অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৫৮:৪৪ রাত
পহেলা বৈশাখে রয়েছে
১) হিন্দুদের ঘটপূজা
২) হিন্দুদের গণেশ পূজা
৩) হিন্দুদের সিদ্ধেশ্বরী পূজা
৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা
৫) হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চনা
৬) হিন্দুদের চড়ক বা নীল পূজা বা শিবের উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট মেলা
৭) হিন্দুদের গম্ভীরা পূজা
৮) হিন্দুদের কুমীরের পূজা
৯) হিন্দুদের অগ্নিনৃত্য
১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ
১১) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব
১২) চাকমাদের বিজু উৎসব(ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজা
উৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি)
১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা
১৪) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ
১৫) হিন্দুদের বউমেলা
১৬) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা
১৭) হিন্দুদের সূর্য পূজা
দেখা যাচ্ছে, পহেলা বৈশাখে কাফিরদের বিভিন্ন পূজা ও অনুষ্ঠান বিদ্যমান, কিন্তু মুসলমানদের এই দিনে কোন অনুষ্ঠান নাই।তাহলে মুসলমান কেন শিরকী অনুষ্ঠান বর্জন করবে না???
কিন্তু মুত্রমনারা যেভাবে ব্রেইন ওয়াশ করেছে,তাতে বাঙ্গালী মুসলিমরা ধোকা খাবেই। এছাড়া যান্ত্রিক জীবনে অভস্ত মানুষেরা হাসফাশ করে বেচে থাকে, সুস্ত্য বিনোদনের অবস্থা নেই,কেউ ব্যবস্থাও নেয়নি। তাই কিছুটা ভিন্নতা আনতে অনেকে বৈশাখের অনুষ্ঠানে ছুটে যায়,যদিও তারা এটার মূল মর্ম বিশ্বাস করেনা। বোধহয় একটি বড় অংশই এরকম। সমাজ, রাষ্ট্রে যখন জবরদস্তিমূলকভাবে কুফর জেকে বসে, তখন মুমিনের চিন্তা ভাবনাও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। যথাযথ পরিবেশ না পেলে ঈমানের স্তর বহু নীচে নেমে যায়। সকল কুফরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে মুসলিম উপাদানগতভাবেই মানব সমাজের তলানিতে অবস্থান করবে,কিন্তু তারা তা উপলব্ধীও করতে সক্ষম হবেনা। তারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে কিন্তু তা কবুল হবেনা। তারা নিজেদের ইবাদতের মাধ্যমে প্রার্থনা করে ক্লান্ত হয়ে যাবে আর আল্লাহকে দোষারোপ করতে থাকবে,কিন্তু ভেবে দেখার অবকাশ পাবে না যে, তারা একইসাথে আল্লাহ এবং শয়তানকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। আর এখানেই মুত্রমনাদের সাফল্য। তবে বাস্তবতা হল, মুত্রমনারাই ধ্বংস হবে, আল্লাহ এমন মুমিনদেরকে বর্ণচোরাদের মাঝ থেকে বের করে অানবেন, যারা আল্লাহকে অধিক ভয় করে এবং যারা কুফরের ব্যাপারে ব্যপক প্রতিরোধী,ব্যপক প্রবল।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১লা বৈশাখ মুলত একটি অর্থনৈতিক উৎসব ছিল। এখন একে বিকৃত পুজা উৎসব বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
সাবলীল বর্ণনা ও চমৎকার একটি লিখার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
তাইলে বাঙ্গালী মানেই কি হিন্দু???
আজকে দেখলাম ভারতের কট্রর এক হিন্দু নেত্রী বলেছেন, মসজিদ গির্জায়ও দেবী দূর্গার মূর্তি বসাতে হবে। বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে বাংলাদেশের মুসলমানরা দেখছি ঐ নেত্রীর মন্তব্য বাস্তবায়নের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে যেনো..!!!!!
ঢাক ঢোল রমনায় বাজে।
চলতে ডোলতে চোখে ঠুলি
ঠুলিরা খুঁজে লাকির গলি।
গলিতে থাকে টিপধারী
তাই নিয়ে সব মহামারি।
আপনার এই গনসচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে শির্ক করাকে ক্ষমা করবেন না, তবে শির্ক ব্যতীত যত গুনাহ আছে তা তিনি যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করে দেবেন। আর যে আল্লাহর সাথে শির্ক করলো সে পথভ্রষ্টতায় অনেকদূর এগিয়ে গেল (বেশী বিপথগামী হলো)।” [সূরা আন্-নিসা: ১১৬
আল্লাহ আমাদের প্রকাশ্য ও গোপনীয় সকল প্রকার শিরক থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন!
সচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য অসংখ্য শুকরিয়া!
اللَّهُمَّ إنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئاً وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ مِنَ الذَّنْبِ الَّذِيْ لا أَعْلَمُ
“হে আল্লাহ আমি জেনে-শুনে তোমার সাথে কোন কিছুকে শরিক করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর আমার অজ্ঞাত গুনাহরাজি থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।” (মুসনাদে আহমাদ)
সচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য অসংখ্য শুকরিয়া!
اللَّهُمَّ إنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئاً وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ مِنَ الذَّنْبِ الَّذِيْ لا أَعْلَمُ
“হে আল্লাহ আমি জেনে-শুনে তোমার সাথে কোন কিছুকে শরিক করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর আমার অজ্ঞাত গুনাহরাজি থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।” (মুসনাদে আহমাদ)---আমিন
আপনি আররী টাইপও পারেন ! আপনি তো রিয়েল বস্
অত্যন্ত সুকৌশলে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি কে বাংলার সমাজে এমন ভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে,সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষও এর ভয়াবহতা বুঝতেও পারছে না!
সতর্কমুলক দরদী উপস্হাপনায় জাযাকাল্লাহ জানাই!!
বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে শিরক' গলাধঃকরন !
আর বাঙ্গালী সংস্কৃতি? প্রসঙ্গতঃ ডঃ ইউনূসের একটা কথা মনে পড়ল, যারা বাঙ্গালী সংস্কৃতি নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামায় তদের মনে রাখা দরকার, --- তাদের একটা বড় অংশ রাস্তায় (বা বনে জংগলে) ‘প্রকৃতি’র ডাকে সাড়া দেয়! (দুঃখিত, অবিকল ‘উদ্ধৃতি হল না)।
আপনার লিস্টের সাথে যোগ করুন,
১। গান উৎসব
২। টান উৎসব
(গঞ্জিকা সেবনের এবং টানাটানি অর্থে টান দুটোই)
৩। পাণ উৎসব
তাহলে ষোল কলা পূর্ণ হবে।
পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিস, মহিলাদের বাসন্তী ( নাকি গেরুয়া! ) শাড়ি আর পুরুষদের ‘পাঞ্জাবী’ পরে রং ঢং এর নাম বাঙালী সংস্কৃতি!
অনেক মুসলিম সন্তান ও সেই ‘পাঞ্জাবী সংস্কৃতির ( দুঃখিত, একটা পোশাক গায়ে পড়ে যে বাঙ্গালী গর্ব বোধ করে –আর বাঙ্গালীয়ানা ‘ফুটায়, এই ফুটানীর লম্বা পোশাক নিয়ে বাঙ্গালীর যে আদিখ্যেতা, তার নামটাও বাঙ্গালী নয়, পাঞ্জাবী !) সংস্কৃতির ধ্বজাধারীদের বলুন – ঐ পোশাকের নামটা অন্ততঃ পরিবর্তন করুক, কম পক্ষে ‘পাঞ্জাবী’ নাম যেন না শুনতে হয়!
আপনার পুটির মা আপনারে পান্তা ভাত রাইন্ধা দেয় নাই?
আমি নাকি তাকে কখন বলেছিলাম যে চলমান লাল মরিচ দিয়ে পান্তা খাব, তা সে বলেছিলাম এমনিই...তাই বলে সত্যিই ওটা করতে হবে নাকি ?
আমি রাগ করাতে পুটির মা বলল-শোনো আজ পহেলা বৈশাখ সবাই তো পান্তা খাবে..আমরা এই ভূয়া সাংষ্কৃতির বিরোধীতা করি,তাই তোমাকে আজ পান্তা খেতে দিলাম না। ...তোমার জন্যে আমি ছিটা রুটি আর মুরগির মাংস রেধেছি.....
পুটির মায়ের উপর রাগ করার কোনো উপাই নেই...
লাম খালি মীম খালি, নূন এর ওপর এক নোকতা।
এখন দেখি
পেট খালি পিঠ খালি কপালের ওপর লাল নোকতা। এইডা নাকি আবার সংস্কৃতি! নিকুচি করি এই সংস্কৃতির।
মন্তব্য করতে লগইন করুন