ছেলে বন্ধু, মেয়ে বন্ধু

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৬ মার্চ, ২০১৫, ১২:১৮:৩৮ দুপুর



কেসস্ট্যাডী ১.

জহীরের ক্লামমেট রুমা। ওরা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ওদের সকলের সাথে সকলের সম্পর্ক দারুন। একে অপরের সাথে তুই সম্বোধনে কথা বলে। তাদের মত এখানে আরও অনেক বন্ধু আছে। ওরা মোটেও প্রেমিক প্রেমিকা নয়,বরং ভাল বন্ধু। একজন আরেকজনের কথা জানে। একে অপরের সাথে সাধারণভাবে মিশে। উভয়ের পরিবারে উভয়ের যাতায়াত আছে। উভয়ের সাথে আরও ডজন ডজন বন্ধু বান্ধবী জড়িত আছে।

জহীর একদিন রুমাকে অন্য একটি মেয়েকে দেখিয়ে বলল-ওর সাথে আমাকে একটু ফিট করে দিবি ? হঠাৎ রুমার গা জ্বলে উঠল,যদিও জানেনা সেটা কেন হল। কিন্তু বন্ধু বলেছে,কিছু তো করতেই হবে। রুমা মেয়েটার সাথে দেখা করল এবং বলল-জহার তোমাকে পছন্দ করে। মেয়েটা বলল-আমি কারো সাথে প্রেম করতে চাইনা। আর এটা করবও না। তুমি তো জানই আমি একা থাকা পছন্দ করি।

মেয়েটার এই না বোধক কথায় রুমা কেন যেন খুশী হয়ে উঠল। এবার সে জহীরের কাছে এসে বলল-দোস্ত আমি তোমার জন্যে অনেক চেষ্টা করেছি। সেই সকাল থেকে মেয়েটাকে অনেক বুঝালাম তোমার ব্যাপারে কিন্তু বিকেলে এসে জানলাম,সে ইতিমধ্যেই বিয়ের ব্যাপারে অন্যের বগলদাবায় চলে গেছে। বাপ মায়ের পছন্দে বিয়ে করছে। আরে বাবা তুই এংগেইজড তা আগে বলবি তো, আমি শুধু ব্যাটারী পোড়ালাম।

জহীর বলল-হুমম তাইলে আর কি , দেখি আরেকটা ধরা যায় কিনা।

এভাবে সময় চলে যায়। উভয়েই পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত। পরিক্ষার পর রুমা জহীরকে বলে ,আচ্ছা পরশ ছেলেটা কিন্তু দারুন,কি বলিস ? জহির হেসে বলে হ্যা পরশ ভাইকে যতটা চিনি তিনি ভালই। কিরে প্রেমে পড়লি নাকি ?

আরে নাহ, উনাকে ভাল লাগে,এইটুকই।

: উনার সাথে কিন্তু আমার জানাশোনা আছে, বলব নাকি কিছু ?

: নাহ, সময় হলে আমিই বলব।

পরশ জহীরের ১ বছরের সিনিয়র কিন্তু সম্পর্ক বন্ধুত্বের। একদিন পরশের সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে জহীর রোমার কথা বলে। পরশও খানিক খুশী হয়,কারন বাংলাদেশে মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের কাছে নিজের ভাল লাগার বিষয়টি জানায় না। কিছু দিনের মধ্যেই পরশের সাথে রোমার ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়। রোমা এসব কথা আবার জহীরকে বলে। উভয়ে নানান রকমের পরিকল্পনা উভয়কে জানায়। চলছিল এভাবে...

একদিন পয়সা ওয়ালা এক ছেলের সাখে রুমার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে। রুমাও রাজি। ছেলেটা দেখতে বেশ। বিয়েতে জহীর অনেক দায়িত্ব পালন করে। জাকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হল। বর রুমাকে নিয়ে চলে গেল।

কিন্তু এরপর জহীরের বুকের ভেতর কেন যেন একটা তোলপাড় শুরু হল। বিয়ের আসরে রুমাকে অত্যন্ত সুন্দর দেখাচ্ছিল। সে ভাবছিল, আহ এতটা দিন ওর পাশে থাকলাম,আজ আরেকজন থাকবে...

পরক্ষনেই আরেক চিন্তা আসে, নাহ একি ভাবছি...ও তো শুধুই আমার বন্ধু,আমার প্রেমিকা নয়।..তাহলে এসব চিন্তা কেন মাথায় আসছে ? না এসব ভলিতে চাই।

ভুলতে চাইলেও সারারাত জহীর ঘুমাতে পারল না। বারবার রুমাকেই মনে পড়তে থাকল। ২দিন পর সে রুমার শ্বসুর বাড়ি ফোন দিল রুমার নাম্বারে। ফোন রিসিভ করল তার স্বামী। জহীর নিজের পরিচয় দেওয়ার পর রুমার স্বামী বলল-সে তো ঘুমাচ্ছে। স্বাভাবিক কথাই হল কিন্তু জহীরের কাছে মনে হল এই ফোন করাটা ভদ্রলোক ভাল চোখে দেখেনি।

জহীর চিন্তা করল না আর ফোন দিবেনা। আর তাকে তো আর সেভাবে পাওয়া যাবে না। কিন্তু জহীরের আরেক মন তাকে আরও যোগাযোগের ইঙ্গিত দিল। জহীর নিরুপায় হয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করল। রুমাও তার সাথে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলল। এভাবে পূর্বের মত না হলেও জহীর রুমার সাথে যোগাযোগ ধরে রাখল। সে যখন একা থাকে,তখন তার নানান কথা মনে পড়ে। এমনও মনে হয়, এক সাথে এতদিন কাটালাম-সে সময় যদি ওকে আটকাতাম,ভালই হত। আবার চিন্তা করে, নাহ সে তো ছিল শুধু্ই বন্ধু।

এভাবে তাদের যোগাযোগ চলতে চলতেই জহীর একদিন এক মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে। তারপর কালে ভদ্রে রুমার সাথে কথা হয়। রুমাও তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। একসময় তাদের যোগাযোগ প্রায় শুন্যের কোটায় চলে যায়। জহীর চিন্তা করে এক সময়ের সবথেকে বিশ্বস্ত,চমৎকার বন্ধুটি কিভাবে হারিয়ে গেল।

কেসস্ট্যাডী ২: কামালের বন্ধু আরিফ। তারাও ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। প্রথমে ভাল সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু আরিফের ভাই অসুস্থ্য হলে তাকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। নেগেটিভ রক্ত পাওয়া কষ্টকর কিন্তু কামালের রক্তের সাথে মিলে। সে দেয়। এরপর থেকে যেন তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর। চায়ের দোকান,রেস্টুরেন্ট,রাস্তার মোড়,নদীর ধার ,উভয়ের বাড়ি সকল স্থানেই তারা আড্ডা মারে। এমন কোনো কথা নেই যা শেয়ার করেনা।

কামালের বিয়ে। দেখে মনে হচ্ছে আরিফের বিয়ে। সবকিছু সেই ঠিকঠাক করে। পুরো অনুষ্ঠান সেই পরিচালনা করে।

বিয়ে হয়ে গেল। কামাল বৌ আনল ঘরে। আগের মত আরিফের সাথে আড্ড না হলেও কথা হয়। ইতিমধ্যে আরিফও বিয়ে করেছে,সেখানে কামালই বেশী দায়িত্ব পালন করেছে। উভয়ে উভয়ের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু তারা ঠিকই সময় বের করে মাঝে মধ্যে আড্ডাবাজি করে। আবার কখনও কখনও উভয়ের স্ত্রীসহ কোথাও ঘুরতে যায়।

কামাল এবং আরিফ উভয়কে ভুলে যায়নি। সাংসারিক কাজ তাদেরকে পরষ্পরের কাছাকাছি না রাখলেও মানুষিকভাবে তারা এখনও অটুট।

================================

উপরের ঘটনাগুলো খুবই বাস্তব। আপনারা চোখ কান খোলা রেখে দেখবেন,এমনটাই বেশী ঘটে। একজন মেয়ের সাথে ছেলের বন্ধুত্বের স্থায়ীত্ব, মেয়ের সাথে মেয়ের এবং ছেলের সাথে ছেলের বন্ধুত্বের স্থাযীত্ব বেশী।

একজন মেয়ে কোনো ছেলের বন্ধু হলেও এবং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলেও তাদের উভয়ের শারিরীক,মানুষিক অবস্থার কারনে সে সম্পর্ক একই গতিতে চলেনা। উভয়ে উভয়ের প্রতি আকর্ষন অনুভব না করলেও সেখানে কিছু আকর্ষণ তৈরী হয় যা বিপরীত লিঙ্গগত আকর্ষন এবং যা সহজাত। মূলত তারা এ বিসয়টিকে উপেক্ষা করেই নিজেদের সম্পর্কে স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে।

একজন ছেলে সাধারণত সেই মেয়েটির সাথে তার এই স্বাভাবিক বন্ধুত্ব স্থাপন করতে চায়না,যার রূপ,গুন তার কাছে ভাল লাগেনা। অথবা তার চোখে সুন্দর ও অসুন্দর এমন সব মেয়েরাই যদি তার বন্ধু হয়,তবু সে বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বা যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে সুন্দরীদের প্রাধান্য দেয়। অথচ ছেলেটি অন্য ছেলেদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আমলে আনেনা। সেখানে তার সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি সবথেকে কুৎসিত হতে পারে। বিষয়টি মেয়েদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।

আমরা যদি আজকের প্রগতিশীলদের দিকে তাকাই, সহজে দেখতে পাব তারা ছেলে মেয়ের সম্পর্ককে স্বাভাবিকভাবে দেখতে বলছে। একটা ছেলে বন্ধু আর মেয়ে বন্ধুর মধ্যে পার্থক্য নেই,সেটাই তারা বলছে। এবং এভাবেই আচরন করতে বলছে। অথচ তারা যে প্রকৃতিকে বিশ্বাস করে, সেই প্রকৃতি অনুযায়ীই তাদের চিন্তা ভুল। এখানে বাস্তবে আমরা নারী,পুরুষের আচরনে অবশ্যই ভিন্নতা দেখী। এবং বাস্তবতা বলে নারীর সাথে পুরুষের বন্ধুত্বের চাইতে, পুরুষের সাথে পুরুষের, নারীর সাথে নারীর বন্ধুত্বের স্থয়িত্ব বেশী।

আমি এখানে স্বামী-স্ত্রীর বিষয়টি আলোচনায় আনিনি। শুধু নারী পুরুষের অবাধ বন্ধুত্বের বিষয়টি উল্লেখ করেছি।

বি:দ্র: আল্লাহ ভাল মন্দ দুটোই সুষ্টি করেছেন মানুষকে পরিক্ষা করার জন্যে। আল্লাহ যেটাকে তার রসূলের(সাঃ)মাধ্যমে ভাল বলেছেন,সেটাই ভাল এবং অতি উত্তম,শ্রেষ্ট এবং স্বাভাবিক। রসূল(সাঃ)বলেন-"যদি কোনো স্থানে নারী এবং পুরুষ একত্রে থাকে ,তাহলে সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত থাকে শয়তান।"

সুতরাং যারা শয়তানের কোলে বসে আইসক্রীম খায়,তাদেরকে পরিত্যাগ করুন। পুরোপুরি আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন।

বিষয়: বিবিধ

১৮২৩ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309268
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৩২
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০০
250294
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
309284
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩৫
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০১
250295
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দুষ্টু পোলার মন্তব্য কপি করলেন নাকি ?Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
309292
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:২৩
অন্য চোখে লিখেছেন : অসাধারন
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০১
250296
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
309295
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুতরাং যারা শয়তানের কোলে বসে আইসক্রীম খায়,তাদেরকে পরিত্যাগ করুন। পুরোপুরি আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন।
এই কখাটির জন্যই যেন পুরা লিখাটি পড়লাম। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০২
250297
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান জনাব Happy
309296
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৭
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব একটা অসম্ভব ব্যাপার।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০২
250298
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এটা সম্ভব তবে অকল্যানকর Happy
309298
১৬ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:২০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট ভাই। ছেলে মেয়ে বন্ধুত্ব অর্থ শয়তানী আচরণ। একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে কিন্তু বন্ধুত্বের নামে বেহায়াপনা স্রেফ শয়তানী ছাড়া আর কিছুই নয়। জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৫
250299
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওইসব সুশীলরা নিজেদের বৌয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু ওসব পছন্দ করেনা। কিন্তু অন্যের বৌয়ের ক্ষেত্রে নিজেকে নিরামিষ বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়। এদেরকে জুতা গু মাখায়ে পেটানো উচিৎ। এরা চরম ভন্ড। মেয়ের সাথে পরিচয় থাকা আর বন্ধুত্ব এক জিনিস নয়।
309299
১৬ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপনার খাদ্য তালিকা ঠিকমত পালিত হচ্ছে তো?
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৭
250300
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যদি পালিত না হয় নিজের মুখে ঝামা ঘষে দেব। এখনও পযণ্ত অনড়।Happy Happy Happy
309312
১৬ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
শেখের পোলা লিখেছেন : দাঁত নড়ে গেছে আইসক্রীম সহ্য হয়না, তাই কোথাও বসেই তা খাওয়া হয়না৷অবশ্য আগেও অমন করে খাইনি৷ আল্লাহ যন্ত্রটি সৃষ্টি করেছেন, গুনাগুন, কার্যক্ষমতা সবই তার জানা আর সেভাবেই সাথে লিটারেচার কোরআন দিয়েছেন৷ সেমতই ওটাকে ব্যবহার করা উচিৎ৷আর কারও পরামর্শ সেখানে অচল৷ ধন্যবাদ৷
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৯
250301
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার লেখার সাথে মন্তব্যের মিল বাতেনী Happy। মনে হয় আপনি আইসক্রিম খাওয়ার চেষ্টায় রত ছিলেন এবং দাতে ব্যাথা করছিল।

আল্লাহ যন্ত্রটি সৃষ্টি করেছেন, গুনাগুন, কার্যক্ষমতা সবই তার জানা আর সেভাবেই সাথে লিটারেচার কোরআন দিয়েছেন৷ -সুপার
309317
১৬ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২২
স্বপন২ লিখেছেন : যদি কোনো স্থানে নারী এবং পুরুষ একত্রে থাকে ,তাহলে সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত থাকে শয়তান।"একমত।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:১১
250302
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান,ভাই
১০
309320
১৬ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! বেশ সুন্দর করে সমাজের সমস্যা ফুটিয়ে তুলেছেন লিখার মাধ্যমে! পর্দার সঠিক কনসেপ্ট না থাকার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

শয়তানের কোলে বসে আইসক্রিম খাওয়া থেকে আল্লাহ আমাদের ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন!আমিন !

জাযাকাল্লাহু খাইর! Praying
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:১২
250303
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মনে হচ্ছে-শয়তানের কোলে বসে আইসক্রিম খাওয়ার বিষয়টি চোখে এড়িয়ে যায়নি।Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor বিষয়টা হঠাৎ মাথায় এসেছিল..Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪৫
250327
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনি একজন জিনিয়াস ভাইHappy !
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৩
250341
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১১
309348
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:০২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আর হ্যাঁ ছোট ভাই একটা অনুরোধ রাখছি যদি সম্ভব হয় তাহলে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পিডিএফ কপিটি সহ যদি আরও থাকে আমার কোন পোষ্টে দিয়ে দিলে ভীষণ উপকৃত হতাম।

অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:০৩
250372
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপুর বই পড়া থেকে আমিও সওয়াবের অংশীদার হবো ইনশা আল্লাহ! আমার পোস্টে স্লেভ ভাই আল বিদায়ার বই এর উল্লেখ করেছেন! ইসলামের প্রতিটি বিষয় চমৎকার লাগে!Happy
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
250405
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সিস্টার আপনিও নিতে পারেন । আরও বেশ কিছু মূল্যবান বই আছে। যেমন- যেসকল বিষয়ে বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস রয়েছে সেসবের একটি বড় বই। অর্থাৎ মুত্তাফিকুন আলাইহে। জাজাকাল্লাহ
১৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬
250598
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : এই লিংকে পাবেন আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া
১২
309363
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তথাকথিত জাষ্ট ফ্রেন্ড!!! এর নামে যে বেহায়াপনা চলছে সেটার আশু সমাপ্তি প্রয়োজন।
অতি ঘনিষ্ট এই ফ্রেন্ডশিপ এর চাইতে সাধারন সহপাঠি সম্পর্ক বরং অনেক বেশি টিকে। কলেজের মেয়ে সহপাঠি দের সাথে আমার বিশেষ কথা হতোনা। কিন্তু এখনও বিভিন্ন দাওয়াত এ তারা আমাকে মনে করে এবং আমিও করি।
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৯
250344
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার কোনো সহপাঠীর সাথে দুরতম যোগাযোগও নাই। আমি তাদের সাথে কথা বলতাম না। খুব প্রয়োজনে দু একবার বলেছি। সে সময়ে আমার খানিক অহংকারের কারনেও এটা করেছি। আর আমার সাথে কোনো সহপাঠীনী ফোনেও যোগাযোগ করেনি...Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আমি নারী বিদ্বেষী নই কিন্তু এই কানেকশন তৈরী করিনি,তা সে যত হালকাই হোক...Happy Happy
১৩
309390
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৩২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মেয়ের সাথে ছেলের বন্ধুত্ব কখনো হবার নয়! হলে বুঝতে হবে শয়তানকে খুশি করা হল। বিবাহ ব্যতীত ছেলে মেয়ে...???
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
250407
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শয়তান ওৎ পেতে থাকে কোথায় ধোকা দেওয়া যায়। আর ছেলে মেয়ের সম্পর্কের মধ্যে ধোকা দিতে তার অত কষ্ট করা লাগেনা
১৪
309598
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:৪৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আগুনের পাশে মোমের গলে না যাওয়া কোনভাবেই যেমন বিশ্বাসযোগ্য নয় তেমনি ছেলে মেয়েতে শুধুই বন্ধুত্ব, অন্য কিছু নয় এটাও তেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়। আপনি বলেছেন তারা প্রকৃতি বিশ্বাস অথচ প্রকৃতির সহজাত বিধান মানতে চায় না, তারা কেন চাইবে, চাইলেইতো তাদের পক্ষে অনাচারের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে, যা কি না হবে তাদের জন্যো আত্মঘাতী।

জীবনে এই নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আছে আমার, আমি মিশেছি আল্ট্রা আধুনিকার সাথে আবার মিশেছি ভদ্র ভাল মেয়েদের সাথে। কিন্তু চরম সত্য উপলব্দি করেছি, ভাল হোক কিংবা মন্দ মেয়ে, ছেলে মেয়েতে একসাথে অবাধ উঠাবসা পরপস্পরের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে, যত বেশি সময় তারা মেশার চেষ্টা করে ততই তাদের পবিত্র বন্ধুতা নষ্টামিতে রূপ নিতে থাকে। এতা চরম ও পরম সত্য, অস্বীকারকারীরা মিথ্যুক ছাড়া আর কিছুই নয়।

আজকের লিখাটি অসাধারণ হয়েছে, প্রথমে ঘটনার সুন্দর উপস্থাপনা, পরে বিশ্লেষণ, এক কথায়, পাঠকের মনে প্রকৃত সত্যকে উপলব্দি করানোর লিখাটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
250583
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্যে জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনার উপলব্ধী নিয়ে লিখতে পারেন। মানুষ উপকৃত হবে
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:০৩
250584
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক লিখেছি ফেসবুকে, আরো লিখব।
১৫
309649
১৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দিন।

আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, আজকাল দেখা যায়-অনেক মা তার মেয়েকে প্রেম করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকেন। কোথায় যাচ্ছে দেশ?
১৮ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২১
250681
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে...
১৬
309801
১৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! সবটুকু পড়লাম বিশাল গবেষণা। তো ভাই ঘটনাদুটো কি আপনার নিজের?
১৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
250904
দ্য স্লেভ লিখেছেন : লেখাটা পড়ে কি সেটাই মনে হচ্ছে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File