মনে হচ্ছে কাঠ মোল্লাদের দিন শেষ !!!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৯ মার্চ, ২০১৫, ০৮:৪২:০৪ রাত

কাঠ মোল্লা মানে কাঠ দিয়ে তৈরী মোল্লাগন নন,বরং যারা আচরনে কাঠের মত শক্ত বা গুয়ার তারাই কাঠ মোল্লা। তবে সেই কাঠ আবার আসবাবপত্র তৈরীতে উপযোগী এমন কাঠও নয়। অর্থাৎ যারা ইসলামের ভেতরে থেকে ইসলামের কিছুটা এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা সম্বলিত নফসের কিছুটা নিয়ে একটি প্যাকেজ তৈরী করে জনগনকে সেটা খাওয়ানোর ব্যাপারে অনড় বা কাঠের মত শক্ত তারাই কাঠ মোল্লা।

আমার কিছু আত্মীয় ভ্রান্ত আকিদায় চলে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা লৌকিক কিছু জ্ঞান আর অল্প কিছু ইতিহাসের সমন্বয়ে তর্কে লিপ্ত হয়ে আমাকেই বেৎতমিজ প্রমান করে ছাড়ল। আমিও হাল ছাড়িনি,বহু দিন ধরে বহুভাবে চেষ্টা করে তবে আল্লাহর উপর তাদের বিচারের ভার সমর্পন করেছি।

অনেক বছর পর তাদের জানার পরিধি বেড়েছে। প্রযুক্তির কল্যানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খবরাখবর জেনেছে। ভাল মন্দ দুটোই তারা পেয়েছে কিন্তু তারা নিজেদেরকে বিচারের একটি মওকাও পেয়েছে। আর এতে করে তারা ভাবতে শুরু করেছে যে প্রকৃত সত্য তাহলে কোনটি। তবে তারা পূর্বের অবস্থা থেকে সরে এসে কুরআন সুন্নাহর ভেতরে ঢুকে এই চিন্তাটা করছে এটাই ইতিবাচক।

আপনারা যারা সচেতন আছেন,একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন বাংলাদেশের পীর সমাজের ইনকাম অনেক কমে এসেছে। বহু লোক যারা পূর্বে তাদের মুরীদ ছিল এবং নিয়মিত অর্থ প্রদান করত ,তারা আজ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। প্রযুক্তির কারনে মানুষ এটার অপব্যবহার করেছে কিন্তু এর ভেতর থেকে তারা সত্যের কাছাকাছিও এসেছে। সর্ব প্রথম তারা কিছু চিন্তার জগতে ধাক্কা খেয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন প্রখ্যাত স্কলারদের বক্তব্য,বাস্তব জীবনের সাথে রিলেটেড বিভিন্ন বিষয়ের উপর কুরআন ও সুন্নাহর ছোট লেখা,নোট,ছবি সম্বলিত লেখা,মন্তব্য,ভিডিও ইত্যাদীর কারনে জানার পরিধি অনেক বেড়েছে। এসবের মাধ্যমে সচেতনতা পূর্বের থেকে অনেক বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম অন্তত প্রশ্ন করতে শিখেছে।

পূর্বে মানুষ আলেমদের কোনো কথা প্রশ্ন করা ছাড়াই মেনে চলত। শরীয়তের ভাষায় এটাকে আলেম পূজা বলা হলেও তারা তাই করত। আর সেই আলেম নামক শ্রেনী নিজেরা নানান বিদয়াতে জর্জরিত ছিল,তাদের জানার পরিধি ছিল সংকীর্ণ। কিন্তু আজ মানুষের প্রশ্নের ধরনে সেসব আলেম মোটামুটি দিশাহারা। আর রাগে ক্ষোভে তারা যেসব আচরন করেছে তাতে তাদের চরিত্র আরও বেশী প্রকাশিত হয়েছে এবং অনুসারীরা তত বেশী দূরে সরে গেছে।

যুব সমাজ একদিকে যেমন ধ্বংসের দিকে চলেছে তথ্য প্রযুত্তির উৎকর্ষতার মধ্য দিয়ে সাংষ্কৃতিক আগ্রাসনে,তেমনিভাবে একই মাধ্যমে তারা সঠিক ইসলামকেও পেয়েছে। অনেকে দুটতেই লিপ্ত কিন্তু তাদের ভেতর ভালোর পরিমান বেশী এবং নিজেরা নিজেদেরকে বিচার করে পাপী ভাবতে পারে। অনেকে নিজেদেরকে হেফাজত করতে সক্ষম হয়েছে। আবার অনেকে তথ্য প্রযুক্তির থেকে দূরে থেকে ঈমান আমল ঠিক রেখেছে,আবার অনেকে এটার আওতার বাইরে গিয়েও নিজেদেরকে ধ্বংস করেছে খারাপ সাংষ্কৃতি চর্চায়।

এই শতাব্দীতে ইসলাম পূর্বের অনেক শতাব্দী অপেক্ষা বেশী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। পূর্বের অনেক সময়ের তুলনায় মুসলিম বেশী নির্যাতিত হয়েছে এবং তাদের চিন্তা,আকিদা বেশী সমালোচিত হয়েছে। আর যারা মনে করেছিল এভাবে ইসলামকে দমিয়ে রাখা যাবে,তারাই হতাশ হয়েছে। কারন যখনই ব্যপক বাধা দেওয়া হয়েছে তখনই দেখা গেছে জাহেল লোকেদের ভেতর প্রচন্ড ক্ষোভ তৈরী হয়েছে এবং তারাও ইসলামে প্রবেশ করেছে। যতই তারা ইসলামকে আঘাত করেছে,ততই ইসলাম এবং কুফর দুটো দুই ব্লকে স্পষ্ট হয়েছে। আর পরিচয় ভুলে যাওয়া মুসলিমের সামনে যখন একটি অপশনকে বেছে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তখন তাদের চিন্তার জগত ব্যপক আলোড়িত হয়েছে এবং তারা ইসলামকে বেছে নিয়েছে। অথবা মানুষিকভাবে ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে তরুন যুবকদেরকে ব্যপকভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে দেখা যায় বা এটা নিয়ে চিন্তা করতে দেখা যায়। আর তারা এটা তথাকথিত আলেমের মাধ্যমে পায়নি,বরং প্রযুক্তির কল্যানে নিজেরাই খুজে নিয়েছে। তাদেরকে এ ব্যাপারে উদ্যোমী করেছে ইসলামের বিরোধীতা। তারা একটি ধাক্কা খেয়েছে এবং নতুনভাবে সেটাকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তথ্য প্রযুক্তির এই দিকই সত্যিই প্রশংসনীয়।

যাইহোক সম্প্রতি কাঠ মোল্লাদের দিন সংকীর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেকে যারা টাকা নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করে মানুষকে কাদাতো,তাদের জীবিকা সংকীর্ন হয়ে উঠেছে। তাদের সম্মান পূর্বের তুলনায় অনেক কমেছে। তারা কোনো কথা বললে মানুষ কুরআন এবং সহি হাদীসের সূত্র জানতে চাওয়ায় তারা নাখোশ হয়েছে । তারা এতটাই অহংকারী যে নিজেদের ভুল স্বীকার করে কুরআন সুন্নাহ সহিভাবে শিক্ষা করতে উৎসাহী নয়। আর আল্লাহ সম্ভবত এ কারনে তাদেরকে লাঞ্চিত করছেন।

রসূল(সাঃ)বলেন-ইসলাম আবারও পূর্বের মত করে ফিরে আসবে। আর আমার মনে হয় সে সময় সমাগত। মানুষ কিতাব পড়ে নিজেরা নিজেদেরকে উৎসাহী করবে। মরা গাছ যেভাবে পানির পরশে সবুজ হয়ে ওঠে তারা সেভাবে উঠে দাড়াবে। যুব সমাজ ইসলাম নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। তারা এ ব্যাপারে কোনো জালিমের রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেনা। তারা শুধু সামনে যাবে। তারা জালিমকে তছনছ করে ইসলামকে আবার স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে। তারা এক উম্মাহর জন্যে,একটি শক্তিশালী ববস্থাপনার জন্যে একযোগে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আর বিশ্বব্যপী কাফির মুশরিকরা এমন বিরোধীতা,অত্যাচার শুরু করবে যে উম্মাহ এক না হয়ে কোনো উপাই খুজে পাবে না। গোটা পৃথিবী মাত্র দুটো ব্লকে বিভক্ত হয়ে পড়বে। নামকাওয়াস্তে মুসলিমও সোজা হয়ে দাড়াবে এক আল্লাহর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়। সেই দিনের জন্যে আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন !

বিষয়: বিবিধ

১৮৫১ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311679
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন৷ বিশ্লেষণ ও যুক্তি ভাল লাগল৷ আগে এই কাঠমোল্লারা কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে শেষ অস্ত্র হিসেবে পাল্টা প্রশ্ন করতেন,"কোরআন হাদিস মানেন না?" এখন এ অস্ত্রে আর ধার নেই৷ প্রযুক্তির কল্যানে কোরআন হাদিশ জানা এখন সহজ হয়েছে, অনেকে জানছেও৷ধন্যবাদ৷
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৩৯
252820
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি ওদের ভাত কাপুড় শেষ হতে চলেছে Happy এটা ভাল
311683
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া খুব সুন্দর লেখা। কিন্তু আলেমদের অনুসরণ জরুরী। নিজেরা কোরান-হাদিস নিয়ে সামান্য চর্চা করে নিজেদের আলেম ভেবে বসা, আলেমদের কথায় কথায় ছোট করা এসব এখন বড় ব্যাধি। এটা নিয়মিত হচ্ছে। কাব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতে শুনেছি
"যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা নির্বোধদের (মুর্খ) সাথে বাক বিতন্ডা করার জন্য, অথবা মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইলম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
(সহীহ আত তিরমিযি, হাদিস# ২৬৫৪, হাদিসঃ হাসান)
নিজেরা আলেম না সেজে বরং সেসব আলেমের অনুসরণ জরুরী যারা ইসলামের ব্যাপারে কথা বলার সময় পরিপূর্ণভাবে কোরান-হাদিস অনুসারে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। দ্বীনের ব্যাপারে প্রাচীন আলেমদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জানা খুব জরুরী কারণ তারা যুগের বিচারে, জ্ঞানের বিচারে সাহাবী-তাবেয়ী-তাবে তাবেয়ীদের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। দুঃখের বিষয় তাদের বই-পুস্তক আমাদের হাতেই পৌছায়নি যা দুর্ভাগ্যজনক। ইমাম আবু হানিফা,ইমাম শাফেয়ী,আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম মালিক, ইমাম ইউফুফ, ইমাম নববী, ইবনে তাইমিয়া দ্বীনের ব্যাপারে আমরা এসব আলেমকে কোনভাবেই পাশ কাটাতে পারিনা। আমি যতই জানি আমার জানার গভীরতা, বোঝার গভীরতা এসব আলেমদের সমপর্যায়ের হবেনা। আজ আমাদের হাতে জানার জন্য সবরকম জিনিস আছে। যেমন আমার খুব ইচ্ছা ছিল ডাক্তারি পড়ব কিন্তু কলেজে আমার বড় দুই ভাই আমাকে বাধ্য করে কমার্সে পড়ার জন্য আমাকে সাইন্স বাদ দিতে হয়। আমি ইউটিউবে প্রচুর সার্জারির ভিডিও দেখেছি। মেডিকেলের বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ভাল লাগে। আমি কিছুটা জানি। আরো জানতে পারি সব কিছু শিখতে পারি কারণ সুযোগ অবারিত তারপরেও কি আমি ডাক্তার?? আলেমের ব্যাপারটাও তেমন। আর এই হাদিসটা শেষ জামানার একটা নিদর্শন।
আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
কাজেই নিজেরা যেন ইসলামের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু না করি।
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৩৬
252790
আবু জান্নাত লিখেছেন : মাশা-আল্লাহ সুন্দর লিখছেন, আপনার সাথে সহমত রইল।
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
252822
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার বক্তব্য ভিন্ন দিকে ছিল। যারা নিজেদেরকে মানুষের বাহবা পাওয়ার জন্যে বা পয়সার জন্যে আলেক বনেছে তারা পরিত্যজ্য। আর প্রযুক্তির কারনে কুরআন সুন্নাহ যুবকরা আগের চাইতে বেশী জানছে। আর সামনে আল্লাহ বিজয় দান করবেন হাদীসে রয়েছে...কিন্তু এটা ঠিক মানুষ অহংকার বশত ইসলাম নিয়ে নানান কান্ড করছে। আলিমকে অবশ্যই অনুসরন করতে হবে...আতিউল্লাহা...ওয়া আতিউর রাসূল..ওয়া উলিল আমর...এই আয়াতে উলিল আমরকে মানার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমার ফোকাস অন্যদিকে ছিল,জাজাকাল্লাহ
311691
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৫
আফরা লিখেছেন : প্রযুক্তির কল্যাণ অকল্যাণ দুটো ই আছে । যে যেটা গ্রহন করে । আমি এমন কয়েকজনকে জানি যারা মুসলমান হলে ও পরিবার থেকে তেমন সাহায্য পায়নি শুধু নেট থেকেই ইসলামকে জেনে নিজে মানতে শুরু করেছে এমন কি বাবা মাকে বাধ্য করছে মানতে ।

ভাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ধন্যবাদ হুজুর - - -
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৫
252823
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হুমম এইডা কাঠ হুজুর না ....Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor জাজাকাল্লাহ খায়রান ঠিক বলেছেন। আমিও এমনটা দেখেছি। কড়া নাস্তিকের অনেক ছেলেরা দারুন মুসলিম....
311704
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট ভাই। অনেক সুন্দর ও সাবলীলভাবে কাঠ মোল্লাদের সংজ্ঞায়িত করেছেন যা পড়ে কিছুটা হাস্যরসের উদ্রেক হলেও অনেকাংশে বাস্তবকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই।
Thumbs Up Rose Thumbs Up
চমৎকার বিষয়ভিত্তিক লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া রইলো।
Rose Rose Rose Rose
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৬
252824
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাষার উপর আপনার দখল খুব দারুন বোন। কিছু জ্ঞান ধার দেন তো...আরও কিছু লিখতে মন চায়....আমার ভাষা জ্ঞান একেবারে মাতাল মার্কা...Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
311723
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কাঠ মোল্লাদের বাঁশ দিয়ে বিদায় করা দরকার!!
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মোল্লারা যুক্তির পরিবর্তে দোহাই দেন মুরুব্বিদের।
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৮
252826
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহেহে কাদেরকে মিন করেছেন বুঝলাম। তারা ছাড়াও আরো অনেকে অঅছে যারা মৌলভীর কথাকেই কুরআনের মত মানে। কোনো প্রশ্ন করেনা। আর সেসব আলেমরা দিনের জন্যে কাজ করে ,দ্বীনের জন্রে নয়
311732
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৩৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : কাঠ মোল্লা আর ছাট মোল্লাদের নিয়ে ইসলাম টিকবে না। ইসলাম টিকবে যতদিন সত্যিকারের আলেমগণ বেছে থাকবেন। কারণ আলেমগনই নবীদের ওয়ারীস (মীরাছ হল ইলমে দ্বীন)। বলতে পারেন এভাবেঃ যুব সমাজ প্রকৃত আলেমদের নিয়ে ইসলামকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা এ ব্যাপারে কোনো জালিমের রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেনা। তারা শুধু সামনে যাবে। তারা জালিমকে তছনছ করে ইসলামকে আবার স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে। তারা এক উম্মাহর জন্যে,একটি শক্তিশালী ববস্থাপনার জন্যে একযোগে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আর বিশ্বব্যপী কাফির মুশরিকরা এমন বিরোধীতা,অত্যাচার শুরু করবে যে উম্মাহ এক না হয়ে কোনো উপাই খুজে পাবে না। গোটা পৃথিবী মাত্র দুটো ব্লকে বিভক্ত হয়ে পড়বে। নামকাওয়াস্তে মুসলিমও সোজা হয়ে দাড়াবে এক আল্লাহর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়। সেই দিনের জন্যে আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।
কথাগুলো অনেক ভালো লাগলো। জাযাকাল্লাহ খাইর।
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৯
252827
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ইসলাম টিকবে যতদিন সত্যিকারের আলেমগণ বেছে থাকবেন। কারণ আলেমগনই নবীদের ওয়ারীঘ জাযাকাল্লাহ খাইরান
311751
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:২০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

কাঠমোল্লা শব্দটি ব্যবহার না করাই মনে হয় অধিক সুন্দর! আমাদের সমাজে আলেমসমাজ কেই অবহেলা বা ক্ষুদ্রজ্ঞান করে অনেক সময় কাঠমোল্লা উপাধি দেয়া হয়! আমি জানি, নিশ্চিত আপনি সেই উদ্দেশ্য থেকে বহু দূর! তারপরেও ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকা আর কি!

শুধু যেনো প্রযুক্তি ই ইসলাম শিখার মূল উৎস না হয়! প্রযুক্তির মাঝে যদি আলেমরা কাজ করেন তবেই সুফল আসবে ইনশা আল্লাহ!

আল্লাহ আপনাকে আরো মেধা ও যোগ্যতা দান করুন! মনে কষ্ট নিবেন না ভাই!শুকরিয়া! Good Luck
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৫১
252828
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মনে কষ্ট পাওয়ার মত লোক এই আহাম্মক না...কাহিনী হল, আমি মাত্র একটি দিক তুলে ধরলাম। আলেমদের মাধ্যমেই ইসলাম প্রচারিত হয়েছে।...শুধু যবকদের সাম্প্রতিক একটি বিষয় নিয়ে বলেছি। আর কাঠমোল্লা মানে হল নির্বোধ ইসলাম প্রচারক,যারা টাকার জন্যেই ঈমান বিক্রী করেছে। আপনার উপর নন স্টপ শান্তি বর্ষিত হোক Happy Happy Happy
311842
৩০ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৫
আহমদ মুসা লিখেছেন : আবু জান্নাত লিখেছেন : কাঠ মোল্লা আর ছাট মোল্লাদের নিয়ে ইসলাম টিকবে না। ইসলাম টিকবে যতদিন সত্যিকারের আলেমগণ বেছে থাকবেন। কারণ আলেমগনই নবীদের ওয়ারীস (মীরাছ হল ইলমে দ্বীন)। বলতে পারেন এভাবেঃ যুব সমাজ প্রকৃত আলেমদের নিয়ে ইসলামকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা এ ব্যাপারে কোনো জালিমের রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেনা। তারা শুধু সামনে যাবে। তারা জালিমকে তছনছ করে ইসলামকে আবার স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে। তারা এক উম্মাহর জন্যে,একটি শক্তিশালী ববস্থাপনার জন্যে একযোগে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আর বিশ্বব্যপী কাফির মুশরিকরা এমন বিরোধীতা,অত্যাচার শুরু করবে যে উম্মাহ এক না হয়ে কোনো উপাই খুজে পাবে না। গোটা পৃথিবী মাত্র দুটো ব্লকে বিভক্ত হয়ে পড়বে। নামকাওয়াস্তে মুসলিমও সোজা হয়ে দাড়াবে এক আল্লাহর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়। সেই দিনের জন্যে আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।
কথাগুলো অনেক ভালো লাগলো। জাযাকাল্লাহ খাইর।
৩০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
252912
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই, সহমত Happy
311856
৩০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
জাযাকাল্লাহ..

জ্ঞানীগুনীজনেরা অনেক কথা বলে ফেলেছেন!
আমি আমার পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে কাঠমোল্লাদের একটু ডিফেন্ড করতে চাই

কাঠমোল্লাদের অবদান নিয়ে শুধু এতটুকু বলবো-
পদ্ধতি ও তথ্যগত যত ত্রুটিই থাকুক, তাঁরাই দেশের আমজনতার কাছে কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামকে মহব্বতের বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন, ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন!
হয়তো "কাঠমোল্লা"দের ৫-১০% আপনার সংজ্ঞায় পড়ে, বাকিরা ইখলাসের সাথেই করেছেন মনে করি!
ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে ঐসব কাঠমোল্লাদের কার্যকর অবদান রয়েছে! মা-খালাদের মুষ্ঠির চালে যতটা মহব্বত ছিল/আছে, দানবীরের বিশাল কর্মও তার কাছে তূচ্ছ!

আর কিয়ামতে জবাবদিহিতা হবে
"যতটুকু জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তার কতখানি আমল করেছে" এর ভিত্তিতে!
এটাতে তাদের চেয়ে আমাদের বিপদ বেশী হওয়ার আশংকা করি!
বরং তাঁরা হয়তো জ্ঞানের ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সত্বেও প্রচারের দায়িত্বটি পালন করায় ক্ষমা পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ!

আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
৩০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
252913
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কাঠমোল্লা বলতে এখানে বিপতগামী আলেমদের বুঝানো হয়েছে। আর যারা পয়সার জন্যে সত্য প্রচার করেনি,পয়সার কারনে দ্বীন প্রচার করেছে এবং ভ্রান্ত আক্কীদা পোষন করেছে। যেসব ইসলাম প্রচারকের জানাশোনা কম কিন্তু তারা তা সৎ নিংতে প্রচার করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। জাজাকাল্লাহ
৩১ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০২
253047
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
আপনার এ ব্যাখ্যা আমি শুরুতেই বুঝেছি!

কিন্তু বাস্তবতা হলো সাধারণভাবে কাঠমোল্লা বলতে অতি অল্প শিক্ষিত ঐসব মানুষগুলোকে বুঝায় যারা মূর্খ লোকদের কাছে ইসলামের ঝান্ডাধারী! এদের মাঝে ভালো-মন্দ সবই আছে!

তাই আপনার উদ্দিষ্ট মানুষগুলোর জন্য এ শব্দটি যথাযথ নয়, এতে অন্যদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়! তবে কাঠমোল্লা শব্দের আগে কোন বিশেষণ জুড়ে দিলে হতে পারে!

যাহোক, লেখাটি নিঃসন্দেহে ভালো হয়েছে এবং অনেকের মন্তব্যে আরো সমৃদ্ধ হয়েছে!
জাযাকুমুল্লাহ
১০
311990
৩১ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান।

গতকাল বাসে করে যাচ্ছিলাম পুরান ঢাকায়। ফার্মগেট জ্যামে বসে অাছি। এ সময় বাসে এক যুবক অনেকগুলি চার পৃষ্ঠার দৈনিক পত্রিকা নিয়ে উঠলো যার নাম ‘আত্মার আলো’। কৌতুহলবশত নিয়ে পড়লাম। সেখানে কেন বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে বিশেষ করে মহিলাদেরকেও কেন পীর বাবার (কুতুববাগী) হাতে বাইআত করতে হবে তার বর্ণনা আছে বিভিন্ন মনগড়া কিচ্ছা কাহিনীর যুক্তি দিয়ে। কুতুববাগীর কারামতি কাহিনীর(!) বর্ণনা দেয়া আছে। আর বলা হচ্ছে-বাবারা তর্ক করবেন না, তর্ক করলে ফল হয় না। বিশ্বাসেই মুক্তি। হাহাহা।


জাযাকাল্লাহ খাইরান। সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
৩১ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
253030
দ্য স্লেভ লিখেছেন : উনি তাহলে কাঠ মোল্লা নন, সরাসরি কাঠ Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১১
312067
৩১ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৩
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : কাঠ আর মোল্লা দুইটা আলাদা করলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়। নতুবা অনেকেরই চক্ষুশুল হবেন। তীব্র আলোতে অন্ধকার দূর হয়, কিন্ত অন্ধত্ব নয়। আর আমাদের সমাজে এরূপ অন্ধের সং্খ্যা প্রচুর। সেখানে সার্জারীর প্রয়োজন আছে।
৩১ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫০
253104
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। উপকৃত হলুম Happy
১২
313104
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : সাদিয়া মুকিম লিখেছেন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

কাঠমোল্লা শব্দটি ব্যবহার না করাই মনে হয় অধিক সুন্দর! আমাদের সমাজে আলেমসমাজ কেই অবহেলা বা ক্ষুদ্রজ্ঞান করে অনেক সময় কাঠমোল্লা উপাধি দেয়া হয়! আমি জানি, নিশ্চিত আপনি সেই উদ্দেশ্য থেকে বহু দূর! তারপরেও ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকা আর কি!

শুধু যেনো প্রযুক্তি ই ইসলাম শিখার মূল উৎস না হয়! প্রযুক্তির মাঝে যদি আলেমরা কাজ করেন তবেই সুফল আসবে ইনশা আল্লাহ!

আল্লাহ আপনাকে আরো মেধা ও যোগ্যতা দান করুন! মনে কষ্ট নিবেন না ভাইয়া! আমি সহমত প্রকাশ করছি আপার সাথে! পারলে এডিট করে দিন! এই একটি শব্দ লেখার সৌন্দর্য নষ্ট করেছে! শুকরিয়া ভাইয়ার!
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫৪
254127
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহে জনাবা আমি সেই চিজ না। আমার মুখের উপর সমালোচনা করলেও আমি রাগি না,বরং আমি ভুল সংশোধন করে নেই। আপনার মন্তব্য ধন্যবাদের সাথে গৃহিত হল। আর কাঠমোল্লা বললে আলেমদের অপমান করা হয়না। এটা আসলে সমাজের সুশিলরা বা কাফিরদের দালালরা তৈলি করেছে। কিন্তু এই শব্দটি জ্ঞানহীন লেবাসধারী হুজুরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেসব লোকদেরকেই বলেছি। আলিমদের সমালোচনা করিনি। তবে পরবর্তীতে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপনাদের উপদেশ মনে রাখব ইনশাআল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File