআ করা থেকে নিরাশ হয়না! আর দুনিয়াতে না পেয়ে আখিরাতে পেলে তো আরো কল্যানকর!
প্রায় অনেককে বলতে শুনি দোআ করে নাকি উনারা টায়ার্ড হয়ে গেছেন খুব খারাপ লাগে এধরনের কথা শুনলে!
চমৎকার লিখেছেন ভাই! আল্লাহ আপনার সকল কল্যানকর দোআ কবুল করুন ! জাযাকাল্লাহু খাইর!
তো আপনার খানাদানা কেমন চলছে? আপডেট কিছু জানাবেন।
আফরা লিখেছেন : হুজুর ভাল লিখেছেন অনেক ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন